![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হাসতে পছন্দ করি হাসাতে পছন্দ করি। খুব সাধারন একজন মানুষ কোন বিশেষত্ব নেই এটাই আমার পরিচয়।
আজ খুব প্রত্যাশিত ম্যাচ আমাদের জন্য। সেই এমসিসিতে কোয়ার্টার ফাইনালের বিতর্কিত আম্পায়ারদের দুজন আজকেও আছে!! তারপরেও আজ জয় পরাজয় নিয়ে কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে না।
আজ খুব মন খারাপ বলবো না। কিন্তু একজন প্রাক্তন ভিক্টোরিয়ান হিসেবে ভাল থাকতে পারছি না। ২০১৬ সালে এসে একজন ভিক্টোরিয়ান এভাবে চলে যাবে! আসলে চলে যাবে বলা কি ঠিক? চলে যেতে হয়েছে। আমরা সবাই অনিরাপদ এই দেশে কিন্তু একজন মানুষ ১৯ বছর বয়সে নিজের বাসার কাছে (কোথায় তা বড় কথা না, ক্যান্টনমেন্ট হোক আর গহীন জংগল একই কথা) এভাবে অত্যাচারিত হবে মেনে নিতে পারছিনা। একজন মানুষ বিশেষ করে পুরুষ হিসেবে ভিষন লজ্জিত আর অপমানিত বোধ করছি। আমরা ১০ কোটি পুরুষ মিলেও তোমাকে বা তোমাদের বাঁচাতে পারলাম না! গুটি কয়েকজন পুরুষ!! মিলে আমাদের ১০ কোটি পুরুষকে এভাবে অপরাধী করে যাচ্ছে অথচ আমরা কিছুই করতে পারছিনা?
আমরা যদিও জানি আমাদের দেশে এই বিচার ব্যবস্থা এতই ধীরগতির আর দুর্বল যে কি হবে কবে হবে বলা অসম্ভব। একজন নারী ধর্ষিত হয়ে বেচে থাকলে তাকে আরো বহুবার ধর্ষিত হতে হয় আদালতে, সমাজে তার বাকী জীবনে। সব পুরুষরা মজা নেয় সেদিনের কাহিনী শুনে আর কল্পনা করে!! তা সে আদালতেই হোক আর আদালতের বাহিরে। আজ তনু মরে গিয়ে অন্তত বারবার অপমানের হাত থেকে বেচে গেছে। আর আমাদের মতো পুরুষ! রা মিস করলো একটা রগরগে গল্প শোনার হাত থেকে? আর কত তনু আমাদের গল্পের নায়িকা! হবে, হতেই থাকবে??
তনু তুমি আমাদের ক্ষমা করোনা, আমরা ক্ষমার যোগ্য না। আমরা অপরাধী হিসেবেই বেচে থাকবো, বেচে থাকতেই হবে। শুধু পারলে নিজেকে ক্ষমা করো, এদেশেই জন্মেছো বলে। এ দেশ তোমার জন্য না, তুমি ক্ষণজন্মা হয়েই এসেছিলে এই সুন্দর দেশে অসুন্দর মানুষদের মাঝে।
আমরা ওল্ড ভিক্টোরিয়ান হিসেবে আজ একসাথে প্রতিবাদ জানাই আর জানাই ঘৃনা এবং আশা করছি বিচার হবে এই ছোট্ট বোনের খুনের খুব তাড়াতাড়ি। সরকার দ্রুত এবং সঠিক বিচার করে শান্তি দিবে তনু সহ সকল তনুদের অত্যাচারীদের।
#JusticeforTonu
তনুর ছবি দিয়ে আর ওদের পরিবার কে কষ্ট দিতে ইচ্ছে করলো না, তাই প্রতীকী ছবি।
২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬
রাকিব সামছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০২
এ,রহিম বলেছেন: বাবু বলতে পার কি ? ধর্ষণের সেন্সুরী করে মিষ্টি বিতরন কারী ছেলেটা কোন মাদরাসার হুজুর বা ছাত্র ছিল ? বলতে তোমার লজ্জা লাগবে তাই না, আর এখন তুমি মৌলবাদের গন্ধ খুজার চেষ্টা করবা। তবে এই কথা সত্যি যদি তখন ধর্ষণের সেন্সুরী করে মিষ্টি বিতরন কারী ঐই নর পিচাষ কে বিচারের আওতায় এনে ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী ( পাথর নিক্ষেপে অথবা কতল করে ) শাস্তি দেওয়া হত আর পত্রিকা ও মিড়িয়া গুলো যদি সঠিকভাবে প্রচার করত ( আল্লাহর কসম করে বলছি )..... তাহলে আজ তনুদের এই অবস্হা হতনা। আরব বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখুন সেখানে বছরে কয়টা ধর্ষণ আর হত্যা হয় ? বাংলাদেশে ১ দিনে যতগুলা হত্যা আর ধর্ষণ হয় পুরা আরব বিশ্বে ১ বছরে ও ততগুলা ধর্ষণ আর হত্যা হয় না। এটার নাম শরীয়া , এটার নাম ইসলাম ... যা মানুষের বানানো আইন দিয়ে হয় না । কোরআনুল কারীম এর আইন দিয়ে হয়... যা সকল ধর্মের সকল মানুষের জন্য সমান।
তবে এতটুকু শুনুন হত্যা আর ধর্ষণ পাপের দিক থেকে অনেক বড় পাপ..... তনু হয়তো চলে গল.... কিন্তু যারা এই ধর্ষণ আর নির্মম হত্যা কান্ড ঘটালো তাদের কি হবে বাবু ? যেদিন আল্লাহর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। সেদিন তো কোন নেতা নেত্রির সুপারিশ চলবে না।