নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১০৯

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

ছবিঃ আমার তোলা।

১। বছরের প্রথম দিনেই একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত ছিলো।
অনুষ্ঠান রাতে। কিন্তু আমাদের বলা হলো সকাল দশটার মধ্যেই চলে আসতে। আমি বেশ অবাক হলাম বিয়ের প্রোগাম রাতে। তাহলে সকাল দশটায় কেন যাবো! ঢাকার কাছেই পূবাইল। সেখানেই একটা বিশাল কনভেনশন হল। সেখানেই বিয়ে হচ্ছে। গাছপালা দিয়ে ভরা। পুকুর আছে। বাগান আছে। ছোট ছোট তিনটা মাঠ আছে। বাচ্চাদের জন্য আলাদা জোন আছে। লাইব্রেরী আছে। এলাহি কান্ড কারখানা। পুরো এলাকা সাজিয়েছে ফুল দিয়ে। শুনেছি দশ দিন সময় লেগেছে সাজাতে। কনভেশন হলের পেছন দিক দিয়ে গিয়েছে এক অতি সরু নদী। নদীর নাম সম্ভবত বালু নদী। আমরা সকাল এগাটায় পৌঁছে গেলাম। ঢাকার মতোন খুপরি কমিউনিটি সেন্টার না। বিশাল জায়গা জুড়ে। সুন্দর সুন্দর মেয়েরা নাচ গান করছে।

এর মধ্যেই প্রচুর লোকজন এসে গেছে।
পুরো জায়গাটি খুবই সুন্দর করে সাজিয়েছে। বছরের প্রথম দিন। আবার বিয়ের অনুষ্ঠান। বর কনে চলে এসেছে। আরো অনেক মানুষজন। ১০/১৫ জন ফোটোগ্রাফার নানান ভঙ্গিমায় তাদের ছবি তুলছে। আমি ফারাজাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে সব দেখছি। সুরভি বসে আছে। রোদ নেই। বেশ শীত। চারিদিকে কুয়াশা। নানান রকম মজাদার খাবার সাজানো। যেটা পছন্দ নিয়ে নিয়ে খাও। নাচে গানে সারা দিন পার হয়ে গেলো। রাতের খাবার খেতে বসলাম। কাচ্চি। ধোয়া ওঠা গরম গরম কাচ্চি। চাউল কম, মাংস বেশি। সাদা ভাত, গরুর মাংস, ডাল সব কিছুই আছে। ভর্তা বাজিও আছে। বিকেল থেকেই শীঈতের মাত্রা বেড়েছে। অথচ খাবার গুলো আগুন গরম। আমি তিন প্লেট খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার স্বাদ হয়েছে। খোজ নিয়ে জানলাম চেন্নাই থেকে এক বাবুর্চিকে আনা হয়েছে। জানলাম, পৃথিবীর অনেক দেশে গিয়ে তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানের রান্না করেছেন।

২। আমাদের এলাকায় বখাটেদের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
আসলে পুরো ঢাকা শহরেই বখাটেদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ঘটনা হলো আমি সকালে আমাদের এলাকায় এক হোটেলে নাস্তা খেতে বসেছি। তিনজন বখাটে আমার পাশের টেবিলে থাকা এক ছেলেকে কুৎসিত গালাগালি করছে। আমি অবাক এই বয়সেই এমন কুৎসিত গালি দিচ্ছে! যাকে গালি দিচ্ছে তার বয়স বেশি না। হয়তো বেকারির শ্রমিক হবে ছেলেটা। এক বখাটে বলল, আজকে তোর কলিজা বের করে ফেলব। আমি বললাম, কি অন্যায় করছে? যে তার কলিজা টেনে বের করবে? বখাটে আমাকে বলল, আফনে চুপ কইরে থাইকেন। আমি বলাম, আমি চুপ করে থাকবো কেন? কথা গুলো তো আমার কানে এসেছে। আর তোমরা কারো কলিজা টেনে বের করতে পারো না। এই অধিকার তোমাদের নেই। দেশে আইন আছে। বখাটে গুলো রেগেমেগে কাকে কাকে যেন ফোন করলো। মুহুর্তের মধ্যে ২৫/৩০ জন বখাটে চলে এলো। তাঁরা চোখের ইশারায় আমাকে বলল, তুমি হোটেল থেকে বের হও, তারপর তোমাকে শিক্ষা দিচ্ছি।

৩। গলির মুখে সব সময় জটলা পাকিয়ে পোলাপান সিগারেট খায়।
এই গলি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে। আমি নিজেই কন্যাকে নিয়ে এই গলি দিয়ে যাতায়াত করি। ধোঁয়ায় পুরো গলি অন্ধকার হয়ে যায়। আমি অনেকদিন ছেলে গুলোকে বলেছি, তোমরা এখানে সিগারেট খেও না। মানুষকে বিরক্ত করো না। অন্য কোথাও গিয়ে সিগারেট খাও। আমার কথা শুনে না। গতকাল দেখি গলির মুখে আড্ডা বসিয়ে দিয়েছে। চিৎকার চেচামেচি করছে। সিগারেটের ধোঁয়ায় কিছু দেখা যায় না। আমার খুব রাগ হলো। আমি বললাম, ছাগলের দল কতবার বলেছি এখানে সিগারেট খাবে না। কথা কানে যায় না? স্কুলে পড়া অল্প বয়সী পোলাপান গুলো রেগে গেলো। বলল, এখানেই সিগারেট খাবো। পারলে কিছু কইরেন। যান, ফুটেন। আমি বেশ অবাক হলাম। এই এলাকায় আমার জন্ম। সারাটা জীবন এখানেই পার করে দিচ্ছি। অথচ গুটিকয়েক পোলাপান কোথা থেকে এসে আমার সাথে এভাবে কথা বলছে!

ঘটনা এখানেই শেষ না। আরো আছে।
আমার খুব রাগ হলো। আমি একটাকে কসিয়ে এক থাপ্পড় দিলাম। আমার থাপ্পড় খেয়ে ছিটকে পড়লো। একটু পর দেখি ৫০/৬০ জন চ্যাংড়া পোলাপান এসে হাজির। ওরা আমাকে মারবে। ওদের হাতে লাঠি। হকিস্টিক। আমার বাসার সামনে এসে খুব হুমকি ধামকি দিচ্ছে। প্রত্যেকে খুব উত্তেজিত। এই হলো অবস্থা। বাসার সামনে তুমুল হইচই। তাঁরা এক পাতি নেতাকে সাথে করে নিয়ে এসেছে। সেই নেতা নাকি রাজনীতি করে। ঢাকা দক্ষিনের প্রচার সম্পাদক বা কিছু একটা হবে। নেতার ছোট ভাই ব্রাদার এই সমস্ত পোলাপান। এরকম ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে। ঘুরে ফিরে এটাই ঢাকার সমস্ত এলাকার ঘটনা।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
থাপ্পড় দেয়া ঠিক হয়নি। উল্টা বিপদ ডেকে আনলেন। এতো প্রতিবাদের কি আছে? মাথা নিচু করে , চোখ বন্ধ করে চলাচল করুন।
এখন কি অবস্থা ? এলাকার সভাপতি , সম্পাদক আপনার পরিচিত নেই ?


ভালো থাকবেন। সাবধানে থাকবেন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ওদের কর্মকান্ড দেখে মাঝে মাঝে সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়।
সভাপতি, সম্পাদক, নেতা ইত্যাদি লোকদের আমার পছন্দ হয় না। এদের কাছ থেকে আমি দূরে থাকি।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: বিয়ের দাওয়াত এখন বড়ো একটা বিড়াম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে! নানাবিধ ঝামেলা ছাড়াও প্রতিটি বিয়ে ৫০০০ টাকা ছাড়াও দুই হাজার টাকা কনভেন্স- অর্থাৎ ৭০০০/- টাকার নিচে একটা বিয়ের দাওয়াত রক্ষা করা যায়না।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ খরচ আছে। অবশ্য আমার খরচ হয় না। মা সব খরচ দেয়।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

নতুন বলেছেন: ঘটনা এখানেই শেষ না। আরো আছে।
আমার খুব রাগ হলো। আমি একটাকে কসিয়ে এক থাপ্পড় দিলাম। আমার থাপ্পড় খেয়ে ছিটকে পড়লো।


রানু ভাই আপনি আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন? :((
দেশের আইন অনুযায়ী আপনিও তো কাউকে থাপ্পড় দিতে পারেন না। তার বিরুদ্ধি আইনি ব্যবস্থা নিতে পারতেন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ঐ বখাটে যে অন্যায় করেছে, আমার জাগায় আপনি থাকলে তাকে পিটিয়ে ছাল তুলে ফেলতেন।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


এসব ছেলেদের আমি দেখে বুঝার চেষ্টা করি 'ওরা কি ভেবে কি করতে চায়।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ওদের দেখে ওদের বাবা মায়ের কথা ভাবি।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমরা আডদায় এই নিয়ে আলোচনা করি। ঢাকায় একসময় নিজের এলাকায় পুলাপান বড়দের বেশ মান্য করত- দু-ইয়েক বছরের বড়দের দেখে সিগারেট লুকাত। বাইরের বখাটেদের থেকে নিজের এলাকার সবাইকে সেফে রাখত।
যেখানে নিজের জন্ম সেখানে গুড়া গারা পুলাপানের এইরকম অসভ্যতা মেনে নেয়া কষ্ট! তবুও কিছুই করার নেই- হুট করে ওরা বাজে একটা কিছু ঘটিয়ে ফেলতে পারে। কি করবেন ক্যাচাল এড়িয়ে সাবধানে থাকুন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: এখন চ্যাংড়া পোলাপান সিগারেট লুকায় না। বরং সিনিয়র দেখলে লম্বা করে টান দেয়।
আমি সহজ সরল জীবনযাপন করি। ঝগড়া, ক্যাচাল ফ্যাসাদ আমার একেবারেই পছন্দ না।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০

শাহ আজিজ বলেছেন: থাপ্পড় না দিলে তোমার উপর শ্রদ্ধা হারাইতাম । :-/

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: হাতে ক্ষমতা নাই। নইলে এগুলোকে মানুষ করে ছেড়ে দিতাম।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: বিয়েতে এতো খরচ করার প্রয়োজন নাই।মিলে মিশে থাকাই আশল কথা।তার টাকা সে খরচ করতেই পারে।
যেখানে অন্যায় সেখানে প্রতিবাদ করতেই হবে।নয়তো অন্যায় বেড়ে যাবে।অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: যদি ভাল থাকতে চান, বেঁচে থাকতেন চান- তাহলে দেখবেন, শুনবেন এবং চুপ করে থাকবেন। এটাই বর্তমান সময়ের আসল কথা। নইলে কপালে দুঃখ আছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই ধরা খেতে হবে।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



লোকে বলতো আমেরিকায় টাকা উড়ে, আসলে ঢাকায় টাকা উড়ে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকায় কিছু মানুষের সীমাহীন টাকা আছে। তাঁরা আসলেই টাকা উড়ায়।

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শীতকালের বিয়েতে অনেক মজা হয়, শীতকালে মানুষ মনে হয় একটু বেশিই খায়।

আপনার নিজ এলাকায় পিচ্ছি পোলাপান আপনাকে মারতে আসে এটা খুবই লজ্জা জনক।
আপনার কয়েকজন ভাই-ব্রদার নিয়ে ওদের পাতি নেতাকে বলেন আপনার সাথে যেন তার চ্যালারা বেয়াদবী না করে। এতে যদি কাজ না হয় তাহলে একদিন ওই পাতি নেতাকে কঠিন এক ঝাড়ি দেন, দরকার হলে কানের নিচে দুইডা মারেন দেখবেন তার অর্ধেক চ্যালা আপনার ভক্ত হয়ে গেছে আর বাকিগুলো সব পালাইছে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিয়ের সিজনই হচ্ছে শীতকাল।

আমি মূলত মানুষ জনকে ক্ষমা করে দেই। ছাড় দেই। আমি জামেলাবিহীন জীবনযাপন করতে চাই।

১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৬

অধীতি বলেছেন: পুরান ঢাকার অবস্থা তো আরও খারাপ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: এখন পুরান ঢাকা, নতুন ঢাকা সব মিলেমিশে একাকার। পুরো বাংলাদেশের চিত্র একই রকম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.