![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার জীবন বৈচিত্রময় ! জীবনের প্রতিটা পদে পদে বাধা পেয়েছি কিন্তু এসব বাধা গুলো খুব সফল ভাবেই উত্তিণ্ণ হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।
৩৪ তম বিসিএস এর ভাইভা নিয়ে প্রস্তুতি আর জল্পনা দু'টোই শুরু হয়ে গেছে। নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু পর্যবেক্ষন শেয়ার করতে চাই, যদি কারও কাজে লাগে !
(অংশ-১/৩ : বিসিএস ভাইভার ফিলোসফি)
আমার সবসময়ই মনে হয়, ভাইভা হল একজন পরীক্ষার্থীকে তার প্রার্থিত পদের বিপরীতে বাজিয়ে দেখা। অর্থাৎ প্রার্থিত পদে দায়িত্ব পালনে একজন প্রার্থী কতটা মানানসই এবং উপযোগী সেটা যাচাই করার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার নামই হল ভাইভা। মাত্র ১৫-২০ মিনিটের কথোপকথনে একজন প্রার্থীর জ্ঞান/মেধার পরিধি মেপে ফেলা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। একটি আদর্শ ভাইভা বোর্ডের সদস্যগণ সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই অবগত। তাছাড়া, ধারাবাহিকভাবে প্রিলি+রিটেন পাশ করে আসা একজন গ্রাজুয়েট প্রার্থীর প্রাথমিক যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার ও অবকাশ নেই। সুতরাং বোর্ড নিশ্চয়ই বিশ্বাস করে যে আপনি মেধাবী। কিন্তু বোর্ড দেখতে চায় যে, এই মেধাবীদের মধ্যে কারা অল্প সময়ের মধ্যে তাদের নিজেদের গুন/বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রার্থিত পদের বিপরীতে যোগ্যতম হিসেবে সফলভাবে তুলে ধরতে পারে। অর্থাৎ একজন প্রার্থীর জন্য ভাইভা মানেই হল নিজকে উপস্থাপনের একটি প্লাটফর্ম। ভাইভার কিছু দার্শনিক দিক রয়েছে যেগুলো আগে থেকে জেনে রাখলে আপনার প্রস্তুতি গ্রহন অনেক সহজ এবং সুগঠিত হতে পারে। সাধারণত ভাইভা বোর্ডে পিএসসির মেম্বার এর সাথে আমলা/শিক্ষক/বুদ্ধিজীবী/সাংবাদিক/মনোবিজ্ঞানী/সমাজকর্মী/সামরিক কর্মকর্তা/বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব প্রভৃতি শ্রেনীর লোকজন উপস্থিত থাকেন। তাদের পদ/অবস্থান অনুসারে প্রশ্ন/আলোচ্য বিষয়ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কার্যকর উপায় হল নিরিবিলি বসে নিজকে একজন মেম্বার/আমলা/শিক্ষক/বুদ্ধিজীবী/সাংবাদিক/মনোবিজ্ঞানী/সমাজকর্মী/সামরিক কর্মকর্তা/বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব প্রমুখ হিসেবে কল্পনা করা। যেমন, আপনি একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী হলে এবং ভাইভা নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেলে একজন হবু বিসিএস ক্যাডার এর মধ্যে কি কি গুন/বৈশিষ্ট্য খুঁজতেন, অথবা ভাইভাতে প্রার্থীকে কি কি বিষয়ে প্রশ্ন/আলোচনা করতেন। এভাবে আলাদা আলাদাভাবে অন্যান্য পদগুলোতেও নিজকে বসিয়ে নিরিবিলি কল্পনা করা। এতে করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু/পয়েন্ট মাথায় আসবে, যেগুলো নোট করে নিয়ে সেগুলোর উপর বেশি করে প্রস্তুতি নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বোর্ড আপনার শত্রু নয়, আবার আত্মীয়ও নয়। আপনার সাথে বোর্ডের সম্পর্কের একমাত্র ভিত্তি হল ইন্টার-অ্যাকশন। বোর্ড নিয়ে অনেক গুজব/কুসংস্কার শুনে থাকতে পারেন। সেগুলোতে কান না দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে একটি আদর্শ ভাইভা বোর্ডকে কল্পনা করেই। বোর্ডের ব্যাবহার/রেসপন্স নিশ্চয়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এক্ষেত্রে অবশ্য ভাগ্যের উপর নির্ভর করা ছাড়া আপনার আর কোনও রাস্তা নেই। (চলবে)
©somewhere in net ltd.