![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য দেওয়া বিদেশি অর্থ অন্য তহবিলে সরানোর অভিযোগ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গরিব মানুষের রক্ত চুষে খেলে ধরা খেতে হয়।
ইউনূসকে নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন নেতার পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের সূত্র ধরে এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে হাসিনা রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বাংলাদেশ অনেক কিছুতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। জনগণের টাকা নিয়ে ভোজবাজির খেলার এটাও একটা দৃষ্টান্ত। দরিদ্র মানুষকে ঋণ দিয়ে অর্থ চুষে খাওয়া। কোথাও তো দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন হয়নি। দরিদ্র মানুষকে দেখিয়ে শুধু টাকা নিয়ে আসা হয়েছে।"
"বাংলাদেশের মানুষকে গিনিপিগের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। আমি এটা কখনোই সমর্থন করিনি। প্রতিবাদ করেছি", বলেন তিনি।
শুরুতে গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারি শেয়ার ৬০ শতাংশ হলেও এখন তা ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে- এ তথ্য তুলে ধরে আমাদের সময়ের সম্পদক নাইমুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, "উনি (ইউনূস) পারলে সরকারকে শূন্য করতে চান। তবে সরকার সেটা হতে দেয়নি। অনেক বাড়াবাড়ি আছে। সরকার তা তদন্ত করে দেখবে কি না?"
জবাবে হাসিনা বলেন, "এটাকে এমনভাবে কব্জা করা হয়েছে, যেন এটা ব্যক্তি সম্পত্তি। এরও তদন্ত করা উচিৎ। গরিব মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। ভালো ভালো কথা বলে গরিব মানুষের রক্ত চুষে খাওয়া হচ্ছে। এখন অনেক কিছুই বেরিয়ে আসছে।"
সেনানিবাসের বাড়ির প্রতি খালেদা জিয়ার যে 'ভালবাসা' ড. ইউনূসেরও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতি সে রকম 'ভালবাসা'- এ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "গ্রামীণ ব্যাংক জনগণের সম্পত্তি। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংককে ভালবেসে নিজের করা হচ্ছে। ইউনূস সাহেব গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতি ভালবাসায় পড়ে গেছেন।
"গরিব মানুষের রক্ত চুষে খেলে জবাব দিতে হবে; ধরা খেতে হয়।"
মঙ্গলবার নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রামাণ্যচিত্রে শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংকের কোটি কোটি ডলার নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্য তহবিলে সরানোর অভিযোগ তোলা হয়। গ্রামীণ ব্যাংক অবশ্য ওই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরে সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শুক্রবার এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পরদিনই দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ড. ইউনূস যে 'দুর্নীতিবাজ' তা আবারো প্রমাণিত হলো। একইদিন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সমঝোতার মধ্য দিয়ে তহবিল সরানো দোষের কিছু নয়। তিন ধরনের বক্তব্যের বিষয়ে সরকার প্রধান হাসিনা বলেন, "আমরা চাই, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হোক। অর্থমন্ত্রীও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চেয়েছেন।"
©somewhere in net ltd.