নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://www.somewhereinblog.net/blog/kauser_pranjal/category/17287

এগিয়ে যেতে চাই নিজের চেস্টায় এবং যিনি সৃষ্টি করেছেন কারও করুনায় নয়

আথাকরা

আমার জীবন বৈচিত্রময় ! জীবনের প্রতিটা পদে পদে বাধা পেয়েছি কিন্তু এসব বাধা গুলো খুব সফল ভাবেই উত্তিণ্ণ হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।

আথাকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাসের এখনই সময়:বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে অংশগ্রহণকারী প্যানেল বক্তা ও দর্শক-শ্রোতারা

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে অংশগ্রহণকারী প্যানেল বক্তা ও দর্শক-শ্রোতারা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার বা তুলে দেওয়ার এখনই সময়। বর্তমানে কোটা ব্যবস্থার অনেক ক্ষেত্রে অপব্যবহার হচ্ছে।



শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমীর মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে তারা এ কথা বলেন।



বিবিসির সংবাদদাতা আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচক ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ‘উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা’র (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার।



এক বক্তা জানতে চান, বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস বা সংস্কারের সময় কি এসেছে?



এর জবাবে ফরিদা আখতার বলেন, “কোটা বৈষম্য তৈরি করছে। আন্দোলনকারীদের দাবি যৌক্তিক।” তবে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখার পক্ষে মত দেন তিনি।



ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “অব্যশই এই কোটার পুনর্বিন্যাস দরকার। মেধাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিতে হবে। দেশে ৫৬ ভাগ কোটার প্রচলন আছে। কিন্তু, এগুলোর বিপরীতে প্রার্থী নেই। তাই, পদগুলো শূন্য থেকে যাচ্ছে। এগুলো মেধা দিয়ে পূরণ করা উচিত।”



খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “সার্বিকভাবে কোটা পুনর্বিন্যাস করার সুযোগ এসেছে। মেধাকে বিবেচনা করেই সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।”



কোটাবিরোধী আন্দোলন সরকার বিরোধী আন্দোলন কিনা, একজন দর্শক-শ্রোতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মোটেও না। এটাকে আমরা সরকারবিরোধী আন্দোলন ভাবছি না। তবে আন্দোলনের নামে যে ভাঙচুর করা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি।”



বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “কোটা কমিয়ে আনা বা পুনর্বিন্যাস করার সময় এখনই।”



আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোটা প্রস্তুতি পুনর্বিন্যাস করা হবে।”



জেলা ও নারী কোটাও পুনর্বিন্যাস করার কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আন্দোলনকারীদের ওপর সরকার দলীয় ও পুলিশের আচরণের নিন্দা জানান।



রাজনৈতিক দলগুলোকে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত করে যে রিপোর্ট প্রকাশ করে টিআইবি, তা কি উদ্দেশ্যমূলক, সৈয়দা সীমা করিমের এমন প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “টিআইবির অবশ্যই উদ্দেশ্য আছে। তবে তা বাংলাদেশের জনগণ দেশকে যেভাবে দেখতে চায়, টিআইবি রিপোর্ট সেই উদ্দেশ্যেই। মূল রিপোর্ট ভিন্নখাতে উপস্থাপিত হয়নি। বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক দলগুলোকে সংশোধন করতেই এই রিপোর্ট।”



খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে অবশ্যই অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে। যেমন- ওয়ান-ইলেভেনে বিশ্বব্যাংক তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চেয়েছিল। এবারও এ ধরনের কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাই, দলীয়ভাবে অভিজ্ঞতার আলোকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।”



ড. মোশাররফ বলেন, “টিআইবি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তা নিয়ে জনসম্পৃক্ততা আছে কিনা, সে প্রশ্ন থাকে। এবার যেহেতু টিআইবির রিপোর্টে রাজনৈতিক দলের বিষয়টি প্রথমে এসেছে, তাই, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”



তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলের নাম না এসে যদি রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম আসতো, তাহলে বিষয়টি আরো পরিস্কার হতো।”



তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, টিআইবির রিপোর্টে রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে বোঝানো হয়েছে। কারণ, বিরোধীদল দুর্নীতি করবে, তা ঠিক নয়।”



ফরিদা আখতার বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোতে দুর্নীতি অবশ্যই আছে। প্রকৃত রাজনীতিবিদদের নমিনেশন না দিয়ে টাকার বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের নমিনেশন দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে রাজনৈতিক দলগুলোতে দুর্নীতি বাড়ছে।”



এ ছাড়া সংলাপে পোশাক খাতের নিরাপত্তা বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

রাসেল মাহদুদ বলেছেন: এটা কি বাংলা নিউজ আপনার থেকে কপি করেছে নাকি আপনি বাংলা নিউজের টা কপি করেছেন সেটা লেখার কোন এক জায়গায় পরিস্কার করে দিলে ভালো হতো না? কারণ সামুতে প্রতিটি লেখার শেষে একটি সতর্কবানী দেয়া থাকে

"বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর... "

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫০

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সরকারের দুর্নীতির কথা তুলে মুখে ফেনা তোলে আমাদের মধ্যবিত্ত সুশীল সমাজ। অথচ মধ্যবিত্ত এই সুশীলদের মানসিকতা আসলে ফকিরনির পুতদের মতোই। দরিদ্রদের মানসিকতা এদের থেকে হাজার গুণ উত্তম।

মধ্যবিত্তরাই বিসিএস কেরানী হয়ে ঘুষ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ নিতে মড়িয়া হয়ে উঠে। দরিদ্ররা নয়। মধ্যবিত্ত শিক্ষিতদের উচিত ছিল সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা। কিন্তু সার্টিফিকেট ধারী শিক্ষিত (মূলত অশিক্ষিত) চুদির ভাইরা সমাজ পরিবর্তন তো দূরের কথা, সমাজের সুবিধা নেওয়ার জন্য মড়িয়া হয়ে উঠেছে। আর যেসব মধ্যবিত্ত বিসিএসে আবেদন করেননি তাদের কেও এই আন্দোলনের পক্ষে এবং কেও বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সব শালার মানসিকতা ফকিরনিরপুতদেরই মতো। সে জেনারেল কোটাই হোক আর অন্য কোটাই হোক। আমাদের মনে রাখতে হবে মধ্যবিত্ত এই আচুদা শ্রেণীই বিসিএস কেরানী হয়ে সমাজটাকে লাটে উঠিয়েছে। ফালতু যতসব।

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ফালতু মানসিকতা এবং তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে আমি একটি গদ্য রচনা করেছি। যারা পড়েননি পড়ার আহবান জানাই
ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড
Click This Link

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১১

মাঝ রাতে স্বপ্ন দেখি বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ৫% কোটা রাখা যেতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.