নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু আহমেদ । এক গ্রাম্য বালক । অনেকটা বোকা প্রকৃতির । দুঃখ ছুঁয়ে দেখতে পারি নি ,তবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুভব করেছি । সবাইকে প্রচন্ড ভালবাসি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারি না । বাবা এবং মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী ।

সত্যকা

সত্যকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এদেশে কি আইনের শাসন আসলেই আছে ?

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৩

অনেকদিন থেকেই বিস্মিত হয়ে আছি । এটা সম্ভবত ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর থেকে । সেনাবাহীনির অবৈধ শাসনকে বৈধ করার এজেন্ডা নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতায় উঠে আসল বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত বাকশাল সরকারের নীতিতে প্রচলিত আওয়ামী সরকার । পৃথিবীতে যদি অষ্টাচার‌্য আবিষ্কার হত তাহলে সেটা অবশ্যই আওয়ামী জমানার বিভিন্ন কার‌্যকলাপ । তবে আওয়ামী সরকার জনকল্যানমূলক কর্মকান্ডও কম বাস্তবায়ণ করে নি । সরকারের বিভিন্ন অপকর্মের মধ্যে সে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলো ঢাকা পরে গেছে । সংবিধান ও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করে সরকার এমন কিছু কাজ করেছে যেগুলো প্রতিটি বিবেকবান মানুষের দৃষ্টিপাত করেছে । বুক ফুলিয়ে কেউ সরকারের এ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে রেহাই পান নি । বিরোধী দলের কেউ যখনি কেউ এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে তখনই তাদের সাহসী ও যু্ক্তিবাদী কন্ঠগুলোকে হয় বিভিন্ন কৌশলে দমিয়ে রেখেছে না হয় চিরতরে বিলুপ্ত করে দেয়া হয়েছে পৃথিবীর বুক থেকে । নিজ দলীয় লোকদের মধ্য থেকেও যখন প্রতিবাদের সুর উঠেছে তাদেরকেও বিভিন্ন ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে । দশমিনার সরকার দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রণি এমপি এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । বেছারীকে সত্য কথা বলার অপরাধে গত রমজানের ঈদকেও পরিবার পরিজন থেকে দূরে থেকে জেলহাজতে বসে কাটাতে হয়েছে । অনেক চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে পার হয়ে গেল আওয়ামী জমানার প্রায় চার বছর আটটি মাস । নিপিড়ীত নির‌্যাতিত মানুষগুলো যেন হাঁফছেড়ে বাঁচল । না ! আসলে এতো বাঁচা নয় । সরকার যে ছক একেঁ গিয়েছে তাতে কত যে নিরীহ লোকের প্রাণ বলি দিতে হবে তা একমাত্র বিধাতাই ভাল জানেন । ২০০৬ সালের নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়েও এমনি এক ছক বি এন পি ও একে ছিল । যার ফলশ্র্রুতিতে এদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছিল ২৮ শে অক্টোবর , এক এগারো । সেরকম একটি নকশাঁ একে কৌশলের জাল বুনিয়ে বিদায় নিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আওয়ামী সরকারও । যার ফল পেতে শুরু করেছে এদেশের মানুষ । ২৪ শে অক্টোবর ক্ষমতা ছাড়ার পরে মাত্র ১৮ দিনে মানুষকে মুখোমূখি হতে হয় ১০ দিনের হরতালের । পরিসংখ্যান বলে একদিনের হরতালে ৫ হাজার কোটি টাকার লোকসানীতে পরতে হয় মাত্র ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ ফুটের এ গরীব দেশটায় । তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল এ দেশটার ভবিষ্যত নিয়ে দেশের বরেণ্য অর্থনীতিবিদরা খুবই চিন্তিত । হরতালের আঠারো দিনের মাত্র ১৫ দিন অতিক্রম করতে গিয়েই প্রায় অর্ধশত মানুষকে তাদের তরতাজা প্রান বিলিয়ে দিতে হল অকালে । কি ভবিষ্যত হবে এদের পরিবারগুলোর ? আহতের সংখ্যাও নিছক কম নয় । ১৮ দিনের হরতালও সরকারের অথবা বিরোধীদলের অবস্থান থেকে তাদেরকে একচুলও স্খলন করতে পারে নি । এ সমস্যার সমাধান তাহলে কোন পথে সম্ভব ? গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রহলেও এ দেশে গনতন্ত্রের চর্চা যে একেবারেই হয় না তা নির্দিধায় বলা যায় । স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই এ চরম সত্যের স্বাক্ষী হয়েছে এ দেশের কোটি কোটি মানুষ । সংবিধানে বিচার বিভাগের পৃথকীকরনের কথা বলা আছে ঠিকই কিন্তু বাস্তবায়ন আদৌ নেই । সরকারদলীয় শক্তি দ্বারা ন্যায় বিচার পদে পদে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে । কোন বিচারের রায় কবে প্রকাশ হবে , রায় কি হবে তা রাজনৈতিক নেতারা নির্ধারণ করে দিচ্ছে । রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মৃত্যূদন্ড পাওয়ার মত অভিযোগের অপরাধীরাও মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে আবার রাজনৈতিক কোন্দলের কারনে হুমকি প্রদানের মামলায় যাবজ্জীবন দন্ড পাওয়া এদেশের আদালতে বিরল নয় । কয়দিন আগে কথিত যুদ্ধাপরাধীর বিচার চলা আন্তর্জাতিক আদালতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দেয়া মৃত্যুদন্ডের আদেশ রায়ের দুই দিন আগেই জেনে গিয়েছিল পুরো বিশ্বের মানুষ । আমাদের সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড . হাছান মাহমুদ চৌধুরী আজকে বললেন বিরোধী দল যদি হরতাল প্রত্যাহার করে তাহলে আটক বি এন পি নেতাদের মুক্তি দেয়া হবে । উত্তম প্রস্তাব ! অতি উত্তম প্রস্তাব ! তাহলে কি আমাদের বিচার বিভাগের কোন আদেশ বা নির্দেশ আইনের ধারা অনুসারী হয় না । সংবিধান কি গৌন ভূমিকা পালন করছে ? আওয়ামী সরকার যা বলবে সেটাই কি আদালতের কথা হবে । এর বাইরে কি আর কোন সত্য নেই । সত্যিই সেলুকাস ! আমি আমার পূর্ববর্তী লেখাতেও সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছিলাম সংলাপে আসুন । যদি ছোট হতে বাধে তাহলে দেশের গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিবর্গের শরনাপন্ন হউন । মাননীয় বিরোধী দলের কান্ডারীদের কাছে একই আকুতি । দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সিদ্ধান্তে আসুন । শত সহস্র মানুষের মূল্যবান জীবনের মূল্য বুঝতে শিখুন । এটা আপনাদের ভবিষ্যত নির্ধারনের জন্য সহায়ক হবে ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

নতুন বলেছেন: দেশে আইনের শাসন কবে ছিলো? :| :|

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

এম আর ইকবাল বলেছেন:

কে ধরিবে হাল , আছে কার হিম্মত ।
পর্রিবতন জনগণকে আনতে হবে ।
আমরা যখন ভোট দিতে যাই,
মার্কা দেখে দেই ।
ভাল মন্দ কি বিচার করি ?
আইনের শাসন আসবে কোথা থেকে ।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

সত্যকা বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারীর উত্তর দ্বিতীয় মন্তব্যকারীর মন্তব্যে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.