নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
অতি দূর থেকে দেখা একজন হুমায়ুন আহমেদ
--------------------------------------------- ডঃ রমিত আজাদ
হুমায়ুন আহমেদ নামটার সাথে প্রথম পরিচয় ঘটে আমাদের পারিবারিক লাইব্রেরীতে। তিন জেনারেশন ধরে গড়ে তোলা মোটামুটি বড়সড় একটা লাইব্রেরী ছিলো আমাদের বাড়ীতে। ছোটবেলা থেকেই এই লাইব্রেরীটি ছিলো আমার জ্ঞান আহরণ ও বই পড়ে আনন্দ পাওয়ার একটা ভালো যায়গা। প্রায়ই অবসর সময়ে ওখান থেকে কোন একটা বই টেনে নিয়ে পড়তাম। একদিন সেখান থেকে টেনে নিলাম একটা বই, যার উপরে বইয়ের নাম লেখা ছিলো 'নন্দিত নরকে', আর তার পাশাপাশি লেখা ছিলো আরেকটি নাম, 'হুমায়ুন আহমেদ'। তখন বছর বারো বয়স হবে আমার, ঐ বয়সেই বইটি পড়ে আমি অভিভুত হয়েছিলাম। বই পড়া শেষ হলে আরেকবার লেখকের নাম পড়লাম, 'হুমায়ুন আহমেদ'। নামটি তখনও খুব বেশী পরিচিত হয়ে ওঠেনি।
তার কিছুকাল পরে আরেকটি উপন্যাস পড়লাম কোন একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায়, 'সবাই গেছে বনে'। পুরো উপন্যাসটা শেষ করে আমার মন আবেগ আপ্লুত হয়েছিলো (আমার জীবনে এই উপন্যাসটির প্রভাব রয়েছে)। নির্ঝন্ঝাট ভদ্র বাঙালী ছেলেটি কেমন প্রেমে পড়ে গেলো মালিশা নামের স্ট্রেন্জ এ্যামেরিকান মেয়েটির। ফার্গো শহরটি বরফে ঢেকে কেমন সাদা হয়ে উঠতো। আমেরিকার কালচারে বড় হয়ে ওঠা এ্যামেরিকান বর্ন বাঙালী মেয়েটি হোয়াইট যুবকটিকে ভালোবেসে কেমন ঘর ছেড়েছিলো! তরুণ-তরুণীদের মনে কি এক অদ্ভুত অনুভূতি জাগে, তখন তাদের আর ভালো লাগেনা এই বাধা ধরা গতানুগতিক জীবন। তাদের বনে যেতে ইচ্ছে করে। সব কিছুই মনে দাগ কাটার মতো! পাতা উল্টে পিছনে ফিরে লেখকের নাম পড়লাম, 'হুমায়ুন আহমেদ'। সেই থেকে উনার ভক্ত হয়ে গেলাম।
ক্যাডেট কলেজে পড়ার কারণে উইক এন্ড ছাড়া টেলিভিশন দেখার সৌভাগ্য হতোনা। একবার ছুটিতে বাড়ী ফিরে শুনলাম একটি ধারাবাহিক নাটক খুব হিট করেছে। কি নাম নাটকের? সবাই বললো, 'এই সব দিনরাত্রী'। নির্দিষ্ট দিনে বসে গেলাম টিভি সেটের সামনে, নাটকের শেষে বললো, ' ----- আশা আনন্দ দুঃখ বেদনা এই সবকিছু নিয়ে আমাদের এই সব দিনরাত্রী'। নাটক দেখা শেষ হলে আপন মনেই বললাম, "বাহ্ বেশতো!"। পাশাপাশি এই মনে করেও মন খারাপ হয়ে গেলো, ভ্যাকেশন শেষ হলে তো আর নাটকটি দেখা হবে না। আদর্শবান অধ্যাপকের দুই ছেলে এক মেয়ে, টুনি, যাদুকর, ফানি সাদেক আলী, আবুল খায়েরের 'সুখী নীলগন্জ'। সবকিছু মিলিয়ে দারুণ লেগেছিলো নাটকটি। আমাদের বাংলার অধ্যাপক প্রিন্সিপাল বলেছিলেন, " এই নাটকে কাহীনি কিছু আছে কিনা আমি জানিনা, তবে দেখলে মনে হয় অবিকল আমার ঘরের ভিতর সবকিছু ঘটছে!"
এরপর থেকে 'হুমায়ুন আহমেদ'-এর যেকোন বই হাতে এলেই পড়তাম, বাদ দিতাম না। 'শঙ্খনীল কারাগার' উপন্যাসটিও মনে দাগ কেটেছিলো ভীষণ। আরো ভালো লেগেছিলো যখন জানলাম, উপন্যাসটির নাম 'হুমায়ুন আহমেদ'-এর দেয়া না, নামটি দিয়েছিলেন আমার প্রিয় শিক্ষক রফিক কায়সার - বাংলা সাহিত্যের জগতে আরেকটি নক্ষত্র।
গোগ্রাসে গিলেছিলাম 'হুমায়ুন আহমেদ'-এর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহীনিগুলো। এর আগে পড়তাম সত্যজিৎ রায়ের প্রফেসর শঙ্কুর কাহীনি। পরে বুঝতে পেরেছিলাম, ঐ লেখাগুলো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ছিলো না, ছিলো রূপকথা। এছাড়া রাশিয়ান বৈজ্ঞানিক কল্পকাহীনিরও আমি একান্ত ভক্ত ছিলাম। এগুলোই ছিলো সত্যিকারের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহীনি। বাংলা ভাষায় প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহীনি লেখেন 'হুমায়ুন আহমেদ'। অবশ্য তিনি নিজে স্বীকার করেছিলেন যে, রাশিয়ান বৈজ্ঞানিক কল্পকাহীনি পড়েই তিনি অনুপ্রানিত হয়ে বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহীনি লিখতে শুরু করেন। 'হুমায়ুন আহমেদ'-এর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহীনি 'ইরিনা' ও 'তোমাদের জন্য ভালোবাসা'-র প্রতিটি পংক্তি আমার এখনো মনে আছে। আমার অনেক বিদেশী বন্ধুদের আমি শুনিয়েছিলাম এই গল্পদুটো। তারাও প্রশংসা করেছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কোন এক ক্রিস্টালোগ্রাফীর ক্লাসে, লেকচার শোনা শিকেয় তুলে দিয়ে, আমার পাশে বসে থাকা ইউক্রেণীয় সহপাঠিনীকে শুনিয়েছিলাম 'ইরিনা' গল্পটি। সেও প্রবল আগ্রহ নিয়ে পুরো গল্পটা শুনেছিলো।
মহান মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে তাঁর লেখা যেই গল্পটি আমার সবচাইতে বেশী ভালো লেগেছিলো সেটি হলো, 'সৌরভ'। স্বাধীনতার চমৎকার একটি সংজ্ঞা সেখানে দেয়া ছিলো। আমার বড় বোন রেডিও বাংলাদেশে প্রচারিত 'সৌরভ' নাটকটিতে অভিনয় করেছিলেন। আমার বড় বোনকে হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলেন তার নিজের লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে তার সবচাইতে প্রিয় 'সৌরভ'।
১৯৮৮ বিটিভিতে শুরু হলো একটি ধারাবাহিক নাটক, 'বহুব্রীহি'। একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে, সেই সময় এই নাটকটিই ছিলো সেরা। নির্দিষ্ট দিনে টিভি সেটের সামনে বসতো পুরো বাংলাদেশ। হাস্যরসের মধ্যে দিয়ে আমাদের সমাজের অনেক বাস্তব চিত্র তিনি সেখানে তুলে ধরেছিলেন। নাটকটির অনেক ডায়লগ এখনো আমাদের জেনারেশনের মুখে মুখে ফেরে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যখন কোচিং-এ ভর্তি হয়েছি। সেখানে কেমিস্ট্রির ক্লাস নিতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের একজন সিনিয়ার ছাত্র। তিনি একদিন বললেন, " হুমায়ুন আহমেদ আমাদের শিক্ষক তোমরা জানোতো? তো একদিন একটা অনুষ্ঠানে আমরা উনাকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম, আমাদেরকে উনার জীবনের দুয়েকটা মজার ঘটনা বলতে ও তারপর উনার নাটকের দুয়েকটা ডায়লগ বলতে। তা উনি উনার জীবনের দুয়েকটা মজার ঘটনা যা বললেন তাতে আর নাটকের ডায়লগের প্রয়োজন হলোনা।" আমরা প্রশ্ন করলাম, "কি বললেন তিনি?" সিনিয়র ছাত্রটি বললেন, " হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন যে, তার সময়ে ভালো ছাত্ররা ভর্তি হতো ইকোনমিক্সে। তিনি নিজেকে ভালো ছাত্র মনে করতেন, এবং তিনিও প্রথমে ইকোনমিক্সেই ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর একদিন তিনি বেড়াতে এলেন কার্জন হলে। আর সেখানে হঠাৎ দেখলেন একজন অধ্যাপককে। অপূর্ব সুন্দর দেখতে সেই অধ্যাপক একেবারে প্রিন্সের মতো! সেই দেখেই তিনি ইকোনমিক্স ছেড়ে কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়ে গেলেন। তারপরে ডিপার্টমেন্টে বায়োডাটা ফিল আপ করার সময় সখের জায়গায় তিনি চট করে লিখে দিলেন যে, তিনি ম্যাজিক জানেন। নিছক কৌতুক করেই লিখেছিলেন। বুঝতে পারেননি কি অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য। কিছুদিন পরে তিনি ডিপার্টমেন্ট থেকে একটা চিঠি পেলেন যে, টিএসসি-র এক অনুষ্ঠানে তাঁকে ম্যাজিক দেখাতে হবে। এবার ফাঁপরে পড়লেন তিনি। ম্যাজিক তো আসলে তিনি জানেন না, কি রে দেখাবেন? আবার স্যারের কাছে গিয়ে তা বললে উল্টা ধমক খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কি করা যায়, কি করা যায়? ব্যাস ঘুরতে শুরু করলেন ম্যাজিশিয়ানদের পিছনে পিছনে। বেশ কিছু খরচ করার পর এক ম্যাজিশিয়ান তাঁকে তিনটি ম্যাজিক শেখালো। এখন পর্যন্ত ঐ তিনটি ম্যাজিকই তিনি জানেন।
কয়েকদিন পরে গেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট-এর অধ্যাপক ছিলেন তিনি। আমরা বন্ধুরা মনে মনে খুব চাইছিলাম হুমায়ুন আহমেদ-কে এক নজর দেখতে। সৌভাগ্য হলো, কার্জন হলের বারান্দায় দূর থেকে দেখলাম কিংবদন্তির লেখক হুমায়ুন আহমেদ-কে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলতে দেবতাতুল্য কিছু একটা মনে করতাম তখন, তার উপর খ্যাতিমান লেখক! ঐ কাঁচা বয়সের সংকোচের কারণে কাছে গিয়ে কথা বলা আর হয়নি। অতি দূর থেকেই দেখা হলো কেবল।
এরপর বিদেশে চলে যাই। উনার নাটক 'কোথাও কেউ নেই' সেখানে বসে ভিডিওতে দেখেছিলাম। বই-পত্র হাতে এলে পড়তাম। উনার একটা বই সবসময় আমার সাথেই রাখতাম, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহীনি -১। মন খারাপ লাগলে ঐ বইটা পড়ে মনটা হাল্কা করতাম। বিদেশে থাকতেই মিসির আলী সংক্রান্ত বইগুলো হাতে এসেছিলো। বিদেশে থাকার কারণে ওখানকার ফিল্ম ও লেখার কল্যাণে ঐ জাতীয় কাহিনীর সাথে আগে থেকেই পরিচিত ছিলাম, তবে বাংলা সাহিত্যে মিসির আলী টাইপ চরিত্র হুমায়ুন আহমেদই প্রথম ইনট্রোডিউস করেছিলেন। তাছাড়া ছিলো হিমু। মিসির আলী-র একেবারেই বিপরীত। খুব সম্ভবতঃ ফিলোসফি অফ একসিসটেনসিয়ালিজম-এর প্রতিগলন রয়েছে সেখানে। কেবল লেখকই নয়, তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। একসাথে এতগুলো গুনের সমন্বয় বাংলা সাহিত্যে খুব কম লেখকেরই ছিলো। আবার হুমায়ুন আহমেদ পাশাপাশি একজন বিজ্ঞানীও ছিলেন ।
হুমায়ুন আহমেদ উদ্ভট জিনিস পছন্দ করতেন তাই অতিবাস্তব ঘটনাবলী নিয়ে তিনি অনেক লিখেছিলেন। তাঁর এই লেখাগুলো আমি বেশ উপভোগ করেছি (দেবী, নিশিথিনী, ইত্যাদি) ।
হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত ছায়াছবি 'আগুনের পরশমনি' আমার এতো ভালো লেগেছিলো যে আমি নিজ উদ্যোগ নিয়ে মস্কোতে ছবিটি আমাদের বিজয় দিবসে বড় পর্দায় দেখিয়েছিলাম। বিদেশী বন্ধুরাও প্রশংসা করেছিলো ছবিটির।
ভ্যাকেশনে একবার দেশে এসে শুনলাম আমার বড় ভাই উনার 'নক্ষত্রের রাত' ধারাবাহিক নাটকটিতে অভিনয় করেছেন। ভাইকে বললাম, "আপনার সাথে তো হুমায়ুন আহমেদ-এর খুব ভালো সম্পর্ক, আমার সাথে একবার পরিচয় করিয়ে দেবেন?" "দেবো অবশ্যই, একটু সময় করে নেই, তারপর তোকে বলবো", বললেন বড় ভাই। অপেক্ষায় রইলাম, কিন্তু নানা কারণে আর হলোনা।
একবারে যখন দেশে ফিরলাম, তখন নিজের অধ্যাপনা নিয়েই ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম। মনের অনেক ছোট ছোট ইচ্ছাই আর ব্যাস্ততার কারণে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এমন একটি ইচ্ছা ছিলো কিংবদন্তির লেখক হুমায়ুন আহমেদ-এর সাথে সাক্ষাৎ। দেখা হলে বলতাম, "আপনার অনেক লেখার প্রভাব আমার জীবনে রয়েছে।"
তারপর গত বৎসর ১৯শে জুলাই তিনি হঠাৎ করেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন অজানার দেশে। কাছ থেকে তাঁকে আমার আর দেখা হলোনা। অতি দূর থেকে দেখা হুমায়ুন আহমেদ দূরেই রয়ে গেলেন। তিনি কোথায় গেলেন? বহুব্রীহি নাটকের একটি সংলাপ আছে, "কোথায় যে গেলেন, এখনো ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে পৃথিবীতে যে নেই এটা বেশ বুঝতে পারছি।"
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২০
রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ণ!
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: যেখানেই থাকুন না কেন , ভালো থাকুন । আমিন ।
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
রমিত বলেছেন: আমিন।
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৫
অজয় বলেছেন: বরাবরের মতই ভালো লিখলেন... আমি তো আপনার অনেক বড় পাঙ্খা.অনেক দিন ধরে লগ ইন করতে পারছিলাম না কোন এক সমস্যার কারনে আজ লগ ইন করে আপনার লেখায় কমেন্ট করে ভালো লাগলো
২০ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪২
রমিত বলেছেন: আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৪
বোকামন বলেছেন:
অতি দূর থেকে দেখেও খুব সন্নিকটে চলে গিয়েছেন !
ভীষণ ভালোলাগা রইলো পোস্টে।।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: প্রিয় মানুষ হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে ব্লগের মধ্যে এটাই সবচেয়ে সুন্দরতম লিখা।
এ লিখাটি আমার বারবার, বারবার, বারবার পড়তে ইচ্ছে করছে।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
রমিত বলেছেন: এত চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে বারবার বারবার বারবার ধন্যবাদ।
৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২
ছাসা ডোনার বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে নিয়ে তোমার লেখাটা অদ্ভুদ হয়েছে। আসলে উনাকে নিয়ে লিখতে উনার সব গুন গুলো সব বর্ণনা করতে সবাই পারে না। এইদিক দিয়ে তুমি সফল। খুব ভালো লেগেছে!!!!!!!!!!
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৭
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। কেমন আছেন?
৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৪
রোমেন রুমি বলেছেন: পছন্দের চরিত্র ছিল শুভ্র ।
শুভ্র ফিজিক্সের ছাত্র ছিল । মোটা ফ্রেমের ভারি চশমা পড়ত । মাথার চুলগুলো ছিল কোঁকড়ান। শান্ত এবং গম্ভীর প্রকৃতির ছিল । কথা বলত খুব কম ।
মাঝে মাঝে নিজেকে শুভ্র ভেবে আনন্দ পেতাম .........
শুভ্র সম্পর্কে লেখকের অন্তর্দৃষ্টি আর কত গভীর ছিল কে জানে ।
কিন্তু উপরে শুভ্র সম্পর্কে লেখা সবগুলো বৈশিষ্ট্যই যে আমার মধ্যে আছে এইটুকু জানি !
হিমু পড়ে সব সময় মজা পেতাম ।
হুমায়ূন আহামেদ সত্যিই একজন গল্পের যাদুকর ছিলেন ।
হুমায়ূন আহামেদ - এর জন্য ভালবাসা ।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।
শুভ রাত্রি
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
রমিত বলেছেন: এত চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, শুভ্র এবং দারুচীনি দ্বীপ একসময় আমার খুব ভালো লেগেছিলো।
৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: হুম বেশ ভাল লিখেছেন। অনেকদিনের অভিজ্ঞতাগুলো সঞ্চয় করে অল্প কথায় দূর্দান্ত উপস্থাপনা।
হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে আমার অভিজ্ঞতাও আপনার কাছাকাছি- তবে আমি আরেকটুখানি কাছে গিয়েছিলাম।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শেরজা তপন। আপনার অভিজ্ঞতাটিও শেয়ার করুন।
৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আপনার লিখা পড়েছি ।
কেমন আছেন স্যার ?
হুমায়ূন আহমেদ কে নিয়ে আপনার লিখা
ভাল লেগেছে ।
ভাল থাকবেন ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ক্যাডেট কলেজ ব্লগে অনেকদিন লেখা হয়না।
১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:২২
কাঠুরে বলেছেন: ভালো লাগলো।
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার লিখাটা কয়েকদিন আগে পড়েছি , চমৎকার লিখেছেন ।
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৪
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
১২| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯
শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লেখা।
প্রিয় লেখককে নিয়ে মনের সবটুকু আবেগ ঢেলে দিয়ে লেখেছেন, মনটা ছুঁয়ে গেল।
হুমায়ূন আহমেদের গল্প বলার সহজ ঢংটা আমার সবচে বেশী ভাললাগে, আর মনে হয় যেন আমার কথাই বলছে - উনার বেশীর ভাগ লেখে পড়ে আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
রমিত বলেছেন: জ্বী, আমার কাছেও উনার গল্প বলার সহজ ঢংটা বেশী পছন্দ হয়েছে। আপনার মন্তব্য খুব ভালো লাগলো।
উনাকে নিয়ে আমার আরেকটি লেখা আছে।
নন্দিত নিবাস
http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/30041483
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ++++++++