নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমুদ্রের যেমন জোয়ার ভাটা আছে, মানুষের জীবনে তেমনি জোয়ার ভাটা আছে। সমুদ্রের এদিক টার সাথে মানুষের জীবনের বড্ড মিল খুঁজে পাই ...

রামিসা রোজা

রামিসা রোজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈষম্য

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬





আমাদের সমাজে নারীর প্রতি পরিপূর্ণভাবে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠেনি। গ্রামে নারী গৃহস্থালি, কৃষি ও পশু পালনের মতো উৎপাদন–কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকলেও তার স্বীকৃতি নেই। শহরেও নারীর গৃহস্থালি কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই। নারীর আরও উন্নয়ন ও অংশগ্রহণের জন্য সবার আগে প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন। একটি শিশু জন্মগ্রহণের পর তাকে ছেলে কিংবা মেয়ে হিসেবে না দেখে সন্তান হিসেবে দেখা উচিৎ। ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক, মা-বাবার প্রধান লক্ষ্য থাকবে সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। মানসিকতার পরিবর্তন শুরু করতে হবে পরিবার থেকেই।
সরকারি কর্মক্ষেত্রে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু পুরুষের পক্ষ থেকে অনেক সময় এ নিয়ে আপত্তি তোলা হয় কিংবা নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। আমাদের অনুভব করতে হবে, সামাজিক প্রয়োজনের জন্য নারী মাতৃত্বকালীন ছুটি নিচ্ছেন। এটি তাঁর সুযোগ নয়, বরং অধিকার।
কর্মক্ষেত্রে আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যেমন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৬০ শতাংশ শিক্ষক নারী। বিদ্যালয়ে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের উপস্থিতি বেশি। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা আনন্দময় করে তুলতে আগের তুলনায় বেশি পরিমাণ খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেখানে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। সুতরাং, মা-বাবা আগের তুলনায় বেশি সচেতন হয়ে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন। মেয়েরাও যে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন, সেটি তাঁরা উপলব্ধি করতে পারছেন।
সমাজ নারীকে পুরুষের তুলনায় ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে। পরিবারে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় কম সুযোগ-সুবিধা পায়। মেয়েরা তর্ক করলে বলা হয় মেয়েদের বেশি তর্ক করতে হয় না। কিন্তু ছেলেরা তর্ক করলে তাকে বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন ধরে নেওয়া হয়। নারী বাসায় সন্তান লালন-পালনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন, কিন্তু তাঁর কোনো মূল্যায়ন নেই। সংসারের পেছনে নারী যে শ্রম দেন, তাঁর মূল্যায়ন থাকা প্রয়োজন। গৃহকর্মে নিয়োজিত নারীর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই। গৃহকর্ম অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু এর একটি অর্থনৈতিক মূল্যায়ন থাকা জরুরি।
নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রথার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রকেও আরও গুরুত্বসহকারে দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন। পরিবার, বিদ্যালয়, কর্মক্ষেত্র—সর্বত্র নারীবান্ধব প্রতিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের তুলনায় কাজের প্রতি বেশি সৎ থাকেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মনে করা হতো পুরুষেরা উপার্জন করবেন। কিন্তু বর্তমানে অবস্থার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। নারীরা উপার্জন করছেন। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নারীদের উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, যৌতুক প্রথা নিরোধ আইন, ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) রয়েছে। কিন্তু নারীদের আরও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হিসেবে নেতিবাচক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজমান। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে নারীবান্ধব পরিবেশের অভাব রয়েছে। নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের নারীর প্রতি বিদ্যমান সামাজিক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। নারীকে সক্ষম হয়ে গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে হবে।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমাদের দেশ সহ সমগ্র বিশ্বে নারী পুরুষ উভয়ের জন্য কর্মক্ষেত্র অনেকটা হিন্দি সিরিয়ালের মতো একজন আরেকজনের পিছে লেগে থাকেন। বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্টানেও কর্মীরা একজন আরেকজনের সাথে হিন্দি সিরিয়ালের সাস বাহু’র মতো কামড়া কামড়ি করেন। একটি ফার্স্টক্লাস ওয়ার্ল্ড লিডিং কোম্পানীরে কর্মচারীর চেয়ে বাংলাদেশের একজন পান বিক্রেতা শান্তিতে আছেন। অর্থাৎ স্বাধীন ব্যবসায়ী একমাত্র কিছুটা মানসিক শান্তিতে থাকেন।

নারী পুরুষ বৈষম্য মানেই অসুস্থতা। +++


২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫০

রামিসা রোজা বলেছেন:
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহন করুন ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, স্পিকার নারী। তাই বাংলাদেশ নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে । কিন্তু নারীর প্রতি শ্রদ্ধার অভাব বা নির্যাতনের মূল একটি কারণ পারিবারিক বৈষম্যে, এখানে আমি উত্তরাধিকারে বা সম্পত্তিতে নারী পুরুষের বৈষম্যের পরিলক্ষিত হয় । পারিবারিক সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান অধিকার না থাকায় একজন নারী অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত হন এবং এর পাশাপাশি সচেতন এবং অবচেতনভাবেই তিনি পুরুষের চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন দুর্বলতাই প্রাধান্য পায় ।
পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক মূল্যায়ন পাবেন একজন নারী সেটাই কাম্য ।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার বাসায় চাকরাণী/ঝি আছে?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১

রামিসা রোজা বলেছেন:
এই প্রশ্ন এখানে আসছে কেন ?

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: নারীরা দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। সকল ক্ষেত্রে।
ভালো করে চারিপাশে তাকিয়ে দেখুন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪

রামিসা রোজা বলেছেন: দিন পাল্টাচ্ছে তাই শিক্ষা, দক্ষতা ও প্রশিক্ষণে নারী নিজেকে হাজার উপযুক্ত করেও বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে ।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "এই প্রশ্ন এখানে আসছে কেন ? "

-ব্লগে লিখলে, প্রশ্ন আসতে পারে; এটার উত্তর বের করতে আপনার কি প্রশ্নফাঁস করার দরকার?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২০

রামিসা রোজা বলেছেন:
না , আমার প্রশ্নফাঁস করার দরকার নেই ।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: দিন মজুর থেকে শুরু করে নাসা পর্যন্ত নারী পুরুষ নিজের যোগ্যতায় কাজ করে যাচ্ছে।
আমাদের বর্তমান অবস্থা আগের চাইতে অনেক ভালো, যা আপনার লেখাতেও এসেছে। এখন অনেক সচেতনতা এসেছে। বাল্য বিবাহে আগে প্রতিবেশীরাও উৎসাহ দিত কিন্তু অবস্থা পরিবর্তনে প্রতিবেশী এখন প্রশাসনকে খবর দেয়।
নারীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের অবস্থান নিজেকেই তৈরী করতে হবে পাশাপাশি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্য প্রয়োজনীয় সামাজিক কর্মকান্ড গ্রহণ এবং পরিচালনা করা উচিত।
আর নিরাপত্তার বিষয়ে স্কুলে আর্ট (ছবি আঁকা) শেখা, আবৃত্তি বা গান শেখার মত মার্শাল আর্ট শেখা এবং অভিভাবকদের এবিষয়ে উৎসাহ দেয়া উচিত।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪

রামিসা রোজা বলেছেন:
বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো নারীবান্ধব আইন করেছে, যার ফলে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে, তার কিছুটা অগ্রগতি ঘটেছে।
কিছু আইন নারীকে সম্মান এনে দিয়েছে। কিন্তু অনেক সমস্যাও রয়েছে । বর্তমান সরকার নারীর উন্নয়নকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। রাজনীতি, খেলাধুলা, করপোরেশন, শোবিজ—সবখানে নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন ,
বাল্যবিবাহ এখন অনেকটাই কমে এসেছে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কারণে ।
গঠনমূলক ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদসহ কৃতজ্ঞতা ।

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নারীদের অবস্থার উন্নতি গত একশ বছরের মধ্যে অনেকটা বাড়লেও গতিটা তুলনায় মন্থর। সমাজের একটা বৃহৎ অংশ এখনও নারীশিক্ষার সুফল পাইনি। আমার নিজেরই গ্রামে ধর্মীয় শিক্ষার প্রভাব অত্যন্ত বেশি। ছেলেকে হাফেজ/মাওলানা পড়াশোনার ব্যবস্থা থাকলেও নারীকে এখনও বাচ্চা উৎপাদনের মেশিন হিসেবে দুবার বা তার বেশি খতম শিখিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়।পাশেই পৌন্ড্রদের কন্যাদেরও মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরোতেই বিয়ে দিয়ে বাবা-মা দায়িত্ব সারেন। যদিও হিন্দু সম্প্রদায়ের পুত্র সন্তান উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান। সুতরাং শহরের মধ্যে নারীরা শিক্ষা দীক্ষার সুযোগ পেলেও গ্রামের অবস্থা সেই তিমিরেই..
তবে আপনার বিষয় যেহেতু শিক্ষা দীক্ষা ও পেশাগত জীবনে নারীরা পুরুষের তুলনায় অনেকাংশে বৈষম্যের শিকার। বিষয়টি একেবারে অযৌক্তিক নয়। তবে এরমধ্যে পেশাগত দক্ষতা বা নারীর পক্ষে চাকরি স্থানের অবকাঠামো, কিছুটা হলেও নিরাপত্তা হীনতা সব মিলিয়ে পুরুষের তুলনায় তারা পিছিয়ে আছে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৭

রামিসা রোজা বলেছেন:
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এমনকি শহরের অসংখ্য পরিবারে ছেলে সন্তান জন্ম নিলে পরিবার খুব গর্ববোধ করে, ছেলে সন্তানকেই দ্বিধাহীনভাবে পরিবারের উত্তরাধিকার হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তাকে সেভাবেই প্রস্তুত করা হয়। 
সমাজের একটি বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে নারীরা অনেক কাজ করতে পারেন না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নারীরা সব কাজের জন্য উপযুক্ত। নারীদের পিছিয়ে থাকার জন্য কেবল পুরুষ দায়ী নয়,অনেক ক্ষেত্রে নারীর দিদ্ধাদ্বন্দ্বও দায়ী। নারীদের মধ্যে অনেক সংকোচবোধ কাজ করে। তাঁদের সংকোচবোধ দূর করতে হবে। তবে আমরা যতো কথাই বলি না কেন , এই বৈষম্য কখন দূর হবে কেউই আমরা বলতে পারি না ।
গঠনমূলক ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদসহ কৃতজ্ঞতা ।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার দুই মেয়ে আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিন তাদের জন্য কি করা যেতে পারে

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৮

রামিসা রোজা বলেছেন:
কারো এক পোষ্টে মন্তব্য আপনি বলেছিলেন , আপনার সহধর্মিনী শিক্ষিকা এবং চাকরিটিতে উনার প্রতিকূল পরিবেশ নয় ।

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "না , আমার প্রশ্নফাঁস করার দরকার নেই । "

তা'হলে বলেন, আপনার বাসায় চাকরাণী/ঝি আছে, কিংবা ছিলো?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪১

রামিসা রোজা বলেছেন:
চাকরাণী/ঝি --বিষয়টি হাসাচ্ছে এবং ভাবাচ্ছে তার আগে বলুন কেন ?

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপি নারী পুরুষের বৈষম্য রয়ে গেছে এখনো। যদিও মেয়েরা আগের তুলনায় অনেক এগিয়ে তবুও নারীদের অনেক ক্ষেত্রে কোণঠাসা করে রাখা হয়।

সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ।

চাঁদগাজী ভাইয়ের প্রশ্নের মানে আমিও বুঝতাছি না হাহাহাহাহ

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
যদিও মেয়েরা আগের তুলনায় অনেক এগিয়ে তবুও নারীদের অনেক ক্ষেত্রে কোণঠাসা করে রাখা হয়।---সহমত । জি আপা সেটাই কথা , এখনো অনেক ক্ষেত্রে বৈষম্যর রয়ে গেছে । আমরা প্রযুক্তিতে আধুনিক হচ্ছি , অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছি
ঠিকই কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারছি না ।
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সহ কৃতজ্ঞতা ।
চাঁদগাজী ভাইয়ের এমন প্রশ্নের উত্তর আমিও খুঁজে পাচ্ছিনা ।

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

ওমেরা বলেছেন: নারী পুরুষের বৈষম্য সারা বিশ্বেই কিছু না কিছু আছেই থাকবেও কারন এটা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। এটা পরিবর্তন হতে অনেক সময় লাগবে ।

অনেক ধন্যবাদ আপু ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯

রামিসা রোজা বলেছেন:
নারীর শিক্ষা, কর্মজীবন, চলাফেরা নানা ক্ষেত্রেই সুবিধা এসেছে । আর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হলে এ বৈষম্য থেকেই যাবে ,
তাই সময় হয়তো এর ভালো সমাধান বলে দিতে পারবে ।
অনেক ভালো লাগলো সুন্দর মন্তব্যে ও ধন্যবাদ সহ কৃতজ্ঞতা রইলো ।

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: দিন পাল্টাচ্ছে তাই শিক্ষা, দক্ষতা ও প্রশিক্ষণে নারী নিজেকে হাজার উপযুক্ত করেও বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে ।


দেশ, সমাজ, এবং মানুষ ভালো না।
আজও একটা মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে একা ইন্টারভিউ দিতে যেতে সাহস পায় না। সাথে করে মামা চাচা বা পিতা মাতাকে নিয়ে যায়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২১

রামিসা রোজা বলেছেন:
একটা শুধু মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে কেনো এখানে তিন বছরের বাচ্চার কোনো নিরাপত্তা নেই ।

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

জুন বলেছেন: আজও একটা মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে একা ইন্টারভিউ দিতে যেতে সাহস পায় না। সাথে করে মামা চাচা বা পিতা মাতাকে নিয়ে যায়। রাজীব নুরের কথায় সহমত । তবে নারী স্বাধীনতার নামে উগ্রতা যা নাটকে বা বিজ্ঞাপনে দেখায় তাও পছন্দ না । নির্মাতারা হয়তো মনে করে এটাই নারী স্বাধীনতার প্রতীক ।
খুব সুন্দর লিখেছেন রামিসা রোজা । আপনার লেখায় অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৩

রামিসা রোজা বলেছেন:
কিছুদিন আগে একটা মেয়ে পাবলিক প্লেসে বসে যখন ধূমপান করছিল সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও জঘন্য দেখাচ্ছিলো বাংলাদেশের
সামাজিক প্রেক্ষাপট । কারণ এখানকার মেয়েরা অহরহ ওপেনলি ধুমপান করেনা । বাস্তবে কিছু নারীদের জীবন আর মিডিয়ার সম্পূর্ণ আলাদা । নির্মাতারা তো তাদের স্বার্থটাই বেশি করে দেখবেন এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু আমাদের নিজেদের ভালো নিজেকেই বুঝতে হবে । আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো এবং ধন্যবাদ সহ কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

মোড়ল সাহেব বলেছেন: বৈষম্যের আজও কোনো কূলকিনারা করতে পারতাম না। আমাদের এলাকায় আজও ১৩ ১৪ বছরের মেয়ের বিয়ের কথা চলে

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
স্বাগত আপনাকে ।
অজ্ঞ ও কুসংস্কারের মধ্যে যারা আবদ্ধ তাদেরকে সহজেই বদলানো যায় না । গতকাল বিবিসি নিউজে
পড়লাম এই লকডাউনে গ্রামাঞ্চলে স্কুল বন্ধ এবং অনেকেরই বাল্যবিবাহ হচ্ছে । ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ চিরন্তন বৈষম্যের অবসান হোক, এটাই মনে প্রাণে চাই। নারীর ক্ষমতায়ন জরুরী, তবে সেটা পরিকল্পনাহীনভাবে নয়।
"তবে নারী স্বাধীনতার নামে উগ্রতা যা নাটকে বা বিজ্ঞাপনে দেখায় তাও পছন্দ না" - জুন এর এ মন্তব্যের সাথে একমত।
পোস্টে সপ্তম ভাললাগা। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.