![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাদা সিধে মানুষ হয়ে হেটে চলতে চাই জীবনের শেষ মুহুর্তের দিকে।
অর্থের কাছে পরাজিত মানবতা। সভ্য মানুষের ইতিহাসের সূচনা মানবতার জয়গানের মধ্য দিয়ে। কিন্তু বর্তমান সময়ে সভ্য মানুষের চিন্তা চেতনা অনেকটা ভিন্ন। জাগতিক চিন্তার মধ্যে ভর করেছে নিজে ভাল থাকার মূলমন্ত্র। যে চিন্তার মধ্য দিয়ে মানুষের সাথে পশুর তুলনা করা যায়। কোন পশুই তার জাতির কল্যানের কথা চিন্তা করে না অল্প কিছু প্রানী বাদে। সব সময় সেই প্রানীরা নিজের আহারের খোঁজে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। তেমনী মানুষ নামের এই প্রানী জন্তু-জানোয়ারের মতো নিজেকে নিজের জন্য ব্যস্ত রাখে। যদিও একটা সময় ধর্মের প্রভাবে মানুষ নিজেকে ভাল কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতো। সেক্ষেত্রে পরকালিন ভয় তাকে বাধ্য করতো ভাল কাজ করতে। কিন্তু বর্তমান সময়ে ধর্মীয় বিশ্বাস যতটা সংকীর্ন হচ্ছে ততই মানুষ ব্যক্তি কেন্দ্রিক চিন্তার মধ্যে গভীর ভাবে আচ্ছন্য হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সময়ে নিজেকে ভাল রাখতে গেলে যেহেতু টাকার কোন বিকল্প নেই। তাই মানুষ টাকাকেই ধ্যান জ্ঞান হিসাবে বেছে নিয়েছে। যদিও সভ্য মানুষের এমন গুন কখনোই কাম্য হতে পারে না। মানুষকে এই জন্যই সভ্য বলা হয় যেহেতু সে অন্য প্রানীর মত নিজেকে ব্যস্ত না রেখে তার স্বজাতীয় প্রানীর কল্যানে কাজ করার ইচ্ছা পোষন করে। মানুষ কখনো মানুষের নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তির জন্য সভ্য বলে বিবেচিত হয় না। সে এই জন্য সভ্য যে তার মধ্যে মানবতা নামের এক বিবেক কাজ করে। তাই বিবেকহীন মানুষকে পশুর সাথে তুলনা করা যায়। বর্তমান সময়ে মানুষ নামের বুদ্ধিমান প্রানী নিজেদের প্রয়োজনে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছে। আঞ্চলিক, ধর্মীয় আধিপত্ত বজায় রাখার জন্য তাদের বুদ্ধুদীপ্ত আবিষ্কার ব্যবহার করছে মানুষ নিধনের কাজে। হয়তো সেই দিন বেশি দূরে না যে দিন মানুষের টিকে থাকাই প্রশ্নের সম্মখিন হবে।
মানুষের জীবনের অর্থের প্রযোজন আছে এখানে দ্বিমত করার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু সেই প্রয়োজনের অবশ্যই একটা সীমা থাকা প্রয়োজন। সীমাহীন অভাব মানুষকে মানবিক জ্ঞান শূন্য পশুতে রূপান্তরিত করে দেয়। আর যদি মানুষের মধ্যে সভ্য মানুষের অন্যতম গুন মানবিক জ্ঞান না থাকে তাহলে সেই মানুষের আচরন পশুর আচরনের থেকেও ভয়ংকর হয়। আর তার দ্বারা কোন কিছুই নিরাপদ থাকে না।
©somewhere in net ltd.