নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন গোধূলী পথে

০৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৬


স্বপ্ন গোধূলী পথে
------------------ ড. রমিত আজাদ

হঠাৎ উঠেছে ধুলো দমকা হাওয়ায়,
বিমুক্ত নীলাকাশে ক্ষণিকের কল্মষ,
স্বচ্ছ জলের পাত্রে প্রতিচ্ছবি জ্যোৎস্না অধরার,
তরঙ্গের নূপুরে হাওয়ার গান,
বিমূঢ়, হতবাক্
এক প্রেমিক যুবক।

এক-কণিকার মুক্তো মানিক
দাঁতে ঠোঁট চেপে হাসো,
যেন পাহাড়ী ঝর্ণায় জলের কল্লোল
ঐ হাসির জন্য, আমি সাগরে ঝাঁপ দিতে পারি অনায়াসে।

দুইটি রঙিন হেমন্ত, দুইটি তুহীন শীত,
দুইটি খড়তাপের গ্রীস্ম,
দুইটি ফুলেল বসন্ত,
অচেনা থেকে আপন হয়ে যাওয়ার মতো
পর্যাপ্ত দীর্ঘ সময়।

সুখের সময়ে ক্রন্দন চোখে পড়েনা,
চোখে পড়েনা ঝড়া পাতার মর্মরে দীর্ঘশ্বাস,
একেবারেই দৃষ্টিগোচর হয়না
বোবা আব্বাসের বাড়ীর পাশের নির্বান্ধব গাব গাছ

আমি গিয়েছিলাম যেখানে এ্যাঞ্জেল নেই,
শয়তান আছে কিনা ঠিক বুঝতে পারলাম না।
দৃশ্যমান শয়তানের মুখশ্রী তো আর দেখা হয়নি
তবে বিদ্যুৎ দেখা না গেলেও
তার শক খেয়ে যেমন মৃত্যু হয়,
শয়তানও তেমনি অদৃশ্য ভয়ংকর!

নাড়ীর টানে সেই ছেলেবেলার নৌকাখেলার বিলে
ফিরে গিয়েছি আমি, রঙে রঙে ছেয়ে থাকা
পদ্ম দেখবো বলে,
দেখেছি সেই বিল
মোটেও শান্ত জলাধার নয়।
জলের গভীর গভীরে
শাপলা, কচুরিপানা, কলমী লতায়
ভীষণ ষড়যন্ত্র রত
আঘাত, হত্যা, খুন রক্তপাত
কোন কিছুই অস্বাভাবিক নয় যেন
ছেলেবেলায় যে বিল মনোরম মনে হয়েছিলো
তার অতলে কেমন ত্রাস!

একটি চ্যালেঞ্জ ছিলো আমার,
আমি মোকাবেলা করেছি নিখুঁতভাবে,
তুমি তাকে কি বলবে জানিনা,
আমি তো তাকে জয়ই বলবো।

আমি ঘৃণা ভালোবাসি না, প্রেম ভালোবাসি
ভালোবাসার প্রতিশব্দ প্রেম,
ঘৃণার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।

তোমাকে দেখামাত্র
আমার বুকের রক্ত ছল্কে উঠতো,
আমার আঙুলের স্পর্শে
সন্ধ্যার রাঙা মেঘের মতন
কেমন টকটকে রক্তাভা ছড়িয়ে যেত তোমার মুখে!
অধরের বুকে অধর,
হৃদয়ের কোলে হৃদয়,
প্রাণের মধ্যে প্রাণ!
তোমাকে কথা দিয়েছিলাম
ঘর বাঁধবো নিবিড় অনুরাগে
আলিঙ্গনের আবেশে
মেখে নেব তোমার সুবাস
পায়রা-ডাকা ভরদুপুরে

তারপর একটু বিরতি,
একটু অস্থায়ী বিচ্ছেদ,
কেন?
ঐযে চ্যালেঞ্জ গ্রহন করবো বলে,
অন্ত:শত্রু বেঈমানী করে,
প্রতারক যুদ্ধ এড়িয়ে চলে,
যোদ্ধা যুদ্ধ এড়ায় না!
এই রণক্ষেত্রে, আমিও যোদ্ধা যেন।

তারপর যুদ্ধ শেষে,
এতটা রোদজ্বলা পথ হেটে এসে,
হয়তো আমার ফর্সা রং কিছুটা ঝলসে যাবে
ঘাসের গন্ধ মেখে, জলের গন্ধ মেখে,
জবার গন্ধ মেখে, জুঁইয়ের গন্ধ মেখে,
আমি ফিরে এসে দেখবো,
তুমি দাঁড়িয়ে আছো একরাশ কার্নেশন হাতে।

মনে পড়ে?
হাত-দু’খানা আঁকড়ে ধরে তোমাকে বলেছিলাম
এই যাওয়াটা কিছু নয়
যত দেরীই হোক,
আমি আবার ফিরে আসব,
তোমার স্বপ্ন গোধুলি পথে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.