নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরুর রচনা

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৫


ছবিঃ গুগল।

ছোটবেলা আমার কখনও গরুর রচনা শিখতে হয় নি।
বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় কখনও গরুর রচনা আসে নি। তবে ক্লাশ ফোরে পড়ার সময় একদিন স্যার বললেন, ইংরেজী ২য় পত্রে এবার গরু রচনা আসতে পারে। শিখে রাখো। আমি জটপট 'দি কাউ' শিখে নিলাম। যদি এসে যায়। গরুর রচনা খুব সহজ। সেই ছোট বেলায় মুখস্ত করেছিলাম। এখনও আমার কিছু কিছু মনে আছে। A cow is a domestic animal. Cows are one of the most innocent animals who are very harmless. Farmers often use a male cow known as an ox to plough the fields and draw carts.The cow dung is used by people as fuel and fertilizer for plants and for repelling insects. অবশ্য রচনা শেখার কিছু নেই। ভালো পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা থাকলে সুন্দর রচনা লেখা যায়।

চাঁদগাজী কখনও কখনও মন্তব্য করেন 'গরুর রচনা'।
সেই পোষ্ট গুলো আমি পরে দেখেছি আসলেই গরুর রচনা। তিনি সঠিক কথাই বলেছেন। তবে আমার সাহস কম। আমি চাঁদগাজীর মতোন মুখের উপর বলে দিতে পারি না 'গরুর রচনা'। চাঁদগাজীর সমস্যা হলো- তিনি মিথ্যা মন্তব্য করেন না। তেল দেন না। যা সত্য উনি তা-ই বলে দেন বিনা দ্বিধায়। তার সত্য কথা অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। সমস্যা এইখানেই। যাই হোক, আমি আমার গরুর রচনায় ফিরে যাই। তবে আরেকটা কথা অপু তানভীরের ল্যাদানো গল্প গুলো আমার কাছে গরুর রচনাই লাগে। স্প্যানকডও গরুর রচনা লিখে সার্ভার ভারী করে ফেলছেন। এদের শাস্তি হওয়া উচিত। ব্লগটাকে মাছের বাজার বানিয়ে ফেলছেন।

কলকাতায় দেখেছি, গরুকে খুব সম্মান করে।
তাঁরা গরু রাস্তায় ছেড়ে রাখে। গরু মনের সুখে ঘুরে বেড়ায়। শান্তিনিকেন রেলস্টেশনে টিকিট কাটতে গিয়ে বিশাল সাইজের দুইটা গরু। বড় বড় শিং। এঁর মধ্যে একটা আবার পটি করে দিয়েছে। লোকজন বেশ স্বাভাবিক আছে। গরু দেখে ভয় পাচ্ছে না। তবে আমি ভয় পাচ্ছি। যদি গুতা দিয়ে দেয়। শেষে সুরভি গিয়ে দুটা টিকিট কেটে এনেছে শিয়ালদা স্টেশনের।
গরুর মাংস আমার খুবই প্রিয়। রান্না ভালো হলে আমি একাই এক বসায় আধা কেজি খেয়ে ফেলতে পারি। সকালের নাস্তায় গরুর নেহারিও আমার ভীষন প্রিয়। বর্তমানে গরুর মাংস ছয় শ' টাকা কেজি। এত টাকা হওয়ার কথা না। গরুর মাংসের দাম সর্ব্বোচ হওয়া উচিত ২৫০ থেকে ৩০০ শ' টাকা। একটা গরুর গ্রাম থেকে ঢাকায় আনতে অনেক জাগায় পুলিশকে টাকা দিতে হয়। এজন্য গরুর মাংসের দাম বেশি। বাংলাদেশে পুলিশ যদি ঘুষ খাওয়া বন্ধ করে তাহলে বাংলাদেশের অর্ধেক সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যাবে। আর বাকি অর্শেক সমস্যার সমাধান সম্ভব সরকারী আমলারা যদি ঘুষ খাওয়া বন্ধ করে।

খাটি গরুর দুধ ঢাকাতে পাওয়া যায় না।
গ্রামে পাওয়া যায়। গরুর দুধ আমার পছন্দ। গ্রামে গেলে আমি আগ্রহ নিয়ে দুধ খাই। ঢাকায় বহু লোক দুধ বিক্রি করে। এগুলো পাউডার দুধ পানিতে গুলিয়ে বিক্রি করে- গরুর দুধ বলে। এমন কি প্যাকেটজাত দুধ গুলোও গরুর দুধ নয়। ঢাকা শহরে খাটি জিনিস পাওয়া যায় না। এমন কি দেশী মূরগীর ডিমও পাওয়া যায় না। কক আর সোনালী মূরগীর ডিম বিক্রি করে দেশী মূরগীর ডিম বলে। যাই হোক, গরুর রচনায় ফিরে যাই। আমার সমস্যা হলো, এক কথা থেকে আরেক কথায় চলে যাই। শেষে দেখায় যায় মূল বিষয় বাদ দিয়ে আজাইরা বিষয় নিয়ে হাবিজাবি লিখে ফেলেছি। এইটা আমার একটা বাজে অভ্যাস। এজন্য আমি অগ্রীম ক্ষমা প্রার্থী বন্ধুগন। যাই হোক, মূল রচনায় ফিরে যাই। গরু অতি নিরীহ একটা প্রানী।

সুরভির হাতের গরুর মাংস রান্নাটা অসাধারণ হয়।
যদিও একটা বয়সের পর গরুর মাংস বেশি খাওয়া ঠিক না। একটু বিবেচনা করে বেছে বেছে খেলে অনেক অসুখ বিসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। শুধু মাত্র পরিমিত খাদ্য আপনাকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখবে। কোরবানীর সময় গরুদের অনেক কষ্ট হয়। গ্রাম থেকে ঢাকায় গরু গুলোকে নির্মমভাবে আনা হয়। আমাদের বাসায় সপ্তাহে দুই দিন গরুর মাংস রান্না হয়। আমাদের দেশে গরুর এত চাহিদা যে ইন্ডিয়া থেকে পর্যন্ত গরু আনতে হয়। অথচ সরকার গ্রামের বেকারদের দিয়ে গরুর ফার্ম করতে পারে। সরকারের 'আমার বাড়ি, আমার খামার' নিরাপদ খাদ্য, কর্মসংস্থান ব্যাংক, এরকম ইত্যাদি ৫০ টা প্রতিষ্ঠান একবারে ফালতু। তাঁরা কোনো কাজ করে না। কিন্তু প্রতি মাসে বেতন পাচ্ছে। চুরী করছে। যুগ যুগ ধরে এরকমই চলছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ক্লাস ফোর হিসেবে গরুর ইংরেজী রচনার উদ্ধৃত অংশটুকু একটু বেশিই কঠিন হয়ে গেছে। আমরা শিখেছিলামঃ "দ্য কাউ ইজ এ ফোর-ফুটেড এ্যানিম্যাল। ইট হ্যাজ ফউর লেগস, টু হর্নস, টু আইজ, ওয়ান টেইল। দ্য কাউ গিভস আস মিল্ক ... " ইত্যাদি ইত্যাদি।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার সঠিক মনে নেই। ফাইভ বা সিক্সেও হতে পারে।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালী লেখকরা যা লিখতে চান, বেশীর ভাগই তা সঠিকভাবে লিখতে পারেন না; ৮০ ভাগ লেখকের লেখা গরুর রচনাতে পরিণত হয়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ধারনা, খারাপ মানুষেরা ভালো লিখতে পারে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.