নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
ট্যাকা দেন দুবাই যামু!
------------------------------ ডঃ রমিত আজাদ
১৯৭৫ সাল থেকে মোটামুটি সবই মনে পড়ে। সেই সময়কার বাংলাদেশের দৈন্য দশা আর মানুষের অসহনীয় দারিদ্র বলে শেষ করা যাবে না। আমার এখনো মনে পড়ে, ভিক্ষুক এসে বলতো, "আপনারা ভাতের মার কি ফেলে দিয়েছেন, না ফেলে দিলে আমাকে দেন, একটু খাই।" সারা দেশই ক্ষুধায় কাতর ছিলো। তার কিছু সময় পরে জিয়াউর রহমান আশির্বাদ হয়ে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি হলেন। দরিদ্র-ক্ষুধাক্লিষ্ট মানুষের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেয়ার জন্য তিনি প্রান্তরের পর প্রান্তর ছুটে বেড়ালেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে বলা হয় সফর। আমরা জানি, তিনি বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছিলেন। তার অংশ হিসাবে, একের পর এক আরব রাষ্ট্রগুলো সফর করতে শুরু করেন জিয়াউর রহমান। আর দ্রুত সখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ সব রাষ্ট্রগুলোর সাথে। তিনি তাদের বোঝাতে সক্ষম হন যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ নামক সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশ আছে, জনসংখ্যার বিচারে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। তাদের ঐ মুসলিম ভাইটি খুব দরিদ্র। তারা যেন ঐ দরিদ্র ভাইটির প্রতি সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দেয়। 'মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই' এই কনসেপ্ট মুসলিম জাহানে রয়েছে সেই শুরু থেকেই, এটি একটি ইসলামিক ডকট্রাইন। সেই আবেগে আরব রাষ্ট্রগুলো সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো। কোন স্বার্থ থেকে নয় কেবলমাত্র ভাই ভেবে। তারা আমাদের নানা ভাবে সাহায্য করতে শুরু করলো। তার মধ্যে সব চাইতে বড় সাহায্যটি হলো আমাদের দেশের মানুষের জন্য আরবে কর্মসংস্থান করে দেয়া। বলা বাহুল্য যে, এদের একটি বিরাট অংশ অদক্ষ শ্রমিক। এই আমাদের কপাল খুলতে শুরু করলো। ক্ষুধামুক্ত হলো দেশ, লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তি পেলো বেকারত্বের অভিশাপ থেকে। দলে দলে যেতে শুরু করলো সৌদি আরব, দুবাই, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, লিবিয়া, ইত্যাদি নানা দেশে। যে দেশের মানুষ বাড়িতে একটি টু-ইন-ওয়ান থাকলে জীবন ধন্য মনে করতো, তাদের ঘরে ঘরে শোভা পেতে শুরু করলো ফ্রীজ, টেলিভিশন থেকে শুরু করে নানা রকম বিলাস সামগ্রী। আর কিছুকাল পরে টিনের ঘরের জায়গায় উঠতে শুরু করলো সুদৃশ্য দালান।
মিডলইস্ট আর দুবাইওয়ালা নামে দুটি কথা ব্যপক প্রচলিত হয়ে গেলো বাংলাদেশে। খ্যাতিমান চিত্রপরিচালক ও জনপ্রিয় নাট্যকার আমজাদ হোসেন ঈদের নাটক লিখলেন, "এতিদিন কোথায় ছিলেন?" (নাটকের মূল চরিত্র জব্বর আলী অনেক দিন দেশে অনুপস্থিত ছিলেন। কোথায় ছিলেন তিনি? আসলে তিনি ছিলেন দুবাই। দুবাই থেকে সুটকেস ভর্তি টাকা উপার্জন করে তিনি ঘর ভরেছেন, ঝলমলে শাড়ী গয়নায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে জবা-কুসুম-রোকন-দুলালের মা। এই ছিলো নাটকের থীম।) তাই দেখে বাড়ীর কাজের ছেলে পাগোল হয়ে বলতে থাকে, "ট্যাকা দেন দুবাই যামু, ট্যাকা দেন দুবাই যামু। অর্থাৎ মালিকের কাছ থেকে যাওয়ার টাকা জোগার করে দুবাই গিয়ে ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাড়ীর কাজের ছেলেও। তখন আমাদের মুখে মুখে ফিরতো এই কৌতুকপূর্ন ডায়লগ, "ট্যাকা দেন দুবাই যামু, ট্যাকা দেন দুবাই যামু।
আমাদের দেশের অনেকেই আরবদের নিয়ে হাস্যরস করে, বলে, আরবরা নাকি ভীষণ বোকা। হ্যাঁ তাই হবে হয়তো! বোকা বলেই হয়তো আমাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো। আর আমরা যেটা পারিনি তা হলো সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই চল্লিশ বছরে অদক্ষ জনশক্তিকে দক্ষ করে তোলা। চল্লিশ বছর আগেও লেবার পাঠাতাম, এখনো সেই লেবারই পাঠাই।
বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, এই মিডলইস্ট এখনো আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটা বড় ক্ষেত্র। সেই মিডল ইস্ট যদি আমাদের ভিসা দেয়া বন্ধ করে। আমাদের জন্য কর্মসংস্থান বন্ধ করে দেয় আমরা চলবো কি করে?
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩
রমিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। আপনিও খাঁটি কথা বলেছেন।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
স্টকহোম বলেছেন: চল্লিশ বছর আগেও লেবার পাঠাতাম, এখনো সেই লেবারই পাঠাই। দেশের জন্য,মানুষের জন্য প্লানিং না থাকলে যা হয়! যারা প্লানিং করবে তারা মানুষের জন্য করবে কি? নিজেরটা করেই শেষ করতে পারে না !! নিজের, আত্মীয় স্বজনের, তারপর তো দেশ!!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৭
রমিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। যথাযথ বলেছেন। সহমত।
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯
nurul amin বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া কোন উপায় দেখছি না। সরকার তো ভারত মাতার পা ধরে বসে রয়েছে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
রমিত বলেছেন: তাই তো মনে হয়। আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২০
এম আর ইকবাল বলেছেন:
দু বছর আগে ওমরাহ করতে গিয়েছিলাম ।
ওখানে শুনলাম সৌদীতে লোক নেওয়া বন্ধ ।
আরো শুনলাম সৌদী রাজ পরিবার জিয়ার জন্য
বেগম জিয়াকে খুব সম্মান করে ।
আমি বললাম, তা হলে বেগম জিয়া দেশ থেকে
লোক নেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করলে পারে ।
আলাপরত প্রায় সবাই বললো, তিনি কেন অনুরোধ
করবেন ,
তিনিতো এখন ক্ষমতায় নেই ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৬
রমিত বলেছেন: জ্বী, আমিও সেরকমই শুনেছি। আরো শুনেছি যে আরাফাতের ময়দানে কিছু নীম গাছ আছে, সেগুলি জিয়াউর রহমান লাগিয়েছিলেন। সেই গাছ এখনও হাজ্বীদের ছায়া দেয়।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪২
হিংস্র ঈগল বলেছেন: আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে। তবে "চল্লিশ বছর আগেও লেবার পাঠাতাম, এখনো সেই লেবারই পাঠাই।" এই কথার সাথে একমত হতে পারলাম না। একটু ভেবে দেখুন এই তথাকথিত লেবাররাই কিন্তু দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। যেসব বিদ্যার জাহাজ উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে লন্ডন আমেরিকায় খুটি গেরেছে সত্যি কথা বলতে এরা দেশের কোনও উপকারেই আসেনা। কখনো খেয়াল করে দেখেছেন আনোয়ার চৌধুরী, রওশন আরা আলি এরা বাংলাদেশে কত টাকা রেমিটেন্স পাঠায়??
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫১
রমিত বলেছেন: জ্বী, আপনার সাথে আমি একমত।
আমি আসলে অন্য অর্থে কথাটি বলেছিলাম। এই চল্লিশ বছরে দেশের মানুষকে শিখিয়ে পড়িয়ে আরো উপরের স্তরে নিয়ে যাওয়া যেতো, বা উচিৎ ছিলো, সেটা আমরা করতে পারিনি।
আমি নিজে কয়েকবার দুবাই ও কাতারে গিয়েছিলাম। সেখানে স্বল্প সময়ে যা দেখলাম, মিড লেভেলের চাকরীগুলো করে ইন্ডিয়ান আর শ্রীলংকানরা। আমাদের অবস্থান নীচে। কাতার এয়ারপোর্টে তো একবার বেশ বিব্রতই হয়েছিলাম। চেকিং-এর পর, আমার পাসপোর্ট তারা একটি বাংলাদেশী শ্রমিক দলের সাথে দিয়ে দিয়েছিলো। আমি যখন প্রশ্ন করলাম, "আমার পাসপোর্ট কোথায়?" তারা বললো, "আপনি কি ঐ দলের সাথে নন?" আমি বললাম, "না, আমি ইউরোপে পোস্ট-ডক্টরাল করছি। আপনাদের এখানে দুদিনের ট্রানজিটে এসেছি।" তখন তারাও বেশ বিব্রত হয়ে গেলো। একজন ছুটে গিয়ে ঐ দলের কাছে গিয়ে আমার পাসপোর্ট নিয়ে এলো। তারপর আমার হাতে দিয়ে বললো, "সরি! ভুল হয়ে গেছে।" বুঝলাম, বাংলাদেশী মানেই ওরা মুলতঃ শ্রমিক বোঝে। তাই খারাপ লেগেছিলো।
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমাদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে একজন কান্ডারি হারিয়েছি আমরা আর যার মূল্য আমাদের এখন চুকাতে হচ্ছে প্রতি পদে পদে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
রমিত বলেছেন: সহমত। আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০৯
সাইদুল অপু বলেছেন: নিজের দেশের মন্ত্রীই যখন দালালের কারণে অবৈধ হওয়া অসহায় (মালয়েশিয়াতে) লোকদের বলে চোর বাটপার তখন এরা এই লোকগুলোকে কি ভাববে? ভাই নিজের ছাড়া কারো কথা ভাবতে পারেনা।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৫
রমিত বলেছেন: ঠিক। কি বলবো দুঃখের কথা!
৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩
নতুন বলেছেন: দেশের বাইরের জন্য কাজের যোগ্য মানুষ আমরা বাইরে পাঠাইনা...
ছেলে বখাটে...এলাকায় থাকলে বাপের সম্মান থাকেনা...পুলিশে ধুরবে কিছুদিন পরে... >>> বাইরে পাঠাইয়া দেও...
পড়াশুনা করেনাই.. আড্ডাবাজি করেই বড় হইছে...কিছুই করতে পারতেছেনা...>> বাইরে পাঠাইয়া দেও...
দেশের কত ভাগ মানুষ হাতের কাজ শিখে বাইরে এসেছেন?
সরকার কতটা সচেতন শ্রমিক পাঠানোর জন্য...আর তাদের দেখাশুনার জন্য???
কয়েক দিন আগে শারজাতে জুতা নিয়ে ঝামেলায় মারামারীতে ৩জন বাংলাদেশী নিহত !!!
পণ`সিডি কপি করে বাজারজাত করন.... চুরি..মেয়ে মানুষের দালালী...রাস্তায় জুয়ার কোট`...অপহরন করে মুক্তি পন আদায়( বাংলাদেশির) ... এমন অনেক অপরাধের সাথে আমাদের দেশীভাইয়েরা জড়িত...
দেশের বাইরে আমাদের শিক্ষিত শ্রমিকের প্রচুর সুযোগ রয়েছে... কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সরকারী উদ্দোগ...
তারকা হোটেলে বিভিন্ন ডিপাটমেন্টে, আইটি ক্ষেত্র...একাউন্টিং...এবং বিভিন্ন অফিসের সেল্সে আমাদের দেশের ছেলে/মেয়েদের কাজের যোগ্যতা আছে কিন্তু বত`মানে ভিসা বন্ধের জন্য কিছুই সম্ভব হচ্ছে না...
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৫৯
রমিত বলেছেন: সহমত। আপনাকে ধন্যবাদ।
৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩০
রমিত বলেছেন: সহমত। আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭
পথহারা নাবিক বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন শুধু কিছু অংশ বাদ দিলে!! আমরা বাঙ্গালী নিজের পোন নিজে মারতে ব্যাস্ত!! দেশের উন্নতির চেয়ে বাবা/স্বামী বড় হয়ে যায়!!