![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার জীবন বৈচিত্রময় ! জীবনের প্রতিটা পদে পদে বাধা পেয়েছি কিন্তু এসব বাধা গুলো খুব সফল ভাবেই উত্তিণ্ণ হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।
স্বপ্নঘরের ওয়েটিং রুমে
March 31, 2013 at 9:14am
এক্সপেরিয়েন্স বলে, ভাইভাতে ভালো করার অন্ততঃ একশো’ টেকনিক আছে যেগুলোর একটাও কাজ করে না৷ তাই, এই লেখা পড়ে কিছু হবে না, এটা মাথায় রেখে হোয়াই-সো-সিরিয়াস টাইপ মুড নিয়ে লেখাটা পড়তে পারেন৷ সিভিল সার্ভিসের অন্দরমহল থেকে আমি আপনাদের স্বপ্নে-দেখা জীবনটাতে বাঁচতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি৷
আই কনট্যাক্ট রাখুন৷ অন্য দিকে তাকিয়ে কথা বলা কোনো কাজের কথা না৷
নার্ভাসনেস থাকবে না, এটা হয় না৷ থাকবেই৷ ওটা কাটানোর কিছুটা দায়িত্ব সিচুয়েশনের উপরে ছেড়ে দিন৷
আপনি কী বলছেন তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি সেটা কীভাবে বলছেন এবং কী লুকাচ্ছেন, কীভাবে লুকাচ্ছেন৷ ইউফেমিজম্ শিখুন৷
প্রিপারেশন থেকে প্রিপেয়ার্ডনেস বেশি জরুরী৷
আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয় কিংবা আপনাকে আপনার মতো থাকতে দেয় না, এমন কিছু শুনবেন না, করবেন না৷
মাঝে মাঝে স্মার্টনেস না দেখানোই স্মার্টনেস৷
যাঁরা বোঝেন না, তাঁরাই বলেন বেশি৷ বাড়িয়েও বলেন৷ তাঁদের পরামর্শ এড়িয়ে চলুন৷ ভুল বোঝার চেয়ে না বোঝা ভালো৷
এই ক’দিনে নিজেকে বদলাতে যাবেন না৷ পারবেনও না৷ সেই পুরোনো ‘আমি’টাকেই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন৷
ইংরেজিতে কনভারসেশন প্র্যাক্টিস করুন৷ তবে এমন করো সাথে নয়, যে শুধু ভুলই ধরিয়ে দেয়৷
সিভিল সার্ভিস, আপনার সাবজেক্ট, ক্যাডারের ফার্স্ট আর সেকেন্ড চয়েস সম্পর্কে ফেয়ার আইডিয়া রাখুন৷
যা সঞ্চয় করবেন, তার চেয়ে বেশি কাজে লাগবে যা সঞ্চয়ে আছে৷
কী কী পড়বেন সেটা ঠিক করা থেকে বেশি জরুরী কী কী বাদ দিয়ে পড়বেন সেটা ঠিক করা৷
এক্জামের ৭-৮ দিন আগে থেকে পেপারে নিয়মিত চোখ রাখুন৷ অন্ততঃ ৪-৫ টায়৷
কী জানেন না, সেটা নিয়ে অত ভাববেন না৷ হয়তো আপনাকে ওটা জিজ্ঞেসই করা হবে না৷
চেহারায় একটা ডাউন-টু-আর্থ ভাব ফুটিয়ে তুলুন, যাতে আপনাকে বকা দিতেই কষ্ট লাগে৷
নিজেকে উৎসাহী শ্রোতা হিসেবে দেখান৷ ভাইভা বোর্ডে বেশি সময় রাখলেই বেশি মার্কস পাবেন, এই ধারণাটা বোধ হয় ভুল৷ আমি ছিলাম ৪-৫ মিনিট৷
মাথায় রাখুন, শতভাগ শিখেছি ভেবে তার ষাটভাগ ভুলে গিয়ে বাকী চল্লিশভাগকে ঠিকমতো কাজে লাগানোই আর্ট৷
পজিটিভ অ্যাটিচিউড, মেন্টাল ম্যাচিউরিটি, রেডি উইট, থট ক্ল্যারিটি, ডিসেন্ট অ্যাপিয়ারেন্স, এটিকেট, কমনসেন্স, কুল টেম্পেরামেন্ট এই ব্যাপারগুলো দেখা হয়৷
যাঁরা বিসিএস নিয়ে থাকেন, তাঁরা দুই টাইপের হ’য়ে ওঠেন৷ বিসিএস বিশেষজ্ঞ৷ বিসিএস ক্যাডার৷ ক্যাডার হোন৷ বুদ্ধিমানরা তর্ক করেন, প্রতিভাবানরা এগিয়ে যান৷ সাফল্য কখনোই ডিজার্ভ করা যায় না, তাকে আর্ন করতে হয়৷ জীবন আমাদের কোথায় নিয়ে যায়, আমরা তা কখনো জানতেই পারি না।আপনাদের এই গানহীন অন্ধকার দিনগুলো নিয়ে একদিন গান হবে৷ সেদিন, এই লেখাটা পড়েছিলেন, ব্যাপারটাকেই মনে হবে স্রেফ ছেলেমানুষি৷
সুশান্ত পাল
[email protected]
©somewhere in net ltd.