![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার জীবন বৈচিত্রময় ! জীবনের প্রতিটা পদে পদে বাধা পেয়েছি কিন্তু এসব বাধা গুলো খুব সফল ভাবেই উত্তিণ্ণ হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।
অনেকেই ইংরেজী-বাংলা রাইটিং স্কিল নিয়ে পরামর্শ চাচ্ছেন। রচনা লিখে দিতেও বলছেন কেউ কেউ। ভাইরে, আমার পক্ষে কি সেই সময় ম্যানেজ করা সম্ভব? যাই হোক, শর্ট রচনার ফরমেট আমি “ব্যাংক জবঃ লিখিত পরীক্ষা – অব্যয় অনিন্দ্য’র প্লান”- এই শিরোনামে আগেই লিখেছি, এই গ্রুপেও দিয়েছি। কেউ সেটা মিস করলে আমার প্রোফাইলে এখনও লেখাটা আছে। তো এখানে আমি ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং নিয়ে দু’একটা পরামর্শ আর উদাহরণ দিলাম।
.
ইংরেজী প্রবন্ধ/আর্টিকেলঃ
শুরু আর শেষ করার জন্য সুন্দর বাক্য লিখতে যারা সমস্যা মনে করেন, তাঁরা ইন্টারমিডিয়েটের ইংরেজী বোর্ডের বইটা দেখতে পারেন। এটাতে অনেক সুন্দর সুন্দর বাক্যের ফরমেট ব্যবহার করা আছে। এমনকি কিছু চ্যাপ্টার আছে যেগুলোর সাথে অনেক রচনার টপিকও মিলে যায়। যাই হোক, টপিক মিলাতে হবে না। শুধু যে কোন ৩/৪ টা চাপ্টার মানে ৫-৬ পৃষ্টা পড়লেই দেখবেন, কিছু সুন্দর বাক্য আছে, যেগুলোর মত বাক্য আপনি রচনার শুরুতে আর শেষে দিতে পারেন। তো সেই রকম ১০টা বাক্য লিখে ফেলুন। এরপর যে কোন একটা রচনার জন্য ওই রকম বাক্য বানানোর চেষ্টা করবেন। দেখবেন উন্নতি চোখে পড়বে। সাথে কয়েকটা ভাল ভোকাবিউলারি মিশিয়ে দিলেই শুরু আর শেষটা ভাল হয়ে যাবে। আর রচনার মাঝে তথ্য, ডেটা, কোটেশান দেবার কথা তো আগের লেখায়ই বলেছি।
.
বাংলা প্রবন্ধ রচনাঃ
একইভাবে বাংলাতেও শুরু আর শেষটা আমি সাহিত্যিক ভাষায় লিখতে বলি, আর মাঝে ডেটা, তথ্য, কোটেশান। এজন্য অনেকে হয়তো মজা করেই ইনবক্সে বলেছে, আমাকে একটু সূচনা লিখে দিতে ...। বেশ মজা পেয়েছি। এখন আমি কোন বিষয়ে লিখে দেব? আর দু’একটা বিষয়ে লিখে দিলে বা সেটা মনে রেখে কী হবে? যেটা করতে হবে, সেটা হল – আপনি নিজে কিছু ভাল সাহিত্যিক গদ্য পড়ুন। যদিও আমাদের দৈনিক পত্রিকাগুলোর সাহিত্য পাতার মান যাচ্ছেতাই, তবুও ওর মধ্যে দু একটা আর্টিকেল (কোন সাহিত্যিকের সমালোচনা মূলক আর্টিকেল হলে ভাল হয়) পড়ে ফেলুন। সমালোচনামূলক লেখায় সাধারণত ভাল ভাষা ব্যবহার করা হয়। তো ওই রকম দুই একটা আর্টিকেল পড়ে ১৫-২০ টা সাহিত্যিক বাক্য খাতায় লিখে ফেলুন। সেগুলকে ফলো করলেও উন্নতি হবেই। এছাড়া হুমায়ুন আজাদের লেখার স্টাইলও ফলো করতে পারেন।
.
এখন আমাকে যারা লিখে দিতে বলেছেন, তাঁদের নিয়ে এখানে মজা করেছি, ডোল্ট মাইন্ড – হাসি হার্টের জন্য ভাল । তো সেইসব প্রিয় ভাই-বোনদের জন্য অব্যয় অনিন্দ্যের একটা সাম্প্রতিক লেখার শুরুর অংশটা এখানে দিচ্ছি। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত মাসিক 'বই' পত্রিকার জন্য ন্যাশনাল লাইব্রেরী অফ অস্ট্রেলিয়া নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখে দিতে কবি অসীম সাহা অনেক দিন থেকেই অনুরোধ করছিলেন। ওনারা পত্রিকাটার প্রতি সংখ্যায় বিদেশের লাইব্রেরী নিয়ে একটা লেখা ছাপেন। তো এই সেপ্টেম্বর সংখ্যার জন্য লেখাটা দিয়েছিলাম। শিরোনাম করেছিলাম - “অস্ট্রেলীয় জাতীয় গ্রন্থাগার : মনীষার উঠানে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের মিথস্ক্রিয়া।” আর শুরুটা ছিল এমন -
“অস্ট্রেলিয়া দেশটার বেড়ে ওঠার আঙ্গিকটা পৃথিবীর অন্য উন্নত দেশগুলির সাথে ঠিক একসূত্রে যায় না। প্রকৃতি, প্রাণীকূল সবকিছু ঘিরে যেমন বৈচিত্রের বিচরণ, তেমনি উন্নতির পথে হাঁটতে গিয়েও স্বতন্ত্র রাস্তাটাই ধরেছিল দক্ষিণ গোলার্ধের এই বিশাল ভূখণ্ড। ব্রিটিশরা যাদেরকে নিজ ভূখণ্ডের জন্য আশংকার কারণ ভেবে করেছিল নির্বাসিত, সেই দাগী আসামীরাই গড়ে তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই নির্বাসিত দস্যুরাই প্রমাণ করেছে - মানুষের শাশ্বত পথ মঙ্গলের দিকেই। আর সুন্দরের দিকে এই যাত্রায় দুটি ডানা সমান্তরালে উড়েছে – একটিতে ভেসেছে অর্থনীতি অন্যটিতে হেসে উঠেছে সংস্কৃতি। এই স্বতন্ত্র যাত্রার ইতিহাসকে ধারন করে কালের খেয়ায় তুলে দিতে ভীষণ প্রয়োজন ছিল একটি জ্ঞানশালার, একটি মনীষার উঠানের। অস্ট্রেলীয়বাসী এই উঠানের নাম দিয়েছে - ন্যাশনাল লাইব্রেরী অফ অস্ট্রেলিয়া – অস্ট্রেলীয় জাতীয় গ্রন্থাগার।” -- ---------অব্যয় অনিন্দ্য।
.
এখানে আমি যেটা করেছি – একটু আলাদা ভাষায় কিছুটা গল্পের আঙ্গিকে শুরু করেছি। বড় রচনা (বিসিএস বা অন্য কোন পরীক্ষা যেখানে অনেক লেখার সুযোগ আছে) এভাবে শুরু করলেও মনে হয় বাংলার শিক্ষকরা খুশিই হবেন। তবে যার যার লেখার ধরণ আলাদা হয়। তাই আপনি আপনার পছন্দমত সাহিত্যিক ভাষা ব্যবহার করুন।
.
তবে ব্যাংকের পরীক্ষায় যেখানে অল্প জায়গায় লিখতে হয়, সেখানে শুরু আর শেষটা সুন্দর ভাষায় কিন্তু ২/৩ টা বাক্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন।
.....................
// অব্যয় অনিন্দ্য //
©somewhere in net ltd.