নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙালী একতাবদ্ধ হলে পারে না এমন অসাধ্য কিছু নাই । ২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের ৪২তম বর্ষপূর্তীতে তারা বিশ্বের সর্ব বৃহৎ মানবপতাকা তৈরি করে গিনেস বুক অব এওয়ার্ড তাদের নাম তুলেছিল ( পরবর্তীতে পাকিস্তান সে রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়) । জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এ মানব পতাকা রচনায় অংশ নেয় ২৭ হাজার ১১৭ জন স্বেচ্ছাসেবী । ৬ মিনিট ১৪ সেকেন্ড স্থায়ী এ মানব পতাকা তৈরিতে অংশ নেয় ঢাকার স্থানীয় কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীসহ দেশের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ । একটি অর্জনের উপর দাঁড়িয়ে আরেকটি অর্জনের স্বপ্ন রচিত হয় । বাংলাদেশের মানুষ এবার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষের কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে রেকর্ড করতে চায় । বাঙালী এটাও পারবে । আসছে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৩ তম বার্ষিকীতে লাখো কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে উঠবে । আশা করা হচ্ছে বিশ্বের অন্য কোন দেশ এত সংখ্যক মানুষ একত্রিত করে একসাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের দুঃসাহস করতে পারবে না । লাখে কণ্ঠে গাওয়া বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ( আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি) বিশ্ব রেকর্ড করে আবারও গিনেস বুকে অফ এওয়ার্ডে চিরস্থায়ী ঠাঁই পাবে এটা প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়ের চরম আকুতি । মহান স্বাধীনতা দিবসে এ রকম একটি অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৩ তম বার্ষিকীতে বাঙালী জাতির জন্য একটি পরম পাওয়া হবে ।
মহৎ কিছু অর্জন করতে হলে ত্যাগও করতে হয় সে মাপের । প্যারেড গ্রাউন্ডে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার এ মহৎ উদ্যোগকে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক প্রচারণা । যে কোন অনুষ্ঠানের প্রচারণার মাধ্যম জনশক্তি এবং গণমাধ্যম । জাতীয় সংগীত পরিবেশনের উদ্যোগকে সামনে রেখে গণমাধ্যম আন্তরিকতার পরিচয় দিলেও মনে রাখতে হবে তারা ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠিত করেছে । তাদের এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ব্যবহার করতে হয় প্রচুর লোকবল । এসকল লোকের সাথে তাদের পরিবার জড়িত । তাদের আয়ের উপর নির্ভর করেই তাদের পরিবারকে চলতে হয় । সুতরাং জাতীয় সংগীত বা অন্যকোন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকে তারা স্বেচ্ছাশ্রমে করে দিতে চাইলেও তাদের পরিবারের জীবিকার পাণে চেয়ে সেটা সম্ভব হয় না । তারপরেও ২৬শে মার্চের আয়োজনকে প্রচারকল্পে গণমাধ্যম যথেষ্ট আন্তরিকতার পরিচয় দিয়ে আসছে । তাতে কত টুকু হয় ? অনুষ্ঠানের আয়োজন যখন অর্থাভাবে তার লক্ষ থেকে বিচ্যুত হয়ে মুখ থুবরে পরার উপক্রম তখন আর্থিক সহায়তা নিয়ে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে । তাদের কারো অনুদান ক্ষুদ্র আবার কারোটা বৃহৎ । সামর্থ অনুযায়ী সকলের প্রচেষ্টা অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য । অর্থ সাহায্য নিয়ে যে প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এসেছ তাদের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সবার শীর্ষে । তারা জাতীয় সংগীত পরিবেশনের আয়োজনকে সফল করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিন কোাটি টাকার চেক অনুদান হিসেবে প্রদান করে । দেশের গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসী দেখেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও হাসি মূখে সে টাকার চেক গ্রহন করেছেন । প্রধানমন্ত্রী চেক গ্রহন করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বাঁধে বিপত্তি । দেশের কিছু ব্যক্তি এবং বামপন্থী সংগঠন প্রধানমন্ত্রীর টাকা গ্রহনের তুমুল সমালোচনা করে । তাদের ধারণা, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে এবং বর্তমানে জা’মাআতে ইসলামীর শীর্ষ পদে আছে তারা ইসলামী ব্যাংকের সাথে জড়িত এবং জা’মাআতে ইসলামীকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড আর্থিকভাবে সহায়তা করে । এ ঘটনার পর সরকার মারাত্মকভাবে দো’টানায় পরে আছে । একেক সময় সরকারের পক্ষ থেকে একেক রকম বিবৃতি আসতে থাকে । কখনও বা বলা হয় ইসলামী ব্যাংকে টাকা গ্রহন করা হয় নি, অচিরেই সে টাকা ফেরৎ দেয়া হবে । আবার কখনও বা বলা হয়, ইসলামী ব্যাংকের টাকা গ্রহন করা হয়েছে তবে সেটা জাতীয় সংগীতের আয়োজনে খরচ করা হবে না খরচ করা হবে না । সর্বশেষ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর জানান, ইসলামী ব্যাংকের টাকা গ্রহন করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টাকার চেক তুলে দেয়া এবং প্রধানমন্ত্রী সে টাকা গ্রহন করার দৃশ্য এখনও দেখানো হচ্ছে ।
ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করেন যে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ জা’মাআতে ইসলামীর আর্থিক সাহায্যকারী এবং যুদ্ধপরাধীদের রক্ষা করতে সদা ব্যস্ত । তাদের এ দোষারোপের সত্যতা কতটুকু তা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের গঠনতন্ত্র, তাদের আর্থিক যোগান, তাদের কর্মকান্ড বিশ্লেষণ, বাংলাদেশের উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকের ভূমিকাকে খতিয়ে দেখলে অনেকটা পরিষ্কার হবে । ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে দেশের মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত থাকা এবং জা’মাআতে ইসলামীর সাথে আর্থিক লেনদেনের বিশেষ করে জামাআতে ইসলামীকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার সন্দেহ অনেকদিনের পুরানো । ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালে দন্ড পাওয়া আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদানের পর ৫ই ফেব্রুয়ারী গঠিত হয় আলোচিত গণজাগরণ মঞ্চ । এ মঞ্চ থেকে দাবী করা হয় কাদের মোল্লাসহ প্রত্যেক মানবতাবিরোধী অপরাধীকেই সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে । শাহবাগ অবস্থিত এ গণজাগরণ মঞ্চে অনেকগুলো স্লোগান দেখা হয় । সেখানে একটি উল্লেখযোগ্য স্লোগান ছিল, ‘ইÑতে ইসলামী ব্যাংক তুই রাজাকার তুই রাজাকার’ । গনজাগরণ মঞ্চের এ ধরণের স্লোগানের পর সারা দেশব্যাপী গণজাগরণ মঞ্চের সমর্থকরা ইসলামী ব্যাংকের অনেকগুলো শাখায় ভাংচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেয় । অনেকগুলো এটিএম বুথে হামলা চালিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের কথাও শোনা গেছে । ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে জা’মাআতে ইসলামীকে সাহায্য করার পক্ষান্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সাহায্য করার যে অভিযোগ করা হয়, সে অভিযোগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহনের আগে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা পরবর্তী তাদের কার্যক্রমের বিশ্লেষণ করা জরুরী । ইসলামী শরীয়্হা অনুযায়ী পরিচালিত হওয়ার দীপ্ত শপথ নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৩ ই মার্চ ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয় । ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড একটি যৌথ প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক ব্যাংক যার ৩৬.৯১% স্থানীয় এবং ৬৩.০৯ %বিদেশী বিনোয়োগারদের টাকায় চলে । সেবার উচ্চ মানের কারনে মাত্র ৩২ বছরের মধ্যে ২৮০ টি শাখা ( ২৫০টি শাখা এবং ৩০টি এসএমই/কৃষি শাখা) নিয়ে এ ব্যাংকটি দেশের বেসরকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ ব্যাংকে পরিণত হয়েছে । ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ লিমিটেড এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচেঞ্জ লিমিটেড এর তালিকাভূক্ত কোম্পানী যার অনুমোদিত মূলধন ২০,০০০ মিলিয়ন টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৪,৬৩৬.২৮ মিলিয়ন টাকা । উল্লেখ্য যে, ইসলামী ব্যাংকের ৫% শেয়ার এর মালিক বাংলাদেশ সরকার । বাকি শেয়ার সাধারণ শেয়ার আকারে শেয়ার বাজারে ছেড়ে দেয়া যেগুলোর মালিক সকল ধর্মের মানুষ । এমনকি অনেক নাস্তিকও ইসলামী ব্যাংকের সাধারণ শেয়ারের মালিক হয়েছে । অথচ কোন রাজনৈতিক দলের হাতে ১% শেয়ারও নেই । গ্রামীনফোন এর পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্পোরেট ট্যাক্সপেয়ার হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক । প্রতি বছর কয়েকশো কোটি তারা সরকারকে ট্যাক্স দেয় । যে টাকা দিয়ে সরকার দেশের রাস্তাঘাট, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো উন্নয়ণ করে । এমনকি যারা ইসলামী ব্যাংককে দেশের মানবতাবিরোধীদের সাহায্যকারী হিসেবে উল্লেখ করে মাঠ গরম রাখে তাদের সন্তানও যদি উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে তবে তারাও ইসলামী ব্যাংক পদত্ত ট্যাক্সের টাকায় শিক্ষিত হচ্ছে ।
দেশের নিটওয়্যার সেক্টরে মোট বিনিয়োগের ২৫% ইসলামী ব্যাংক একাই করে । বাকী সব ব্যাংক মিলে ৭৫% ! দেশের মোট এসএমই লোনের ১৭% ইসলামী ব্যাংক একাই দেয় । দেশের মোট রেমিটেন্স এর ২৮% ইসলামী ব্যাংক এর মাধ্যমে আসে । দেশের সব সরকারি, বেসরকারি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর অডিট নজরদারীতে আছে । এই অডিট এর মাধ্যমেই হলমার্ক ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের কেলেংকারী ধরা পড়েছে । অন্য ব্যাংকে একবার অডিট হলে ইসলামী ব্যাংকে তিনবার অডিট হয় । অডিট ফাঁকি দিয়ে ১টি টাকাও কোন রাজনৈতিক দলকে দেয়ার সুযোগ ইসলামী ব্যাংকের নাই । ইসলামী ব্যাংক অনেকগুলো সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে । তার মধ্যে- ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী, কমিউনিটি হাসপাতাল, মনোরম ঃ ইসলামী ব্যাংক নৈপূণ্য ও ফ্যাশন ঘর, সেবা কেন্দ্র, ইসলামী ব্যাংক প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট, ইসলামী ব্যাংক আন্তর্জাতিক স্কুল ও কলেজ, ইসলামী ব্যাক ফিজিওথেরাপী ও পক্ষাঘাত পূনর্বাাসন কেন্দ্র, বাংলাদেশ সংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য ।
ইসলামী ব্যাংকের এতসব উন্নয়ণ কর্মকান্ডের পরেও সম্প্রতি দেশের অন্যতম বৃহৎ বামপন্থী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী উদীচি ঘোষণা করেছে,‘যদি সরকার ইসলামী ব্যাংকের টাকা ফেরৎ না দেয় তবে তারা প্যারেড ময়দানের জাতীয় সংগীত গাইতে যাবে না’ । উদীচির এ ঘোষণায় অনেকেই আশ্চার্য হয়েছে । ২০০৪ সালে যশোরে উদীচির অনুষ্ঠানে জঙ্গি কর্তৃক বোমা হামলার পর এমনিতেই তারা প্রতিশোধের জন্য মূখিয়ে আছে । ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উপর জা’মাআতকে সহযোগীতা করার যে দোষ চাপানো হয়েছে, সেই পথ পরিক্রমায় উদীচিও ইসলামী ব্যাংককে দোষারোপ করে চলছে । কেননা ২০০৪ সালে উদীচির উপর হামলার সময় বিএনপি-জা’মাআত জোট ক্ষমতায় ছিল । উদীচির উপর চালানো হামলার পর তারা দাবী করেছিল, এ হামলার পিছনে ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে । তারা জ’ামাআতে ইসলামীর দিকেও ইশারা করেছিল । যারাই এ ধরনের জঘন্য কাজ করেছে প্রকৃতার্থে তারা ইসলামের মূল শিক্ষা অর্জন করতে পারে নি । কেননা ইসলাম কোন ধরনের হিংসাত্মক কিংবা ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের প্রশ্রয় দেয় না । বোমা হামলার কিছুদিন আগে উদীচি শিল্পী গোষ্ঠীও চুড়ান্তসীমা অতিক্রম করেছিল । সর্বকালেরর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামনব মানবতার মুক্তির দিশারীকে নিয়ে তারা কটুক্তি করেছিল । এমনকি ইসলাম ধর্মকেও তারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছিল ।
বিতর্ক বাড়াতে থাকলে চুনইগাংমের মত বাড়তেই থাকবে । কোন বিতর্কই যেন আসন্ন মহৎ অর্জনকে ব্যর্থ করার অপচেষ্টা করে সফল হতে না পারে সে ব্যাপারে সরকার এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণকে সজাগৃদষ্টি রাখতে হবে । মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার করতে যে সরকার বদ্ধপরিকর তারা ইসলামী ব্যাংক প্রদত্ত টাকার চেক গ্রহন করার সময় মিডিয়ার সামনে ভ্রুকুঞ্চিত করেনি । সরকার যদি মনে করত ইসলামী ব্যাংক প্রকৃতপক্ষেই মানবতাবিরোধী এবং জা’মাআতের আর্থিক সাহায্যদাতা তবে বিনা প্রশ্নে বলা যায় সরকার তাদের টাকা গ্রহন করত না । সরকার উদীচির চেয়ে কয়েকগুনে বেশি জামাআত বিদ্বেষী । মানবতা বিরোধীদের কথা না হয় বাদ দিলাম । আসন্ন সমস্যা সমাধানে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে । কেবল সরকারের মধ্যস্থতায় এ সমস্যার সমাধান সম্ভব । সরকারকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে যেমন উদীচির অনেক সদস্য আছে তেমনি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শুভানুধ্যায়ীর সংখ্যা কম নয় । ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে লিমিটেডের বিরুদ্ধে যদি ভবিষ্যতে জা’মাআতকে অর্থ সহায়তা করার কোন প্রমান পাওয়া যায় তবে তখন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে । কিন্তু যতদিন সেটা না পাওয়া যায় ততদিন ইসলামী ব্যাংকের সকল টাকা দেশের আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সকল সাধারণ গ্রাহকের টাকা । সুতরাং ইসলামী বাংক লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করার জন্য যে টাকাটা স্পন্সর করেছে সেটা ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব টাকা নয় । এ টাকায় যারা মানবতা বিরোধীদের গন্ধ পেয়ে দেশের এক বিশাল অর্জনের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে তারা নিঃসন্দেহ অত্যন্ত গর্হিত কাজ করবে । কাজেই উদীচির মত আরও যারা জা’মাআতের টাকা দিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য নাক সিঁটকাচ্ছেন তারা কোন বিচারেই বুদ্ধিমানের কাজ করছেন না ।
রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।
[email protected]
২১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২২
সত্যকা বলেছেন: আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত নই । তবে যারা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তারাই সমাধান করতে পারে । তবে একথা ঠিক লীগ সমস্যা সৃষ্টি করে বেশি সমাধান করে কম ।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৩
মোঃ সাবিকুল ইসলাম (হৃদয়) বলেছেন: দেশে অনেক প্রতিষ্টান থাকতে রাজাকারের ব্যাংক থেকে কেন ? টাকা নিতে হবে
২১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৩
সত্যকা বলেছেন: সে প্রশ্ন তাদের কাছে কে করবে ? অথচ রাজাকারের ! ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েই ছাড়ল ।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০১
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: কয়েক দিন আগে, একটা টক শোতে দেখলাম, একজন বক্তা বলছেন, ইসলামি ব্যাংক যে জামায়েত ইসলামিকে সহায়তা করে তা সরকারকে প্রমান করতে হবে। এখন এই কথার দুই ধরনের মানে দাঁড়ায়। মানে কোন ধরনের হবে তা নির্ভর করে বক্তার কথা টোন এর উপর।
বক্তার কথার টোন ছিলো এমন যে, ইসলামি ব্যাংক যে জামায়েত ইসলামি নামের সংগঠনকে অর্থায়ন করে তা যে কোনো প্রকারেই হোক সরকারকে প্রমান করতে হবে। তা সত্য হোক আর না হোক। যদিও বক্তাকে বারবার মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছিলো, যে কোনো অডিটেই এই বিষয়টি প্রমানিত নয়।
হাস্যকর আমাদের মিডিয়া, কিছু ভাড়কে আমাদের সামনে উপস্থাপন করছে। একটা জোকার টিমের উপর ভর করে কিভাবে দেশ এগিয়ে যাবে জানিনা।
২১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৫
সত্যকা বলেছেন: দেশের কথিত বুদ্ধিজীবিদের কারনেই দেশের চরম অবস্থা । কিছু ডিজিটাল বাটপার আর জোকার দেশটাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খালেদা ।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ইসলামী ব্যাংক জামাতের ব্যাংক কিনা সেটা আপনি বা আমি কাগজে কলমে কেউ প্রমান করতে পারবো না।
কিন্তু সত্য এক, ইসলামী ব্যাংকে চাকুরী করতে পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই দুজন জামাতী'র রেফারেন্স লাগবে। একটা দলীয় ব্যাংক নয় সে ব্যাংকে কেন দলীয় লোকের রেফারেন্স ছাড়া চাকুরী হবে না !!!
সত্য দুই, ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস কমিটি, শরীয়া কমিটি, ম্যানেজমেন্ট কমিটি কিংবা এডিট কমিটিতে জামাতী লোকদের সমন্বয়ে গঠিত।
নাকি জামাতের লোক ছাড়া কি দেশে আর যোগ্য লোক নাই !!!!!
উদীচী বা আওয়ামী লীগের লোকজন কি বলল না বলল তাতে কিছু যায় আসে না আমার। যারা ইসলামী ব্যাংকে বন্ধের কথা বলছে আমি সেই দলের লোক নই। কেননা এই ব্যাংক জড়িত আছে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর গুরুত্বপুর্ন স্থানে। বাস্তবতার কাছে মাঝে মাঝে আবেগকে বন্দী রাখতে হয়। কিন্তু এমন একটা ইভেন্টে যে ইভেন্টে জড়িত আছে ১৬ কোটি মানুষের আবেগ, জড়িয়ে আছে ৩০ লক্ষ শহী্দ ও ২ লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রমের আত্মত্যাগ, এই অনুদানটা না নিলেও পারতো সরকার। এই অনুদান না নিলেও এই ইভেন্ট সফল করতে সরকার অন্য কোথাও থেকে অনুদান নিতে পারতো। এমন একটা ইভেন্টের স্পসর হওয়ার জন্য হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান সানন্দে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
২১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
সত্যকা বলেছেন: ইসলামী ব্যাংকের আগে কেউ এগিয়ে আসেনি । সত্যিই বলেছেন এ আয়োজনে আমাদের আবেগ অনুভুতিসহ আরও অনেক কিছু জড়িত । আপনি বা আমি জামাআতের বিরুদ্ধে যতটুকু বিদ্বেষ পোষণ করি তার চেযে কয়েকগুন বেশি পোষণ করে সরকার । সরকার যদি মনে করত ইসলামী ব্যাংক জামাআতকে আর্থিক সহাংত করে তাহলে কি ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা নিত । ইসলামী ব্যাংকে চাকরির ব্যাপারের রুলগুলো আমি জানিনা সুতরাং খোঁজ নিচ্ছি । উদীচি যেখানে ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করেছে সেহেতু তাদের সাথে একমঞ্চে উঠা কি মুসলমানদের জন্য উচিত হবে ?
৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
আমিনুর রহমান বলেছেন:
* এডিট > অডিট
২১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০০
সত্যকা বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
দি সুফি বলেছেন: কাগজে-কলমে থাকুক আর নাই থাকুক, ইসলামী ব্যাংক জামাতে ইসলাম কর্তৃক পরিচালিত হয়।
কিন্তু কথা হল, এইসব জাতীয় সঙ্গীত, মানব-পতাকার রেকর্ড গড়ে অপচয় ছাড়া আর কোন উপকারই হচ্ছেনা। এইসব সস্তা আবেগকে দেশপ্রেম কয়না, এইগুলনা লোকদেখানো।
ইন্ডিয়াকে পছন্দ করেন আর নাই করেন, ওদের মত দেশপ্রেমিক পুরো পৃথীবিতে আর পাবেন না। ওদের কি মানুষের অভাব পরছিল? ওরা চাইলেই এইসব রেকর্ড-ফেকর্ড কইরা গিনেসবুক ভরাই ফেলতে পারত।
আর এইসব রেকর্ডের মূল লক্ষ্য হল কিছু (লাখখানেক) আবেগ ভারাক্রান্ত লোকের সস্তা আবেগকে পূজি করে ব্যাবসা করা।
২১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
সত্যকা বলেছেন: কি জানি ভাই বুদ্ধিজীবিদের মাথা থেকে তো আর হালকা কিছু বের হয় না । ইসলামী ব্যাংক যেহেতু জামাআত ইসলাম দ্বারা পরিচালিত হয় সুতরাং অনতিবিলম্বে এ ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধের দাবি উত্থাপণ করা উচিত । কি বলেন ????????
৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২০
দি সুফি বলেছেন: জামাতে ইসলাম চালায় বলেই ইসলামী ব্যাংক বন্ধ করে দিতে হবে - এমন চিন্তার মানুষ আমি না। মানুষের ভালোটাকে গ্রহন করতে পারা উচিত। ইসলামী ব্যাংক দেশের অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য। এটাকে বন্ধ করার প্রশ্নই আসে না। আর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের মাধ্যমে গরিব এবং মধ্যবিত্তের যে পরিমান উপকার হচ্ছে এতে করে ইসলামী ব্যাংক ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
সত্যকা বলেছেন: দুই পক্ষে তো আর থাকা যাবে না । হয় ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ নিতে হবে নয়তো উদীচির । আপনি কোন পথে যাবেন ?
৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৩
দি সুফি বলেছেন: আমি কারো পক্ষে নাই।
অন আ সেকেন্ড থট্, আমি এইসব রেকর্ড-ফেকর্ডেরই বিপক্ষে।
২২ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০১
সত্যকা বলেছেন: ওকে ভাই । তাহলে আপনাকে আমর কিছু বলার নাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:০৮
হাসিব০৭ বলেছেন: লীগ শুধু সমস্যা তৈরি করতেই পারে সমাধান করতে আর পারে না