নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://www.somewhereinblog.net/blog/kauser_pranjal/category/17287

এগিয়ে যেতে চাই নিজের চেস্টায় এবং যিনি সৃষ্টি করেছেন কারও করুনায় নয়

আথাকরা

আমার জীবন বৈচিত্রময় ! জীবনের প্রতিটা পদে পদে বাধা পেয়েছি কিন্তু এসব বাধা গুলো খুব সফল ভাবেই উত্তিণ্ণ হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।

আথাকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

৩৫তম বিসিএস প্রস্তুতি নিয়ে কিছু কথা

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

সুপ্রিয় মেম্বারবৃন্দ



শুরুর কথা!



বাংলাদেশের ১ নং সার্ভিস হচ্ছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(বিসিএস)। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রি বেগম ইসমত আরা সাদেক এর তথ্য অনুযায়ী ৩৫তম বিসিএস এর মাধ্যমে খুব শিগগির ই বিভিন্ন ক্যাডারে ১৭৪৯ জন এর মত প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগ এর প্রজ্ঞাপন দিতে যাচ্ছে সরকার। নিঃসন্দেহে এটা চাকরি প্রার্থীদের জন্য একটা বিশাল সুযোগ বিশেষ করে যাদের বিসিএস ক্যাডার হওয়া একটা বিশাল লক্ষ্য। তার আগে বলে রাখা প্রয়োজন যে ৩৫ তম বিসিএস থেকে প্রিলিমিনারি বা বাছাই পরীক্ষা ২০০ মার্কস এর হতে যাচ্ছে! সুতরাং পরীক্ষার্থীরা একটু চিন্তায় ই থাকবেন যে নতুন এই নিয়মের প্রশ্ন কেমন হবে, কিভাবে প্রস্তুতি নেব। আজকের এই লেখাটি মুলত তাই নিয়ে।



‘ন’ চিন্তা ‘ডু’ লেখাপড়া!



একটা অসাধারণ প্রস্তুতি আপনাকে পৌঁছে দিবে আপনাকে আপনার অভীষ্ট লক্ষে। আপনি হয়ে যাবেন ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস এর একজন গর্বিত সদস্য। আপনি হবেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট, একজন এ এস পি, একজন শিক্ষক ইত্যাদি! আর তাই এখনই অস্বাভাবিক সকল চিন্তাকে (কোটা, রাজনীতি, দুর্বল সিজিপিএ ইত্যাদি) পিছনে ফেলে এখন থেকে ই প্রস্তুতির জন্য ঝাপিয়ে পড়তে হবে। আপাতত আপনি ভুলে জান অস্বাভাবিক কোটা এর কথা, আপনার দুর্বল সিজিপিএ এর কথা। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছেন এইটা ও আপনাকে ভুলে যেতে হবে! শুধু জানুন যে আপনাকে নতুন ভাবে শুরু করতে হবে।



জিরো থেকে হিরো!



আপনি যখন একদম শুন্য (সবার ক্ষেত্রে না ও হতে পারে) থেকে শুরু করতে যাচ্ছেন তখন মনে করবেন যে আপনি জিরো থেকে হিরো হতে যাচ্ছেন! বিশেষ করে যে সকল পরীক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা প্রথমবারের মত ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে ত বিষয়টা জিরো থেকে হিরো হবার মতই! নতুনদের অনেকের মাঝে একটা ধারণা বদ্ধমূল আছে যে প্রথমবার বিসিএস দিলে নাকি ক্যাডার পাওয়া যায় না! এই ধারণাটি সম্পূর্ণ অমুলক। বরং প্রথমবার এর ক্যাডার হবার সুযোগ থাকে বেশি বলেই আমার মনে হয়েছে। একটা বিসিএস পরীক্ষার চাকরীর সার্কুলার জারি থেকে শুরু করে শেষ ধাপ যোগদান করা পর্যন্ত প্রায় ২ বছর সময় লেগে যায়। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে ২৮ তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয় অক্টোবর ২০১০ এ এবং পুরু প্রক্রিয়া শেষ হয় জুন ২০১০ এ! ২৯ তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয় আগস্ট ২০০৯ এ এবং পুরু প্রক্রিয়া শেষ হয় ফেব্রুয়ারি ২০১১তে এসে! সর্বশেষ ৩৩ তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয় জুন ২০১২ এ এবং পুরু প্রক্রিয়া শেষ হয়ে ক্যাডারগণ সার্ভিসে যোগদান করেন ৭ই আগস্ট ২০১৪ তে! সুতরাং একাদিক বিসিএস দেওয়ার সুযোগ, সংযম আপনার না ও হতে পারে! এক্ষেত্রে প্রথমবার কে ই মহাসুযোগ হিসেবে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আপাতত একটা জিনিস মনে প্রানে বিশ্বাস রাখা উচিত যে একটা অল রাউন্ড উত্তম প্রস্তুতি আপনাকে অনেক সুযোগের দুয়ার উন্মুক্ত করে দিবে।



কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন



প্রস্তুতির জন্য লেখাপড়ার যে বিকল্প নেই সে কি আর বলতে!! লেখাপড়া বলতে যে লেখা এবং পড়া এই দুটি জিনিসের সমন্বয় সেটা কিন্তু আমরা অনেকেই ভুলে যাই এইজন্য আমরা পরীক্ষার হলে অনেকেই সহজ সরল প্রশ্নের উত্তর দিতে ভুল করি। সাদামাটা অনেক কিছুর উত্তর দিতে গিয়ে অনেক ভেবে সময় নষ্ট করে ফেলি যা আমাদের অভীষ্ট লক্ষে পৌছাতে প্রতিবন্দকতার সৃষ্টি করে। সুতরাং প্রস্তুতিতে কোন ধরনের ঢিলেমি একদম ই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।



আপনি বাংলাদেশের এক নম্বর সার্ভিস এর সদস্য হবেন সুতরাং প্রস্তুতির মাধ্যমে আপনাকে এক নম্বরের মত যোগ্য করে ঘরে তুলতে হবে।



প্রিলিমিনারি তে সিলেক্ট হতে পারা হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কাজ। এইজন্য প্রস্তুতিটা আপনাকে একটু আলাদা গুরুত্ব দিয়ে নিতে হবে। একটা দিনকে সকাল, বিকাল ও রাত এই তিন ভাগে ভাগ করে আপনি একটা রুটিন করে নিতে পারেন। ঘুম থেকে অবশ্যই ভোরে উঠা উচিত বলে মনে করি। বাসা-বাড়িতে সকালের নাস্তা প্রস্তুত হতে হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনি হাত –মুখ ধুয়ে শুকনু বিস্কিট, কেক আর পানি খেয়ে পড়তে বসে যান। সকালে যেকোনো জিনিশ ভাল মুখস্ত হয়। সেক্ষেত্রে আপনি সকালে সাধারণ জ্ঞান , বাংলা সাহিত্য পড়তে পারেন। ২/৩ ঘন্টা পড়ে তারপর আপনি সকালের নাশতা সেরে নিন। একটু হাটুন, ঘরে পায়চারী করতে পারেন। সকালের নিউজ টা ও দেখে নিন এক ফাঁকে।



তারপর আবার পড়তে বসুন। এইবার আপনি সাধারণ গনিত ও মানসিক দক্ষতা বিষয়টা নিয়ে বসতে পারেন। একটু সময় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় আপনি সাধারণ গনিত ও মানসিক দক্ষতা বিষয়টা অনুশীলন করেন। ২/৩ ঘণ্টা অনুশীলনকরে আপনি দুপুরের গোসল করা, নামাজ, খাবার এর পর্বটা সেরে নিতে পারেন। তারপর হালকা ঘুম দিতে পারেন।



ঘুম থেকে উঠে আপনি একটু হাটাহাটি করতে পারেন। তারপর মাগরিবের আগে আর ঘন্টাখানেক আপনি সকালে যাহা পরেছেন তা রিভিশন দিতে পারেন। তারপর সন্ধ্যায় আপনি ইংরেজি ও সাধারণ বিজ্ঞান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় পড়তে পারেন। মোটামুটি এইভাবে একটা রুটিন আপনার মত করে নিতে পারেন। আশা করছি আপনি সফল হবেন।



শেষকথাঃ তথ্য প্রজুক্তিকে কাজে লাগাতে পারেন আপনার প্রস্তুতির সহায়ক হিসেবে। এক্ষেত্রে ফেসবুক কে আপনি প্রস্তুতির ক্ষেত্র হিসেবে ব্যাবহার করতে পারেন।



শুভেচ্ছান্তে

মোঃ শরীফ উদ্দিন

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.