নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু আহমেদ । এক গ্রাম্য বালক । অনেকটা বোকা প্রকৃতির । দুঃখ ছুঁয়ে দেখতে পারি নি ,তবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুভব করেছি । সবাইকে প্রচন্ড ভালবাসি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারি না । বাবা এবং মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী ।

সত্যকা

সত্যকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করুণ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতনা যদি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হত । শেখ মুজিবুর রহমানও জাতীয় নেতা হতে পারত না যদি আওয়ামীলীগ নামের একটি রাজনৈতিক দল না থাকত । বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি অর্জনে আওয়ামীলীগেরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে । আওয়ামীলীগ ছাড়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস কল্পনাই করা যায়না । গণমানুষের হৃদয়ে বিশাল অংশ জুড়ে আওয়ামীলীগের অবস্থান যুগ-যুগান্তর জুড়ে । জাতীয় আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলনে যে রাজনৈতিক দলটি স্বাধীনতার পর দীর্ঘ কয়েকবছর একছত্রভাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে সেটিও আওয়ামীলীগ । পাকিস্তান আমলে বাঙালীদের পক্ষে স্বার্থ আদায়ের সংগ্রামে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের চরম অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে । তবুও দেশের স্বার্থ রক্ষায় তারা পিছপা হয়নি । যে নেতার হাত ধরে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেই তাকেও স্বাধীনতার মাত্র ৪ বছরের মাথায় জীবন দিতে হয়েছে । তবুও আওয়ামীলীগ ভেঙ্গে পড়েনি বরং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তারা দলগতভাবে কান্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে । স্বাধীনতার প্রায় ৮ বছর পর মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হওয়ার পরেও আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা সে অর্থে কমেনি । যদিও আওয়ামীলীগের একছত্র জনপ্রিয়তায় বিএনপি ভাগ বসিয়েছে তবে আওয়ামীলীগের এককভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আরোহনের ক্ষমতা ছিল । তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধ ও সাংগঠিনক দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘ এক দশক দেশে স্বৈরসাশন প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল যা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবেই চিহ্নিত থাকবে ।

৯০’দশকের শুরুর দিকে আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ সকল গণতান্ত্রিক দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনে দেশ স্বৈরশাসনের গ্লানি থেকে মুক্তি পেয়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় । এরপর পালাক্রমে বিএনপি পূর্ণ মেয়াদে দু’বার এবং ২১ দিনের মেয়াদে একবারসহ মোট তিনবার এবং আওয়ামীলীগও পূর্ণমেয়াদে দু’বার এবং বর্তমান মেয়াদসহ মোট তিনবার সরকার গঠন করে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ণে ভূমিকা রাখে । কাদের শাসনামলে দেশের উন্নতি বেশি হয়েছে তা কাগজ কলমের চেয়ে জনগণের ভোটেই স্পষ্টত ফুটে উঠেছে । যেহেতু প্রত্যেক দল তিনবার করে ক্ষমতায় বসার সুযোগ পেয়েছে তাই দেশের কল্যানকামীতায় একটি দলের চেয়ে অন্য দলটি খুব বেশি এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে ছিল তা বলার সুযোগ রাখেনি । তবুও দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামীলীগের কাছে প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল । রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দেশের বৃহত্তর দু’টো দল সমান প্রশংসার দাবিদার হলেও কিছু ছোট-বড় সাধারণ ও মারাত্মক ভূলের কারণে জনগণ ভোটের মাধ্যমে তা ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে । ’৯৬ নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হওয়া এবং তিন সপ্তাহ ক্ষমতায় থেকে জনতার রোষানেলে পড়ে বিদায় নেয়া এবং ’১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন ছাড়া বাকি চারটি (’৯১,’৯৬’০১ ও ০৮) সালের নির্বাচন নিয়ে উল্লেখযোগ্য বিতর্ক হয়নি । রাজনীতিকদের সিদ্ধান্ত ভূলের উর্ধ্বে নয় । তবুও তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করেন দলীয় পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের মঙ্গল সাধন করতে । আওয়ামীলীগের জন্ম লগ্ন থেকে বর্তমান পর‌্যন্ত তারা সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় ব্রতী ছিল বলেই ইতিহাস স্বাক্ষ্য দিচ্ছে তবুও তাদের কিছু সিদ্ধান্ত যে বিতর্কের উর্ধ্বে ছিলনা তা বলার সাধ্য নাই । সর্বশেষ ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন বেশ গুরুত্বসহকারেই দেশে ও দেশের বাইরে বিতর্কিত নির্বাচন বলে সমালোচিত হয়েছে । মানুষের সকল সিদ্ধান্ত সঠিক হবে এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারেনা তবে ভূলকে ভূল বলে উপলব্ধি করার পরেও যদি সেটাকে সঠিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে যুক্তি দেয়া হয় তখন সেটাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহন করতে মানুষের বিবেক সায় দিতে পারেনা । একটি জাতীয় নির্বাচনের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে । বিজয়ীরা যেভাবে ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত হয়ে ক্ষমতার স্বাদ পায় তেমনি সাধারণ নাগরিকরাও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আত্মিক তৃপ্তি লাভ করে । বর্তমান ক্ষমতাশীনদের ক্ষেত্রে তার কিছুটা ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়েছে । ১০ম জাতীয় নির্বাচনের পর শাসকরা ক্ষমতায় বসেছে ঠিকই তবে রাষ্ট্রের ৩’শ সংসদীয় আসনের ১৫৩টির শতভাগ এবং ১৪৭ টি আসনের ৬০ ভাগ ভোটার তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে । ১৫৩’আসনে যেহেতু নির্বাচন দরকার হয়নি এবং ১৪৭ আসনের ৬০ ভাগ ভোটরার নিরাপত্তাহীনতা কিংবা অন্যকোন কারণে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেনি তাই তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক । ভোটাধিকার বঞ্চিত ভোটারদের মধ্যে সবাই সরকার বিরোধীপক্ষের সমর্থক ছিল এটা বলার কোন যুক্তি নাই তবুও পাঁচ বছর অন্তর যে ভোট প্রদানের সুযোগ আসে তা নিজ হাতে সম্পূর্ণ করার তৃপ্তিই আলাদা । বিশেষত যারা জীবনের প্রথম ভোটাধিকারের সুযোগ পেয়েছিল তারা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভের মাত্রা তাদেরই বেশি । আওয়ামী বিরোধীপক্ষের মধ্যে বিএনপিজোটসহ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত পোষণ করে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি তাই তারা সরকার পতনের সুযোগ পেতে সব সময় ওঁৎ পেতে আছে । ভোটারদের ক্ষোভকে পুঁজি এবং গণতন্ত্রের চর্চাকারীদের আশ্বাসে তারা নির্বাচনের ঠিক এক বছর পরেই সরকার পতনে কিংবা শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য টানা অবরোধ এবং খন্ডকালীন হরতাল পালন করে দেশ কার‌্যত অচল করে দিয়েছে । লড়াই বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ সমর্থকদের মধ্যে বাঁধলেও বেঘোরে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের । রাষ্ট্রীয় ও মালিকানাধীন হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ শুধু নষ্ট হচ্ছে না বরং দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে । গণমানুষের নিরাপত্তা নাই বললেও অতিরঞ্জিত করা হবে না । দিনমজুর শ্রেণীর না খেয়ে মরার দশা । শিশু থেকে ‍বৃদ্ধ কেউ বাদ যাচ্ছেনা পেট্রোল বোমার লক্ষ্য থেকে । এভাবে আর কতদিন ?

ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জীবনের গুরুত্বপূর্ন এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । পাবলিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন শ্রেণী ও বর্ষের পরীক্ষা তো থাকছেই । এপ্রিলে শুরু হতে যাচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা । কিভাবে নিরাপত্তা পাবে লাখ লাখ পরীক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীরা ? শিক্ষার্থীদের চেয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা আরও বেশি । পরীক্ষার পূর্ব মূহুর্তের প্রস্তুতিও ঠিক মত শিক্ষার্থীরা গ্রহন করতে পারছেনা । শিক্ষার্থীরা ভয়ে ভয়ে পরীক্ষা দিলে তাতে সন্তোষজনক ফলাফল প্রাপ্তির সম্ভাবনা ক্ষীন । জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় যদি শিক্ষার্থী নিরপত্তাহীনতায় পরীক্ষা দিয়ে খারাপ ফলাফল করে তবে বর্তমান রাজনীতিকদের কি কোনদিন এরা ক্ষমা করবে ? রাজনীতিকদের এ পাল্টাপাল্টি অবস্থান থেকে প্রজন্মকে কি বার্তা দেয়া হচ্ছে ? রাজনীতির এ অসনি সংকেত আজ অথবা কাল হয়ত মিটে যাবে কিন্তু যে ক্ষত সৃষ্টি হবে তা কি কোনদিন পূরণ করা যাবে ? যাদের স্বার্থে রাজনীতি করা হয় সেই তাদের স্বার্থ যদি রক্ষা না পায় তাবে রাজনীতি ও রাজনীতিকের স্বার্থকতা কোথায় ? আওয়ামীলীগ থেকে দাবী করা হচ্ছে, তারা ক্ষমতায় না থাকলে জনগণের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে । দ্বিমতা পোষণ করি না, তবে যাদের কল্যানের চেষ্টায় বিতর্কিতভাবে থাকা হচ্ছে সেই তারা আওয়ামীলীগকে কতটা চাচ্ছে সেটা গভীরভাবে ভেবে দেখা হয়েছে কি ? যেভাবে শাসন চলছে এভাবে ৫ বছর কেন পরবর্তী ১৫ বছর থাকাও অসাধ্য নয় তবে তার পরের পরিণতি দূরদর্শী হয়ে অনুমান করা বুদ্ধিমানের কাজ । ছোটবেলা থেকেই বিশ্বাস করি, আওয়ামীলীগ গণমানুষের স্বার্থে রাজনীতি করে সুতরাং সে বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে আওয়ামীলীগের কোন ক্ষতি হবে না ঠিক কিন্তু নিজেকে কিভাবে প্রবোধ দেব ?

যতদূর মনে পড়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর আলোচনা সাপেক্ষে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন দিবেন । সেটা যে নির্বাচনের দু’বছর পরই দিতে হবে তা নয় । তবে আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া জরুরী । টানা অবরোধ ডাকার পর বিরোধীদলকে দমনের জন্য নানামূখী পরিকল্পনা গ্রহন করা যাবে এবং তার সফলতাও পাওয়া যেতে পারে তবে সেটা স্থায়ী সমাধান নয় । বর্তমানে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে বিরোধীপক্ষের সাথে সরকারের আলোচনা বহি অন্য কোন পরিকল্পনা ইতিবাচক ফল দেবে না বরং রাজনীতিতে ভিন্ন গতিপথ সৃষ্টি হবে । যে পথ ক্ষমতার পালাবদলে সব সময় সরকার বিরোধীপক্ষের জন্য আঘাত স্বরুপ ব্যবহৃত হবে । দেশবাসীর দাবীকে রাজনৈতিক দলগুলো আমলে না নিলেও ইইউসহ বিশ্বের অনেকগুলো দেশ বাংলাদেশের দু’টি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আশা করছে । বিএনপির কথাবর্তায় মনে হয় তারাও সরাসরি সরকারের পতন চায়না বরং আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান চায় যা মধ্যবর্তী নির্বাচনের অবস্থা সৃষ্টি করবে । সে নির্বাচন যে নিকট ভবিষ্যতে হতে হবে এমনটাও নয় বরং আড়াই কিংবা তিন অথবা দু’দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সময় নির্ধারিত হতে পারে । এটা নিশ্চিত যে, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরাসনে সংলাপ এবং মধ্যবর্তী নির্বাচন একমাত্র পন্থা । এক্ষেত্রে নমনীয় কারা হবে এবং কাদেরকে মূল দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে সেটা গণতন্ত্রের সংজ্ঞা থেকে নির্ধারণ করতে হবে । বলতে দ্বিধা নাই, ’১৪ এর ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগের এবং ’১৫ এর ৫ জানুয়ারী টানা অবরোধ ডাকার পর বিএনপির জনপ্রিয়তায় ভাঁটি লেগেছে । আলোচনার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে আওয়ামীলীগের এমন কতগুলো কাজ করা উচিত যাতে তাদের হারানো জনপ্রিয়তা ফিরে আসে এবং স্বভাবতই বিএনপি বিপক্ষদল হিসেবে তাদের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে চাইবে । জনগণকে শান্তিতে রাখার নাম করে, কেউ মানুষ পোড়াবে আর কেউ মানুষ পোড়ানোর উপলক্ষ্য তৈরি করে দিবে সেটা মেনে নেয়া কষ্টকর । খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা যদি দাবি করে থাকেন, আপনাদের দল গণমানুষের কল্যানে রাজনীতি করে তবে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য চেষ্টা করুণ । নিজেরা সমাধানে ব্যর্থ হলে জনতার সমাধাণ আপনাদের পক্ষে যাবে বলে মনে হয় না । সাধারণ মানুষ আপনাদের স্বার্থ ততক্ষন দেখবে যতক্ষন সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবেন । বর্তমানে যেভাবে নিরাপত্তাহীনতায় কাটছে এটা স্থায়ী কোন সমাধান নয়; হতে পারে না ।

রাজু আহমেদ । কলামিষ্ট ।
[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

প্রািন্ত বলেছেন: সেই দিনের সেই আওয়ামীলীগ আর এই আওয়ামীলীগের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দলটি নেতৃত্ব দিয়েছে। যা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এমনকি রাজাকার জামাত ও পারবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, দলটি এ পর্যন্ত যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই তারা জনগণের সাথে তামাশা করেছে। অনেক বারই তারা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত ভাবে কুক্ষিগত করতে অপচেষ্টা করেছে। যার পরিনাম শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত ভয়াবহ অবস্থায় গিয়েছে। আর প্রতিবারই তারা ক্ষমতায় এসে অন্যদল গুলোর জন্য ভবিষ্যতের নেতিবাচক কর্মকান্ড করার নজির সৃষ্টি করে যান। এই ধরুন- ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন। যেটা আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনার কাছে মানুষ মোটেই প্রত্যাশা করেনি। সংবিধানের দোহাই দিয়ে তিনি যে নির্বাচন মানুষকে উপহার দিয়েছেন, তা আওয়ামীলীগের জন্য অত্যন্ত কুখ্যাতি বয়ে এনেছে। তারা আদৌ মানেন কিনা যে, মানুষের জন্য সংবিধান, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। আমি যদি একজন বিবেকবান মানুষকে জিজ্ঞাসা করি- বিএনপি যদি এমন একটি নির্বাচন করে ৫% ভোট নিয়ে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতো, তাহলে আওয়ামীলীগ কি করতো? বিশ্বাস করুন আর নাই করুন বাঘা বাঘা আওয়ামীলীগ নেতারাও মাথা নিচু করতে বাধ্য। তবুও বলিষ্ঠ চাপা থাকার কারণে আওয়ামীলীগ ঘোলকে দই বলে চালিয়ে দিতে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর ইনুরা তো রয়েছেন সেই দই সামান্য বিট লবন দিতে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

সত্যকা বলেছেন: তর্ক করলে এটা বিস্তৃত হতেই থাকবে কিন্তু সমাধান আসবে না । দেশবাসী চায় সমাধান হোক । ধন্যবাদ ও সতত শুভ কামনা জানবেন ।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

ডিজ৪০৩ বলেছেন: আপনার মন্তব্য আর মেজর আক্তারুযামান এর মন্তব্যর মধ্য কোন পার্থক্য নাই , তাই নিজেকে আগে প্রশ্ন করুণ কে দেশের জন্য কতটুকু করেছে ?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

সত্যকা বলেছেন: কি জানি ভাই !!! ভালো থাকবেন ভাইয়া ।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

নিয়ন আলোয় সন্ধ্যা বলেছেন: আওয়ামী লিগ একটা সন্ত্রাসী সংগঠন এটা যে স্বীকার করে না সেই হাম্বা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২১

সত্যকা বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত নই । শুভ কামনা ও ধন্যবাদ জানবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.