নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজনীতির খলীফা

রাকিবুল হাসান ২০১০

আপনাদের খেদমতে আমি আছি ।

রাকিবুল হাসান ২০১০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নবিহীন জীবনের গল্প

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

জীবন অনেক বড় ।জীবনের চেয়ে নাকি ভালবাসা অনেক বড় ।আমার তো মনে হয় ভালোবাসার চেয়ে আরো বেশি বড় স্বপ্ন।স্বপ্ন নিয়েই আমি বেচে আছি ।কিন্তু আমি জানি আমার স্বপ্ন সত্যি হবার নয়।তবু আমি স্বপ্ন দেখি বোকার মত।



আমার স্বপ্ন সত্যি হবার কথা ছিল ।কিন্তু সময়ের নিষ্ঠুর আঘাতে আমাকে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে ।আমি সবার মত জীবন পাইনি ।তবু আল্লহকে আমাকে যেমন গড়েছে আমি তাতেই হাজার শুকরিয়া জানাই ।



আমাকে দেখলে অনেকেই অবাক হয় ।দূর থেকে যারা আমাকে চেনে না বা জানে না তারা যখন আমাকে দেখে বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে ।আমি একটা ঘটনা বলি ।আমি একটি পত্রিকায় কাজ করি ।একদিন পত্রিকার একজন এডিটর বলল ,কি ব্যাপার আপনি কেমন লোক ? আপনার বিল জমে থাকে অফিসে আপনি কখনো নিতে আসেন না ,ঘটনা কি ? আমি বললাম ,বিল কোন তহবিলে দিয়ে দেন ।আমার বিল দরকার নেই ।আমি আসতে পারব না ।তিনি কয়েকমাস যাবত আমাকে বিল নিয়ে যাবার কথা বলছিলেন ।আসলে তিনি আমাকে দেখতে চেয়েছিলেন-আমার ধারনা ।কিন্তু আমি তো আড়ালেই থাকতে চাই ।আমি আমার কাজ দিয়েই পরিচিত হতেএ চাই,নিজেকে চেনাতে চাই না ।তাও এডিটর নাছোড়বান্দা বলল, না আপনার বিল আপনাকে নিয়ে যেতে হবে ।এডিটর বুঝতে পারছিল আমি নিজেকে আড়ালেই রাখি ।বাধ্য হয়ে আমি বললাম,আমি আগে আপনাদের ফান ম্যাগাজিনের লেখক ছিলাম ।সেখানকার এডিটরের কাছে জেনে নেবেন ঘটনা ।তারপর ঘটনা জেনে এডিটর যেন আকাশ থেকে পড়ল ।হয়ত তিনি কল্পনায়ও কল্পনা এই নিয়েই আমি বেচে আছি,এভাবেই বেচে আছি ।ইচ্ছে করলে আমি আসতে পারতাম অফিসে ।কিন্ত আমি চাইনি আমাকে দেখে আপনি দু:খ পান ।



তারপর আমাকে সান্তনা দিতে বললেন,আপনি অনেক পজিটিভ একটা ছেলে ।আপনি এভাবে বলবেন না ।আমরা আপনার কাজ দিয়েই আপনাকে চিনি ।অন্য কিছু জানতে চাই না ।



তবু তো তিনি সান্তনা দিলেন ।







কারন আমার জীবনে সান্তনা পাওয়াটাও ভাগ্যের ব্যাপার ।আমি যখন এসএসসি এক্সাম দেবো তার আগের ঘটনা বলি ।ক্লাসের একজন টিচার ছিল আমার ।আমাকে খুব অবহেলা করত ।মানে চরম অবহেলা ।জানি না তার সাথে আমার কোন শত্রুতা ছিল কি না ।সে টিচার সারা স্কুলে বলে বেড়ালো,এই ছেলে জীবনেও এসএসসি পাস করতে পারবে না ।কারন আমি ক্লাসে রেগুলার যেতে পারতাম না ।আমি ক্লসের কার হেলপ পেতাম না ।আমাকে কেউ সাজেশন দিয়েও হেলপ করেনি ।আমি বাসায় নিজে নিজেই পড়তাম।আমার একজন প্রাইভেট টিউটর ছিল শুধু ।সে শুধু ইংরেজী পড়াতো।বাকি সব সাবজেক্ট আমি একাই পড়তাম ।এটা কিন্তু আমি একটুও বাড়িয়ে বলিনি ।কারন আমি ছোটবেলা থেকে একা একা পড়েই অভ্যাস করেছি ।অংক,ইংরেজীতে কখন আটকে গেলে আমার ভাইয়েরা দেখিয়ে দিত ঠিকই ।তবে তাদের সাথে সেভাবে টিচারের মত পড়া হয়নি ।



আমার যিনি ইংরেজী টিচার ছিলেন তিনি অত্যন্ত ভাল মানুষ ।তার মত মানুষ আমি কমই দেখেছি ।পড়াশোনার বাইরেও তিনি আমাকে এত হেলপ করেছেন যে আমি বলে বোঝাতে পারব না ।আমি জীবনে এই একজনই টিচার পেয়েছি যিনি আমাকে কোনদিন অবহেলা করেননি ।এখনও তিনি প্রায়ই বিভিন্ন ছুতায় আমার সাথে দেখা করতে দূর থেকে ছুটে আসেন ।







যাহোক আমি আল্লাহ রহমতে কিন্তু ফেল করিনি এসএসসিতে।আমি কোন আহামরি ছাত্র না ।কিন্তু জীবনে কখন ফেল করব না – এই চিন্তা আমার মাথায় থাকে সবসময়।এখনো আমি নিজে নিজেই ঘষামাজা পড়ি ।যা রেজাল্ট হয় তাতেই আমি খুশী ।আমি জানি আমাকে একা একাই নিজেকে নিজেই হেলপ করা শিখতে হবে ।আমি তাই করি ।



তবে ভাগ্যের কাছে আমি অনেক ফেল করেছি ।আমার জীবন অনেক সুন্দর হতে পারত আজ।আমিও সবার মত সুন্দর স্বপ্ন দেখতে পারতাম কেন তা হল না ,আমি বলব আস্তে আস্তে।আমার ফেসবুকে কয়েকজন বন্ধু আছে ।তারা সবাই আমাকে এখন জানে ।তবে অনেকেই আমার জীবনের কথাগুলো বিশ্বাস করেনি- আমার ধারনা ।বিশ্বাস না করলেই ভাল ।কারন তারা যা ভেবেছে বাস্তবতার তার চেয়েও অনেক কঠিন ।কতজন জীবন নিয়ে দু:খ নিয়ে কত কথা বলে ।আমি শুনে শুধুই হাসি ।কারন প্রকৃত দু:খ যে কি তা অনেকেই জানে না।অনেকেই জানে না জীবন কত কঠিন হতে পারে । আমি জানি ।



আমার বলতে দ্বিধা নেই আমি অনেকের চেয়ে কঠিন পরীক্ষা দিয়ে জীবনকে উপভোগ করি ।কিছু মানুষ আছে যাদের সাথে আমার দেখা হলে আমি বলব ,দেখো এখানে জীবনে আনন্দ নেই ,তবু আমি বিশ্বাসের জোরে জীবনকে উপভোগ করি,তবে তুমি কেন পার না ?



আমি বলবো আমার জীবনের স্বপ্নগুলো কেন ধূসর হয়ে গেছে ।এখনো আমি কাউকে বলিনি আমার স্বপ্নবিহীন জীবনের গল্প ।



আমার বন্ধুরা আমাকে যেভাবে চেনে বাস্তবে আমি কিন্তু সেরকম না।তাদের কাছে আমি অনেক প্রানখোলা মানুষ,কিন্তু বাস্তবে নিভৃতচারী পুরোপুরি ।আমার লেখা পড়ে অনেকের মন খারাপ হবে হয়ত।



কিন্তু সত্যকে তো অস্বীকার করা যায় না ।



জীবনের সত্যিকার জলছবিতে মন খারাপটাই বেশী থাকে ।আমার জীবনের জলছবি অনেকটাই ধূসর হয়ে গেছে ২০০৬ সালে ।





কৃতজ্ঞতা : নীলকণ্ঠ ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.