নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামী শরীয়তে কথা বলার ব্যাপারে কতগুলো মানদন্ড স্বয়ং আল্লাহ তা‘য়ালা এবং তার প্রিয় বন্ধু মানবতার মুক্তির দিশারী নির্ধারণ করে দিয়েছেন । কথা বলার মাপকাঠি কেমন হবে সে ব্যাপারে পবিত্র কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা‘য়ালা অনেকগুলো আয়াত এবং আল্লাহর রাসুল (সাঃ) হাদীসে নববীতে অনেকগুলো হাদীস বর্ননা করেছেন । কুরআন মাজীদে সূরা আন-নজমের ৪নং আয়াতে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা বলেন,“(হযরত মুহাম্মদ সাঃ) নিজ প্রবৃত্তি থেকে কোন কথা বলেন না । তিনি যা কিছু বলেন তার সবটাই ঐশী প্রত্যাদেশ” । মানবতার মুক্তির দুত সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল (সাঃ) তার পবিত্র জবানে ঘোষণা করেছেন, “যে চুপ থাকে সে মুক্তি পায়”। এছাড়াও প্রবাদ আছে, “ব্যক্তির কথা তার জ্ঞানের মাপকাঠি” । বেশি কথার বলার অপকারীতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, যিনি বেশি কথা বলেন, তার কথায় ভূল বেশি হয় । সমাজের মানুষের কাছে তার অবস্থান গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে । পরবর্তীতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেও মানুষ সে কথাকে সেভাবে মূল্যায়ণ করে না । যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির উপর মিথ্যা দোষ চাপিয়ে দেয় আর উক্ত ব্যক্তি যদি প্রকৃতপক্ষে দোষী না হয় তবে ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী যিনি অযথা দোষ চাপিয়েছেন, চাপানো সব দোষ দোষ প্রদানকারী ব্যক্তির উপর পতিত হবে । মানবজীবনের এসকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দিকের প্রতি লক্ষ রেখে ইসলামকে মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ সংবিধান বলা বিবেচনা করা হয় ।
অনেকে জ্ঞানীর ভান ধরতে গিয়ে প্রয়োজনের সময়ও কথা বলেন না । এটা আদৌ ঠিক নয় । পরিমিত সব কিছুই উত্তম । তবে ইসলামে চুপ থাকতে শুধু তাদেরকেই বলা হয়েছে যারা উত্তম কথা বলতে পারে না । সমাজে এমন এক শ্রেণীর লোক আছে যারা কোন কথা বললেই সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় । পূর্ব যুগের লোকেরা কথা কম বলত কাজ বেশি করত । যদিও সময় বদলেছে তবুও নীতিকথা ঠিকই আছে । এখনও বলা হয়, কথা কম বলবেন কাজ বেশি করবেন । তবে যিনি এ উপদেশ দেন তিনিও এ উপদেশ পুরোপুরি মেনে চলেন না এমনকি নীতিবাক্যের ধার-কাছ দিয়েও যান না । ঢালাওভাবে সব দেশের মানুষের উপর এ দোষ চাপিয়ে দেয়া উচিত হবে না । বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মানুষেরা কথা কম বলা এবং কাজ বেশি করার নীতি অবলম্বন করলেও ব্যতিক্রম কেবল বাংলাদেশ । বাংলাদেশর মানুষ বরাবরই ব্যতিক্রম । এটা বাঙালীর দোষ না গুন নির্দিষ্ট করে বলার সময় এখনও আসেনি । বাংলাদেশের মানুষ কাজ কম করে কথা বেশি বলে । যার ফলও দেশ পেতে শুরু করেছে । দেশের সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, বৈদেশিকনীতিসহ অনেক নীতিই নড়বড়ে । স্থায়ী ভাবে স্থান করেছে দূর্ণীতি, লুটতরাজ, সন্ত্রাসীকার্যক্রম ।
দোষারোপের রাজনীতি আমরা উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছি । একজনের দোষ অপরের ঘাড়ে চাপাতে আমরা সিদ্ধহস্ত । বিশ্ববাসী এক্ষেত্রে আমাদেরকে উপমা হিসেবে গ্রহন করতে পারে । আমাদের সৃষ্ঠ যতগুলো সমস্যা আছে তার দায়ভার একজনে আরেকজনের ঘাড়ে চাপিয়েই কেবল ক্ষান্ত হই না কখনো কখনো সুযোগ পেলে প্রাকৃতিক সমস্যাও অন্যের উপরে চাপিয়ে দিতে চাই । দেশের রাজনৈতিক বৃহত্তর দু’টো দলের নেতৃত্বে দেশের দু’জন মহীয়সী নারীকে পেয়ে আমরা সত্যিই সৌভাগ্যবান । এরা দেশের জন্য অনেক কল্যান-অকল্যান বয়ে এনেছেন । জাতি তাদের ঋণ কোনদিন পুরোপুরি শোধ দিতে পারবে না । দেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া জনপ্রিয় শাসকদের শীর্ষের দিকে আছেন, থাকবেন । জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলনও তারা । সোনার দেশকে সোনা ফিরিয়ে দেয়ার দায়িত্বও তাদের । তারা দু’জনই দীর্ঘজীবি হোক এবং দেশকে আরো হাজার বছর মায়া-ময়তায় শাসন করুক, কেবল সেটাই চাওয়া উচিত । যারা এটা চাইবে না তারা অকৃতজ্ঞ ।
মানুষ ভূলের উর্ব্ধে নয় । সাম্প্রতিক সময়ে ষাটোর্ধ শেখ হাসিনা তার চেয়ে বায়োজেষ্ঠ্য খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে একটি কৌতুক করেছেন । বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চোধুরী এবং সাবেক দুই বারের প্রধানমন্ত্রী দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বৈঠকে নিয়ে সামান্য মজা করেছেন । শেখ হাসিনা সুরে সুরে বলেছেন, “লাল শাড়ি পড়ে বধু কাকার সঙ্গে” । স্বাভাবিক অবস্থায় এটা অসম্ভব । খালেদা জিয়ার লাল শাড়ি পড়া অসম্ভব নয় তবে প্রধানমন্ত্রী যেটা ইঙ্গিত করেছেন সেটা অবশ্যই অসম্ভব । দেশবাসীও জানে এটা হবার নয় । তবুও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটু মজা করার অধিকার অবশ্যই রাখেন । বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সর্বজন গ্রহনযোগ্য পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন । যেটা বাঙালী জাতির স্বাধীনতা অর্জনের পিছনে ঔষধের মত কাজ করেছিল । যে ভাষণ আজও বাঙালীর রক্তের অনুরণন ঘটায় । সেই দিবসটিকে উদযাপন করতে এসে বঙ্গবন্ধুর তনয়া বাংলাদেশের তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী আরেকটি ঐতিহাসিক ভাষণ দিবেন না সেটা কেমন করে হয় ! প্রধানমন্ত্রীর কথা বাংলাদেশের মানুষ অনেকদিন মনে রাখবে । লাল শাড়ি নিয়ে অনেক কাব্য গদ্যও হবে । বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে যখন দেশে টান টান উত্তেজনা ঠিক সেই মূহুর্তে প্রধানমন্ত্রীর কৌতুক জাতিকে পূর্ণ শীতল করে দিয়েছে । জাতি বিনোদন প্রিয়, জাতির কর্ণধার বিনোদন না দিলে হয় ? শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া উভয়েই অতীতে অনেক কথার খুঁনসুঁটি করেছেন । দেশবাসী তাতে ব্যাপক বিনোদন পেয়েছে । এমন বিনোদন, দেশবাসী যা না পারছে হজম করতে না পারছে উগড়াতে । চালিয়ে যান আমরা সাথে আছি ।
রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।
[email protected]
১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৪৭
সত্যকা বলেছেন: সাথে থাকলে সাহস পাব । আশা করি সাথেই থাকবেন ।
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর । সত্যি কথাই । যদিও যারা রাজনীতি করেন তাদের আবার আতেঁ গা লাগলেও লাগতে পারে।
১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৪৭
সত্যকা বলেছেন: কারো আতেঁ গা লাগলেও কিছু করার নাই । আমার ভাঙ্গা বাঁশি আসি ফুঁকেই যাব ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮
বেলা শেষে বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ কাজ কম করে কথা বেশি বলে । যার ফলও দেশ পেতে শুরু করেছে । দেশের সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, বৈদেশিকনীতিসহ অনেক নীতিই নড়বড়ে । স্থায়ী ভাবে স্থান করেছে দূর্ণীতি, লুটতরাজ, সন্ত্রাসীকার্যক্রম ।
Good writing brother, please write more....