নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমুদ্রের যেমন জোয়ার ভাটা আছে, মানুষের জীবনে তেমনি জোয়ার ভাটা আছে। সমুদ্রের এদিক টার সাথে মানুষের জীবনের বড্ড মিল খুঁজে পাই ...

রামিসা রোজা

রামিসা রোজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ কেমন দ্বন্দ্ব!!

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৫



বিকেলে খোলা আকাশের নিচে ছাদে একা একা হাঁটছে আলো । চারপাশে গোধূলির আবিরে রাঙ্গা অস্তায়মান লাল সূর্য । দিনের শেষে থেমে আসে চারপাশের কর্ম কোলাহল । প্রকৃতিতে নেমে আসে অন্যরকম এক প্রশান্তি । পশু পাখি নীড়ে ফিরে যেতে থাকে । সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর শুরু হয় মানুষের ঘরে ফেরার পালা । চরাচরের সর্বত্রই বিরাজ করে এক ধরনের নিস্তব্ধ নীরবতা । অথচ আলো মনে মনে ভাবছে আজ সন্ধ্যার পর অফিস থেকে ফিরে মুরাদ কি নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করবে । দূরত্ব বেড়ে চলছে মুরাদ এর সাথে আলোর সাংসারিক জীবনে । সবে মাত্র তিন বছর হলো অথচ এরই মধ্যে এতো অশান্তি আলো আর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না । আলো দু'বছর যাবৎ একটা বাইং হাউজে চাকরি করতো কিন্তু বিয়ের পর সেটাও বাধ সাধলেন শাশুড়ি । মুরাদ ইঞ্জিনিয়ার এবং নিজস্ব বাড়ি গাড়ি সবই আছে মুরাদের বাবার । শাশুড়ি বললেন আলো'কে , চাকরি করতে হলে স্কুল / কলেজে করতে পারো কিন্তু অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে করলে সেটা দেখতে ভালো দেখায় না । এটা নিয়ে দিনের-পর-দিন অশান্তি চলতে থাকে। মুরাদ আলো'কে বেশ সাপোর্ট দিতো । মুরাদ সবসময় বলেছে তোমার ইচ্ছে হলে চাকরি করতে পারো আমার সমস্যা নেই । কিন্তু এ প্রতিদিন অফিসে যাতায়াত নিয়ে কেমন যেন এক ধরনের তিক্ততা শুরু হয় শাশুড়ির সাথে আলো'র ।
একটা সময় আলো ভেবে দেখল , সারাদিন হয়তো উনারা ( শশুর + শাশুড়ি) একা একা থেকে একাকীত্ব অনুভব করেন । তাছাড়া আলো'কে যাতায়াতের একটু সমস্যায় পড়তে হয় সেই সকালে বের হয় রাতে বাসায় ফিরে । সব ভেবে চিন্তে দেখলো চাকরিটা ছেরে দিলে তেমন একটা সমস্যা হবে না । আলো চাকরিটা ছাড়ার পর শাশুড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য অনেকটাই কেটে উঠলো বেশ ভালোই চলছে অর্থাৎ বউ শাশুড়ির সম্পর্ক ।
মুরাদ -দের বাসা থেকে আলো'দের বাসার দূরত্ব রিক্সায় গেলে বিশমিনিট। আলোর চাকরি নেই তাই এখন অনেকটাই অবসর সময় কাটাতে হয় আলো'কে । মাস্টার্স শেষ হওয়ার পর আলো চাকরিতে জয়েন করে তাই আলো'র পরিবারেও আলো তেমন একটা সময় দিতে । এখন চাকরি নেই শাশুড়ির সাথে রান্নায় হেল্প, সপ্তাহে দুই/তিন দিন পর পর আলো বাবার বাসায় যায়। প্রায়-ই সন্ধ্যার পর মুরাদ অফিস থেকে আসার পর বাইরে ঘুরতে যায় এটা নিয়েও ঘরে মনোমালিন্য হয় । কিন্তু আলো শ্বশুরের কাছ থেকে সব সময় একটা নিরব সাপোর্ট পেতো। আলোর বাবা ও মা বাসায় একাই থাকেন আর ওর বড় বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে এবং তিনি ঢাকার বাহিরে থাকেন আর এদিকে মুরাদের বড় ভাই দেশের বাইরে থাকেন পরিবার নিয়ে । বউ শাশুড়ির এমন বৈরী পরিবেশে আলো'কে মানিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানায় মুরাদ । আলো বাবার বাসায় যাওয়া একদম কমিয়ে আনে ।

জীবনের ছোট ছোট চাওয়া পাওয়া মেয়ে আলো ভাবছে,
নারীর মুক্তি, নারীর অধিকার বলে যতই গলা ফাটিয়ে চেঁচাই না কেন, সমস্যার মূলে কিছু ক্ষেত্রে নারীরাই । প্রথমত নারীরা নারীদের কতটা সম্মান দিই, কতটা বুঝি সেটা দেখা। কথায় আছে, ‘মেয়েরাই মেয়েদের প্রধান শত্রু!’ যেকোনো সংসার জীবন, বিয়েত, অফিস বা বন্ধুমহলে দেখবেন একজন নারীকে নিয়ে এক নারীই খাটাচ্ছেন, রটাচ্ছেন বা কাঁদাচ্ছেন! দেখেন, শাশুড়ি-জামাই বা শ্বশুর-বউয়ের সম্পর্ক সব সময়ই যত্নের, ভালোবাসার। আর শাশুড়ি-বউ? ওরে বাবা! সব দেশে সব ঘরে দা-কুড়াল সম্পর্ক।।
একই মা-নারী, বউ নারীকে মেয়ে নারী ভাবে না, বউ- নারী শাশুড়ি নারীকে মা ভাবতে পারে না, ননদ-নারী ভাবি-নারীকে বোন ভাবতে পারে না বা তার বিপরীত ।
কিছুদিন আলো দেশের বাইরে কোথাও বেড়াতে যেতে চাচ্ছিল । কিন্তু আলো'র মা আলো'কে বুঝালেন , মেয়েরা শুশুর বাড়ি মেনটেন করে চললে এতটা স্বাধীনচেতা মনোভাব নিয়ে চলাফেরা করতে হয় না । ছাড় দেওয়ার মন মানসিকতা আলো'র কিছু কমে আসছিলো । যার ফলে আলো'র সাথে মুরাদের দূরত্ব তৈরি হতে থাকে । একটা সময়ে এতটাই দূরত্ব তৈরি হয় , মুরাদ যাচ্ছিলোনা আলো'কে নিয়ে সংসার করতে ।
সেখানেও একটি কারণ আছে , আলো'র ভাগ্যটাই হয়তো খারাপ তা না হলে যে মুরাদ আলো'কে এত ভালবাসত সে মুরাদ আজ সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে এবং আগের প্রেমিকার ডিভোর্স হয়ে গেছে তার প্রতি যাদের ভালোবাসা উপচে পড়ছে । তাই আলো ছাদে হাঁটছে আর মনে মনে ভাবছে আজ-ই হয়তো এ বাড়িতে ওর শেষ রাত । কারণ প্রতিদিন মুরাদ অফিসে যাওয়ার সময় বলে যায় বাসায় ফিরে যেনো আলো'কে না দেখে ।
মুরাদ তার বাবার কথা কোনওভাবে আর শুনবে না আলো বঝতে পেরেছে ।
মুরাদের এতটা ডেসপারেট হলো যার কারণে আলো আর পারল না শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে । পরিবারের গুরুজনদের কোন সিদ্ধান্তই সেখানে আর সেটেল হলো না । আলো মাঝে মাঝে ভাবে মুরাদ এই বহির্মুখী সম্পর্কে কেন জড়িয়েছে? ঘরে শান্তি পায়নি, নাকি আলো'র নিজেরই দোষ ,না-কি নারীই নারীর কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্তরায় ....

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৬

মরুর ধুলি বলেছেন: শেষোক্ত প্রশ্নটি অনেক কঠিন। উত্তর এক কথায় দেওয়া যাবে না।
উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকলাম।
সমাজের একটি অনুসঙ্গ তুলে ধরেছেন লেখায়।
ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
প্রথম আগমন এবং প্রথম মন্তব্যের জন্য অনেক ভালোলাগা
অনেক প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমরা সঠিক মেলাতে পারিনা বা মনকে মিথ্যে সান্তনা দিই ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সংসার জীবনে যা দেখলাম আপি, কী আর বলবো। কত যে ছাড় দিতে হয় মেয়েদের । কত ইচ্ছেকে যে গলা টিপে মেরে ফেলতে হয়। সাংসারিক মেয়েরাই জানে তা। কী আর এমন হয় শ্বশুর বাড়ী বাবার বাড়ী লোকজনরা একসাথে মিলেমিশে বসবাস করলে। কেন যে ছেলেরা মেয়েদের বাপের বাড়ী কাউকে সহ্য করতে পারে না কে জানে। অথচ একটা মেয়ে ২০/২৫/৩০ বছর তার বাবা মায়ের আশ্রয়েই ছিলো। লালন পালন চাকুরী পড়াশুনা একজন বাবা মা-ই মেয়েকে গড়ে তুলেন সুন্দরভাবে বেচে থাকার জন্য । অথচ বিয়ের পরেই বাঁধে যত গন্ডগোল। সমঝোতাই থাকে না ছেলেদের মধ্যে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১২

রামিসা রোজা বলেছেন:
আপা আপনি খুব কঠিন সত্য একটি চিত্র তুলে ধরেছেন । এই ঘটনাটি প্রায় ক্ষেত্রে স্বাভাবিক । আরও অবাক লাগে একজন উচ্চশিক্ষিতা এবং প্রতিষ্ঠিত নারীও এই সমস্যার সম্মুখীন । এমন হাজারো ঘটনা জমা আছে বাংলার ঘরে ঘরে ।
আপনার মন্তব্য এবং আমাদের সামান্য লেখায় আপনাকে পেয়ে অনেক অনেক ভালো লাগছে ,
ধন্যবাদ জানবেন ।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৪

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: নারীরাই নারীর একমাত্র অন্তরায় নয়।
ধন্যবাদ ভাল লিখেছেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
জী ঠিক বলেছেন এজন্য শেষের লাইনটা ঠিক করে দিয়েছি । একটা কথা মজা করেই বলি আর সিরিয়াসলি বলি , কুটনামিতে নারীরা বেশ পারদর্শী অফিসে বলেন আর ঘরেই বলেন ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে .....

এই গানটা মনে রাখতে হবে সব সময়.....

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২০

রামিসা রোজা বলেছেন:
অসম্ভব প্রিয় একটি গান মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। বাস্তব লেখা।
আমিনারীদের সম্মান করি। ভালোবাসি। আমি মনে করি তারা মাথার মুকুট। তবে সমাজে কিছু দুষ্ট নারী আছে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

রামিসা রোজা বলেছেন:
আপনার এতো সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত । আপনি নারীদের খুব পছন্দ করেন এবং সম্মান করেন সেটা বুঝাই যায় । আপনিও কিছু লিখুন না দুষ্টু নারীদের নিয়ে ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০২

ওমেরা বলেছেন: মানুষের জীবন বড়ই জটিল হয়ে যাচ্ছে দিন , পারস্পরিক , বিস্বাস, ভালোবাসা, দায়িত্ব , সন্মান সব শেষ হয়ে যাচ্ছে ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২

রামিসা রোজা বলেছেন:
ঠিক বলেছেন দিনকে দিন মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ভালোবাসা দায়িত্ব এবং জীবন জটিল হয়ে যাচ্ছে । যদিও কিছু চিরাচরিত রীতি নীতি এখনো রয়ে গেছে আমাদের সমাজে কিন্তু আজ থেকে বেশ কিছু বছর আগেও এতোটা নিম্নমুখী ছিলোনা ।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নারী আর অন্য দশ জনের মত মানুষ। নিজ নিজ ঘরে নারীদের মানুষ ভাবলে চলে

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
নারীর গর্ভ ছাড়া যখন পুরুষেরা পৃথিবীর আলো দেখতে পারে না, তখন সেই পুরুষেরা জেনে বুঝেও থেকে তাদের সৃষ্টির আঁধারকে সম্মান না এবং অনেক সিচুয়েশনে কিছু উস্কানিমূলক আচরণ এ ঘর থেকেও সৃষ্টি হয় ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

জুন বলেছেন: আবার শাশুড়ীরাও অনেক সময় ছেলের বৌএর হাতে নির্যাতিত হয়ে থাকে রামিসা রোজা । এ যেন এক চাকার মত ঘুরে ঘুরে আসে মানুষের জীবনে । ভালোলাগলো জীবন ঘেষা গল্পটি ।
+

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছেন আপা । বৃত্তাকার এ অনেক কিছুই ঘুরে আসে এবং সে কাহিনীগুলো করুন হয়ে থাকে।
বউ নারীকে মেয়ে নারী ভাবে না , বউ- নারী শাশুড়ি নারীকে মা ভাবতে পারেন না -- এই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটের জন্য অনেকাংশেই থেকে যাবে ।
অনেক ভালো লাগলো আপনাকে পোস্টে পেয়ে ।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো। নারীই নারীর প্রধান শত্রু। সংসারকে টিকিয়ে রাখতে গেলে সবারই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়‌।প্রত্যকেই যদি নিজের নিজের মতো করে চলাচল করেন তাহলে সেটা সংসার না হয় ছোটখাটো একটা রনাঙ্গনে পরিণত হয়। যেখানে লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আলোর দূর্ভাগ্য যে এমনই এক ঘটনায় জড়িয়ে পড়তে হয়েছে। তবে এটা তার পরাজয় নয়। অনেকের ই কপালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পুড়ে মরার মতো ঘটনা ঘটেছে ঘটে।সেদিক থেকে আপাত হার হলেও শশুর বাড়ির ঘেরাটোপ থেকে বের হতে পারাটাও কম পাওয়া নয়। শিক্ষা যদি থাকে তবে তার না খেয়ে মরতে হবে না।
বাস্তবধর্মী গল্পে ভালোলাগা।
গল্পে লাইক।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

রামিসা রোজা বলেছেন:
এতো চমৎকার ভাবে বিশ্লেষণ সহকারে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন সেজন্য শুরুতেই কৃতজ্ঞতা ।
সংসারকে টিকিয়ে রাখতে গেলে সবারই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়‌ -- এটাই সঠিক । কিন্তু এর বিপরীতে যে অমানবিক ঘটনাগুলো ঘটছে সেই যন্ত্রণা হয়তো তারাই বুঝে যারা এর ভুক্তভোগী ।
women is the enemy to herself অর্থাৎ নারীর শত্রু নারী নিজেই। 
৩০ বছর সংসার করা মেয়েরা এসে বাবার বাড়ির পারিবারিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু চার কদম পাশের ঘরে বসে থাকা ছেলের বউটার উপস্থিত থাকার যোগ্যতা হয় না। কে করল এই নিয়ম? 
ভাই , নিয়ম ভাঙ্গার দলে আমরা সবাই হয়তো অনেকে পেড়েছে অনেকে পারে নাই এই আর কি ।
আপনাকে এই লেখায় পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে এবং আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ।

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: আলো যে সমস্যার নদীতে হাবুডুবু খাইতেছে, এখান থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই দুষ্কর । খড়কুটোর আশায় না থেকে সাঁতরাইয়া অন্য তীরে যাওয়া উচিত।
যেখানে নূন্যতম সম্মান প্রদর্শন বা আত্মসম্মানে আঘাত লাগে এমন পরিবেশে থাকার চেয়ে একলা থাকা হাজার ভালো।

তবে একটা সময় আসবে যখন বউ শাশুড়ীর যুদ্ধ হবে না, শাশুড়ীরা মোবাইলে ভিডিও গেম খেলবে আর ফেসবুকিং নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

রামিসা রোজা বলেছেন:
বিষাদের গল্পের মাঝেও এমন প্রাণখোলা হাসির মন্তব্যে হেসে উঠলাম । শাশুড়িরা ভিডিও গেম আর ফেইসবুকিং করবে আইডিয়াটা মন্দ নয় । আলো মুক্তি পেয়েছে গল্পের শেষাংশে হয়তো স্পষ্ট করে উল্লেখ করি নাই । সামান্য কিছু কারণেদেখেন একটা নারীর জীবন কতটা অন্ধকার । এই পুরুষেরা যেহেতু নারীর হাতেই বড় হয়, কাজেই তাদের ভালোবাসা, মানবিকতা, সততা, নিষ্ঠা—এসব শিক্ষার পাশাপাশি ধরে ধরে নারী জাতির প্রতি সম্মানবোধের বীজটা আমরাই পারি ছেলেদের মধ্যে রোপণ করতে।
এরপরেও মানুষকে বদলায় না এর গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো ।

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আপনার এতো সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত । আপনি নারীদের খুব পছন্দ করেন এবং সম্মান করেন সেটা বুঝাই যায় । আপনিও কিছু লিখুন না দুষ্টু নারীদের নিয়ে ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমার বাসায় সুরভিকে ঘরে কাজে যে সহযোগিতা করে তাকেও আমি সম্মান করি।
হ্যা দুষ্ট নারীদের নিয়ে শ্রীঘই লিখব।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩৭

রামিসা রোজা বলেছেন:
আপনি আবার এসেছেন সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । আপনি লিখবেন অবশ্যই লিখবেন । ভালো থাকুন রাজীব ভাই সব সময় ।

১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২০

নীল আকাশ বলেছেন: .এক বয়ষ্ক মহিলা বাড়িতে খুব চিৎকার করে কাঁদছিলেন আর বিলাপ করছিলেন কারন তাঁর দ্বিতীয় নাতনির জন্ম হয়েছে......

প্রতিবেশী মহিলারা তাঁকে বোঝালেন "এখন পুত্রসন্তান,কন্যাসন্তানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, এরকম ভাবে কাঁদবেন না।"

বয়ষ্ক মহিলা বললেন "আমি সবজানি,ছেলেমেয়ে সমান,আর মেয়ে হলো ঘরের লক্ষী। আমি সেজন্য দুঃখ করছি না! আমার কষ্টের কারন নাতি হয়নি মানে আমার 'বৌমা' কোনোদিনও 'বৌমা' পাবেনা.....
শাশুড়ি হওয়ায় কোনদিও বৌকে সাইজ করার সুযোগ ও পাবে না, হায় হায়".........

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩৯

রামিসা রোজা বলেছেন:
বয়স্কদের উপর কেউ যখন মানসিক নির্যাতন করে সেটা অবশ্য অমানবিক এবং ভয়াবহ । সেই করুণ জীবনের গল্প না হয় হবে আরেকদিন । কিন্তু আজ যেটা লিখেছি , সেটাও একটি নির্মম সত্য ঘটনা ।
শিক্ষার সাথে সাথে সংঘাত কমার কথা থাকলেও সংঘাত কমেনি। আবার যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেক শাশুড়ি এবং ছেলের বউ নিজেদের ভূমিকা পাল্টে ফেলেছেন। সহজ সুন্দর বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠছে তাদের মাঝে। 
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।

১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পারিবারিক দায়বদ্ধতা একটি অলিখিত আইন। পরিবারে দায়বদ্ধতা না থাকলে সংসার টিকবে না। দোষ যারই হোক।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

রামিসা রোজা বলেছেন:
কেউই দায় এড়াতে পারেন না । ছোট কিন্তু গঠনমূলক মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের সমাজের এ এক নিত্য দ্বন্দ্ব। প্রতিকারের একমাত্র উপায় এমপ্যাথী। পরিবারের সবাইকে সবার সমস্যাগুলো আপন অনুভূতি দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে। এ শিক্ষাটা শিশুকাল থেকেই প্রতিটি পরিবারে চালু করতে হবে।

পোস্টে নবম ভাললাগা। + +

আপনি কি ব্লগ ছেড়ে একেবারে চলেই গেলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.