নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১৬৩

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২০



সাধারনত আমি ছাতা ব্যবহার করি না।
হোক রোদ বা বৃষ্টি। কিন্তু প্রতিটা ঘরে ছাতার দরকার আছে। ছাতা না থাকলে বিরাট বিপদে পড়তে হয়। আমার ঘরে দুটা ছাতা আছে। এবং এই ছাতা দরকারের সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। সেদিন সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ফারাজা স্কুলে যাবে। আমাদের বাসার নিচে গাড়ি রাখার জায়গা নেই। গাড়ি রাখতে হয় অন্যের বাসায়। এজন্য প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা দিতে হয়। গ্যারেজ ভাড়া। গ্যারেজ পর্যন্ত ফারাজা যেতে যেতে ভিজে যাবে। ছাতা খুঁজে পাওয়া গেলো না। কন্যাকে ভিজতে ভিজতে গেলো। রোদ বৃষ্টি নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি তুফানের মতো চলি। বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লে জ্বর ঠান্ডা লাগবে, আমার এরকম সমস্যা নেই।

গতকালের কথা।
সারাদিনই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। বিকেল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে মিরপুর-১২ থেকে মেট্রোরেলে উঠলাম। আমি আজ পর্যন্ত মেট্রোরেলে বসার জায়গা পাইনি। কি এক জিনিস বানাইলো শেখ হাসিনা। প্রচন্ড ভিড়। দাড়ানোর জায়গা পাওয়াই মুশকিল। কোনো রকমে দাঁড়িয়ে আছি। আমার হাতে দুই কেজি আমড়া। বরিশালের আমড়া। বড় বড় সাইজ। একটা জাম্বুরা এবং একটা ছাতা। ইচ্ছা করছে ছাতা নিয়ে সবাইকে মারি। প্রচন্ড ভিড়! কাওরানবাজার নেমে গেলাম। বৃষ্টির দিন মানেই রাস্তায় গজব অবস্থা। আমি হেটে হেটে বাসায় যাবো। সব মিলিয়ে ৮০/৯০ মিনিট সময় লাগবে। কারন, এখন যদি বাস বা রিকশায় উঠি তাহলে দুই ঘন্টার বেশি সময় লাগবে।

ঢাকা শহরের ফুটপাতে হেটে শান্তি নেই।
বাইক উঠিয়ে রেখেছে, চায়ের দোকান, ফুটপাত ভাঙ্গা, ঝালমুড়ি বিক্রি হচ্ছে, ফলের দোকান- ভয়াবহ অগোছালো এবং এলোমেলো অবস্থা। এর মধ্যে দিয়েই আমি হেঁটে চলেছি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি তো হচ্ছেই। আমার মেজাজ খারাপ হচ্ছে- আমি আরাম করে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যেতে পারছি না। আমার হাতে ছাতা আছে। আমি ছাতা খুলিনি। ভিজতে ভিজতেই যাচ্ছি। যারা রাস্তায় অযথাই দাঁড়িয়ে আছে, ঝালমুড়ি খাচ্ছে, চা খাচ্ছে, বাইক চালিয়ে যাচ্ছে, গল্প করছে- আমার ইচ্ছা করছে তাদের ছাতা দিয়ে মারি। খেয়াল করে দেখবেন, হাতে লাঠি, ছাতা বা পিস্তল থাকলে আপনি অটোমেটিক বদলে যাবেন। ছাতা হাতে নিয়ে আমি বদলে গেলাম। সুযোগ মতো দু-চারজনকে মেরে দিলাম।

মগবাজার এসে আমি থামলাম।
ইস্পাহানি স্কুলের সামনে বেশ জমজমাট- চা পুরি টুরির দোকান। বৃষ্টির মধ্যেও অনেক লোকজন। এরা এখানে মূলত আড্ডা দিতে আসে। আড্ডাকে তারা নাম দিয়েছে অক্সিজেন। চা সিগারেট সমুচা পুরী আর আড্ডা। আজকাল অনেকে ঘুমের ওষুধের নাম দিয়েছে মাথা ঠান্ডা রাখার ওষুধ। যাইহোক, আমি আরাম করে এক কাপ দুধ চা খেলুম। চা- না খেলেও পারতাম। বাসায় গেলেই সুরভি চা নাস্তা করে দিতো। সুরভি ফোন দিয়েছে। আসার সময় মনে করে গোল বেগুন নিয়ে আসতে বলল। আজ রাতের খাবার খিচুড়ি। সাথে ইলিশ মাছ ভাজা আর বেগুন ভাজা। আমার ভাগ্য ভালো। সুরভির হাতের রান্না ভালো। নইলে রান্না নিয়ে সুরভির সাথে আমার ঝগড়া হতো।

রাতে ঘুমানোর আগে একটা ছোট গল্প পড়লাম।
সুন্দর গল্প। চমৎকার গল্প। গল্পের কাহিনী অনেকটা এই রকমঃ নতুন স্বামী স্ত্রী। তারা শহরে এসেছে। বাসা ভাড়া নিয়েছে। ছোট ছোট দুই রুম। স্বামী স্ত্রী দুজনেই চাকরি করে। নতুন সংসার। দুজনেই সংসার। তাদের ইচ্ছা সংসারটা সুন্দর করে সাজাবে। খাট, আলমারি, ওয়াডডোব, ডেসিং টেবিল সব কিনবে।
ধীরে ধীরে সময় গড়াতে থাকে। খাট কিনে, আলমারি কিনে। আবার তারা কিছু দিন টাকা জমায়। এবার তারা একটা ড্রেসিং টেবিল কিনবে। দোকানে যায়। একটা ড্রেসিং টেবিলের অর্ডার করে। স্ত্রী বারবার বলে, ভালো কাঠ দিয়ে বানাবেন। যেন ক'দিন পর ঘুনে না ধরে। দোকানদার পান চিবাতে চিবাতে বলল, খারাপ জিনিস আপনার বাসায় ঢুকবে না।
একমাস পর দোকানদার ফোন দিয়ে বলল, ড্রেসিং টেবিলটা পাঠিয়ে দিলাম। ওরা আপনার তিন তলায় তুলে দেবে। স্বামী স্ত্রী দুজনেই ড্রেসিং টেবিলের অপেক্ষায়। ড্রেসিং টেবিল আর আসে না। শেষে খোজ নিয়ে জানা গেলো- ড্রেসিংটেবিল যে পিকআপে করে আসছিলো, সেটা রাস্তায় একসিডেন্ট করেছে। স্ত্রী তখন স্বামীকে বলল- খারাপ জিনিস আমার বাসায় ঢুকবে না। দোকানদার বাজে কাঠ দিয়ে ড্রেসিং টেবিল বানিয়েছে। সে বলেছিলো খারাপ জিনিস আপনার বাসায় ঢুকবে না।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫

আলামিন১০৪ বলেছেন: গত ১ মাসে আমি ২টা ছাতা হারিয়েছি। ভালো কথা, আপনি গাড়ি ঠিক করেন কোথায়?

আমার পুরান আমলের একটা গাড়ি আছে, গ্যারেজে দিতে হবে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে এই বিষয় গুলো আমি দেখি না। ছোট ভাই দেখে।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৪

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর কাহিনী

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৩

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



বেগুন ভাজি ও গরুর মাংস কমিয়ে দেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি সব সময় চাই আমার ওজন- ৬৫ থেকে ৭০ এর মধ্যে থাকুক।
যখনই ওজন ৮০/৮৫ হয়ে যায় আমি খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দেই।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার তো কোন গাড়ী নেই এখন কেন গাড়ীর কথা বলছেন?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ছোটলোকি টাইপ প্রশ্ন করেছেন। এরকম প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না।।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি খালি ছাতা হারাই ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: হে হে-- আমি ছাতা হারাই না। আমি সাবধানী মানুষ। হিসাবি মানুষ।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

মেঘনা বলেছেন: ইস্পাহানিরা প্রায় ২০০ বছর আগে ইরান থেকে মুম্বাই হয়ে আজকের ঢাকা-চট্টগ্রাম কে কেন্দ্র করে বিশাল ব্যবসায়ীর সাম্রাজ্য করে তোলে। ইস্কুল হসপিটাল সহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজের পাশাপাশি, বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ব্যবসায়িক পরিবার এবং তারা ইরানের মুসলমান - এইসব কারণে বাংলাদেশের সাধারণ বাঙ্গালীদের কাছে তারা যথেষ্ট সম্মানের। সেই সাথে এটাও ঠিক একাত্তর সালে তারা পাকিস্তান পন্থি ছিল ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: সহজ সমাধান থাকতে কন্যাকে ভিজালেন কেন।গাড়ীটা বাসার সামনে এনে ফারাজাকে তুলে নিলেই হতো।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: না সেটা সম্ভব নয়। আমাদের বাসার গলিটা চিপা। সেখানে গাড়ি ঢুকবে না।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: আজাকের ডায়েরীটা ঠিক আঝে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



গাড়ী রাখেন অন্যের বাসায়।
ড্রাইভ করে অন্য লোকে।
ভাগ্যিস গাড়ীর ক্ষেত্রেই এটা হয়।
নারীর ক্ষেতে এটা হলে কি যে হতো।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: উফফফ বড় ভাই----

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



যুক্তরাজ্যে ছাতা আমাদের নিত্যসঙ্গী।
এখানে সবাই ছাতা ব্যবহার করে।
আপনি যেমন ছাতা সাথে রাখেতে শরম পান
এখানে আমরা আপনার মতো শরম পাই না।

১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: কে কি মন্তব্য করে তাই দেখতে এলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.