নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
সুরভি নিউ মার্কেট গিয়েছে।
ফারাজা আমার কাছে। সুরভি বলেই গেছে, ফিরতে অনেক দেরী হবে। দুপুর দুটায় বের হয়েছে। কন্যার জন্য শীতের জামা কাপড় কিনতে গেছে। সমস্যা হলো কন্যাকে রাখা বিরাট দিকদারি। সে ঘুমিয়ে থাকলে ভালো। কিন্তু সজাগ থাকলে সারাক্ষণ তার পিছনে পিছনে ছুটতে হয়। এক মুহুর্ত স্থির থাকে না কন্যা। কন্যাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাখতে হবে। খাওয়াতে হবে। পটি করলে পরিস্কার করতে হবে। অথচ এসব কাজ আমি পারি না। কিভাবে কি করবো বুঝতে পারছি না। আজ বিকেলে আমার এক জাগায় যাওয়ার কথা ছিলো। জরুরী আলোচনা ছিলো কিছু। উফ!
সুরভি ফিরেছে রাত আট টায়।
আমিও জানতাম রাত আট টার আগে ফিরতে পারবে না। দুপুরে আমার খাওয়া হয়নি। কন্যাকে সময় দিতে হয়েছে। পরীর সাহায্য নিয়ে কন্যাকে খুচিড়ি খাওয়াছি বিকেলে। একটা ডিমের কুসুম খাইয়েছি। বিকেলে কন্যাকে ছাদে নিয়ে গেছি। আল্লাহর রহমত পরী ফারাজাকে কোলে নিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে। ফারাজা ঘুমিয়েছে, আমি তখন বই পড়েছি। বেশ ক্ষুধা লেগেছিলো। তখন ছোট ভাই বার্গার, চিকেন ফ্রাই আর কোক দিয়ে গেলো। সে ফুডপান্ডা থেকে অর্ডার দিয়ে আনিয়েছে।
রাত আট টায় গেলাম বাজারে।
প্রতিবার বাজারে যাই, আর অবাক হই। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশে কি প্রতিমাসে মাসে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে? আজিব এক দেশ! বিরক্ত ধরে গেছে। গায়ে মাখা সাবান নিলাম দুই পিছ। কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্ট নিলাম দেড় কেজি। সুরভি ছোট একটা লিস্ট দিয়েছিলো, সেসব নিলাম। খোলা বিস্কুট নিলাম নানান রকম। আপেল, নাসপাতি আর আনার নিলাম। বাজারে কমলা উঠেছে। কেজি বিক্রি করছে ১২০ টাকা করে। দুই কেজি কমলা নিলাম। অতি সামান্য জিনিসপত্র কিনলাম। তিন হাজার টাকা শেষ হয়ে গেলো।
বাজারে যাওয়ার আগে বিল্লালের চায়ের দোকানে গেলাম।
বিল্লাল আগামীকাল সকালে গ্রামের বাড়ি যাবে। তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। বিল্লালের দোকানে আমি দীর্ঘদিন ধরে আসি, চা খাই। ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এখন বিল্লাল চায় আমি তার সাথে গ্রামে যাই। তার বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত থাকি। বিল্লালকে বিয়ে উপলক্ষ্যে দুই হাজার টাকা দিলাম। সে টাকা নিতে চায় নি। বেশ জোর করেই দিলাম। আমার হাত খালি। তা না হলে কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকা দিতাম। বিল্লালকে কিছু বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে বাজারে গেলাম।
রাতে খেতে বসে দেখি বিরাট আয়োজন।
আমি বললাম, এত কিছু রান্না করলে কখন? সুরভি বলল, রান্না করি নি। এগুলো আবীরের শ্বশুর বাড়ি থেকে পাঠিয়েছে। টেবিল ভর্তি খাবার দেখে মনটা খুশিতে ভরে গেলো। আমি প্রথমে রুই মাছ খেলাম। রান্নাটা ভালো হয়েছে। ফুলকপি, আলু আর মটরশুটি দিয়ে রান্না করেছে। এই সময় মটরশুটি কোথায় পেলো কে জানে! তারপর খেলাম দেশী মূরগী ভূনা। সেই রকম স্বাদ হয়েছে। এরপর খেলাম চিংড়ি মাছ ফ্রাই। এটাও খেতে ভালো হয়েছে। সব শেষে খেলাম গরুর মাংস। জব্বর স্বাদ হয়েছে মাংসটা। পোলাউ ছিলো। কিন্তু আমি ভাত'ই খেয়েছি।
০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: গরুর মাংস আমার বিশেষ প্রিয়।
মাছের চেয়ে গরুর মাংস বেশি ভালো লাগে। আর এত মজা করে রান্না করে, বেশি না খেয়ে পারি না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
২ ধরণের মাছের সাথে ২ ধরণের মাংস? গরুর মাংস বেশী খাবেন না।