নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
১। দুই ভাইবোন মিলে মাকে গ্রামে রেখে এসেছে।
মা বলেছেন, আমি একা গ্রামে কি করে থাকবো? খাবো কি? ছেলে বলেছে, আমার বউ তোমাকে পছন্দ করে না। তোমাকে বাসায় রাখলে সারাদিন তুমি শুয়ে বসে থাকো। ঘরের কোনো কাজও করো না। তোমাকে রেখে আমার লাভ কি? তাই তুমি গ্রামেই থাকো মা। মেয়ে বলেছে, মা আমি তোমাকে কি করে রাখি? শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানা রকম কথা বলবে। আল্লাহর দোহাই লাগে মা তুমি গ্রামে চলে যাও। তুমি কি চাও না আমি স্বামী সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে ভালো থাকি? মা কাঁদতে কাঁদতে গ্রামে চলে গেলেন।
২। ছেলেটা তিন বছর ধরে বেকার।
অথচ এই ছেলের এক আত্মীয় মন্ত্রী। ছেলেটা চাকরির জন্য অনেক চেস্টা করেছে। ছোট চাকরী, বড় চাকরী- সব রকমই চেষ্টা করেছে। কিন্তু সে চাকরী পায় নি। এখন সে পথে পথে ফকিরের মতো ঘুরে বেড়ায়। পরিচিতরা বলেছেন, বিয়ে করো। বিয়ে করলে বউয়ের উছিলায় একটা ভালো কিছু হবে। ইনশাল্লাহ। বেকার অবস্থাতেই বিয়ে করেছে। বিয়ে দুই বছর টিকেছে। এরপর স্ত্রী বলেছে, বাদাইম্যা স্বামীর ঘর করবো না। বাচ্চার জন্য দুধও কিনতে পারে না। ফলাফল তালাক।
৩। আমার বন্ধু শাহেদ জামাল।
অতি ভালো একটা ছেলে। ঢাকা শহরে এরকম ভালো ছেলে আর নাই। আমি বাজি ধরতে পারি। শাহেদ বিয়ে করে নি। অথচ সে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে বেড়াচ্ছে। একটা চাকরী পেলেই সে বিয়ে করবে। কিন্তু চাকরী পাচ্ছে না। বিয়েও করতে পারছে না। দীর্ঘিদিন বেকার থাকার কারনে শাহেদ জামালের মানসিক শক্তি কমে গেছে। সাহস কমে গেছে। আজকাল রিকশাচালকও তার সাথে ঝারি দিয়ে কথা বলে। পাড়ার চ্যাংড়া পোলাপানও শাহেদ জামালকে দাম দেয় না। পরিবারের লোকজনও শাহেদ জামালের দিকে ভালো করে তাকায় না। প্রিয় মানুষদের অবহেলা সহ্য করা খুব কষ্টের।
৪। ভদ্রলোক ছোট ব্যবসা করেন।
ব্যবসায় তিনি জান জীবন দিয়ে খাটছেন। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ব্যবসার কাছে ভীষন ব্যস্ত থাকেন। নিজে ভালো খান না। ভালো জামা পড়েন না। অথচ তার ছেলে মেয়েকে শহরের সবচেয়ে দামী মার্কেট থেকে জামা কাপড় কিনে দেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন দেশের সেরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে। ছেলে পড়ছে আহছান উল্লাতে আর মেয়ে পড়ছে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে। মেয়ে লেখাপড়ায় বেশ ভালো। মেয়ের আর এক বছর লেখাপড়ার বাকি আছে। অথচ মেয়েটা গতকাল এক বখাটের সাথে পালিয়ে গেছে।
৫। ঢাকার এক থানার গল্প।
দুইজন পুলিশ রাস্তায় টহল দিচ্ছে বাইকে করে। সময় তখন সন্ধ্যা সাত টা। যে পুলিশ বাইক চালাচ্ছে সে বলল, আমার বেশ কিছু টাকা দরকার। বেতন পেতে আরো পনের দিন বাকি। বাইকের পেছনে বসে থাকা পুলিশ বলল টাকা জোগাড় করা কোনো ব্যাপারই না। গর্ব করে বলল- আমরা পুলিশ না! চলেন মূরগী ধরি। সে রাত্রে দুইজন পুলিশ মিলে ২৫ জন নিরীহ ছেলেকে ধরলো। নানান ভয়ভীতি দেখালো। পরিবারের লোকজন টাকা দিয়ে ছেলেদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল। এক রাতেই ৬৫ হাজার টাকা উঠে গেলো। পুলিশ যদি কাউকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। দুই হাজার টাকা দিলেও দিতে হবে। যদি পুলিশ বিনা অপরাধে মসজিদের ইমামকেও ধরে, তাকেও টাকা দিতে হবে।
©somewhere in net ltd.