নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সমাজ- ৫১

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০২

ছবিঃ আমার তোলা।

আমায় হাসাইলি রে -
অকুল দরিয়ার বুঝি কুল নাই রে!


এই সমাজের মানুষের সমস্যা গুলো কি কি?
মানুষের সমস্যার শেষ নেই। একই পরিবারের সদস্য অথচ কেউ কারো সমস্যার কথা গুলো জানতে চায় না। মানুষ বলতে চায়। নিজের কথা উজার করে বলতে চায়। কিন্তু বলার মতো বিশস্ত মানুষ নেই। মনের কথা খুলে বলতে না পারার জন্য মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই সমাজের মানুষ গুলো হয়ে পড়েছে আত্মকেন্দ্রিক। সবাই শুধু নিজের সমস্যাকে বড় মনে করে, আর অন্যের সমস্যাকে তুচ্ছজ্ঞান করে। সকালবেলা সরকারী হাসপাতালে গেলে পাগল হবার মতো অবস্থা হয়। হাজার হাজার মানুষ। তাদের হাজার রকমের সমস্যা। দূরদুরান্ত থেকে তাঁরা ডাক্তার দেখাতে এসেছে। একবারে কাজ হয় না। প্রতিটা রোগীকে অনেকবার করে আসতে হয়। কোনো মানুষ ভাল নেই। সবারই কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে।

সমাজে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা সেটা হলো- দারিদ্রতা।
বাংলাদেশ গরীব দেশ। দেশের বেশির ভাগ মানুষই গরীব। গরীব মানুষ সব যুগেই ছিলো, আছে এবং থাকবে। আজ থেকে একশ' বা দুইশ' বছর আগেও গরীব মানুষ ছিলো। আগামীতেও থাকবে। আরেক শ্রেণী আছে ধনী। সীমাহীন ধনী। সীমাহীন ধনী হতে হলে রাজনীতি করতে হয়, সরকারী প্রথম সারির চাকরী করতে হয় অথবা বংশগত ভাবে ধনী হতে হয়। বর্তমানে বংশগত ধনী কম। হুট করে ধনী হ্ওয়া লোকের সংখ্যা বেশী। ধনীদের দেখে গরীবেরা হায় আফসোস করে। ধনীরা গরীবদের কথা ভাবে না। বছরে এক দুইবার তাঁরা লোক দেখানো ধান খয়রাত করে। তাতে গরীবি কমে না। তবে লোক দেখানো দান দেখিয়ে তাঁরা তৃপ্তি পায়।

বাংলাদেশে এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না-
যার কোনো প্রকার সমস্যা নেই। আমাদের পাশের বাসায় এক লোক আছে। মস্ত বড় চাকরী করেন। তার কোনো আর্থিক সমস্যা নেই। অথচ তিনি বারো মাস অসুস্থ থাকেন। ইনহিলার নিতে হয়। মাঝে মাঝে এমন হাপানীর টান উঠে, মনে হয় যেন লোকটা এখনই মরবে। একজন দূর্নীতিবাজ সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা দূর্নীতি করেছেন। তার টাকার অভাব নেই। কিন্তু সে ভাল নেই। তার সমস্যা দুইটা। সে কোনো খাবার খেয়ে স্বাদ পায় না। তার কাছে সব খাবার মাটি মাটি লাগে। আরেক সমস্যা হলো তার চিন্তা। যদি তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই দুই চিন্তায় তিনি অস্থির। রাতে বেচারা আরাম করে ঘুমাতেও পারেন না।

আমাদের এলাকায় এক মহিলা আছেন।
তার স্বামী সরকারী চাকরী করেন। প্রচুর টাকার মালিক। মহিলার শখ সোনার গহনার। স্বামী তাকে আসলেই সোনা দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছেন। তার বাসায় কেউ গেলেই সে আলমারি খুলে সবাইকে গহনা দেখায়। এই মহিলা স্বামীর সাথে সৌদি গেলেন। হজ করলেন। হজ করে এসে বোরকা ধরলেন। হজ করার পর আর আগের মতো চলা যায় না। কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলতে হয়। এই নিয়ম নীতি মানতে গিয়ে মহিলার কপাল পুড়লো। সে তার গহনা কাউকে দেখাতে পারে না। সে বোরকা পড়ে বিয়ের অনূষ্ঠানে যায়। তার গা ভরতি থাকে গহনায়। অথচ কেউ তার গহনা দেখতে পায় না বোরকার কারনে। শেষমেশ মহিলা এক বুদ্ধি বের করলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলতে থাকেন গরম লাগে, গরম লাগে। তখন কোনো মহিলা হয়তো বলেন, আপা বোরকাটা খুলে ফেলুন। মহিলা বোরকা খুলে ফেলেন তখন সকলে তার গহনা দেখতে পায়।

আমার মায়ের সমস্যার শেষ নেই।
মার সমস্যা গুলো এরকম- আবীর তো এখনও বাসায় ফিরলো না। সন্ধ্যা সাত টা বেজে গেলো। ওর অফিস তো পাচটায় ছুটি হয়ে গেছে। মা চিন্তায় চিন্তায় অস্থির। আবীর আমার ছোট ভাই। আমরা যে ভাই বাসায় ফিরতে দেরী করবো, মা চিন্তা করতে শুরু করে। একসময় তার প্রেসার বেড়ে যায়। মাথায় পানি ঢালতে হয়। বাসার গ্যাস বিল নিয়েও মার চিন্তার শেষ নেই। এই রাজীব গ্যাস বিল এখনও দিলি না? অথচ মাস শেষ হয় নাই। মাস শেষ হতে আরো দশ দিন বাকি আছে। রাতে মা ঘুমিয়ে আছে। হঠাত তার মনে হলো রাস্তার দরজায় তালা দেওয়া হয়নি। অথচ আমি নিজের হাতে তালা মেরেছি। রাতে ঘুম থেকে উঠে মা আমাকে ফোন দিবে। বলবে, ছাদের দরজাটা মনে হয় খোলা। আমি ছয় তলায় থাকি, ছাদের দরজা খোলা না। তবু মা বারবার অনুরোধ করবে একবার ছাদে গিয়ে দেখে আয়।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সমস্যা ছাড়া কোন মানুষ নেই; তবে নিজ নিজ সমস্যাই সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ।
এই সমাজের সবচেয়ে বড় যে সমস্যা আমার চোখে পড়েছে তা হলো; যার সাথেই কথা বলি সে নিজে খুউব ভালো আর বাকি সবাই খারাপ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ আসলে খুব অসহায়। মানুষ আসলে খুব দুঃখী।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি আমার সমস্যা গুলোকেই স্বাভাবিক মেনে নিয়েছি.....

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: এটাই ভাল।
আমিও সব মেনে নিয়েছি। তাই এখন দুঃখ যন্ত্রনা কম।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভালো ভাবনা ভালো রাখবে, এটাই নিরেট সত্য।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভাল ভাবনা ভাল রাখে না। মন্দ ভাবনা ভাল রাখে- এটাই বাস্তবতা।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

নীলা(Nila) বলেছেন: মানুষ বাস্তবের মুখোমুখি হতে ভয় পায়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: কারন মানুষ মুখোশ পড়ে থাকে।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের মনাুষকে ক্রমাগতভাবে সমস্যায় রাখছে প্রশাসন ও সরকারের ডামীরা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: বটগাছের নিচে দাড়ালে শরীরে বটগাছের ছায়া পড়ে। ঠিক তেমনি রাজনীতির ছায়া প্রতিটা মানুষের গায়ে পড়ছে।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমাদের মতো মধ্যবৃত্তদের সমস্যাই নিত্য সঙ্গী।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মধ্যবিত্ত নই। আমার কোনো বিত্তই নেই।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: বেঁচে থাকার সমস্যা হলো প্রধান সমস্যা।দ্বিতীয় সমস্যা হলো অধিকার আদায়ের সমস্যা।
আধিম সাম্যবাদী সমাজে কোন ধনী গরিব ছিল না। মানুষ তখন দলবেধে খাদ্য সংগ্রহ করতো,দলবেধে খেতো।যখন থেকে কৃষি ব্যবস্থার উদ্ভব এবং খাদ্য সংরক্ষন করতে শিখলো,তখন আবার একদল তৈরী হলো সেই খাদ্য ছিনিয়ে নিতে।তখন থেকেই ধনী গরিবের আবির্ভাব।সেটাই এখনো চলছে।তার পরের সমাজ ব্যবস্থা হলো সমাজতান্ত্রীক সমাজ ব্যবস্থা।যেটার চেষ্টা চলছে। তখনো ধনী গরিব থাকবে।পরবর্তী সমাজ ববস্থা হলো সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা যেটা কয়েক হাজার বছর দুরে,তখন ধনী গরিব থাকবে না।

সমাজতন্ত্রীক সমাজ ব্যবস্থায় ধনী গরিব থাকবে কিন্তু বৈয্যম কম থাকবে।বেশির ভাগ মানুষ এখানটায় ভুল করে।তারা সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে মনে করে সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই যুগে কেউ অধিকার আদায়ের জন্য লড়ে না। কারন ক্ষমতাবানদের সাথে লড়াই করে টিকে থাকা যাবে না।

এখন মানুষ আদিম যুগে নেই, এখন মানুষ আধুনিক যুগে। আদিম যুগের চেয়ে এখন মানুষের সংখ্যা অনেক-অনেক বেশী। সেই যীশুর জন্মের আগে থেকেই গরীব মানুষ দিয়ে পৃথিবী ভরে গেছে।

সমাজতান্ত্রিক শব্দটা একে যুগে অচল।

৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: জীবন যতদিন আছে সমস্যা থাকবে।জীবন শেষ সমস্যা শেষ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ সমস্যা নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। যার অনেক অর্থ আছে তারও অনেক সমস্যা। আবার যার অর্থ নেই তারও অনেক সমস্যা।

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৫৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: আসলে সমস্যা ছাড়া এই পৃথিবীতে কোন মানুষ নেই, সমস্যা সবারই থাকে!

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: সত্যজিৎ রায়েরও কি সমস্যা ছিলো?

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

বাকপ্রবাস বলেছেন: দেশের এক নাম্বার সমস্যা কলুসিত রাজনীতি

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস ইউ রাইট।

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: সমাজতন্ত্র কোন শব্দ না।একটা সমাজ ব্যবস্থা।সমাজ যতদিন থাকবে,সমাজের বিকাশ ততদিন থাকবে।সমাজ বিকশিত হয়ে কোন দিকে যাবে তার একটা দিক নির্দেশটা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশ চলছে হাসিনা তন্ত্রে। হাসিনা আপা যা করবেন সেটাই ঠিক। তার উপরে কোনো কথা বলা চলবে না।

১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: সত্যজিৎ রায়েরও কি সমস্যা ছিলো?
সত্যজিৎ রায় অসুস্থ ছিল শেষ জীবনে, শেষের কয়েকটি সিনেমা অসুস্থ অবস্থায়ই করেছে যতদুর জানি! এগুলোকে সমস্যা বলবেন কিনা না জানিনা তবে অসুস্থ হলে মনে শান্তি থাকে না!!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: সত্যিজিত রায় একজন গুনী ও জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। তার মতো প্রতিভা বিরল।

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩৫

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: বিয়ে খাবার খরচ প্রবাসেও অনেক, দাওয়াত কবুল করতেও চিন্তা করতে হয়।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: টাকা পয়সা তো খরচের জন্যই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.