নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিলীন তুষারকন্যা

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪



নিলীন তুষারকন্যা
---------------- ড রমিত আজাদ

গিয়েছিলাম পরের ক্ষেতে,
হিমের সাথে ভাব জমাতে।
হলুদ ফুল আর ঘাসের মাঠে,
তুষার জমে চাদর পাতে।
চারিদিকে সাদার খেলা ঝলোমলো,
আকাশ ঢাকা ঘন মেঘে কালো কালো,
এই বুঝি এই ঝুপঝুপিয়ে সন্ধ্যা এলো,
সন্ধ্যা তো নয় রূপ জ্বালানো কন্যা এলো।
তুষার দেশের কন্যা সে যে!
তাই বুঝি তার চরণ পাতায়,
বরফকুচির নূপুর বাজে!

শ্বেতবর্ণা তুষারকন্যা বললো এসে,
বক্রচন্দ্র রাঙা ঠোটে মিষ্টি হেসে,
"কে তুমি ভাই কৃষ্ণকেশে ভীনদেশীয়?
করছো খেলা আমার দেশে পরকীয়?"
বললাম, "আমি রাজার কুমার উষ্ণদেশের।"
জবাব শুনে তুষারকন্যা কপট হাসে।
"উঁ, খুব যে ভারী রাজার কুমার,
কোথায় তোমার পঙ্খীরাজা ঢাল-তলোয়ার?"

বলি আমি, "হাতি-ঘোড়া, লাগবে কিছু? কি প্রয়োজন?
মন ভাঙাতে আছে আমার রাজকন্যা একশো ডজন।"
এবার কিন্তু তুষারকন্যা সত্যি-সত্যিই রেগে আগুন,
"কেমনতরো কথা বলো? হুশ আছে কি? কোথায় প্রসূন?"


এবার আমি অট্ট হেসে,
তুষার কন্যার গাত্র ঘেঁষে,
হাত রেখে তার আমার হাতে,
"রাজকন্যা একাই তুমি, এই মনেতে।
যাবে তুমি আমার সাথে?"
মান ভেঙে সে মিষ্টি হাসে,
চেখের তারায় স্বপ্ন ভাসে।
"যেতে পারি এক শর্তে,
বাসবে ভালো বুক ভরতে।"
"বেশতো, আমি হলাম রাজি,
এবার তবে বারাত সাজি?"
"আরো একটি শর্ত জুড়ি,
লিখতে হবে কাব্য কুড়ি,
আমায় নিয়ে। ফুল কুড়িয়ে,
মেঘ-বাতাসে বুক জুড়িয়ে।

"হবে, হবে সবই হবে,
চলো এবার যেতে হবে।"
যেইনা আমি পথ করেছি,
হিম-ললনার হাত ধরেছি,
হঠাৎ করে মেঘ সরে যায়,
সূয্যি উঠে গরম বেজায়,
এ' কি আমার হাতে ওকি?
তুষারকন্যার জলের ছবি!
সূরুজ তাতে তাপ বেড়েছে,
তুষার গলে জল হয়েছে,
ধীরে ধীরে শরীর তাহার নদী হলো,
হিম-ললনা তুষার আমার হারিয়ে গেলো!

আমি এখন ভাঙা বুকে কাব্য লিখি,
দুই-তিন নয়, এক কুড়ি নয়, এক পৃথিবী।
আমার দেশে বর্ষা হলে, মেঘ সাজিয়ে,
ভাবি মনে, তুষার আমায় বৃষ্টি হয়ে দেয় ভিজিয়ে।




মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ++++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

 বলেছেন: ++++ :D

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ, খুব ভাল লেগেছে :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০১

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: কবিতায় ভালো লাগলো ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০১

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.