নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাম্পত্য জীবন

০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৫



মানুষের জীবনে দাম্পত্য জীবন অসাধারন একটা বিষয়।
নতুন এক দুনিয়া। নতুন এক অধ্যায়। এই দাম্পত্য জীবনে যেন এক ঘেয়েমি না চলে আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটা দিনকে নতুন করে সাজাতে হয়। বাইরের কেউ এসে আপনার জীবন সুন্দর করে দিবে না। তাই যা করার স্বামী স্ত্রী দুজনকেই করতে হবে। দাম্পত্য জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূরন হচ্ছে 'ছাড়' দেওয়ার মানসিকতা থাকা। স্বামী স্ত্রী দুজনেই যত ছাড় দেবে সংসার জীবন তত সুন্দর হবে। আনন্দময় হবে। কবি বলেছেন, কিছুটা আমি ছাড়ি, কিছুটা তুমি- এইভাবেই মিলেমিশে সুখ ডেকে আনি। এযুগের ছেলেমেয়েরা স্বামী স্ত্রী একজন আরেকজনের মর্ম বুঝে না। ফলাফল বিয়ের ছয় মাস পর ছাড়াছাড়ি।

স্বামী এবং স্ত্রী দুজন চাইলেই আনন্দময় জীবনযাপন করা যায়।
দুজনের একজন বিগড়ে গেলেই দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে অশান্তি ও যন্ত্রনা। মূলত সংসার জীবনে স্বামীদের উন্নত মন মানসিকতা থাকতেই হবে। পুরনো ধ্যান ধারনা ও কুসংস্কার থেকে দূরে থাকতে হবে। কখনও নিজের ইচ্ছা স্ত্রীর উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সঠিক কাজ নয়। প্রতিটা স্বামীর একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে- আপনার স্ত্রী তার বাবা-মা, ভাইবোন সবাইকে ছেড়ে আপনার কাছে এসেছে। তাকে সম্মান করতে হবে। ভালোবাসতে হবে। আগলে রাখতে হবে। দাম্পত্য জীবনে বেশির ভাগ সমস্যা দেখা দেয় অভাব থেকে। সংসারে অভাব থাকলে স্বামী স্ত্রী কারোই মন মেজাজা ভালো থাকে না। শুরু হয় নানান রকম সমস্যা।

আমার দাম্পত্য জীবন চমৎকার যাচ্ছে।
আমাদের মাঝে কুৎসিত ঝগড়া হয় না। আমরা দুজন দুজনকে বুঝি। আমি আমার স্ত্রীকে ঘরের কাজে সহযোগিতা করি। কোনো কোনদিন রান্নায় লবন কম হলে বেহুদা চিল্লাচিল্লি করি না। এক আধদিন রান্না ভালো না হতেই পারে। শিক্ষিত ও রুচিশীল মানুষ স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণ করে না। মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে- ভালোবাসা। দিনের পর দিন নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসে গেলে, শত্রুও একদিন বশ্যতা স্বীকার করে নেয়। আমি আমার স্ত্রীর ভালো লাগা, মন্দ লাগা গুলো জানি। বিধায় বড় রকমের কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। মাঝে মাঝে আমরা ব্যালকনিতে বসে গল্প করি। চা খাই। কখনও খুব ভোরে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে গেলে- আমরা দুজনে ছাদে চলে যাই। দুজনে একসাথে ভোর হওয়া দেখি। ভোরের আকাশ দেখা দারুন ব্যাপার।

আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ি যেতে চাইলে আমি কোনোদিন মানা করি না।
দুই দিনের কথা বলে পাঁচ দিন থাকলেও আমি কিছু বলি না। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে মাসে দুবার বড় রেস্টূরেন্টে খেতে যাই। আমরা একসাথে ডিনার করি। পকেটে টাকা থাকলে তাকে অবাক করে দিয়ে একটা চুন্ডি শাড়ি কিনে দেই। মাঝে মাঝে পকেট একেবারেই ফাঁকা থাকে। রেস্টুরেন্টে খাওয়ার মতো টাকা থাকে না। শাড়ি কেনা তো দূরের কথা। তখন দুজন মিলে রিকশা করে ঘুরে বেড়াই। যদি রিকশা ভাড়াও না থাকে তাহলে দুজনে মিলে হাঁটি। দশ টাকার বাদাম কিনি। বাদাম ছিলে স্ত্রীকে খেতে দেই। কোনো দিনও স্বামীগিরি ফলাই না। আমার স্ত্রীকে বলে দিয়েছি- লেখাপড়া করেছো, চাকরী করতে মন চাইলে করবে। আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি আমার স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরন করি না। ভুল করলেও চিল্লাচিল্লি করি না। কোনো সমস্যা হলে দুজন মিলে আলাপ আলোচনা করে সমাধান করি।

একটা সংসারে অনেক কাজ থাকে। বুয়া যতই থাকুক।
সংসারে বাচ্চাকাচ্চা থাকলে তো কথাই নেই। সে বাচ্চাকে সারাটাদিন সময় দিতে হয়। এরপর আছে, ঘর গোছানো। রান্নাবান্না। স্ত্রী লোক সব কিছুই সামলায়। যেন তাদের দূর্গার মতো দশটা হাত আছে। নারীরা হচ্ছে ধরনী। তাদের মাঝেই আমাদের বসবাস। অনেক স্ত্রী লোক বিয়ের পর আলাদা হতে চায়। শ্বশুর-শ্বাশুরি, দেবর, ননদ, নিয়ে একসাথে থাকতে চায় না। মূলর যারা আলাদা থাকতে চায় তাঁরা বোকা। আমাদের উচিৎ পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো থাকা। একা একা ভালো থাকা, কোনো ভালো থাকা নয়। পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো থাকাই আসল ভালো থাকা। প্রতিটা পরিবারে কিছু সমস্যা থাকেই। সমস্যা ছাড়া তো আর মানুষ হয় না। সমস্যা মোকাবেলা করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আসল কথা হচ্ছে- সংসার জীবনে সুখে থাকা নির্ভর করে নিজের উপর।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:১১

কামাল১৮ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।নতুন করে কিছু বলার নাই।

০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.