নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত জুন মাসের ১২ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিলের সাও পাওলো ভেনুত্যে গড়িয়েছিল ৩২ দলের অংশগ্রহনে ২০তম বিশ্বকাপ ফুটবল আসরের প্রথম ম্যাচ। সময়ের তালে তাল মিলিয়ে এ মহাযজ্ঞের মাত্র দু’ইটি ম্যাচের পিছনে দাঁড়িয়ে আছি। এর মধ্যে একটি স্বপ্নের ফাইনাল অন্যটি নিয়ম রক্ষার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের তেমন গুরুত্ব না থাকায় ১২ ই জুলাইর ও ম্যাচটি নিয়ে তেমন আলোচনা সমালোচনাও হচ্ছে না । তবে ২০তম বিশ্বকাপের ১৩ই জুলাই রাত ১টায় অনুষ্ঠিতব্য ৬৪তম ম্যাচটিকে ঘিরে যত উত্তেজনা বিরাজমান। এটা যে ফাইনাল ম্যাচ ! স্বাগতিক ব্রাজিলকে এক প্রকার পাঁড়ার ফুটবল দলে নামিয়ে আনা ফুটবল বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি জার্মানীর সাথে ফাইনালে মুখোমূখি হবে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা আলোচিত তারকা লিউনেল মেসির আর্জেন্টিনা । ফাইনালে যে দুই দল মুখোমূখি হবে তাদের মধ্যে জার্মানিকেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে অনেকে এগিয়ে রাখছেন । কেননা পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক ব্রাজিলকে ৭-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে তারা বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফাইনালে উঠেছে । ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেমিফাইনাল ম্যাচে কোন দল এত বিশাল পার্থক্যে জয়ী হয়ে ফাইনালে উঠতে পারে নি । জার্মানী বনাম ব্রাজিলের মধ্যকার অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধের (২৩-২৯ মিনিট) মাত্র ৬মিনিটের ব্যবধানে জার্মানী ব্রাজিলের জালে ৪ বার বল জড়িয়েছে । এটাও বিশ্ব রেকর্ড । ফুটবল বিশেষজ্ঞদের অনেকে ধারনা করেছিলেন, বিশ্বকাপের ২০তম আসরে স্বাগতিক ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল । তাদের কথিত সে ভবিষ্যতবানীকে জার্মানীর আক্রমনভাগ বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে জার্মানী তাদের নতুন শক্তির জানান দিল । জার্মানী আবারও প্রমান করল ফুটবল মাঠের খেলা কোন ভবিষ্যতবাণী এখানে কার্যকর নয় । জার্মানীর অন্যতম স্টাইকার মিরোস্লাভা ক্লোসা ব্রাজিলের বিপক্ষে এক গোল করার মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে ব্যক্তিগত সরোচ্চ গোল দাতার মালিক হল । ৩৬ বছর বয়সী এ তারকা খেলোয়ার ব্রাজিলের রোনাল্দোর গড়া ব্যক্তিগত ১৫ গোলের রেকর্ড ভেঙ্গে ১৬ গোল নিয়ে এককভাবে শীর্ষে অবস্থান করছে । অন্যদিকে ভিনগ্রহের তারকা খ্যাত বিশ্ব ফুটবলের জাদুকর লিউনেল মেসির আর্জেন্টিনা গতবারের রানার্সআপ নেদারল্যান্ডকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রায় দুইযুগ পর ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে । খেলার কৌশলে জার্মানীর চেয়ে আর্জেন্টিনাকে কিছুটা মলিন মনে হলেও মেসির জাদুতে যদি তৃতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট আর্জেন্টিনার মাথায় ওঠে তবে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না । বিশ্বকাপের দু’ই পরাশক্তির মোকাবেলায় ভবিষ্যতবানী করা সত্যিকারার্থেই কঠিন তবে মাঠের লড়াইয়ে জার্মানী কিছুটা এগিয়ে আছে বলে মনে হয় । শুধু এই বিশ্বকাপেই নয় বরং বিশ্বকাপের ১৯তম আসরে এই জার্মানীর বিরুদ্ধে ০-৪ গোলে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনাকে ছিটকে পড়তে হয়েছিল । আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষার পালা শেষে প্রমানসহ বলা যাবে কে হবে ফুটবলের নতুন পরাশক্তি। আর্জেন্টিনা না জার্মানী ?
প্রতিটি বিশ্বকাপের ন্যায় এবাবের আসরেও অনেক ঘটনা-দূর্ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছে বিশ্বের শত কোটি ফুটবল দর্শক । ২০তম আসরের শুরু থেকেই অনেক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে । খেলোয়ারেরা যেমনিভাবে একে অপরের সাথে কথার পিঠে কথা সাজিয়ে পাল্লা দিয়েছেন তেমনি দর্শকরাও কম যাননি । মাঠের চেয়ে গ্যালারিতে কিংবা টিভি সেটের সামনেও কম খেল হয়নি । মাঠের রোমাঞ্চ বিশ্বের প্রতিটি দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে । ফুটবল বিশ্বকাপের ২০তম আসরের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল প্রযুক্তির ব্যবহার । তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় ছিল যে, মানুষের মেধাকে পুঁজি করে প্রযুক্তি যত উৎকর্ষতা সাধন করেছে মানুষকে তত অসহায় মনে হয়েছে । এবারের বিশ্বকাপ আসরে রেফারীরা ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন । তারা এমন কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যা অন্ধের সিদ্ধান্তকেও হার মানিয়েছে । এতকিছুর পরেও ফুটবলের জয় হয়েছে । মাঠের লড়াইয়ে কয়েকজন ফুটবলার এমন কিছু অসৌজন্যমূলক আচরন করেছে যা ফুটবলের সাথে একেবারেই বেমানান । বিশেষ করে উরুগুয়ে ফুটবল দলের প্রধান তারকা খেলোয়ার লুইস সুয়ারেজ তার প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়ারের কাঁধে কামড় বসিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন । এর শাস্তি হিসেবে ফিফা তাকে ৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে বহিষ্কার করেছে । সুয়ারেজের এ অ-খেলোয়ার সূলভ আচরণ অনেকেই মানতে পারেননি । এমনকি তার ভক্ত সমর্থকরাও তাকে ধুয়োধ্বনি দিয়েছেন। তাকে মানসিক চিকিৎসা দেয়ার দাবী উঠেছে। ব্রাজিল যাকে ঘিরে বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল সেই তারকা খেলোয়ার নেইমারকে কোয়ার্টার ফাইনালে চিলির এক খেলোয়ার বল হেট করার ছুতোয় হাঁটু দিয়ে এমনভাবে আঘাত করেছে যাতে নেইমার কেবল বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়েন নি বরং তার মেরুদন্ডের হারেও চিড় ধরেছে । নেইমার আঘাত পাওয়াার পর ব্রাজিল ভক্তদের হৃদয় চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে গিয়েছে । জার্মানীর বিপক্ষে ব্রাজিলের হারের অন্যতম কারন হিসেবে নেইমারের অনুপস্থিতিকে ধরা হচ্ছে অথচ নেইমার ব্রাজিলের রক্ষণভাবে খেলেন না ! তবে নেইমার দলে না থাকায় ব্রাজিলের অন্যান্য খেলোয়ারেরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই । প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই হাতাহাতি এবং তর্কাতর্কি তো ছিলই । বিশ্বকাপ ফুটবলের এবারের আসরে সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ছিল ম্যাচে হারার পর খেলোয়ারদের চোখের জল । নক আউট পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত যে চোদ্দটি দল বিদায় নিয়েছে তাদের কান্না দেখলে চিরশত্রুর চোখেও পানি চলে আসে । ফাইনালে আরও কান্না দেখতে হবে । কারও খুশির কান্না আবার কারো সুযোগ হারানোয় দুঃখের কান্না । তবে খুশির কান্নার চেয়ে বোধ হয় দুঃখের কান্নাই বেশি হৃদয় স্পর্শ করে । কিছু কিছু দল বিশ্বফুটবলে তাদের নতুন শক্তির জানান দিয়েছে । গ্রুপ পর্ব, নক আউট পর্ব, কোয়ার্টার ফাইনাল কিংবা সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েও তারা দেশের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছে । কয়েকটি দল দেশে ফিরে যাওয়ার পর রাজকীয় সংবর্ধণা পেয়েছে । মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের দলগুলো রমজানের রোজা রেখে ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহন করে মুসলমানদের ভালোবাসা পেয়েছে । ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরেও তারা দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেছে, রোজা তাদের খেলায় কোন প্রভাব ফেলেনি । ধর্মের প্রতি তাদের এ অগাধ ভালোবাসা তাদেরকে ইতিহাসে স্থান পাইয়ে দেবে । বিশ্বকাপ শুরুর আগ থেকেই ব্রাজিলের একটি গোষ্ঠী বিশ্বকাপ বিরোধীতায় রাস্তায় রাস্তায় অন্দোলন করছে । স্থানীয় পুলিশের সাথে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে । তাদের দাবী, ব্রাজিল সরকার তাদের অধিকার হরণ করে রাষ্ট্রের অর্থ ফুটবল স্টেডিয়ামের পিছনে ব্যয় করেছে । এবারের ব্রাজিল বিশ্বকাপ নিয়ে ফিফার কিছু কর্মকর্তা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। বিশেষ করে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকেট বিক্রির দায়িত্বরত প্রধান কর্মকর্তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে । তার বিপক্ষে উত্থাপিত অভিযোগ হল, তিনি বিভিন্ন ম্যাচের টিকিট কালোবজারীদের কাছে বিক্রি করেছেন । এছাড়াও এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলে পতিতাদের রমরমা ব্যবসা হয়েছে । শিশু থেকে শুরু করে পঞ্চাশোর্ধ নারী পর্যন্ত এ ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে । বিশ্বকাপ উপলক্ষে ১৫ লাখ যৌনকর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বলে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই এ ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষ তথ্য দিয়েছিল । নানা ঘটনা-দূর্ঘটনার সাথে ব্রাজিলে অবস্থানরত বাংলাদেশের এক তরুনের গুলির আঘাতে রহস্যজনক মৃত্যুও বিশ্বকাপ ইতিহাসের সাথে স্মরণীয় হয়ে রইল । এছ্ড়া প্রিয় দল হেরে যাওয়ার পর আত্মহত্যা কিংবা আত্মহত্যার প্রচেষ্টা ছিল উল্লেখযোগ্য । প্রিয়দল হেরে যাওয়ার পর গ্যালারিতে দর্শকদের কান্নার রোল তো আছেই। বিশ্বকাপের সাথে মেতে উঠেছিল বিশ্বের নামী-দামী সব জুয়ারীরা । প্রত্যেকটি ম্যাচকে ঘিরেই হাজার হাজার কোটি ডলারের জুয়ার আসর বসে ছিল বিশ্বের আনাচে কানাচের জুয়ার আড্ডাখানায় । তবে এবারের ফুটবল আসরে সবেচেয়ে আলোচিত ছিল কালো জাঁদুর ছড়াছড়ি । ফুটবল বিশ্বের অন্যতম তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ঘানার এক জাদুকর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে এক রেডিও সাক্ষাতকারে বলেছিল, রোনাল্ডোর পর্তুগাল এবারের আসরে কিছুই করতে পারবে না । অন্যদিকে জার্মানির বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ব্রাজিল মাঠে নামার আগে ব্রাজিলের এক কালোজাদুকর ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি জার্মানীর খেলোয়ারদেরকে তার জাঁদুর মায়ায় বেঁধে রাখবেন । তবে খেলা শেষে ফলাফল দেখেলে বোকাও বলবে ব্রাজিলের ও জাদুকরের কথা বোগাস ছিল । অন্যদিকে প্রথমপর্বে পর্তুগাল ছিটকে পরার পর অনেকেই ধারণা করছেন ঘানার জাদুকরের প্রভাবেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবারের বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারেননি ।
বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের মানুষের চেয়ে বাঙালীর আবেগ একধাপ বেশি । তাইতো বাঙালীকে বলা হয় ‘হুজুগে বাঙালী’ । কোন কারন ছাড়াই এরা যেমন নাচতে জানে তেমনি নাচাতেও জানে । বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বাঙালীর উচ্ছ্বাসের সীমা ছিল না । প্রিয় দলের পতাকা টানানো, তাদের সাপোর্ট দেয়া এবং খেলার আগে বা পড়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের তোপ তো আছেই । দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে বিশ্বকাপের ছোঁয়া ছিল চোখের পড়ার মত । শত শত গজ কাপড় দিয়ে তৈরি লম্বা লম্বা পতাকা দেখে মনে হতো এ যেন এক নতুন দেশ । ব্রাজিল. আর্জেন্টিনা, জার্মানী, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশের পতাকা ছিল চোখে পড়ার মত । আবাল বৃদ্ধ-ভনিতা থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষ ফুটবল ম্যানিয়ায় কমবেশি আক্রান্ত হয়েছে । প্রিয় দলের সাপোর্ট প্রশ্নে বাপ-বেটা কিংবা মা-বেটির মধ্যে দ্বন্ধ লেগেছে । বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলো কত বাহারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তার ইয়াত্তা নাই । বাংলাদেশ বিশ্ব-ফুটবলের অংশগ্রহন করার সুযোগ না পেলেও ব্রাজিল ফুটবল দলের জার্সিতে লেখা ছিল ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ । ব্রাজিল দলের জার্সিগুলো বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় তৈরি হয়েছে এর চেয়ে গর্বের আর কী হতে পারে ? বাংলাদেশের ফুটবল দল ব্রাজিলের মাঠে খেলার সুযোগ না পেলেও ব্রাজিলে বাংলাদেশের হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে দেশের সম্ভাবনাময়ী তৈরি পোশাক । দেশের রাস্তাঘাটে কিশোর-কিশোরী, তরুন-তরুনীদের বিভিন্ন দেশের জার্সিতে দেখে মনে হয়েছে আমরাও শীঘ্রই বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছি । বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে কতগুলো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে । বিভিন্ন দলের পতাকা ওড়াতে গিয়ে বিদ্যুতপিষ্ট হয়ে কয়েকজন তরুন মারা গেছে । যা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয় যায় না । এছাড়াও দলের সমর্থন নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে । তবে আশার কথা অন্যান্য ঘটনার মত বিশ্বকাপ ফুটবলকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে দেখা যায়নি । বরং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য থাকলেও প্রিয় দলের সমর্থন প্রশ্নে তারা ছিলেন একমূখী । সর্বোপরি বলা যায়, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের ২০তম আসরটিতে বন্ধুত্ব, সৌহার্দ্য এবং ফুটবলের জয় হয়েছে । আগামী রবিবারের ফাইনালেও যেন ফুটবলের জয় হয় সে প্রতীক্ষায় দেশবাসী প্রহর গুনছে । জার্মানী কিংবা আর্জেন্টিনা যেই বিজয়ের মুকুট পড়ুক আমরা যেন পারস্পারিক ঐক্যমত্যতায় জয়-পরাজয় মেনে নিতে পারি এবং কোনরুপ অনাকাঙ্খিত ঘটনা যেন সৃষ্টি না হয় । জার্মানী কিংবা আর্জোন্টিনার সাথে আমাদের কৃত্রিম সম্পর্ক । এ সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে আমরা যেন রক্ত, বৈবাহিক কিংবা কাল্পনিক সম্পর্ককে অমর্যাদা না করি । একটি উপভোগ্য ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় ।
রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।
[email protected]
©somewhere in net ltd.