নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
এলোমেলো মনের ভাবনা - ১
মস্কোতে পি, এইচ, ডি, করা কালীন সময়ে আমার এক সিনিয়র ফ্রেন্ড (তিনিও পি, এইচ, ডি, করতেন ) দিমা চাকরী পেলেন বিশ্বের সব চাইতে বড় গ্যাস প্রতিষ্ঠান 'গাজপ্রোম'-এ। পি, এইচ, ডি, শেষ করার পর ফুল টাইম সেখানকার কর্মে মনোযোগ দিলেন। 'গাজপ্রোম'-এ চাকরী পাওয়া চাট্টিখানি কথা না। ভারী বেতন আর প্রেস্টিজের চাকরী, প্রায় সবার কাছেই সোনার হরিণ। দিমা কোয়ালিফাইড ছিলো ওখানে চাকরী পেয়ে গিয়েছিলো। একদিন ইউনিভার্সিটিতে দিমা এলো। বললাম, "দিমা তুমি কি 'গাজপ্রোম'-এ চাকরী করো নাকি?" দিমা সম্মতিসূচক মাথা নাড়ালো। আমি বললাম, "সাবাশ দিমা"। দিমা লাজুক হাসলো। কিছুদিন পরে দেখলাম, দিমা একটা মামুলী ব্যাগ কাধে নিয়ে ইউনিভার্সিটির করিডোড়ে হাটছে। পিছন থেকে ডাক দিয়ে প্রশ্ন করলাম, "আরে গাজপ্রোম-এর দিমা দেখছি, আমাদের এখানে কি মনে করে"। দিমা বললো, "না আমি আর গাজপ্রোম-এর দিমা নাই"।
আমিঃ বুঝলাম না?
দিমাঃ চাকরী ছেড়ে দিয়েছি।
আমিঃ গাজপ্রোম-এর চাকরী ছেড়ে দিয়েছ? এখন কি করছো?
দিমাঃ এইতো ইউনিভার্সিটিতে জয়েন করলাম।
আমি: (আমার বিস্ময়ের কোন সীমা ছিল না) ইউনিভার্সিটিতে জয়েন করলে কি টাকা আছে এখানে বলতো? গাজপ্রোম-এ তো অঢেল টাকা!
দিমাঃ টাকা আছে, সুখ নাই।
আমি আর ওকে কিছু বললাম না। বুঝলাম না, সোনার হরিণ ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামান্য বেতনের চাকরীতে ঢুকে ঠিক করলো না ভুল করলো।
তার কয়েক বছর পর আমিও একই কাজ করেছিলাম। ভারী বেতনের বিদেশী কোম্পানীর চাকরী ছেড়ে, দেশে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামান্য বেতনের চাকরীতে ঢুকলাম। মনে হয়েছিলো দিমা ঠিকই বলেছিলো, ফাইলপত্র রেডী করা, টাকা-পয়সা, বেচা-বিক্রির হিসাব রাখা, অধস্তনদের খবরদারী করা, ক্লায়েন্টদের সাথে সেই কাটখোট্টা আলাপ, আর কাগজপত্র সই করে যাওয়া, বড় বেশী একঘেয়ে। টাকা আছে কিন্তু সুখ নাই, বা কাজের আনন্দ নাই। তার চাইতে জ্ঞানমন্দিরে ক্রিয়েটিভ কিছু করতে পারলে অফুরন্ত আনন্দ পাওয়া যাবে।
এখন মাঝে মাঝে মনে হয়। ঠিক করি নাই। আজকের জমানায় টাকাই দেবতা। ঘরে-বাইরে সবাই তো কেবল টাকাই চায়। ঘরে অঢেল টাকা নিয়ে আসতে পারলে স্ত্রী সন্তানরা সবাইই খুশী। হাত খুলে টাকা দিতে পারলে আত্মীয় স্বজনরা বলে, "বড় ভালো ছেলে"। বন্ধুদের আড্ডায় খাবার বিলটা দিয়ে দিলে সবাই হাততালী দেয়। বড় কোরবানীর গরুটা এনে বাসার সামনে বাঁধলে, পাড়া-প্রতিবেশী বলে, "ভালো দেখিয়েছেন!" কোন অনুষ্ঠানে বড় চাঁদা দিতে পারলে, আপনিই প্রধান অতিথি। টাকা, টাকা আর টাকা প্রদর্শন করতে পারলে সে কি তোঁয়াজ আর সম্মান। কোন পথে টাকা এনেছেন তা নিয়ে কেউ মাথাই ঘামায় না।
মাঝে মাঝে ভাবি, দিমা আর আমি, আমি আর দিমা কি খুব বড় ধরনের বোকা? আমরা কি নির্ভেজাল ভুল করেছি?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬
রমিত বলেছেন: অনেক দিন পরে ম্যাভেরিক! কেমন আছেন? আজ সকালে মনটা খুব খারাপ ছিলো। নেট খুলে প্রথম কমেন্টটাই আপনার দেখে খুব ভালো লাগলো।
আপনি অনেক দিন লেখালেখি থেকে দূরে ছিলেন। আপনার লেখার অভাব খুব অনুভব করছিলাম।
লেখালেখি করতে আমার খুব ভালো লাগে অবশ্যই। এক সময় প্ল্যান ছিলো, এই নিয়েই পড়ে থাকবো। এখন ব্লগ আসায়, সেই সুযোগও এসেছে।
এতকিছুর পরেও ঘর-সংসারে টাকার প্রয়োজন খুব অনুভব করি। আর বাংলাদেশের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের এক সময়কার ব্যক-বেঞ্চারদের যখন অঢেল টাকার মালিক দেখি তখন খুব খারাপ লাগে। মনে হয় যেন, আমি ব্যর্থ।
যাহোক আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৪
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: রমিত ভাই, কোনো ভুল করেন নাই, ঠিকই করেছেন।
আপনার সফলতা কামনা করি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭
রমিত বলেছেন: সাহস যোগানোর জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
হাসান নাঈম বলেছেন: ভুল করেছেন, অবশ্বই ভুল করেছেন - অতীতেও বহু মানুষ এমন ভুল করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। কারণ মানুষই একমাত্র প্রাণী যে ভুল করতে পারে, অথবা ভুল করতে পারি বলেই আমরা মানুষ।
সুতরাং মনের আনন্দে ভুল করতে থাকুন। মনে রাখবেন দুনিয়াতে বোকারাই সুখি হয় - আপনিও সুখি হবেন - ইনশাআল্লাহ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
রমিত বলেছেন: 'মানুষই ভুল করতে পারে, অথবা ভুল করতে পারি বলেই আমরা মানুষ।'
Eti amar ekta kobitar line. Onek age likhechhilam. Apnar chintar shathe mile gelo!
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
ছাসা ডোনার বলেছেন: শুভেচছা রইল রমিত!আমি তোমার সব লেখাগুলি পড়ি, কি ব্যাপার হঠাত কি হলো? কোণ চিন্তা করো না,তুমি কোন ভূল করনি বরং মহত কাজ করেছ।আমার তো হিংসা হয় তোমার সফলতা দেখে। তুমি তো তোমার মেধা প্রোয়োগ করতে পেরেছ, আর আমি তো আজ কিছুই না। কেন এত লেখাপড়া করেছিলাম? কার জন্য এত কষ্ট করেছিলাম ? অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু লিখতে বসলে কেন যেন আর পারি না।
ধন্যবাদ ভালো থাকো।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
রমিত বলেছেন: সাইফুল ভাই সালাম। আমাকে এভাবে মনোবল ও সাহস যোগানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো আছেন। মন খারাপ করবেন না।
৫| ০৯ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
বোকামন বলেছেন:
যদি এটা ভুল হয়... আমি বলবো বারবার একই ভুল করে যান।
শুভকামনা জানবেন :-)
০৯ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
অদীত বলেছেন: খু্বই ভালো একটা লেখা।
১৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২২
ম্যাভেরিক বলেছেন: ভুল করেননি। যখন খারাপ লাগবে, সব ভুলে খালি লেখালেখি করবেন, লেখালেখি। দেখবেন সিদ্ধান্ত আপনার সঠিক।