নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://www.somewhereinblog.net/blog/kauser_pranjal/category/17287

এগিয়ে যেতে চাই নিজের চেস্টায় এবং যিনি সৃষ্টি করেছেন কারও করুনায় নয়

আথাকরা

আমার জীবন বৈচিত্রময় ! জীবনের প্রতিটা পদে পদে বাধা পেয়েছি কিন্তু এসব বাধা গুলো খুব সফল ভাবেই উত্তিণ্ণ হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।

আথাকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"৩৫তম বিসিএস : প্রিলিমিনারি ও রিটেন এর প্রস্তুতির আদ্যোপান্ত"

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

"৩৫তম বিসিএস : প্রিলিমিনারি ও রিটেন এর প্রস্তুতির আদ্যোপান্ত"



সুপ্রিয় ভাই ও বোনেরা



৩৫তম বিসিএস দিতে যারা মনঃস্তির করেছেন তাদের কে অগ্রিম শুভেচ্ছা। আপনারা জেনেছেন যে ৩৫তম বিসিএস থেকে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে। ইতমধ্যে নম্বর বাড়িয়ে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০০ নম্বরে নিতে বিধিমালা সংশোধন

করে তা চূড়ান্ত করেছে সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় এক ঘণ্টার স্থলে দুই ঘণ্টা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩৫তম বিসিএস থেকেই এ পদ্ধতি কার্যকর হচ্ছে। নতুন নিয়মের এই পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নেওয়া দরকার তা নিয়ে অনেকেই কিছুটা চিন্তিত। অনেকেই মেসেজ করেছেন, কল করেছেন। ধন্যবাদ আপনাদের। একেকজন এর প্রস্তুতির ধরন একেক রকম। তারপর ও আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের জন্য একটা প্রস্তুতির ধরন এখানে দিলাম। আপনাদের সহায়ক হলে ও আমার এই লেখা সার্থক হবে।



"ব্রেকডাঊন অফ ডা মার্কস"

বিস্তারিত বর্ণনায় যাওয়ার আগে আমরা এক নজরে নতুন আঙ্গিকের এই বিসিএস টির প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মান বণ্টন তা এক ঝলক দেখে নেই। বিভিন্ন সংবাদ মাধমে প্রাপ্ত তত্তানুজায়ী ৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মানবন্টন নিচে দেওয়া হলঃ

[ মোট ২০০ নম্বর, সময় ২ঘণ্টা ]



১। বাংলা সাহিত্য = ১৫

২। বাংলা ব্যাকরন = ২৫

৩। ইংরেজি সাহিত্য = ১০

৪। ইংরেজি গ্রামার = ৩০

৫। পাটিগনিত = ৫

৬। বীজগনিত = ১০

৭। জ্যামিতি = ১০

৮। দৈনন্দিন বিজ্ঞান = ১০

৯। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি = ১০

১০। ভূগোল = ৫

১১। পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্তাপনা = ৫

১২। নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন = ৫

১৩। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা = ১০

১৪। বাংলাদেশ বিষয়াবলী = ১৫

১৫। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ = ১০

১৬। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী = ১৫

১৭। সাম্প্রতিক বিষয়াবলী = ১০

উপরের এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মানবন্টন থেকে এইটা স্পষ্ট যে বাংলা, ইংরেজি, গনিত, বিজ্ঞান এ বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলা সাহিত্য ও বাংলা ব্যাকরন মিলে মোট মার্কস হল ৪০। ইংরেজি সাহিত্য ও ইংরেজি ব্যাকরন মিলে মোট মার্কস হল ৪০। পাটিগনিত, বীজগণিত, জ্যামিতি এবং গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা মিলিয়ে মোট মার্কস রাখা হয়েছে ৩৫। এই ৩টা অংশ থেকেই মোট মার্কস থাকছে ১১৫ যা সর্বমোট মার্কস এর ৫৭.৫%! সুতরাং এই তিনটা জায়গায় বিশাল গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করি।

এবারে আসি বিজ্ঞান অংশে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি মিলে থাকছে ২০ মার্কস। এখানে মার্কস তুলতে পারা খুব ই সহজ বলে মনে করি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখানে প্রশ্ন রিপিট হয়। সুতরাং এখানে ১০০% মার্কস পাওয়ার প্রচেষ্টা রাখতে হবে।

অন্যান্যদের মাঝে আছে, ভূগোল , পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্তাপনা এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন থাকছে ১৫ মার্কস। এখানে ও কঠিন কোন প্রশ্ন হবে বলে মনে হচ্ছে না। আপনাদের নাগালের মধ্যেই থাকবে আমার বিশ্বাস।

বাকি থাকল সাধারণ জ্ঞান। সবচেয়ে বড় আইটেম টি ই কিন্তু সাধারন জ্ঞান । এখানে মোট ৫০ মার্কস আছে যাহা মোট মার্কস ২০০ এর ২৫%! বাংলাদেশ বিষয়াবলী, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ , আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী , সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়ে এই অংশটি গড়া।



"সামগ্রিক প্রস্তুতি কেমন হওয়া চাই"



এবারে আমরা খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে দেখব বিসিএস এর সামগ্রিক প্রস্তুতি কিভাবে নেওয়া যায়। শুরুতেই একটা বিষয় বলে রাখতে চাই যে আপনি প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির জন্য যতটুকু সময় পাবেন রিটেন এর জন্য তার ১/৩ ও পাবেন না। অথচ, ক্যাডার পাবার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একটা সুপার-ডুপার রিটেন পরীক্ষা দেওয়া এবং খুব ই ভাল মার্কস অর্জন করা। সুতরাং প্রিলিমিনারি প্রস্তুতিটা এমনভাবে নেন যাতে করে রিটেন এর প্রস্তুতি টা এগিয়ে থাকে। আমি মনে করি প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির সময় যদি আপনি তথ্যগুলো ভালভাবে মনে রাখতে পারার মত করে পড়েন, মানে আপনি এমন ভাবে পড়বেন যেটাকে বলে “টুটস্ত” ( প্রশ্ন করা মাত্রই অপশন না খুজে ছট করে উত্তর দিতে পারার মত করে বুঝে মুখস্ত করা) তাহলে রিটেন এর ৭০% প্রস্তুতি আপনার প্রিলিমিনারির সময় এ হয়ে যাবে। আর আপনি শুধু রিটেন এর সময় এই তথ্য গুলো কে আপানার মত করে সাজিয়ে লিখবেন। একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী তথ্যে সমৃদ্ধ থাকলে সে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস আর এইটা পারা উচিত।



"প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি শুরু টা কিভাবে করবেন"



প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি কিভাবে শুরু করবেন এইটা নিয়ে অনেকেই কনফিউশন এ থাকেন। এত এত কনফিউশন এ ভোগার কোন কারন ই নেই। প্রথমেই আপনি আগের বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গুলোর প্রশ্ন সমাধান করে ফেলুন। কমপক্ষে আপনি ১০ বার আগের বছরের প্রশ্ন গুলো সমাধান করুন। তারপর আপনি পিএসসি এর বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নগুলো ৫ বার সমাধান করেন। দেখবেন আপনার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস জন্মে গেছে যে আপনি পারবেন। বাজারে যে গাইড বইগুলো আছে ওইগুলো এ যতেস্ঠ বলে অই প্রস্তুতির জন্য। ওই প্রস্তুতি গুলো নিতে গিয়ে আপনি গাইড বইগুলোতে প্রতিটা প্রশ্নের সমাধান এর শেষে দেখবেন ফুটনোট আছে সেইগুলো ভালভাবে “টুটস্ত” করবেন।

প্রিলিমিনারিতে টিকতে পারাটা খুব ই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ । আর এক্ষেত্রে একটা সতর্ক বার্তা যারা মনে করেন যে অপশন দেখে প্রিলিমিনারি পাশ করবেন তারা বিরাট ভুল করবেন। কারন প্রিলিমিনারিতে খুব ই কনফিউসড প্রশ্ন থাকে যেখানে মনে হয় সবগুলোই সঠিক উত্তর। আর তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই এমনভাবে প্রস্তুতি নিবেন যাতে করে প্রশ্ন দেখামাত্রই উত্তর নিয়ে কোন কনফিউশন এ ভুগতে না হয় যেটাকে আমি আমার ভাষায় বলছি “টুটস্ত”। প্রশ্ন দেখা মাত্র উত্তর ঠুটের মধ্যে চলে আসা ই “টুটস্ত”! চলুন এইবার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি টা কেমন হওয়া দরকার দেখে নেই।



"বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি : বাংলা"

বাংলা সাহিত্য ও বাংলা ব্যাকরন মিলে বাংলায় সর্বমোট মার্কস হল ৪০ যার মধ্যে সাহিত্য অংশে ১৫ এবং ব্যাকরণ অংশে ২৫। প্রিলিমিনারিতে সবচেয়ে কম কমন পড়ে বাংলায়। এখানে তাই মার্কস তোলা বেশ কটিন ই মনে হয় বিশেস করে সাহিত্য অংশে। ব্যাকরণ অংশে মার্কস ভালোই তোলা যায়। সাহিত্য অংশ পড়তে গিয়ে অনেক সময় মনে রাখা বেশ কটিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার মত করে ছন্দ তৈরি করে পড়তে পারেন। এখন বাজারের গাইড বইতে ও ছন্দ দিয়ে কবি সাহিত্যিকদের সৃষ্টি গুলো মনে রাখার উপায় দিয়ে রাখে।

সাহিত্য অংশে আপনি, সাহিত্যিকদের জন্মস্থান, তাদের অমর সৃষ্টি, বিশেষ সম্মাননা, অমর চরিত্র, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ এইগুলো মনে রাখতে হবে। প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ আর আধুনিক যুগ মিলিয়ে ৩ যুগের ই সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, সিনেমা ইত্তাদির নাম ও লেখকের নাম জানতে হবে। এইটা খুব ই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যাকরণ অংশে আগের বছরের প্রশ্ন দেখলে বুঝা যায় কোন জায়গা গুলো থেকে বেশি প্রশ্ন হয়। তারপর ও শব্দ, শব্দের উৎস, শব্দের প্রকারভেদ, বাক্য ও এর শ্রেনিবিভাগ, কারক-বিভক্তি, বিভিন্ন ধরনের বাক্য এর রুপান্তর (সরল, জটিল, যৌগিক), উপসর্গ, অনুসর্গ ইত্যাদি খুব ই গুরুত্বপূর্ণ।



"বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি : ইংরেজি"

এখানে ও ইংরেজি সাহিত্য ও ইংরেজি ব্যাকরন মিলে সর্বমোট মার্কস হল ৪০ যার মধ্যে গ্রামার অংশে হচ্ছে ৩০! পরীক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে ভীতিকর অংশ নাকি ইংরেজি! কিন্তু আমি মনে করি এখানে আপনাদের জন্য ভাল সুযোগ রয়েছে এগিয়ে যাওয়ার। এখানে গ্রামার অংশে ভোকাবুলারি সহ পড়তে হবে। সিননিম, এন্টনিম, এনালজি, ভয়েস, নেরেসন , ওয়ান ওয়ার্ড সাবস্টিটিউসন ভাল করে পড়তে হবে। সেন্টেন্স কমপ্লিসন করতে গেলে গ্রামার ও ভোকাবুলারি সম্পরকে ভাল জ্ঞান রাখতে হবে। সুতরাং টেন্স, মডালস, কন্ডিসনালস এর ব্যাবহার ভাল জানতে হবে।

সেন্টেন্স কমপ্লিসন, প্রিপজিসন, গ্রুপ ভারব, সিননিম, এন্টনিম, থেকে প্রশ্ন থাকেই। সুতরাং বুজতেই পারছেন যে এখানে গুরুত্বটা কেমন দিতে হবে।



গত কয়েকটা বিসিএস এ ইংরেজি সাহিত্য থেকে খুব একটা প্রশ্ন আসেনি কিন্তু প্রথম দিকের বিসিএস পরীক্ষাগুলোতে বেশ প্রশ্ন আসত। প্রথম দিকের প্রশ্ন সমাধান করতে গেলে বুঝাই যাবে এখানে কেমন কি ধরনের প্রশ্ন আসে। সুতরাং ওইভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া যায়।



"বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ গনিত"

গনিত ভীতি আমাদের সবার মাঝে ই আছে যেমনটা ইংরেজির ক্ষেত্রে থাকে। আশার বিষয় হল বিসিএস পরীক্ষায় আহামরি কটিন কোন অংক আসে না। অষ্টম, ৯ম,১০ম শ্রেণির গনিত যদি কেউ ভালভাবে সমাধান করতে পারে তাহলে তার গনিতে আটকানোর কথা না। বাজারের যে গাইড বই গুলো আছে সেইগুলো থেকে যেকোনো দুইটা ব্রান্ড এর বই কিনে প্র্যাকটিস শুরু করে দিন। এক্ষেত্রে এমম্পিথ্রি, প্রফেসরস আর আরিফ এর শর্টকাট মেথড গুলো দেখতে পারেন। গনিতের ক্ষেত্রে একটা টেকনিক হল, অনেক ক্ষেত্রে আপনি অংক এর বিস্তারিত না পারতে পারেন কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি অপশন গুলো যাচাই করে সঠিক উত্তর খুজে বের করতে পারেন। এইজন্য প্রস্তুতি টা ও অবশ্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।



তবে, একটা জিনিশ বলে রাখি ইংরেজি ও গনিতে প্রশ্ন না বুজলে বা না পারলে প্রিলিমিনারিতে উত্তর দিতে যাবেন না, কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ই ভুল উত্তর এ ই দাগ পড়ে।



"বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ বিজ্ঞান"

এই অংশে দৈনন্দিন বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি মিলে ২০ মার্কস। মার্কস তোলার মুটামটি সহজ অংশ বলেই মনে করি। বিজ্ঞানে বেশিরভাগ প্রশ্নই রিপিট হয়। আর কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশটি বিসিএস এ নতুন হলেও ব্যাংক পরীক্ষার জন্য নতুন না। ব্যাংক গাইড গুলো দেখলে বুঝা যাবে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে কি ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। নতুন যুক্ত হলেও এই অংশ নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকার জন্য পরামর্শ থাকল।



"বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ অন্যান্য"

অন্যান্যদের মাঝে আছে, ভূগোল , পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্তাপনা এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন মিলে সর্বমোট থাকছে ১৫ মার্কস। ভূগোল ও পরিবেশ থেকে আগে ও বিজ্ঞান অংশে প্রশ্ন আসত। সৌরজগৎ, আগ্নেয়গিরি, ভুমিরুপ এইগুলো ক্লাস ৮ এর সাধারন বিজ্ঞান, ক্লাস ৯ এর সামাজিক বিজ্ঞান এর ভূগোল অংশ দেখলে প্রস্তুতি হয়ে যাবে আশা করছি। নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন এর ক্ষেত্রে পউরনীতি পরলে কিছুটা এবং সাধারণ সেন্স কাজে লাগালে প্রস্তুতি হয়ে যাবে।



"বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ সাধারণ জ্ঞান"



সাধারন জ্ঞান নামে সাধারন হলে ও কাজে কিন্তু আপনাকে অসাধারন হতে হবে নাহলে ঠকে যাবেন। এখানে মোট ৫০ মার্কস আছে যাহা সর্বমোট মার্কস ২০০ এর ২৫%! বাংলাদেশ বিষয়াবলী, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ , আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী , সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়ে এই অংশটি গড়া। মোটামুটি একটা প্রস্তুতি নিলে আপনি হয়ত ২৫-৩০ পাবেন কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে প্রিলিমিনারিতে টিকতে হলে ৪০ এর মত পাওয়ার প্রস্তুতি রাখতে হবে। একটু বাড়তি কষ্ট করলে খুব সহজেই মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ অংশ থেকে ১০ এর মাঝে ৯ পাওয়া সম্ভব। তাছারা সাম্প্রতিক থেকে ও ১০ এর মাঝে ১০ না পেলেও ৮/৯ পাবার কথা। সাধারন জ্ঞান এর কোন সিলেবাস নেই। তারপর ও গত বছরের প্রশ্ন সমাধান করলে বুজতে পারবেন কোন কোন অংশ থেকে বেশি এবং নিয়মিত প্রশ্ন আসে। নিয়মিত সাধারন জ্ঞান স্টাডি , রিভিশন দিলে এই বিভাগে ও খুব ভাল করা সম্ভব। প্রস্তুতি সহায়ক হিসেবে আপনি আজকের বিশ্ব বইটি এবং প্রতি মাসের মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সাময়িকিটি পড়ে আপ-টু-ডেট থাকবেন।



আপাতত এইটুকুই। আপনাদের জন্য শুভ কামনা থাকল।

শুভেচ্ছান্তে

মোঃ শরীফ উদ্দিন

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

বিসিএস প্রশাসন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.