নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
থেলিস (খ্রীষ্টপূর্ব ৬২৪ - খ্রীষ্টপূর্ব ৫৪৬): গ্রিসের প্রথম দার্শনিক
থেলিস (মিলেটাসের থালেস, Thales of Miletus (/ˈθeɪliːz/; Greek : Θαλῆς (ὁ Μιλήσιος); খ্রীষ্টপূর্ব ৬২৪ - খ্রীষ্টপূর্ব ৫৪৬), পুরাতন বাংলা বইগুলোতে তাঁর নামের উচ্চারণ থালেস লেখা আছে) তাঁকেই গ্রিসের প্রথম দার্শনিক ধরা হয়। সেই হিসাবে তিনিই পাশ্চাত্য দর্শনের জনক।
থালেস ছিলেন এশিয়া মাইনর-এর মাইলেটাসের অধিবাসি। এটি ছিলো একটি উন্নত বাণিজ্যিক শহর। সেখানে এক সময় ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়। সেই শ্রেণী-সংগ্রামে প্রথমে দাসরা জয়লাভ করে ও ধনীদের শিশু ও নারীদের হত্যা করতে শুরু করে। পরবর্তিতে আবার ধনীরা জয়লাভ করে ও দরিদ্রদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে। থেলিসের সময়ে এশিয়া মাইনর-এর অধিকাংশ শহরেই এরূপ সংঘাতময় অবস্থা বিরাজ করছিলো।
এই জ্ঞান থালেস অর্জন করেছিলেন বলা হয় যে থালেস মিশর ভ্রমণ করেছিলেন । মিশর ভ্রমণের সময় সেখানকার পুরোহিতদের কাছে তিনি জ্যামিতি শিখেন এবং তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি মিশরীয় জ্যামিতিবিদ্যা গ্রীসে নিয়ে আসেন। মিশরীয় পুরোহিতদের প্রতি তিনি এজন্য সারা জীবনই একধরণের দায়বদ্ধতা লালন করেছেন। বৃদ্ধ বয়সে তার ছাত্র পিথাগোরাসকে তিনি এ সম্বন্ধে বলেছিলেন যা শুনে পিথাগোরাস মিশর ভ্রমনে যান এবং ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করেন।। মনে করা হয় যে জ্যামিতি সম্পর্কে মিশরীয়দের ধারনা ছিলো মূলতঃ অভিজ্ঞতালদ্ধ (empirical) ও আইনকানুনহীন ব্যবহারিক পদ্ধতি।
ব্যবিলনীয়রা চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে নিশ্চিত ভবিষ্যদ্বানী ও সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে সম্ভাব্য ভবিষ্যদ্বানী করতে পারতো। কবি এবং দার্শনিক জেনোফেনিসের মতে থেলিস ৫৮৫ সালের ২৮ মে তারিখে সংঘটিত সূর্যগ্রহন সম্বন্ধে ভবিষ্যৎবাণী করেন এবং তা পুরোপুরি ফলে যায় আর এ কারণেই তার জনপ্রিয়তা দ্রুত ছড়িয়ে পরে। তবে হিরোডাটাস মনে করেন থেলিসের সূর্যগ্রহণ বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী করার কোন ক্ষমতা ছিলনা। উল্লেখ্য এই সূর্যগ্রহণের ফলে লিডিয়ার (Lydia) রাজা অ্যালিয়াটিস (Alyattes) এবং মিডিয়ার রাজা সিয়াক্সেরিস (Cyaxares) মধ্যে চলমান যুদ্ধটি থেমে গিয়েছিলো।
ইতিহাসবেত্তা হিরোডাটাসের মতে থেলিস একজন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা ছিলেন যিনি অ্যাজিয়ান অঞ্চলের আইওনিয়ান নগররাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে একটি ফেডারেশন গড়ে তোলার ব্যাপারে সালিশী (Advocacy) করেছিলেন।
গ্রিসের সাত প্রাজ্ঞ ব্যক্তির মধ্যে থালেস ছিলেন একজন। এদের প্রত্যেকেই এক একটি পান্ডিত্যপূর্ণ বক্তব্যের জন্য খ্যাত ছিলেন। অ্যারিস্টটল লিখেছেন যে থেলিস সমস্ত বিশ্ব একটি মাত্র উপাদান দ্বারা গঠিত, এ চিন্তাধারার জন্ম দিয়েছেন। প্রকৃতই থেলিস এ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে একটি দর্শনবিষয়ক অনুকল্প প্রস্তাব করেন যা পানি দর্শন নামে পরিচিত। থালেস মনে করতেন যে পানি-ই বিশ্বের মূল উপাদান এবং পানি থেকেই অন্যান্য বস্তু গঠিত। তিনি আরো মনে করতেন যে পৃথিবী পানির উপরে ভাসমান। এরিস্টটল বলেছেব যে, থালেস মনে করতেন, চুম্বকের মধ্যে আত্মা বিদ্যমান (এখান থেকে বোঝা যায় যে চুম্বক সম্পর্কে গ্রীকদের জানা ছিলো সপ্তম শতকেই) কারণ চুম্বক লোহাকে নাড়াতে পারে। তিনি আরো মনে করতেন সকল বস্তুর মধ্যেই ঈশ্বর বিরাজমান।
'সকল বস্তু পানি থেকে সৃষ্ট' - থালেসের এই মতামতকে উপেক্ষা করা যায়না। কারণ অধুনা আমরা জানি যে আদি এ্যাটম হলো হাইড্রোজেন। মেন্ডেলিফের পর্যায় সারনীতে এটির অবস্থানই প্রথম। আবার পানির দুই তৃতীয়াংশই হাইড্রোজেন।
থালেসই প্রথম পৌরাণিক কাহিনীর সাহায্য ছাড়াই প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর বর্ণনা করতে শুরু করেন। এটাই তো দর্শনের শুরু। এটাই পরবর্তিকালে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারায় বিপ্লব এনে দেয়। গণিত ব্যবহার করে তিনি পিরামিডের উচ্চতা ও সাগরে দুইটি জাহাজের মধ্যবর্তি দূরত্ব মাপতে পারতেন। জ্যামিতিতে প্রযুক্ত অবরোহী পদ্ধতি (deductive reasoning) তিনি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। চারটি অনুসিদ্ধান্ত তিনি আবিষ্কার পূর্বক তিনি থালেস উপপাদ্য (Thales' Theorem : states that if A, B and C are points on a circle where the line AC is a diameter of the circle, then the angle ∠ABC is a right angle) তৈরী করেন।
• থেলিস কিছু যুগান্তকারী উপপাদ্যের জনক। জ্যামিতির পাঁচটি উপপাদ্য প্রণয়নের জন্যই মূলত তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। উপপাদ্যগুলো হল:
১। একটি বৃত্ত তার যেকোনও ব্যস দ্বারা সমদ্বিখণ্ডিত হয়।
২। সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের সমান সমান বাহুগুলোর বিপরীত কোণগুলোও পরস্পর সমান।
৩। অর্ধবৃত্তস্থ কোণের পরিমাণ এক সমকোণ বা ৯০o।
৪। পরস্পরছেদী দুটি সরলরেখা দ্বারা উৎপন্ন বিপ্রতীপ কোণদ্বয় পরস্পর সমান।
৫। যদি কোনও ত্রিভুজের ভূমি এবং ভূমিসংলগ্ন কোণদুইটি দেয়া থাকে তবেই কেবল ত্রিভুজটি আঁকা যাবে।
বর্তমানে এগুলোকে খুব সরল মনে হলেও তৎকালীন সময়ের জন্য এগুলো ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিশরে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলত আর এই আলোচনাগুলোকেই উপপাদ্যগুলো সাধারণ সত্যে পরিণত করেছিল।
• থেলিসের জ্যামিতি হতে বীজগণিতের ধারণা পাওয়া যায়। তিনিই প্রথম দেখান যে একটি বিন্দু নির্দিষ্ট শর্তাধীনে চলমান হয়ে জ্যামিতিক সঞ্চারপথ তৈরি করে।
• থেলিস তৎকালীন ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ করে সঠিক প্রশ্ন উত্থাপন করেন এবং পৃথিবীর সকল ক্ষণস্থায়ী বস্তু বা বিষয়ের মধ্যকার নিয়ম অনুসন্ধানের প্রচেষ্টার সূত্রপাত করেন। তিনি প্রকৃতিকে মানবীয় গুণাবলীসম্পন্ন দেবতাদের (Anthropomorphic Gods) কাজ (যেমনটি দেখানো হতো পৌরাণিক কাহিনীগুলোতে) না ভেবে বরং প্রকৃতির মধ্যে কারণের অনুসন্ধান চালান। তার উত্তরসূরী অ্যানাক্সিমান্দার এবং অ্যানাক্সিমিনিস এর ধারণাও অনুরুপ ছিল।
• তিনি প্রথম বছরে প্রকৃত দিনের সংখ্যা গণনায় সফলতা অর্জন করেন।
• তারকারাজি পর্যবেক্ষণের দ্বারা সমুদ্রে অবস্থানরত কোন জাহাজের দূরত্ব নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
• মিশরীয়দের জ্যামিতিক ধারণা ছিল শুধুমাত্র তল সংক্রান্ত। কিন্তু থেলিস উপযুক্ত যুক্তির সাহায্যে কোন চিত্রের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয়ের একটি পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেন। এর সাহায্যে কয়েকটি অংশের সাহায্যে অপর অংশগুলো সঠিকভাবে নিণর্য় করা যায়। এটি সমগ্র বিশ্বে একটি সম্পূর্ণ নতুন বিমূর্ত ধারণার জন্ম দেয় যার মূল প্রেরণা ছিল গ্রিকদের Abstract spirit বা বিমূর্ত চেতনা। এ আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্যোতির্বিদ্যার সূচনা ঘটে । গ্রিকদের এ জ্যোতির্বিদ্যির মূল উদ্দেশ্য ছিল জ্যোতিষ্কগুলোর গতির মধ্যে জ্যামিতিক সম্পর্ক নির্ণয় করা।
একজন দার্শনিকের মতই বিমূর্ত এর অস্তিত্ব আছে বলে বিশ্বাস করতেন।
এছাড়া তার আরও অনেক বিখ্যাত উক্তি রয়েছে যা তার বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটায়। যেমনঃ
• নিজেকে জানো (Know thyself)
• কোনও কিছুর অতিরিক্ত ভালো নয় (Nothing in excess)
থেলিস আরো বলেছেন
১। পৃথিবী পানিতে ভাসমান (কাঠের টুকরা বা জাহাজের মতো)। ভূমিকম্প ও জ্যোতিষ্কসমূহ গতিশীল হয় এই কারণে যে সকলেই ঐ পানির টলটলায়মান ঊর্মীমালার উপর দোদুল্যমান। (অর্থাৎ পৃথিবী একটি কঠিন কায়া এবং সে টলটলায়মান প্রবাহের উপর ভাসমান)
২। পৃথিবী জলে ভাসমান এবং সূর্য ও অন্যান্য জ্যোতিষ্ক এই পানির বাষ্পে খেয়ে থাক.
৩। তারকাসমূহ মাটির তৈরী কিন্তু খুব উত্তপ্ত। সূর্য এবং চন্দ্রও মাটির তৈরী।
৪। পৃথিবী রয়েছে এই মহাবিশ্বের কেন্দ্রে। এবং পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলে সমগ্র মহাবিশ্বেরই ধ্বস নেমে আসবে। (অর্থাৎ গ্রিসে থেলিস-ই হলো ভূ-কেন্দ্রিকতা মতবাদের প্রবক্তা)
৫। জীবনের প্রয়োজন পড়ে খাদ্য ও নিশ্বাস: পানি হলো সেই খাদ্যের সাথে উপমেয় আর আত্মা হলো সেই নিশ্বাস-এর সাথে উপমেয়।
থালেস সম্পর্কে অনেক লৌকিক উপাখ্যান রয়েছে। এমন একটি উপাখ্যান এরিষ্টটল তার পলিটিক্স গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। থালেস দরিদ্র ছিলেন। তার দারিদ্রের জন্য একবার তাকে কটাক্ষ করা হয়। কটাক্ষকারীরা একথাই বলতে চেয়েছিলো যে, 'দর্শনের কোন ব্যবহারিক প্রয়োগ নেই।' তাদের শিক্ষা দেয়ার জন্য শীতকাল আসার পূর্বেই থালেস আকাশের নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলেন যে আসছে মৌসুমে জলাপাইয়ের ফসল ভালো হবে। সুতরাং তিনি তার কাছে থাকা সামান্য পুঁজির সবটুকু দিয়ে মাইলেটাসের সব জলপাইয়ের তেলকল ঐ মৌসুমের জন্য ভাড়া নিয়ে ফেলেন। নিলাম ডাকার জন্য যেহেতু কোন প্রতিদ্বন্দী ছিলো না, তাই সামান্য টাকাতেই হয়ে যায়। মৌসুম এলে দেখা গেলো সত্যি সত্যিই জলপাইয়ের ফলন খুব ভালো হলো। এবার ব্যবসায়ীরা যখন তেলকল ব্যবহার করতে গেলো দেখা গেলো সবই থালেসের হাতে। থালেস এবার চড়া মূল্যে তেলকলগুলি ব্যবহার করতে দিলেন এভাবে তিনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করলেন। এভাবে তিনি বিশ্বজগতের নিকট প্রমাণ করে দেখান যে, দার্শনিকগণ-এর যে জ্ঞান রয়েছে সেটা ব্যবহার করে চাইলেই তারা অনেক ধনী হতে পারেন। কিন্তু সেই ধনী হওয়ার উচ্চাকাঙ্খা তাদের নেই। তাদের উচ্চাকাঙ্খা ভিন্নধর্মী।
থালেসের উপদেশ 'নিজেকে জানো' (Know thyself), ডেলফি-র এ্যাপোলোর মন্দিরের সদরের বহির্ভাগে খোদাই করা আছে।
থালেসের বিজ্ঞান ও দর্শন ছিলো অপরিপক্ব, কিন্তু তা গ্রীক তথা পশ্চিমাদের চিন্তা ও পর্যবেক্ষণকে উদ্দিপিত করতে সমর্থ ছিলো।
তথ্যসূত্রঃ
১। https://en.wikipedia.org/wiki/Thales
২। http://www.iep.utm.edu/thales/
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
রমিত বলেছেন: জ্বী।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৮
রমিত বলেছেন: লেখাটিকে নির্বাচিত পাতায় দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
বিদগ্ধ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
থেলিস বা থেলিজ বললেও কিছুটা ধারকাছে যায়। প্রকৃতপক্ষে এর উচ্চারণ হবে 'থেইলীজ'। আপনারই দেওয়া উচ্চারণ /ˈθeɪliːz/
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
রমিত বলেছেন: শুধরে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে ছাত্র জীবনে আমি নামটা থালেস-ই পড়েছিলাম। সেটা এখনো মনে গেথে আছে। // ইদানিং কোন কোন জায়গায় থেলিস লেখা পাই। রুশ ভাষায় আবার উনাকে বলা হয় 'ফালেস'। যাহোক এখন থেকে 'থেলিস'-ই ব্যবহার করবো।
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৪
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: থেলিস সম্বন্ধে অনেক কিছু জানালাম। বিশেষ করে তাঁর জ্যামিতিক জ্ঞান দেখে অবাক হলাম। এতো আগেও তাঁর মাথায় এগুলো ঢুকেছে। চিন্তাই করা যায় না।
৩। অর্ধবৃত্তস্থ কোণের পরিমাণ এক সমকোণ বা ৯০o।
এখানে ৯০ ডিগ্রী হবে। খুব সম্ভবত ডিগ্রী সাইনটাই জিরো হয়ে গেছে।
এতোদিন জানতাম Know thyself সক্রেটিস বলেছিল। আমার জানার ভুল ছিল কিনা জানি না।
তথ্যঋণ স্বীকার করা দরকার ছিল মনে হয়।
অনেক ধন্যবাদ রমিত। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
রমিত বলেছেন: আসলে আমাদের দেশে আমরা মোটামুটিভাবে সক্রেটিস-কেই প্রথম গ্রীক দার্শনিক মনে করি থাকি। এটা একটা সাধারণ ধারনা মাত্র। মূলতঃ থেলিস থেকেই গ্রিসের দর্শন শুরু হয়। তারপর এ্যানাক্সিমেন্ডার, পিথাগোরাস, হিরাক্লিটাস, পারমেনিডাস, এনাক্সাগোরাস, ইত্যাদি অনেক দার্শনিক হয়ে তারপর সক্রেটিস। সক্রেটিস-কে পীক বলা যেতে পারে। সক্রেটিস সম্পর্কে আমি ইতিপূর্বে সামুতে লিখেছি, - 'সক্রেটিসের এ্যাপোলজি'।
Know thyself কথাটি সক্রেটিস প্রথম বলেছিলেন বলে একটি সাধারণ ধারনা প্রচলিত রয়েছে। সক্রেটিস কথাটি বলেছিলেন নিঃসন্দেহে তবে প্রথম বলেছিলেন থেলিস।
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭
নিয়েল হিমু বলেছেন: থেলিস পিথা গোরাসের শিক্ষক ?!!
দারুন পিডিয়া । ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮
গ্যাব্রিয়েল সুমন বলেছেন: ইনিই থেলিস?