নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু আহমেদ । এক গ্রাম্য বালক । অনেকটা বোকা প্রকৃতির । দুঃখ ছুঁয়ে দেখতে পারি নি ,তবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুভব করেছি । সবাইকে প্রচন্ড ভালবাসি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারি না । বাবা এবং মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী ।

সত্যকা

সত্যকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশকে ঘিরে ভারতের এত ষড়যন্ত্র কেন ?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ইস্যু নিয়ে ভারত প্রচন্ড রকমের মাথা ঘামায় । কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটা তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য করে । বাংলাদেশের জনগন এটা বুঝলেও প্রতিবাদ করতে পারে না কেননা ভৌগলিক অবস্থানের কারনে বাংলাদেশ অনেকাংশে ভারতের উপর নির্ভরশীল । অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশ সাথে ভারতের সীমান্তবর্তী সম্পর্ক থাকলেও বাংলাদেশকে ভারতের উপর ততোটা নির্ভর করতে হতো না কিন্তু বাংলাদেশের তিনদিকে ভারতের সীমান্ত এবং একদিকে বঙ্গোপসাগরের অবস্থান হওয়ার কারনে প্রকৃতিগত ভাবেই বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভর না করে উপায় নেই । বাংলাদেশ এবং ভারত পরস্পর প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ার পরেও ভারত বাংলাদেশের সাথে প্রায় প্রতিটি ব্যাপারে নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে । ভারত তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশের সাথে এমন কিছু আচরণ করে যাচ্ছে যা কেউ জন্ম-জন্মান্তরের শত্রুর সাথেও সে ব্যবহার করে না । মূল আলোচ্য বিষয় আলোচনা করার আগে ভারত এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু মৌলিক তথ্য জেনে নয়া আবশ্যক ।

ভারত : সাংবিধানিক নাম – রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া , রাজধানী – নয়াদিল্লী । আয়তন – ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গ কিলোমিটার । জনসংখ্যা – ১২৪ কোটি ১৫ লক্ষ ( UNFPA 2011 অনুযায়ী ) শিক্ষার হার ৬৩% । স্বাধীনতা লাভ ১৫ ই আগষ্ট ১৯৪৭ ।



বাংলাদেশ : সাংবিধানিক নাম – গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ , রাজধানী ঢাকা । আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার । জনসংখ্যা – ১৫ কোটি ৫ লাখ ( UNFPA 2011 অনুযায়ী ) শিক্ষার হার ৬৫.৫% । স্বাধীনতা লাভ ১৬ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ ।



বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকার আয়তন ৪১৫৬ কিলোমিটার ( সূত্র : বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ ) । বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের একাংশ , শিলিগুড়ি , আসাম এবং মেঘালয় অবস্থিত । পূর্ব সীমান্তে আসামের একাংশ , ত্রিপুরা ও মিজোরাম অবস্থিত । বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্তে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত । এছাড়া বাংলাদেশের দক্ষিন সীমান্তে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত ।



ব্রিটিশদেরকে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে তাড়িত করার আন্দোলনের শুরু থেকেই ভারত ও দুই পাকিস্তান একে অপরের সাথে সম্পর্কিত । বৃটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে চলে যাওয়ার সময়ে ভারত এবং পাকিস্তানকে প্রস্তাবের মাধ্যমে বিভক্ত করে যান । তখনকার পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রায় ১২০০ মাইল দূরত্বের পূর্ব পাকিস্তানকে ভারতীয় পন্ডিতদের চক্রান্তে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে জুড়ে দেন । তৎকালীন সময়ের ভারতীয় প্রতিনিধি জহর লাল নেহেরুকে এর কারন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন “ আমি জানি পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান কোন দিনই একসাথে থাকতে পারবে না । আজ অথবা কাল এরা পৃথক হয়ে যাবেই । তখন পূর্ব পাকিস্তান আমাদের একটা প্রদেশ হবে ” । নেহেরুর ভবিষ্যত বানীর কিছু অংশ বাস্তবতার মূখ দেখলেও কিছু অংশ এখনো অধরা রয়ে গেছে । বৃটিশ থেকে পৃথক হওয়ার পর প্রায় ২৪ বছর পর পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে তুমুল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে । তবে এ বিজয় লাভের পিছনে ভারতের ভূমিকাকে অনেকে প্রধান্য দেন । একথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শরনার্থীদেরকে ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতা করেছে । তবে সামরিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ভারত যে সাহায্য করেছে সেটা প্রকৃত অর্থে আদৌ সাহায্য ছিল কিনা তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন বা তুলছেন ।



ভারত পাকিস্তান উভয়ের মধ্যে জন্মের পর থেকেই শত্রুতা বিরাজ করছে । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২৬ মার্চ ১৯৭১ কিন্তু ভারত আমাদেরকে সাহায্য করতে আসে ২ রা ডিসেম্বর ১৯৭১ । ভারত যদি বাংলাদেশেকে প্রকৃত অর্থেই সাহায্য করার মানসিকতায় থাকত তাহলে এত দেরী করল কেন ? বিশ্লেষকরা মনে করেন ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানী বিমান বাহীনী থেকে ভারতে গোলা বর্ষণ করা হয় যাতে বহুলোক হতাহত হয় আর এ কারনেই পাকিস্তানের উপর প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় বাহীনি বাংলাদেশে এসে অরহরাল সিংয়ের নেতৃত্বে ‍মিত্রবাহীনি গঠন করে যুদ্ধে অংশগ্রহন করে । ভারতীয় বাহিনী না আসলে আমাদের জন্মভূমি স্বাধীন হত না সে কথা বলা চলে না । তবে এটা হতে পারত যে , আমরা আমাদের বিজয় দিবস হিসেবে ১৬ ই ডিসেম্বরকে না পেয়ে অন্যকোন দিনকে পেতাম । ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশে পা রাখার আগেই বাঙালিরা পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয়ের মঞ্চ তৈরি করে ফেলেছিল । সকল যুক্তিতর্কের পরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জণে ভারতীয় প্রশাসনের ভূমিকাকে অনস্বীকর‌্য মনে করতে হবে । যারা আমাদের বিপদের দিনের এমন বন্ধু ছিল তারা স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সাথে এমন আচরন শুরু করল কেন ? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন , ভারত সব সময় চেয়েছিল বাংলাদেশকেও তারা সিকিমের মত ভারতের অঙ্গরাজ্য করে নিবে কিন্তু বিশ্বের কিছু শক্তিধর দেশ যেহেতু বাংলাদেশকে ভালবাসে সেহেতু ভারতের মনস্কামনা পূরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি । এই সকল দিকের বিবেচনায় বাংলাদেশকে দূর্বল করার জন্য ভারত ভিন্নপথ গ্রহন করেছে ।



বাংলাদেশের সামাজিক , অর্থনৈতিক , বানিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক কাঠামোকে ধ্বংস করার জন্য তারা গভীর ষড়যন্ত্র লিপ্তে হয় । এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালে জাতি সংঘের ৩১ তম অধিবেশনে ফারাক্কা ইস্যু উথ্থাপন করা হয় এবং ১৯৭৫ সালের শেষ দিকে ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয় । অনেক বিরোধীতার মধ্যে ফারাক্কা বাঁধ চালূ করে ভারত সরকার বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলকে মূলত মরুভূমিতে রুপান্তর করে । ফারাক্কা বাধ হওয়ার পরেও বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে ফসল উৎপাদন করার অবস্থা থেকে গেলে ২০০৬ সালে ভারত সরকার পুনরায় আগ্রহী হয় টিপাইমূখী বাঁধ দেয়ার জন্য । বাংলাদেশ থেকে প্রবল বিরোধীতা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মূখে ভারত সরকার পিছু হটলেও তারা তাদের পরিকল্পনা থেকে এখনো সরে আসেন নি । ভারত যদি কোন সময়ে টিপাইমূখী বাধ সম্পন্ন করতে পারে তবে বাংলাদেশের সবুজ শ্যামল প্রকৃতির কথা বাঙালীর পরবর্তী প্রজন্মকে ভূলেই যেতে হবে । বাংলাদেশের সাথে ভারতের গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি এবং ১৯ শে মার্চ ১৯৭২ সালের ২৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি হলেও বাংলাদেশ তা দ্বারা মোটেও উপকৃত হয়নি । ভারত তাদের স্বার্থ উদ্ধার করেছে ঠিকই কিন্তু বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা একেবারে শূন্য ।



১৯৭৪ সালের ১৬ ই মে ভারতের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এ চুক্তির মূল ইস্যু ছিল সীমান্ত হত্যা বন্ধ । বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহীনি কর্তৃক এ চুক্তির সকল শর্তসমূহ পালিত হলেও ভারতের বিএসএফ কর্তৃক ঘটেছে পুরো উল্টো ঘটনা । প্রায় প্রতি দিন বাংলাদেশের মানুষ সীমান্ত হত্যার সম্মূখীন হয়েছে । দফায় দফায় বেঠক হলেও সেটা বাংলাদেশীদের হত্যায় কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি । বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অনেক সম্পদ ভারতে পাচার হয়েছে কিন্তু তার বিনিময়ে আমরাও কম কিছু পাই নি । তবে সেটা বাঙালীর মানবতা , যুব সমাজ ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট ছিল । নেশাজাতীয় এমন কোন দ্রব্য নেই যা ভারতের সীমান্ত দিয়ে বন্যার পানির মত আমাদের ভূ-খন্ডে প্রবেশ করে নি । মানবতা ধ্বংসকারী আগ্নেয়াস্ত্রের সহজলভ্যতা- সেটাতো ভারতের কল্যানেই । সংস্কৃতির নামে ভারত বাংলাদেশকে যা দিচ্ছে তা এক কথায় অপসংস্কৃতিতে ভরপুর । স্টার জলসা , স্টার মুভি , জী-বাংলা এবং জী-সিনেমায় যে সকল মেগা সিরিয়াল চালায় তা বিকৃত সংস্কৃতির এবং মনমানসিকতার বহি:প্রকাশ । অপসংস্কৃতির সংজ্ঞা , পকারভেদসহ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ভারতের সংস্কৃতি থেকে জানা যায় । বাংলাদেশের পারিবারিক ব্যবস্থায় ভাঙ্গন সৃষ্টি , মিথ্যাচার , পরকীয়া , বহুরুপিতা , মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা , সন্দেহ প্রবনতা এবং বিবেকের আত্মাহুতি এই সবকিছুর জন্য ভারতের বস্তাপঁচা সংস্কৃতি দায়ী । সত্য কথা বলতে কি ভারতে আদৌ পারিবারিক কাঠামো নেই । আপন স্বার্থ বলতেই তারা অজ্ঞান । ভারতের যে সকল টিভির মেগা সিরিয়ালগুলো আমরা দেখি সেগুলো মূলত ভারতের মানুষ দেখে না । কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে , মূল্যবান সময় নষ্ট করে কেবল মাত্র আমরাই তাদের ব্যবসাকে ফুলে-ফেঁপে বেড়ে উঠাতে সাহায্য করি । বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলোতে অনেক চমকপ্রদ , শিক্ষামূলক এবং গবেষনাধর্মী অনুষ্ঠান প্রচার করা হলেও ভারতের কোন রাজ্যে বাংলাদেশী কোন চ্যানেল প্রচার করা হয় না ।



বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে এখনো স্বাবলম্বী হয়ে ওঠেনি তাই বিদেশী সাহায্য নিয়ে চলতে হয় । বাংলাদেশেকে ঋনপদানকারী দাতা দেশ সমুহের মধ্যে ভারত অন্যতম কিন্তু অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে , অন্যান্য দেশ থেকে ঋন আনার জন্য যে সকল শর্ত পূরণ করতে হয় ভারত থেকে ঋন আনতে হলে তার চেয়ে অনেক বেশী শর্ত পূরণ করতে হয় । এবং এ ঋণের বিনিময়ে ভারতকে নানাধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হয় । সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সরকারের সাথে ভারতের সরকার অনেকগুলো চুক্তি হয়েছে । তার মধ্যে অন্যতম হল – তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি যা পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরোধীতার কারনে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পাদন করতে ব্যর্থ হয়েছে । বাংলাদেশে থেকে সকল স্বার্থ ভোগ করলেও তারা আপন স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন করে নি । এছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের বিরোধিতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সরকার ভারতকে ট্রানজিট দিতে রাজি হয়েছে । এ ট্রানজিট ব্যবস্থা সম্পাদন হয়ে চালূ হলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে সামান্য কিছু সম্পদের অধিকারী হলেও মারাত্মক ভাবে সামাজিক বিপর‌্যয়ের মূখোমূখী হতে হবে । এ ট্রানজিট বা যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ ভূ-খন্ডে মদ ,গাঁজা , হিরোইন , কোকেইন , আফিম , মারিজুয়ানা এবং ইয়াবাসহ অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্যে সয়লাভ হয়ে যাবে । প্রাণগাতী অস্ত্রের মূখে জিম্মি হয়ে পরবে আমাদের দেশটি । ভারতের অতীত কৃতকলাপ দেখে মনে হয়েছে তারা কখনো আমাদের কল্যানে কোন কাজ করে নি । সুতরাং বর্তমান ও ভবিষ্যতেও যে আমাদের কল্যানমূলক কাজ করবে সেটা ভাবা বাতুলতা বহি অন্য কিছু নয় ।



আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক । তবে তাদের সে কাজগুলো অবশ্যই নৈতিকতার মানদন্ডে হতে হবে । তারই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য হিসেবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ( RAW ) এর সদস্যরা কাজ করেন । তবে তারা এ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে সদা প্রস্তুত থাকে । বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রায় পুরোটাই তাদের হাতে জিম্মি । অনেকে মনে করেন ২০০৯ সালের ২৫ শে নভেম্বর ঢাকাস্থ পিলখানার দরবার হলে বিডিয়ার বিদ্রোহে যে ৫৭ জন সেনা অফিসার প্রান হারায় তার মূলেও RAW এর উল্লেকযোগ্য ভূমিকা ছিল ।



বাংলাদেশের আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আবারও ভারত খবরের শিরোনাম হয়েছে । ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা কয়েকদিন আগে শিরোনাম করেছিল “ আওয়ামীলীগকে পুনরায় ক্ষমতায় নেয়ার জন্য ভারতের ১০,০০০ কোটি রুপি বাজেট” । শিরোনামটা শুনেই আৎকে উঠেছিলাম । যে দেশটা কোন দেশকে দুই ডলার স্বার্থ ছাড়া ভিক্ষা দেয় না সেই তারাই কেন আওয়ামিলীগের জন্য এতটাকা ব্যয় করবে ! একটি দেশের ভিন্ন আরেকপটি দেশের সরকারের প্রতি বা একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি টান থাকতে পারে এটা অস্বাভাবিক নয় । তবে সেটা সহনীয় মাত্রা থাকা বাঞ্চনীয় । অপরদিকে ভালবাসার পাত্রটিকেও বুঝতে হবে আমাকে ভালবাসার উদ্দেশ্য কি শুধু ভালো লাগা নাকি অন্য কোন স্বার্থ ? বাংলাবাজার পত্রিকার সংবাদটি যদি বাস্তববাদী ভাবধারার হয় তবে বিনা বিতর্কে বলা চলে দশ হাজার কোট টাকার বিনিময়ে ভারতের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার স্বার্থ আছে । ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয় সুলতান মাহমুদ ১৮ বার ভারত আক্রমন করে সতের বার বিজয় লাভ করেন । তার এ আক্রমনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ভারতের অঢেল সম্পত্তির প্রতি লোভ । সম্পত্তির মোহ সুলতান মাহমুদকে বারবার ভারত আক্রমনে প্রলূব্ধ করেছিল । সুলতান মাহমুদের মধ্যে একটি আদর্শ ছিল । তিনি ডাকাত হলেও বছরান্তে ডাকাতি করতেন । কিন্তু ভারত তো আরও নিকৃষ্ট এরা প্রতি মূহুর্তে বাংলাদেশকে লুট করে চলছে ।



বাংলাদেশকে নিয়ে ভারত যে ভাবে পরিকল্পনা করছে তাতে বাংলাদেশের ভাগ্যে সিকিম অথবা নেপালের পরিনতি হওয়া অসম্ভব কিছু নয় । কাকতালীয় ভাবে সেটা যদি হয়েই বসে তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্যা তিরিশ লক্ষ তাজা প্রাণ এবং দুই লক্ষ মা বোনের সতীত্ত্ব হারানেরা কিইবা মূল্য থাকবে । সুতরা এখনই আমাদের সচেতন হওয়ার সময় । হলে এখনই নয়তো কখনোই নয় । এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলো আমাদের পক্ষে কথা নাও বলতে পারে । সুতরাং সাবধান হওয়ার উত্তম সময় বয়ে চলছে । সামাজিক , অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ভাবে ভারতকে বর্জন করতে হবে । বন্ধুর ছদ্দবেশে যারা জগন্য শত্রুর চেয়ে খারাপ আচারন করে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা নিজের পায়ে নিজেই কুঠার মারার সমান । ভারতকে ত্যাগ করলে সাময়িক অনেকগুলো সমস্যার সম্মূখীন হতে হবে হয়ত তবে আশা করা যায় সে কষ্ট বেশীদিন বয়ে বেড়াতে হবে না ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.