নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৬



মুহতাসিম মুয়ীয রহমান ভাইয়ের লেখা-

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করেছি। আগে শুনতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড!!! এখানে ভর্তি হয়ে বুঝেছি, বাস্তবতা ভিন্ন।

শিক্ষকেরা রাজনীতি করে, গবেষণায় আগ্রহ কম, অনেক শিক্ষকের পড়ানোর যোগ্যতাই নেই, অনেক শিক্ষক নিজের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ছাত্রদের ওপর জোর করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন।

রেজাল্ট দিতে অনেক সময় লাগে। এমনও আছে এক ইয়ারে ক্লাস প্রায় শেষ, এক মাস পর ইয়ার ফাইনাল, আপনি তার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন সময়ে আগের ইয়ার ফাইনালের রেজাল্ট দিল, আর দেখলেন আপনি ফেল করেছেন। আপনাকে তখন আগের ইয়ারে ভর্তি হতে হবে। এবার বলেন, আপনার কেমন লাগবে!!!! আমারই এক ক্লাসমেটকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। শিক্ষকদের দলাদলিতে অনেক স্টুডেন্টের রেজাল্ট খারাপ হয়। অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করান। এবার বলুন, এরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হওয়ার কোন যোগ্যতা রাখেন????

রেজিস্টার বিল্ডিং নামে একটা জমিদার বাড়ি আছে। সেখানে আছে অসংখ্য জমিদার। এখানে আপনি তাদের কাছে কোন কাজে যাবেন, বলবে, "লাঞ্চের পরে আসেন", লাঞ্চের পর গেলে বলে "কালকে আসেন", যে কাজ অল্পতেই হয়ে যাওয়ার কথা, তা কয়েকদিন লাগিয়ে দেয়।

ছাত্র রাজনীতি আছে। সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন দুই দিন পর পর মিছিল করে। হলে থাকা ফার্স্ট সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেদের এরা জোর করে মিছিলে নিয়ে যায়। না গেলে, নেতাদের কথা না শুনলে মারধোর করে। হলে সিট পেতে এসব নেতাদের চামচামি করতে হয়। হলের খাবার তো মাশাআল্লাহ!!! ডাল দেখে কনফিউজড হয়ে যাবেন, আসলেই ডাল, নাকি কারও হাত ধোয়া হলুদ পানি!!!!

আর কিছু বাম ছাত্র সংগঠন আছে, এরাও দুইদিন পর পর মিছিল করে। তবে এদের মিছিলে কর্মী থেকে নেতার সংখ্যাই বেশি!!!! আর মাঝে মাঝে "শিক্ষার পরিবেশ" বজায়ে রাখার দাবিতে মাইক বাজিয়ে সমাবেশ করে, ওদিকে কারও ক্লাস-পরীক্ষার অসুবিধা হচ্ছে, সেই চিন্তা মাথায় নেই।

আর কিছু পোলাপান আছে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকি গর্বের ছোটনে গর্বিত। গর্বের ছোটনে এরা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে নিজেদের অনেক বড় ভাবে, অন্যদের কম মেধাবী বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে (অথচ অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের থেকে ভালো জ্ঞান আর দক্ষতা আছে), রাস্তায় বাসকে রং সাইডে নিয়ে যায়, নিরীহ রিকশাওয়ালা, বাস ড্রাইভার, অন্য গাড়ির ড্রাইভারদের পিটিয়ে আধমরা করে, অন্য গাড়ির লুকিং গ্লাস ভাঙ্গে!!!! পুলিশের ওপরও হাত তুলতে দ্বিধা করে না। এসবের বিরুদ্ধে বলতে যান, এরা রাস্তায় সাথে সাথে আন্ডালুন করতে নেমে যাবে। আবার অনেক ছাত্রদের চিন্তা ভাবনা, কথা বার্তা শুনলে মনে হবে এরা আসলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ারই যোগ্য না। বুলি করা, নারীর পোশাক নিয়ে কটু মন্তব্য করা, কুরুচিপূর্ণ আচরণ, অশ্লীল গালি ব্যবহার করতেও দেখেছি।

সর্বোপরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রক্রিয়াই ত্রুটিপূর্ণ। আমাদের এক শিক্ষক (বিশ্ববিদ্যালয় যে দুজন শিক্ষককে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছিল তাদের একজন) একদিন ক্লাস লেকচারে বলেছিলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রক্রিয়া আসলে কোন স্ট্যান্ডার্ড প্রসেস না, এটা আসলে একটা এলিমিনেশন প্রসেস। আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রচলিত সনাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে এপটিচিউড টেস্ট, আইকিউ টেস্ট ব্যবহার করা উচিৎ, তাহলে সত্যিকারের যোগ্যরা এখানে পড়তে পারবে।" ওনার এই কথাই বলে দিচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আসলে কোথায়!!!!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ঢাবির কিছু রামছাগল আসলেই নিজেকে মুই কি হনুরে মনে করে। আমার ইতি প্রিয় দুইজন ঢাবিতে পড়ে বর্তমানে। সাইরা আর শেলা। দুইজনই খুবই ভালো মানের মডেল। জীবনে অহংকার করতে দেখিনি। আসলে অহংকার যারা করে এরা ছোটলোক।আর ফেক আই ডি থেকে যারা ফেবুতে আমি ঢাবিয়ান আমি ঢাবিয়ান করে অথচ এদের এক্টিভিটিজ মাদ্রাসার স্টুডেন্টদের মতো। এদের ওরিজিনালিটি নিয়ে ভাবতে হবে।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৫৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

অস্ট্রেলিয়ার দাবানলের মত ঢাবিতে আগুন লেগে শেষ হোক বা অ্যামাজনের সেই বিখ্যাত আগুন।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:০১

কামাল৮০ বলেছেন: বিশ্বমানে কোথাও নাই,এমন কি এশিয়াতেও কোন স্থান নাই।বাংলাদেশে ভালো মানে আছে।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: একদম সত্যি কথা। আমিতো মনে কিরি উনি অনেক কিছু চেপে গেছেন- সার্বিক অবস্থা আরো ভয়াবহ!

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৫

জুন বলেছেন: কিন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইট কাঠ পাথরের উপর আমার গভীর মমতা। আমার জীবনের সবচেয়ে স্বর্নালী দিন ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। হয়তো কিছু ছাত্র ছাত্রী বা শিক্ষক রাজনীতিতে জড়িত ছিল তবে তারা আমাদের কখনো স্পর্শ করেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.