নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://www.somewhereinblog.net/blog/kauser_pranjal/category/17287

এগিয়ে যেতে চাই নিজের চেস্টায় এবং যিনি সৃষ্টি করেছেন কারও করুনায় নয়

আথাকরা

আমার জীবন বৈচিত্রময় ! জীবনের প্রতিটা পদে পদে বাধা পেয়েছি কিন্তু এসব বাধা গুলো খুব সফল ভাবেই উত্তিণ্ণ হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।

আথাকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্তর্জাতিক বিষয়াবলী (২০ নম্বর):

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২১

বিসিএস প্রিলি – সিলেবাস এনালাইসিসঃ অব্যয় অনিন্দ্য’র জানালায়
অন্তর্জাতিক বিষয়াবলী (২০ নম্বর):
আসল কথা হল - সিলেবাসে যা লিখা আছে তা আসলে রিটেনের সাথে মিলে, এমসিকিউর জন্য এতে বেশী কিছু বোঝার নাই। যে কোন শিক্ষকই এমসিকিউ প্রশ্ন করতে এই সিলেবাস অনুসরণ করতে গেলে একটু সমস্যায়ই পরবেন। তাই আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীতে সিলেবাসের কথা বেশী না ভেবে আগের প্রশ্নের আলোকেই প্রিপারেশন নিন।

তবুও এখানে সিলেবাসের কথাগুলোতে একটু চোখ বুলাই -
১। বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতিঃ
বৈশ্বিক ইতিহাসঃ এর মানে কি? জগতের সকল ইতিহাস। তাই আগের প্রশ্নের মত প্রস্তুতি নিন।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাঃ ইংরেজিতে এটা Regional and International Order. এখন International Order বা World Order হল - কোন পদ্ধতিতে বা কাদের নিয়ন্ত্রণে পৃথিবী চলছে। যেমন, বর্তমান পৃথিবী নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর পশ্চিম ইউরোপীয় মিত্রদের মাধ্যমে পরিচালিত কিছু প্রতিষ্ঠান এবং সেই প্রতিষ্ঠানসমুহের প্রবর্তিত কিছু আইন দিয়ে। এই যে International Order, এটা শুরু হয়েছে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে এবং আজও চলছে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত Liberal Democratic আর Colonial Order এর মিশ্রণ অনেক দিন চলেছে। WWII এর পর কয়েক দশক USA & USSR (সোভিয়েত ইউনিয়ন) এর মধ্যে স্নায়ু যুদ্ধ চলেছে, তখন bi-polar বা দুই মেরুর সিস্টেম বলা হত। তাতে USSR এর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে USA এর একক কর্তৃত্ব বা unipolar বা এককেন্দ্রীক সময় এখন চলছে। তবে এগিয়ে আসছে চীন ও ভারতের মত উদীয়মান শক্তিগুলো। এদের মিলে পৃথিবীতে হয়তো multi-polar order এর সময় আসবে। আর আঞ্চলিক বা regional order হল - কোন মহাদেশ, উপমহাদেশ বা অঞ্চল কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এর মধ্যে এশিয়াতে চীন ও ভারতের নিয়ন্ত্রণ পড়ে।

ভূ-রাজনীতিঃ ইংরেজিতে Geopolitics. অবস্থানের কারণে একটি দেশ অন্য রাষ্ট্রের জন্য সুবিধা বা অসুবিধায় কারণ হয়। এতে শুরু হয় বিশেষ বিশেষ অঞ্চলকে নিজের অধীনে রাখার রাজনীতি। কোন কোন সাগরের কোন দ্বীপে কোন দেশের নৌঘাঁটি, তেল পরিবহনের রাস্তা, গুরুত্বপুর্ণ খালের (সুয়েজ, পানামা) নিয়ন্ত্রণ, কোন সমুদ্র বন্দর কে নিয়ন্ত্রণ করে, কোন দেশের খনিজ সম্পদ কারা উত্তোলন করে এসব।

২। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতাঃ বিভিন্ন সামরিক জোট (NATO, ARF), অস্ত্রচুক্তি, পারমানবিক চুক্তি, OPCW (এটি ২০১৩ তে নোবেল পেয়েছে), শান্তি চুক্তি, যুদ্ধ এসব। আল-কায়েদা, ISIS, ফিলিস্তিন, সিরিয়া।

৩। বিশ্বের সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনা সমূহ – এগুলো নিয়ে বলার কিছু নেই।
৪। আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতিঃ বিভিন্ন পরিবেশ ও জলবায়ু সম্মেলন (cop), বিভিন্ন জলবায়ু চুক্তি (কিয়োটো প্রটোকল), পরিবেশ এনজিও, পরিবেশ আন্দোলন, IPCC এসব।

৫। আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদিঃ আগের মতই জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংগঠন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, সার্ক, কমনওয়েলথ সহ অন্য সংগঠন ও জোট বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ যেসব সংস্থার সদস্য, সেগুলো থেকে আগে অনেক প্রশ্ন এসেছে।.

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদিঃ এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক, IMF, WTO, G20, BRICS এসব। IMF এর purchasing power এর ভিত্তিতে চীন এখন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অর্থনীতি, USA:no-2. কিন্তু raw market value এর ভিত্তিতে USA: no-1, আর China: no-2 কোন দেশে কি সবচেয়ে বেশী জন্মে, কোন দেশ কি রপ্তানী করে- এমন জিনিস আগে অনেক এসেছে।

আন্তর্জাতিকের অনেক বিষয় যেমন লাইন, প্রণালী, রাজধানী, মুদ্রা, জাতীয় প্রতীক এসব জিনিস টেকনিক করে মনে রাখতে চেষ্টা করা যায়। বাজারে এমন অনেক টেকনিকের বই আছে। নিজেরাও বানাতে পারেন। এতে মনে রাখা সহজ হয়। অন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব থেকে ২/১ টা প্রশ্ন সব সময়ই হয়। শেষ করার আগে আবার বলি – আগের প্রশ্নের আলোকেই প্রিপারেশান নিন।

......... অব্যয় অনিন্দ্য (সুজন দেবনাথ)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.