নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুণীনের মন্ত্রবল

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৭

গুণীনের মন্ত্রবল

--------------------------------- ড. রমিত আজাদ



শান্ত বিকেল গড়িয়ে নেমে এলো নির্জন সন্ধ্যা,

আজ সারাটা দিন বৃষ্টি হয়েছিলো অঝোরে,

শরতের রৌদ্রজ্জ্বল দিন ম্লান করেছিলো আকাশ ছাওয়া কালো মেঘ,

খগোল থেকে নেমে আসা নির্মল বারিকণা

রূপ নিয়েছিলো অসহনীয় জলাবদ্ধতায়।

কোন যান নির্বিঘ্নে চলতে পারেনি রাজপথে,

অফিসগামী মানুষের পরিচ্ছন্ন পোষাক

কাদামাটি লেপ্টে মূষিকের মতো নোংরা হয়ে গিয়েছিলো

বড় সাহেবদের ঝলমলে গাড়ীগুলোও বাদ পড়েনি,

জলকাদায় ভিজে কেমন বিশ্রী রূপ ধারণ করেছিলো।

কেবল কাঁচ তোলা ছিলো বলে তাদের গায়ে ময়লা লাগেনি,

এসির বাতাসে থেকে টের পায়নি নর্দমার গন্ধ।

এভাবেই অনেক কিছু তাদের থাকে অজানা।



বিরক্তি, অস্বস্তি, ক্ষোভ আর ক্রোধে উম্মত্ত মানুষের ঢল,

ভাগ্য বেচারাকে গাল দিতে দিতে যাচ্ছে।

শুধু বস্তির ছোট ছোট শিশুগুলো হুটোপুটি করছিলো নোংরা জলে,

ওরা এখনো জীবনের কিছু বোঝেনা যে!

আর বুঝেই বা কি হবে? পাল্টাতে পারবে কি কিছু?

ঐ নর্দমায় ডুবে থাকা ব্যঙাচীদের সাথে তাদের পার্থক্য কতটুকু?

তার চাইতে ঐই ভালো, হুল্লোড় করুক নর্দমায়।

এভাবে নর্দমার গন্ধ একসময় সহনীয় হয়ে যাবে।



আবহাওয়াটা এতো খারাপ হলো কেন?

গুণীনের মন্ত্রবলেই কি এই সবকিছু হলো?



কিসের এতো আক্রোশ?

এতিমখানার এতিমদের প্রতি আক্রোশ!

গল্পকারের গল্পের প্রতি আক্রোশ!

লেখকের বইয়ের প্রতি আক্রোশ!

সাংবাদিকের কলমের প্রতি আক্রোশ!

এমনকি কবির কবিতার প্রতি আক্রোশ!



শান্ত বিকেল গড়িয়ে নেমে এলো নির্জন সন্ধ্যা,

এই আঁধার ক্রমশ ঘণীভূত হয়ে

রাত হয়তো আরো গভীর হবে।

গহীন অরণ্যে ডেকে উঠবে অলুক্ষুণে হুতুম প্যাঁচা!

প্যাঁচার ডাক শুনে আমরা আরো একবার শংকিত হবো।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩

দুখাই রাজ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো । শুভ সকাল ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০১

রমিত বলেছেন: কবিতাটি নির্বাচিত পাতায় দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ভাল লাগলো ৷

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০

বাংলার পাই বলেছেন: বাহ! দারুন। ++++++

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++++

অনেকদিন পরে আপনার লেখা পেলাম রমিত'দা :) কেমন ছিলেন ?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রমিত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে সময় করতে পারিনা তাই লেখা হয় কম।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রমিত বলেছেন: আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন লাগলো -- ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৮

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালোই আছি :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.