নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Rajpurus

রাজপুরুষ

আমি অধম, পাপী, মুসাফির !

রাজপুরুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চুলের নারীরা থাকেন........!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৮

গ্রামটিতে সব মিলিয়ে ৮২টি 'রেড ইয়ো' পরিবারের বাস। আদিবাসী এই সম্প্রদায়টির কাছে চুল খুব পবিত্র সম্পদ। সম্প্রদায়টির নারীদের চুল বাইরের তো দূরের কথা, এমনকি নিজ সম্প্রদায়ের পুরুষরাও দেখতে পারত না। দিনে কেবল একবারই খোলা হতো চুলের বাঁধন। গ্রামের ছোট্ট ঝরনায় গোসলের সময়টাই হলো সেই ক্ষণ। গোসল শেষে আবার স্কার্ফের বাঁধনে বাঁধা পড়ত সেই চুল।

রেড ইয়ো নারীদের মধ্যে বহুকাল ধরে চুল নিয়ে চলে আসছে অলিখিত প্রতিযোগিতা। এই সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করে যে নারীর চুল যত লম্বা, তিনি তত বেশি ভাগ্যবতী। চুল নিয়ে তাঁদের মধ্যে রয়েছে নানা সংস্কার। বিয়ের আগে কোনো মেয়ের চুল দেখে ফেললে অবশ্যই ওই মেয়েকে বিয়ে করতে বাধ্য হন পুরুষটি। হোন তিনি এই সম্প্রদায়ের মানুষ বা কোনো বিদেশি। পুরুষটির সঙ্গে অন্তত তিন বছর সংসার করার পর পাপমুক্তি ঘটে ওই নারীর। তবে আধুনিকতার সুবাতাস পৌঁছে গেছে হুয়াংলুতেও। সরকারি উদ্যোগে ১৯৮৭ সালে নিষিদ্ধ হয় এই প্রথা।

সারা বছর এখন পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে হুয়াংলুতে। ছবির মতো গ্রামটির আশপাশে রয়েছে ছোট ছোট বেশ কয়টি ঝরনা। আশপাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড়। আর আছে ঘন-কালো, দীঘল কেশের অপরূপ নারী। যাঁরা জীবনে কেবল একবারই চুল কাটেন। যখন তাঁদের বয়স হয় ১৬, যখন বিয়ের উপযুক্ত হন তাঁরা। কাটা চুলই অন্যদের জানিয়ে দেয়, মেয়েটির বর খোঁজার সময় হয়েছে।

কেটে ফেলা চুল কিন্তু ফেলে দেওয়া হয় না, জমা থাকে দাদিমার কাছে। দাদিমা সেই চুল দিয়ে খোঁপা বানান। খোঁপাটি নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে তুলে দেন বরের হাতে। যার মানে, 'আমার নাতনিকে সারা জীবনের মতো তোমার হাতে তুলে দিলাম। চুলের মতোই তার যত্ন নিয়ো।' বিয়ের পর খোঁপাটি নিয়মিত ব্যবহার করেন নববধূ।

তিনটি স্টাইলে চুল বাঁধেন রেড ইয়ো নারীরা। কারো চুলের খোঁপা গোটা মাথায় প্যাঁচানো হলে বুঝতে হয় বিবাহিতা হলেও নিঃসন্তান; সামান্য উঁচু খোঁপার নারী বিবাহিতা এবং তাঁর ঘর আলো করে আছে সন্তানাদি। স্কার্ফের আড়ালে চুল ঢেকে রাখা তরুণীদের পেছনে আগ্রহী পুরুষের লাইন জমে যায়। কারণ সে বর খুঁজছে।

চাল ধোয়া পানি আর ঔষধি বৃক্ষের ডাল কেটে বের করা রস একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় শ্যাম্পু। চুলের পরিচর্যায় এই বিশেষ ধরনের শ্যাম্পুই আদিকাল থেকে ব্যবহার করছেন রেড ইয়ো নারীরা। ভুলেও কখনো চুলকে অবহেলা করেন না তাঁরা। তাঁরা বিশ্বাস করেন, নারীর চুলের তিনটি স্তর আছে। এই স্তরগুলোকে স্বামী-সন্তানের মতোই সারা জীবন যত্নে লালন-পালন করতে হয়। প্রথম স্তরে প্রতিদিন মাথায় চুল কী পরিমাণ লম্বা হচ্ছে তা খেয়াল রাখতে হয়; দ্বিতীয় স্তরে কাটা চুলের খোঁপা বানিয়ে পরতে হয়। আর শেষ স্তরে প্রতিদিন চুল আঁচড়ানোর সময় পড়ে যাওয়া চুলগুলো জমিয়ে রাখতে হয়। এগুলো তাঁরা খোঁপা বানিয়ে পরেন। যুগ যুগ ধরে এমনভাবে চুলের যত্ন নেওয়ার কারণেই বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চুলের নারীদের গ্রাম হিসেবে এখন বিখ্যাত চীনের হুয়াংলু।

এ গ্রামের কেশবতীদের চুল গড়ে সাড়ে পাঁচ ফুটেরও বেশি লম্বা।





সূত্র:View this link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৫

অিনন্দয মহসীন বলেছেন: খুব ভালো পোষ্ট। ভাল লাগলো জানতে পেরে। প্রিয়তে রাখলাম।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: চমৎকার লাগল...........নতুন কিছু জানলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.