নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা হবে মনে মনে

রাজর্ষী

জন্ম থেকেই দৌড়ের উপর আছি।

রাজর্ষী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এদের লজ্জা শরমের বালাই নাই

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১৫





আলি আল মেগরাহ। লকারবি বিমান হামলার হোতা। কয়েকশ মানুষকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলো কোন বিচার বিবেচনা ছাড়াই। এদের মাঝে নারী ছিলো শিশুছিলো। ব্যাপার্না। এটা আমেরিকার বিমান। আমেরিকার সাথে মুসলিমদের যুদ্ধ চলছে। সুতরাং উড়িয়ে দাও আমেরিকার পতাকাবাহী বিমান যদিও এতে থাকতে পারে নিরপরাধ মানুষ। এমনকি থাকতে পারে কোন মুসলিম। কিন্তু এটা যুদ্ধ! সম্মুখ সমরে, কৌশলে না পারলেও....।

ঠিক যেন সিনেমার ভিলেইন যখন নায়কের সাথে মারামারিতে হেরে গিয়া শেষে নায়িকাকে বা কোন শিশুকে জিম্মি করে। হাহ.. কি বীরত্বরে..। তারপরেও তারা যুদ্ধ করছে!? আলি আল মাগরাহ তাই মসুলিম নামধারীর কাছে বীর। ব্যাপার্না।

তো সেই বীর আবার ধরা খাইছিলো। বিচারে তার সাজাও হৈছিলো। যাবজ্জীবন জেল খাটছিলো। যদিও আমার বিশ্বাস তারা নিজেরা হৈলে এইক্ষেত্রে বিচার বা সাজার ধার ধারতো না । সোজা কতল। যাউকগা এটা অন্য বাহাস।

কাহিনী হৈল সেই বীর(?) ক্যান্সার এ আক্রান্ত হওয়ার কারনে স্কটল্যান্ড সরকার তাকে মুক্তি দিয়েছে। মানবিক বিবেচনায়। এখানে তাকে বীরোচিত সংবর্ধনা দেওয়র কি হৈলো? সেতো যুদ্ধ জয় করে ফিরছে না। বরং অন্যদের দয়ায় মুক্তি মিলেছে।

তাকে ঘিরে উল্লাস করাটা কতটা জঘন্য খারাপ লাগবে সেসব নিরপারাধ মৃত মানুষের আত্মীয়দের কাছে সেটা যদি বিবেচনায় নাও নেই কিন্তু মানবিক কারনে দয়া করে মুক্তি পাওয়া কাউকে কতটা দেউলিয়া মানসিকতা থাকলে সংবর্ধনা বা বিজয়উল্লাস করা যায়? এই আরবদের কি লজ্জা শরমের কোন বালাই নাই?

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২২

অমাবশ্যার চাঁদ বলেছেন: শালারা সত্যি সত্যি বর্বর!!!!!

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২৩

আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: লজ্জা শরমের বালাই থাকলে কি আর মানুষ মাইরা জেল খাটে!

সংবর্ধনা দেয় কারা?

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৩

রাজর্ষী বলেছেন: লিবিয়ার এয়ারপোর্টে মানুষ তাকে সংবর্ধনা দিসে এমনকি সয়ং গাদ্দাফী উপস্থিত থেকে তাকে বরন করে নেয়। অথচ এই গাদ্দাফীর ক্ষমতা ছিলো না তাকে বিদেশের জেল থেকে মুক্ত করে আনার যদিনা তারা দয়া করে মুক্তি দিতো

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৪

মনির হাসান বলেছেন: আজকে পেপারে ছবি দেখলাম ... বিমান বন্দরে ব্যাপক সংবর্ধনা । মাইকেল জ্যাকসন অবস্থা ।

ব্যাপারস্‌না ।

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:০৯

রাজর্ষী বলেছেন: হুমমম ব্যাপার্না

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪২

মনজুরুল হক বলেছেন: কোন কালেও ছিলনা!

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৩

রিপন বিশ্বাস বলেছেন: ধীক শতবার। যারা অন্ধের মতো ঠান্ডা মাথায় মানুষ খুন করে। তারা শান্তির কলঙ্ক।

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:১৯

রাজর্ষী বলেছেন: শান্তির কলংক!! ভালো শব্দ যুগল ....।

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৪

আশাবাদী মানুষ বলেছেন: ভালোই লিখেছেন।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫৫

কায়েস মাহমুদ বলেছেন:

গাদ্দাফি মুসলমান? গাদ্দ্দাফি নিজেও শুনলে হাসবে।লিবিয়াতে হিজরি সাল কত জানেন? যে দিন মুহাম্মাদ মারা যায়, সে দিন হতে গাদ্দাফি হিজরী সাল গনে তার দেশে। সে মনে করে সেই দিন পৃথিবী হতে এক নিষ্ঠুর মানুষ বিদায় হয়েছে। শুধু মাত্র দরুদ শরীফ পড়ার কারনে এই গাদ্দাফী অনেক লোককে হত্যা করেছে।

তেমনি সাদ্দাম হোসেন, বার্থ পার্টির নেতা, মাইকেল আফলাক তার দীক্ষাগুরু। যারা রেডিওতে প্রচার করত, ইসলাম ধর্মের মত আরব জাতিয়তাবাদ একটা ধর্ম। এবং বলত মুসলমানদের উচিত কোরানের বিশ্বাসের মত আরব জাতিয়তাবাদে বিশ্বাস করা। যা সিরিয়ার হাফেজ আসাদ ও প্রচার করত দামেস্কে।

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০৩

রাজর্ষী বলেছেন: গাদ্দাফী সম্পর্কে এতটা জানা ছিলোনা যদিও বাথ পার্টি আর আরব জাতীয়তাবাদ জানি। কিন্ত গাদ্দাফী মুসলিম না সেটা মনে হয় ঠিক না।

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৪৯

জাহিদ পারভেজ বলেছেন: এদের লজ্জা শরমের বালাই নাই ।সত্য
তবে বলবেন কি কাদের আছে?

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০৭

রাজর্ষী বলেছেন: মিলিয়ন ডলারস প্রশ্ন

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৫৩

আলী প্রাণ বলেছেন: ছিঃ ইসলাম আর মুসলমানের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে আছে

মানুষের জীবন মূল্যহীন মানুষের কাছে (মুসলমানের কাছে)



২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:০৯

রাজর্ষী বলেছেন: মানুষের জীবন মূল্যহীন মানুষের কাছে... কেন?

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:০৩

রামন বলেছেন: আজ আবদুল বাসেত আল মেগরাহিকে মুক্তি দেয়ায় পশ্চিমা বিশ্ব যে ভাবে আস্ফোলন শুরু করেছে ,তারা কি অতীত ভুলে গেছে ১৯৯৮ সালে বুলগেরিয়ার ৫ জন নার্স লিবিয়ার ৪০০ শিশুর নিস্পাপ দেহে এইডসের জীবানু প্রবেশ করিয়ে হত্যা করেছিল।পরবর্তিতে আদালতে সাক্ষ্য প্রমানে এরা দোষী সাভ্যস্ত হলে আদলত ঐ সকল নার্সদের মৃত্যদন্ডে দন্ডিত করে ।এরপর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সারকোজীর মধ্যস্ততায় এই মর্মে তাদের মুক্তি দেয়া হয় যে, অপরাধীরা তাদের নিজ দেশে যাবজ্জীবন কারাভোগ করবে। কিনতু এ সকল অপরাধীরা নিজ দেশে পৌছালে সেদেশের প্রেসিডেন্ট তাদের গালিচা সম্বার্ধনা দিয়ে বিরাঙ্গনার উপাধীতে ভূষিত করে। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো ইউরোপ পার্লামেন্টে এ সকল অপরাধীদের হাততালীর মধ্য দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০৫

রাজর্ষী বলেছেন: এই ব্যাপার্টা সম্পর্কে আমার জানা নেই একদমি তবে এমন হয়ে থাকলে এরাও একই পর্যায়ের ঘৃন্য।

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:১০

দূরন্ত বলেছেন: দুঃখজনক

২৩ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:২২

রাজর্ষী বলেছেন: চরম..।

১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:০০

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
এদের লজ্জা শরম আসলেই নাই ।
এতো হীন রুচীর মানুষ পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্তে আছে কিনা, জানা নাই ।

'বর্বর আরব' শিরোনামে একটা সিরিজের মেটেরিয়ালস মাথায় আছে, সমোয়ভাবে শুরু করতে পারছি না ।

১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৩৯

যান্ত্রিক বলেছেন: যারা এমন কাজ করে তারা সকলেই ঘৃণ্য। কিন্তু তাই বলে আপনি সকল মুসলিম আর আরবদের এভাবে নিন্দা করতে পারেন না। যারা আজ গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে তারাও মুসলিম এবং আরব।
আমি মনে করি এখানে কেবল দুটো পক্ষ, এক দল শাসক, আরেক দল শোষিত, এক দল জুলুমকারি, আরেকদল নির্যাতিত।

আমরা সকলে নির্যাতিতদের পক্ষে আছি এবং জুলুমকারিদের বিপক্ষে বিদ্রোহে সমর্থন জানাই, তা সে মুসলিম হোক আর অমুসলিম হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.