নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রেট ম্যান সুকুমার রায়

৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৯


ছবিঃ গুগল।

আজ ছড়াকার, সাহিত্যিক, রম্যরচয়িতা সুকুমার রায়ের জন্মবার্ষিকী। আবোল তাবোল ছড়াকার সুকুমার রায়ের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলা ভাষায় এ যাবতকালের শ্রেষ্ঠ শিশু সাহিত্যিক কে – এই প্রশ্ন করা হলে সুকুমার রায়কে নিয়ে কোন সংশয় থাকবে বলে মনে হয় না। ‘আবোল তাবোল’ ছড়ার বইয়ের মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যে 'ননসেন্স রাইমিং' ধারার সূচনা করেন, যা বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে নিজস্ব জায়গার দাবিদার।

প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়ার সময় ননসেন্স ক্লাব গড়ে তুলে আবোল তাবোল ছড়া নামে একটি নতুন ধারার সূত্রপাত করেন। সৎ পাত্র, কাঠ-বুড়ো, রামগরুড়ের ছানা, খিচুড়ি, কাতুকুতু বুড়ো সহ আরও অনেক বিখ্যাত কবিতা এ সময়ের সৃষ্টি। পরে উচ্চশিক্ষার্থে বিলেত গমন করেন। সেখান থেকে ফিরে এসে মন্ডা ক্লাব (Monday Club) নামে একই ধরণের আরেকটি ক্লাব খুলেছিলেন।

সুকুমার যখন ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করছিলেন, সেইসময় অন্যদিকে তাঁর বাবা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী জমি কিনে একটা উন্নত-মানের রঙিন হাফটোন ব্লক তৈরি করেন এবং সেইসাথে নিজস্ব ছাপাখানাও স্থাপন করেন। সুকুমার রায়ের বাবা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিয়েতে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তাঁকে চিঠি দিয়ে জানান, শিলাইদহে জমিদারীর কাজে ব্যস্ত থাকার দরুন তিনি হয়তো তাঁর ছেলের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। কিন্তু অবশেষে শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ, সুকুমার রায়ের বিয়েতে এসেছিলেন।

১৯২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাত্র সাঁইত্রিশ বছর বয়সে সুকুমার রায় মৃত্যুবরণ করেন। তার একমাত্র পুত্র ছিলেন সত্যজিৎ রায়। পরবর্তীতে তিনি ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকরূপে খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলা সাহিত্যের এই কিংবদন্তিকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

তথ্যসুত্রঃ ইউকিপিডিয়া।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:১০

ইসিয়াক বলেছেন: আমার অনেক অনেক প্রিয় লেখক। ছোটবেলায় উনার লেখা ছড়া, গল্প, জ্ঞান বিজ্ঞানের কাহিনী পড়তে খুব ভালো লাগতো। এখন সময় পেলে উনার কিছু না কিছু লেখা পড়ি।
উনার বাবা ও ছেলের লেখাও আমার খুব খুব প্রিয়। উনার পৈতৃক ভিটা ( বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ) সংরক্ষিত হোক এই দাবি জানাচ্ছি।

পোস্ট ভালো লাগলো।
সুপ্রভাত

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া জনাব।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ সম্মানিত ব্লগার।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনি যেদিন লিখাটা লিখেছেন, মানে ৩০শে অক্টোবর আসলে কবির জন্মদিন। কিন্তু আপনি লিখার শেষে কেন "আজ বাংলা সাহিত্যের এই কিংবদন্তির প্রয়াণ দিবস" উল্লেখ করেছেন, ঠিক বুঝতে পারিনি। তার প্রয়াণ দিবসের তারিখতো আপনিও আপনার লিখায় উল্লেখ করেছেন। পুরো ব্যাপারটাই বেশ গোলমেলে মনে হলো। যাইহোক, কবির সাহিত্যকর্ম আমরা সংরক্ষণ করার কাজ করছি। ধীরে ধীরে তার অন্যান্য সাহিত্য কর্মগুলোকেও একত্রে করার ইচ্ছে রয়েছে। কবির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধ।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভুল করেছি।
এবং ভুলটা আপনি ধরে দিয়েছেন। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি এডিট করে ঠিক করে দিচ্ছি। এখনই।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০২

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: রাজীব ভাই, সুকুমার রায়কে নিয়ে অনেক অজানা তথ্য জানলাম। আবোল তাবোল আর পাগলা দাশু আমার দারুন প্রিয় ছিল। এত অল্প বয়সে মারা গ্যেছেন, জানাই ছিল না। খুব ক্ষণজন্মা লোক ছিলেন।
এমন লেখা আরো চাই। দাবি জানিয়ে গেলাম।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওরে বাবা---!!!!
আপনি এসেছেন আমার পোষ্টে!!! অশেষ ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.