![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ
যুগটা তারুণ্যের। জীবন তাদের জন্যই যারা জীবনকে সুন্দরকে করে বাঁচতে জানে। সে জন্যই তো তারুণ্যের সংজ্ঞা শুধুমাত্র বয়সের সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যায় না। সে জন্য আজকাল সবাই বলে ওঠে : “Yo man! Wassup?? We are the facebook generation. Yeah!” । সর্বদা মজা করা , “পলিটিক্স দেশটাকে শেষ করে দিল “ এইভাবেই চলে সবার জীবন। কিন্তু এই জীবনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা দার্শনিক রুপকে কি দেখেছে কেউ?? কিন্তু সেরকমই এক অসম্ভবের চেষ্টা করেছেন পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী তার জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী মুভি “অন্তহীন” এ।
কাহিনী জানা যাক। বৃন্দা (Radhika Apte) একজন টেলিভিশন সাংবাদিক । শহরের বর্তমানের তাজা খবর হলো পুলিশ গোয়েন্দা অভিক চৌধুরীর (রাহুল বসু) কীর্তি ... সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র ভান্ডার এর খোঁজ ... ইত্যাদি ইত্যাদি। বৃন্দা , অভিকের একটি সাক্ষাৎকার নিতে চায়। কিন্তু অভিকের সরাসরি নিষেধ। দুজন তাদের সকল ব্যস্ততায় ক্ষান্তি দেবার পর বাসার এক কোণে নিজেদের Laptop এ খোঁজে ক্ষণিকের মানসিক প্রশান্তি। ইন্টারনেটের চ্যাটের মাধ্যমে তাদের গাঢ় বন্ধুত্ব, কিন্তু তারা জানেই না একে অপরের পরিচয়। ধীরে ধীরে মুভিটিতে আরো কিছু চরিত্রের আগমন ঘটে। পারো দিদি (অপর্ণা সেন) বৃন্দার সহকর্মী এবং অভিকের বড় ভাই রন্জন (কল্যাণ রায়) এর স্ত্রী। কিন্তু অনেক বছর ধরেই রন্জন ও পারোর বিচ্ছেদ তবে ঠিক ডিভোর্স নয়। সত্যি কথা বলতে ওরা একে অপরকে প্রচন্ড ভালোবাসে কিন্তু দূরত্বকেই ওরা আপন করে নিয়েছে। পারোদির মাধ্যমেই বৃন্দা ও অভিকের সত্যিকার দুনিয়াতে দেখা হয়। ধীরে ধীরে একটু একটু বন্ধুত্ব। কিন্তু বৃন্দা জড়িয়ে যায় এক বড় ধরণের ব্যবসায়ী সংগঠকদের জালে। তাদের Real Estate ব্যবসার পিছনে ঘৃণ্য সকল কর্মকে মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পরে বৃন্দা। এদিকে অভিক তার Laptop এর Chat এর মানুষকে ভালোবেসে ফেলে। দুজনে সীদ্ধান্তে আসে যে তারা দেখা করবে, অন্তহীন অপেক্ষার সমাপ্তি করবে। একদিন অভিক জানতে পারে যে ব্রিন্দাই সেই মেয়েটি কিন্তু সে দিন বদলে গেছে অনেক কিছুই।
বৃন্দা চরিত্রে Radhika Apte দারুন অভিনয় করেছেন। রাহুল বসু বেশ ভালো করলেও তার চরিত্রটি একটু চুপচাপ ধরণের। রন্জন চরিত্রে কল্যাণ রায় এবং ভি.কে. মেহরা চরিত্রে শৌভিক কুন্ডগ্রামির অভিনয় ছিল বেশ প্রশংসনীয়। শর্মিলা ঠাকুর অভিকের পিসী চরিত্রের বেশ দারুন করেছেন। মুভিটির সংগীত ছিল বেশ আকর্ষণীয়। শান্তনু মৈত্রের সুরের প্রত্যেকটি গান বিশেষ করে শ্রেয়া ঘোষালের জাতীয় সংগীত জয়ী “যাও পাখি” বেশ শ্রুতিমধুর। তবে মুভিটির চিত্রনাট্য এবং পরিচালনা এক কথায় অসাধারণ। অভিকের পীসি (শর্মিলা ঠাকুর) তার জীবনে এসে যাওয়া ক্ষণিকের প্রেমের বর্ণনার দৃশ্যটি আসলেই চমৎকার। তবে মুভিটির বেশ কিছু অংশ বেশ বোরিং হলেও দারুন ডায়ালগ এবং নির্দেশনা মুভিটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
মুভিটি একই সঙ্গে অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন মানুষের জীবন কাহিনী ধরণের হলেও যেন এক সুরে বাধা একটি কাহিনী। বলতে গেলে ভারতের জাতীয় পুরস্কার বিজয় করে মুভিটি তার যোগ্যতা প্রমাণ করেছে।
রেটিং – ৩.৫ /৫
২| ০৭ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৩৫
নিঃসঙ্গ যোদ্ধা বলেছেন: ভালো লাগলো রিভিউটা +++++
৩| ০৭ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৩৮
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: ব্রীন্দা নয়, বৃন্দা।
৪| ০৭ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৪৩
একরামুল হক শামীম বলেছেন: গতকালই মুভিটা দেখলাম।
৫| ০৭ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৪৮
কালপুরুষ বলেছেন: চমৎকার মুভি। আমার খুব ভাল লেগেছে।
৬| ০৭ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৫১
রানা বলেছেন: যারা এই সিনেমাটা দেখেননি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি..... দেখে ফেলুন। ঠকবেন না। আমার অনেক ভাল লেগেছে। গান গুলোও অসাধারণ।
৭| ০৭ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৫২
চতুষ্কোণ বলেছেন: রাহুল বোস প্রিয় একজন অভিনেতা। দেখার ইচ্ছে রইলো।
৮| ০৭ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৫৬
দি রেইনবো মেকার বলেছেন:
ছবিটা শুরুর দিকে সামান্য গতিময় হলেও কিছুখন পরে এসে ঢিমেতালে আগাতে থাকে।আর, নায়িকার মারা যাওয়াটা একদমই আকস্মিক মনে হয়েছে।
ছবিতে কিছু ছোটোখাটো ডিটেলের চেষ্টা করা হয়েছে। ব্রীন্দাকে দেখার পরে অবচেতনে তার সাথে নেটের চ্যাট এর মানুষটাকে অভিক মেলাতে থাকে। একসময় পরাবাস্তব আর বাস্তব চরিত্রদুটির মিল সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যায় সে। কিন্তু তখন আর সময় থাকে না। নায়কের প্রতিদিনের জীবনে রাস্তার কিছু চিত্র দেখানো হয়েছে। নায়িকা মারা যাবার পর, নায়ক যখন আবার তার কর্মস্থলে ফিরে যায়, তখন দেখা যায় এই আপাত স্থির চরিত্রগুলোর সচলতা। রন্জনও ফিরে যায় পারোর কাছে। কিন্তু,অভীকের প্রতিক্ষা তাও চলতে থাকে, হয়তো এই প্রতীক্ষাও অন্তহীনের।
সবচেয়ে বেশি যেটা খারাপ লেগেছে, সেটা চোখে পড়ার মতো কিছু কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং আর লোগোর আধিক্য। আর প্রচুর পরিমানে ইংলীশের ব্যবহার। হয়তো সেটা প্লটের স্বার্থেই।
৯| ০৭ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৫৮
তারার হাসি বলেছেন:
দেখা হয়নি তবে গান শুনেছি।
গান পাওয়া যাবে এখানে - http://newbollywoodsongs.co.cc/antaheen/
১০| ০৮ ই মে, ২০১০ রাত ১২:০২
দিগন্ত বলেছেন: সবচেয়ে বেশি যেটা খারাপ লেগেছে, সেটা চোখে পড়ার মতো কিছু কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং আর লোগোর আধিক্য। আর প্রচুর পরিমানে ইংলীশের ব্যবহার। হয়তো সেটা প্লটের স্বার্থেই।
-- এইগুলো কোলকাতার অঙ্গ হয়ে গেছে এখন।
১১| ০৮ ই মে, ২০১০ রাত ১২:০২
ইসতিয়াক আহমদ আদনান বলেছেন: মুভিটা অসাধারন লেগেছে। সময় পাইলে সবাই দেখে নেবেন। পোষ্টটা ভাল হইছে।
১২| ০৮ ই মে, ২০১০ রাত ১২:১১
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এখনো দেখা হয় নি, তবে গানগুলো ভাল লেগেছে.....
১৩| ০৮ ই মে, ২০১০ রাত ১২:২৫
মজার মানুষ বলেছেন: মুভির মেকিং চমৎকার। তবে এর বক্তব্য আমার কাছে অপরিষ্কার। হঠাৎ করেই যেন সময় শেষ অথচ মুভি শেষ করতে হবে তাই তাড়া তাড়ি শেষ করতে গিয়ে নায়িকা কে মেরে ফেললো।
১৪| ৩০ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:৪৮
আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: জীবেনে প্রথম কোন ব্লগে গালি দিতেছি।
তাও আবার তকে/।
কুত্তার বাইচ্চা তুই ।
সালা .. .. রডিনরে গালি দেছ। রডিন যা করছে তুর চৈাদ্দ গুষ্টিও জীবনে দেশের জন্য তা করছে কিনা দেখ।.................
১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৪৯
দীপান্বিতা বলেছেন: বৃন্দা চরিত্রটির সাথে দিল্লির এক সাংবাদিকের মিল আছে...সেও এভাবে মারা যায়...খুব ভাল লাগল রিভিউ
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১০ রাত ১১:৩২
গোধুলী রঙ বলেছেন: রিভিউ টা দারুন হয়েছে। আর মুভি টা দেখেছি আগেই, অসাধারন।