নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওম মনিপদ্মে হুম’ – পর্ব ৩

২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

ওম মনিপদ্মে হুম’ – পর্ব ৩
———————-ড. রমিত আজাদ




(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)

বধু শুয়ে ছিলো পাশে, শিশুটিও ছিলো,
প্রেম ছিলো, আশা ছিলো, জোৎস্নায়
তবে সে দেখিলো কোন ভুত?
ঘুম কেন ভেঙে গেলো তাঁর?

গৃহত্যাগী হলেন রাজপুত্র সিদ্ধার্থ, জীবনের সব মায়া ছেড়ে। বিলাসবহুল প্রাসাদ তাঁকে আর কোন দিন টানতে পারেনি, পথে পথেই কাটিয়ে দিলেন বাকি জীবনটা। শিষ্যদের মধ্যে গৌতম বুদ্ধ মৌখিকভাবে উপদেশ দিতেন। জীবদ্দশায় তিনি বৌদ্ধসঙ্ঘ স্থাপন করেন।
.
বুদ্ধ তাঁর প্রচারিত ধর্মের কোন গ্রন্থ রচনা করেন নি। তাঁর পরিনির্বাণের পর মেধাবী শিষ্যগণ কর্তৃক বৌদ্ধদের ক্রমাগত তিনটি মহাসভায় তাঁর বাণী, মত, আচার ব্যবহার ও দর্শন সংগৃহীত হয়। বুদ্ধের পরিনির্বণের পর তাঁর প্রধান শিষ্যত্রয় (দুই শিষ্য সারিপুত্র ও মৌদ্গলায়ন বুদ্ধের জীবদ্দশাতেই মারা যান) মহাকাশ্যপ, আনন্দ এবং উপালি প্রথম বর্ষায় রাজগৃহে (রাজগীরে) উপস্থিত হয়ে বুদ্ধের বাণীগুলি সঙ্কলনের জন্য এক মহাসভার (council) আহ্বান করেন। এটাই প্রথম ধর্ম-সঙ্গীতি নামে বিখ্যাত। এ সভায় বিদ্যাবয়োবৃদ্ধ পাঁচশত বুদ্ধশ্রাবক উপস্থিত ছিলেন। মগধরাজ অজাতশত্রু (৪৯৩-৪৬২ খ্রিস্টপূর্ব) এই সভার পৃষ্ঠপোষক এবং মহাকাশ্যপ প্রধান নেতা ছিলেন। বুদ্ধের নিত্যসহচর আনন্দ ধর্মাংশের সংগ্রহে প্রধান নেতা, এবং উপালি বিনয়াংশের সংগ্রহে প্রধান নেতা ছিলেন। দুই শিষ্যের এই সংগ্রহ গ্রন্থ সূত্রপিটক ও বিনয়পিটক নামে প্রসিদ্ধ। অভিধর্ম সূত্রপিটকেরই অন্তর্গত ছিলো। পরে পৃথককৃত হয়ে অভিধর্মপিটক নামে প্রসিদ্ধ হয়। এই তিন পিটককে বলা হয় ত্রিপিটক। ত্রিপিটক থেরাবাদীর শাস্ত্র। বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের প্রায় ৫০০ বছর পরে এই ত্রিপিটক লিখিত হয়, এর পূর্বে তা সঙ্ঘের দ্বারা মৌখিকভাবে উপদিষ্ট হতো। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের এই মূল পিটকগুলি বুদ্ধকথিত মগধের পালিভাষায় রচিত হয়। পরবর্তীতে বৌদ্ধধর্ম প্রাদেশিক হতে ক্রমশঃ সার্বভৌমিক হলে সংস্কৃতেও শাস্ত্রগ্রন্থাদি রচিত হয়।
.
বুদ্ধের পরিনির্বাণের পর তাঁর অনুসারি আচার্যদের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বৌদ্ধধর্মের উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসার ঘটতে থাকলেও এর পরিণাম হিসেবে অনুসারিদের মধ্যে বিভিন্ন আচার-বিচার ও মন্তব্যে ভেদও উৎপন্ন হতে থাকে। কেননা বিভিন্ন মানুষ, জাতি বা সমাজের বদ্ধমূল আচার-বিচার, বিশ্বাস বা সংস্কারগুলি নতুন ধর্মে দীক্ষিত ব্যক্তির কাছ থেকে একেবারে চলে যায় না। ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়গত মতের উদ্ভব ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই কোন নতুন ধর্ম স্বীকার করা মাত্রই মানুষের জীবন বা বিশ্বাসের আমূল পরিবর্তন ঘটে না, বরং নিজের বিশ্বাস বা পরম্পরাগত অভ্যাস নতুন ধর্মেও প্রভাব ফেলে। এ কারণেই বুদ্ধের শিক্ষা গ্রহণকারী নানা প্রকৃতির মানুষ একে নানাভাবে দেখে এবং বিচার-বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করে। এতে করে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক মতভেদও বাড়তে থাকে।
.
প্রথম সঙ্গীতির (মহাসভা) একশ’ বছরের মধ্যেই অনুসারীদের মধ্যে মতভেদ তীব্র হয়ে ওঠলে এ সময় স্থবির যশ বা যজ্ঞ নামক একজন আচার্য (ভিক্ষু শোণবাসী এবং রেবত নামক অন্য কয়েক প্রখ্যাত ভিক্ষুকে সম্মত করে) ৩৮০ মতান্তরে ৩৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বৈশালীতে দ্বিতীয় মহাসভার (সঙ্গীতি) আহ্বান করেন। এই সভার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো সে সময়ে অনেকগুলো বিকশিত সম্প্রদায়ের বিচারপূর্বক সত্য সিদ্ধান্ত প্রতিপাদন করে বিনয় পরিশোধন করা। কিন্তু পারস্পরিক মতভেদের দরুন সেই সভার উদ্দেশ্য সফল হয় নি। মতভেদের তীব্রতার কারণে বৌদ্ধগণ স্থবিরবাদী ও মহাসাঙ্ঘিক নামে দু’টি সম্প্রদায়ে (নিকায়ে) বিভক্ত হয়ে যায়। স্থবিরবাদ হচ্ছে থেরবাদ। স্থবিরবাদীরা বুদ্ধের মানবতায় বিশ্বাসী ছিলেন, কিন্তু মহাসাঙ্ঘিকরা বুদ্ধকে অলৌকিক বা অমানব রূপ দিতে তৎপর ছিলেন। ফলে ভিন্নমতাবলম্বী ভিক্ষুগণ এই সঙ্গীতি বর্জন করে কৌশাম্বীতে পৃথক সভার আহ্বান করেন। এভাবে ভিক্ষুসঙ্ঘে এই প্রথম দুই নিকায় বা পক্ষের সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে বৈশালীতে সংগৃহিত সূত্র ও বিনয়ের অনুসরণকারিগণ স্থবিরবাদী এবং কৌশাম্বীর সভায় অনুগামিগণ মহাসাঙ্ঘিক নামে অভিহিত হন। মহাসাঙ্ঘিক সম্প্রদায়ের প্রবর্তকরূপে মহাকাশ্যপকে মানা হয়। বুদ্ধ সম্বন্ধীয় বিচারে মহাসাঙ্ঘিকদের চিন্তাধারাই ছিলো মহাযান ধর্মের প্রধান ভিত্তি। পরবর্তীকালে মহাসাঙ্ঘিক সম্প্রদায় হতে মহাযান বৌদ্ধের উদ্ভব হয়। এই সংস্কারমনা মহাযানীরাই রক্ষণশীল স্থবিরবাদীদের হীনযান হিসেবে আখ্যায়িত করেন। স্থবিরবাদের প্রবর্তক ছিলেন উজ্জয়িনীর নিবাসী মহাকচ্ছপায়ন। এই হচ্ছে দ্বিতীয় ধর্ম সঙ্গীতি।
.
কিন্তু বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মতভেদ ও বিবাদ নিরন্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই ভেদ দূর করতে কালক্রমে পুনরায় ধর্ম ও বিনয়ের সংস্কার প্রয়োজন হলে সম্রাট অশোকের (২৬৯-২৩২ খ্রিস্টপূর্ব) পৃষ্ঠপোষকতায় পাটলিপুত্রের ‘অশোকারামে’ তৃতীয় সভার অধিবেশন আহুত হয়। কিন্তু বিভেদ নিরসনে সফল না হতে পারায় তিনি স্থবিরবাদকে বুদ্ধের মূলশিক্ষার অনুরূপ হিসেবে ঘোষণা করেন। এই তৃতীয় সভার অধ্যক্ষ ছিলেন তাঁর গুরু ৭২ বছরের বৃদ্ধ আচার্য মোগ্গলিপুত্ত তিস্স (মৌদ্গলিপুত্র তিষ্য)। বিভিন্ন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মতভেদ দূর করে সত্য সিদ্ধান্ত নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে আচার্য তিষ্য এক হাজার ভিক্ষুকে নির্বাচন করেছিলেন বলে জানা যায়। এই সভায় তিষ্যের অধ্যক্ষতায় বিবাদগ্রস্ত বিষয়ের উপর নয় মাস ধরে আলোচনা চলে। পরিশেষে তিষ্যের রচিত ‘কথাবত্থু’ গ্রন্থটি প্রমাণস্বরূপ সকলে স্বীকার করেন। এটি হচ্ছে তৃতীয় সঙ্গীতি। এই সঙ্গীতিতে সর্বাস্তিবাদী প্রভৃতি এগারোটি নিকায় স্থবির নিকায় হতে পৃথক হয়। অর্থাৎ বুদ্ধের নির্বাণের একশত বছর পরে (৩৮০ খ্রিস্টপূর্ব) বৌদ্ধসঙ্ঘ স্থবিরবাদ এবং মহাসাঙ্ঘিক নামে যে দুটি নিকায়ে বিভাগ হয়েছিলো, পরবর্তী সোয়াশো বছরে তা বিভক্ত হয়ে মহাসাঙ্ঘিকের ছয়টি এবং স্থবিরবাদের বারোটি, মোট আঠারোটি নিকায় হয়। এই বিভাগগুলি এরকম-
.
প্রথম ধাপ:
বৌদ্ধসঙ্ঘ => (১) মহাসাঙ্ঘিক + (২) স্থবিরবাদ
.
দ্বিতীয় ধাপ:
(১) মহাসাঙ্ঘিক => (৩) গোকুলিক + (৪) এক ব্যবহারিক
(২) স্থবিরবাদ => (৫) বৃজিপুত্রক (বাৎসীপুত্রীয়) + (৬) মহীশাসক
.
তৃতীয় ধাপ:
(৩) গোকুলিক => (৭) প্রজ্ঞপ্তিবাদ + (৮) বাহুলিক (বাহুশ্রুতিক) > (৯) চৈত্যবাদী
(৫) বৃজিপুত্রক => (১০) সম্মিতীয় + (১১) ভদ্রয়াণিক + (১২) ধর্মোত্তরী + (১৩) ছন্নাগারিক
(৬) মহীশাসক => (১৪) ধর্মগুপ্তিক + (১৫) সর্বাস্তিবাদ
.
চতুর্থ ধাপ:
(১৫) সর্বাস্তিবাদ > (১৬) কাশ্যপীয় > (১৭) সাংক্রান্তিক > (১৮) সূত্রবাদী (সৌত্রান্তিক)
.
আঠারোটি নিকায়ের পিটকও (সূত্র, বিনয়, অভিধর্ম) ছিলো, যাদের মধ্যে সূত্র ও বিনয় অনেকটা একরকম ছিলো। অভিধর্ম পিটকে শুধু মতভেদই নয়, এমনকি তাদের গ্রন্থও ছিলো ভিন্ন ভিন্ন। এই ভিন্ন ভিন্ন অভিধর্ম পিটক গ্রন্থগুলোতে একে অন্যের মতবাদকে খণ্ডন করেছেন। সম্রাট অশোক নিজে স্থবিরবাদী হওয়ায় তাঁর সময়কাল পর্যন্ত এই নিকায় রাজপৃষ্টপোষকতা পেলেও অশোকের পরবর্তীকালে ভারতবর্ষ হতে ক্রমশ অন্য বৌদ্ধশাখা কর্তৃক বিতাড়িত হয়ে স্থবিরবাদী ভিক্ষুগণ শ্রীলঙ্কায় আশ্রয় নেয়। ২৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অশোকের পুত্র মহেন্দ্রর চেষ্টায় শ্রীলঙ্কায় স্থবিরবাদ প্রচারিত হয়। সেখান হতে ব্রহ্ম, শ্যাম প্রভৃতি দেশে তা বিস্তৃত হয়।
.
স্থবিরবাদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সর্বাস্তিবাদ হচ্ছে সর্বপ্রধান। এই সম্প্রদায় তত্ত্বের অনিত্যতায় অবিশ্বাস করে সকল কিছুকে নিত্য বলে স্বীকার করেন। অশোক প্রভৃতি কর্তৃক সর্বাস্তিবাদিরা অনাদৃত হলেও একসময় উত্তর ভারতে সর্বাস্তিবাদেরই প্রাধান্য সৃষ্টি হয়। এই সর্বাস্তিবাদীর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন কুষাণবংশীয় রাজা কণিষ্ক (৭৮-১৪৪ খ্রিস্টাব্দ)। তাঁর সময়ে এই সম্প্রদায় মধ্য এশিয়া ও চীনদেশে প্রসারিত হয়। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় বসুমিত্রের নেতৃত্বে এবং পার্শ্ব, অশ্বঘোষ প্রমুখ বৌদ্ধ আচার্যের সহায়তায় জলন্ধরে কুণ্ডলবন বিহারে পাঁচশত ভিক্ষুর সমন্বয়ে চতুর্থ সঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয়। এটাই ছিলো বৌদ্ধধর্মের অন্তিম সঙ্গীতি। এ সভায় বসুমিত্র ছিলেন সভাপতি এবং অশ্বঘোষকে পাটলিপুত্র থেকে এনে উপসভাপতি করা হয়েছিলো। এই মহাসভায় একত্রিত আচার্যগণ বৌদ্ধধর্মের সিদ্ধান্তগুলিকে স্পষ্ট করতে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মতভেদ দূর করতে বৌদ্ধ ত্রিপিটকের ভাষ্যরূপে ‘মহাবিভাষা’ নামে বিশাল গ্রন্থ প্রণয়ন করা হয়। সর্বাস্তিবাদীর অভিধর্ম পিটকের অন্তর্গত জ্ঞানপ্রস্থানের অভিধর্মের এই ব্যাখ্যাগ্রন্থ মহাবিভাষা সংস্কৃত ভাষায় লিখিত হয়। পূর্বে যে আঠারোটি নিকায়ে সঙ্ঘ বিভক্ত হয়েছিলো, তা লুপ্ত হয়ে এ সময়ে মোটামুটি চারটি মাত্র সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিলো। আর্যসর্বাস্তিবাদী, আর্যসম্মিতীয়, আর্যমহাসাঙ্ঘিক এবং আর্যস্থবির। পূর্বোক্ত আর্যসর্বাস্তিবাদী ও আর্যসম্মিতীয় সম্প্রদায় তত্ত্বনির্ণয়ে ভগবান্ বুদ্ধের বচন এবং এর বিবরণভূত অভিধর্মবিভাষাকে প্রমাণরূপে অবলম্বন করতেন বলে তাদেরকে একত্রে বৈভাষিক এবং পরবর্তী দুই সম্প্রদায় আর্যমহাসাঙ্ঘিক ও আর্যস্থবিরগণ কেবল সূত্রান্ত অর্থাৎ বুদ্ধের বচনকেই মাত্র প্রমাণরূপে অবলম্বন করায় তাদেরকে একত্রে সৌত্রান্তিক বলা হয়। বৈভাষিক ও সৌত্রান্তিক এই দুই দার্শনিক সম্প্রদায় হীনযান বৌদ্ধধর্মের অন্তর্গত।
.
রাজা কণিষ্কের সময়ে অর্থাৎ খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে বৌদ্ধগ্রন্থে সংস্কৃত ভাষা সমাদৃত হয় এবং মহাযান নামক ধর্মসম্প্রদায়ের আবির্ভাব হয়। পরবর্তীতে চীন, কোরিয়া, জাপান ও তিব্বতে এর ব্যাপক প্রসার ঘটে। এই মহাযান সম্প্রদায়ের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধধর্ম প্রধানত মহাযান ও হীনযান এই দুটি সম্প্রদায়ে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে যায়। সংস্কারপন্থী এবং কৃচ্ছ্রতাসাধনের বিরোধী উদার মহাযানী বৌদ্ধগণই পূর্ববর্তী রক্ষণশীল বৌদ্ধগণকে হীনযান আখ্যা দেয়। হীনযানীদের থেরবাদীও (স্থবিরবাদী) বলা হয়। হীনযানীরা বুদ্ধের মূল অনুশাসনকে অনুসরণ করার পক্ষপাতী। এই অনুশাসনে ভোগবিরতি, ইন্দ্রিয় সংযম ও চিত্তশুদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এর তাৎপর্য হচ্ছে নৈতিক জীবনে কঠোরতা বা কৃচ্ছ্রতাসাধন। হীনযানীরা পুরুষকারের পক্ষপাতী। তাদের মতে নির্বাণ বা অর্হৎ-এর অবস্থালাভ নিজের চেষ্টাতেই সম্ভব। ভিক্ষুজীবন বা সন্ন্যাস নির্বাণলাভের উপযোগী। বৈভাষিক ও সৌত্রান্তিক শাখায় বিভক্ত এই হীনযানীদেরকে সর্বাস্তিবাদীও বলা হয়। দার্শনিক বিবেচনায় এরা বস্তুবাদী।
.
অন্যদিকে মহাযানীরা সংস্কারপন্থী এবং কৃচ্ছ্রতাসাধনের বিরোধী। এই মতে কেবল নিজের মুক্তিকামনা স্বার্থপরতা মাত্র। সর্বমুক্তি হলো ধর্মসাধনার উদ্দেশ্য। নির্বাণ লাভের জন্য ভিক্ষু-জীবন অপরিহার্য নয়। কারণ গৃহস্থরাও নির্বাণ লাভ করতে সক্ষম। তাঁদের মতে বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্রে মনে করা হয়েছে যে, শাক্যমুনি গৌতম বুদ্ধত্ব লাভ করার বহু পূর্ব থেকে জন্ম জন্মান্তর ধরে পরোপকারে আত্মোৎসর্গ করে পুণ্য অর্জন করেছিলেন। তাঁর সেই অবস্থাগুলিকে বোধিসত্ত্ব অবস্থা বলা হয়। এই অবস্থায় বোধিমার্গে একবার আরূঢ় হতে পারলে ভিক্ষু ধীরে ধীরে বুদ্ধত্বের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। তাই মহাযানপন্থীরা এই বোধিসত্ত্ব অবস্থাকে কাম্য মনে করেন। যে অবস্থায় মানুষ পরোপকারে আত্মোৎসর্গ করতে পারে সেই অবস্থা হলো মহাযানীদের আদর্শ। এই অবস্থা দু’ভাবে স্থায়ী করা সম্ভব। পূর্ববর্তী মহাযানী আচার্যরা মনে করেন, করুণ, মৈত্রী প্রভৃতি বিশেষ গুণরূপ পারমিতার (বদান্যতা, ধার্মিক আচরণ, সহনশীলতা, আত্মিক শক্তি, ধ্যান ও স্বজ্ঞা- এই ছয়প্রকার পারমিতাকে ‘পরম জ্ঞান’ বা প্রজ্ঞা অর্জনের পথে একেকটি পদক্ষেপ বলে গণ্য করা হয়।) চর্চা করে এই অবস্থা স্থায়ী করা যায়। দার্শনিক দৃষ্টির তারতম্য অনুসারে মহাযানীরা দুটি শাখায় বিভক্ত- মাধ্যমিক বা শূন্যবাদী ও যোগাচার বা বিজ্ঞানবাদী। দ্বিতীয় খ্রীষ্টাব্দের আচার্য নাগার্জুন ও আর্যদেব মাধ্যমিক সম্প্রদায়ের আচার্য এবং চতুর্থ খ্রীষ্টাব্দের আচার্য অসঙ্গ ও বসুবন্ধু হচ্ছেন যোগাচার সম্প্রদায়ের প্রবক্তা। তবে মহাযানীদের দর্শন হচ্ছে ভাববাদী দর্শন।
.
পরবর্তী কোন কোন আচার্যরা মনে করেন যে, মন্ত্রশক্তি নিয়োগেও এই কাম্য অবস্থানকে স্থায়ী করা যায়। অষ্টম-নবম শতকে এই তান্ত্রিক বৌদ্ধ মতাবলম্বীদের উদ্ভব হয়। এই মতকে মন্ত্রযান বা তন্ত্রযান বলা হয়। আধ্যাত্মিক দৃষ্টির তারতম্য অনুসারে এর তিনটি শাখা হচ্ছে- বজ্রযান, কালচক্রযান ও সহজযান। তান্ত্রিক বৌদ্ধ হতে দশম শতাব্দীতে আবির্ভূত বজ্রযান সম্প্রদায়টি দার্শনিক দিক দিয়ে যোগাচার ও মাধ্যমিক বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মিশ্রিত রূপ। নেপালের বর্তমান বৌদ্ধধর্ম প্রধানত বজ্রযান। এই ধর্মে একটি বিরাট পূজাপদ্ধতিকে স্থান দেয়া হয়েছে। দেবদেবীর সংখ্যাও অনেক। বোধিচিত্তকে বজ্র নামে আখ্যায়িত করা হয়। লৌকিক অর্থে বোধিচিত্ত হচ্ছে শুক্র এবং পারমার্থিক অর্থে চিত্তের সেই অবস্থা যা হতে বুদ্ধত্ব লাভ করা যায়।
.
যাঁরা দশভূমিক সিদ্ধির জন্য যোগাভ্যাসকে একান্ত আবশ্যক মনে করেন তাঁদেরকে যোগাচারী বলা হয়। যোগাচারীদের মতে শিষ্যগণ যোগ এবং আচার অবলম্বন করবেন। অপ্রাপ্ত ও অজ্ঞাত বিষয়কে জানার জন্য যে প্রশ্ন (অনুসন্ধান) তা হচ্ছে যোগ এবং গুরুর উপদিষ্ট তত্ত্বকে গ্রহণ ও স্বীকার করে নেয়া হচ্ছে আচার। যোগ ও আচার এই দু’টি গ্রহণ করায় যোগাচার নামে খ্যাত। তাঁরা স্বয়ং বেদ্য জ্ঞানকে স্বীকার করায় বিজ্ঞানবাদী নামেও পরিচিত হয়েছেন।
.
অন্যদিকে মাধ্যমিক বা শূন্যবাদীরা আর কিছু জানার নেই বলে যোগকে গ্রহণ করেন না। এই মতে সর্ব ক্ষণিক, সর্ব দুঃখ, সর্ব স্বলক্ষণ ও সর্ব শূন্য- এই চারটি বুদ্ধোপদিষ্ট তত্ত্বের ভাবনা দ্বারা সর্বশূন্যত্বরূপ পরিনির্বাণ লাভ হয়। তাতে মাধ্যমিকগণ কৃতার্থ, তাঁদের আর কিছু করণীয় বা কোন উপদেশ গ্রহণীয় থাকতে পারে না, এরূপ মনে করেন। তাঁরা বৌদ্ধ গন্ধ স্পর্শ প্রভৃতি বাহ্যবস্তু এবং রূপবিজ্ঞান প্রভৃতি চৈত্তবস্তু থাকা সত্ত্বেও ঐগুলিকে অস্বীকার করতে সচেষ্ট হয়ে সর্বশূন্য এরূপ প্রচার করায় শূন্যবাদী নামে পরিচিত। তাঁদের দর্শনে ভাব ও অভাব এই অন্ত (কোটি) রহিত বলে সর্ব স্বভাবের অনুৎপত্তিরূপ শূন্যতা হচ্ছে মধ্যমপ্রতিপৎ। সেই মধ্যম মার্গকে অবলম্বন করে নিজের মত প্রচার করায় তাঁদেরকে মাধ্যমিক বা শূন্যবাদী বলা হয়।
.
তবে বৌদ্ধধর্মের মূলসূত্রগুলির বা বুদ্ধের বাণীর তত্ত্বনির্দেশ করতে গিয়ে কালক্রমে যেসব নানান দার্শনিক মতের সৃষ্টি হয়েছিলো, সেসব বিভিন্ন মতাবলম্বী সম্প্রদায়ের মধ্যে শেষপর্যন্ত চারটি সম্প্রদায় তাঁদের নিজেদের বিশিষ্ট আধ্যাত্মদৃষ্টি বা দর্শনের জন্য বৌদ্ধসঙ্ঘে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলো এবং বহুদিন ধরে তাঁরা প্রভাব বিস্তার করেছিলো। এই চারটি সম্প্রদায় হচ্ছে শূন্যবাদ বা মাধ্যমিক সম্প্রদায়, বিজ্ঞানবাদ বা যোগাচার সম্প্রদায়, বাহ্যানুমেয়বাদ বা সৌত্রান্তিক সম্প্রদায় এবং বাহ্যপ্রত্যবাদ বা বৈভাষিক সম্প্রদায়। ব্যবহারিক সংজ্ঞায় মাধ্যমিক ও যোগাচারকে মহাযান এবং সৌত্রান্তিক ও বৈভাষিককে হীনযান বলা যায়। দার্শনিক ভিন্নতা মেনেও প্রকৃতপক্ষে বৌদ্ধসঙ্ঘের ভিতরে এই মহাযান ও হীনযান সম্প্রদায়কে পরস্পর বিরোধী দল বলা সঙ্গত হবে না এজন্যে যে, উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভেদ থাকলেও তা অতি সূক্ষ্ম এবং এরা পরস্পর নিকট সম্পর্কযুক্ত। শেষপর্যন্ত উভয়ই বৌদ্ধদর্শনেরই অনুসারী।
.
তবু যেহেতু বৌদ্ধ সম্প্রদায় হীনযান ও মহাযানে স্পষ্টতই দ্বিধাবিভক্ত, তাই এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্যসূচক কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
.
হীনযান ও মহাযানের পার্থক্য:
প্রথমেই জেনে রাখা আবশ্যক যে, বৌদ্ধসম্প্রদায়ের এই দুটি বিভাগ বৌদ্ধধর্মের প্রসার অনুসারে হয় নি। মূলত বৌদ্ধ ধর্ম ও দর্শনের ক্রমোন্নতির পর্যায় অনুসারে তা উন্নীত হয়েছে। বুদ্ধের নির্বাণের চার-পাঁচশত বছর পর তাঁর অনুসারি খ্যতনামা আচার্যগণই তা সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁদের মতে, প্রাচীন বৌদ্ধগণ বুদ্ধোপদিষ্ট ধর্মমতের গূঢ় তাৎপর্য বুঝতে না পেরে কেবল বাহ্য আচারের পরিশীলন করেন। সেজন্যে তাঁরা এই প্রাচীন বৌদ্ধদের হীনযান আখ্যা দেন। এবং নতুন বৌদ্ধরা সংস্কারপন্থী এবং কৃচ্ছ্রতাসাধনের বিরোধী উদার বলে তাদেরকে মহাযান আখ্যা দেন। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য কিছু পার্থক্য হলো-
.
০১. প্রথমতঃ হীনযান ও মহাযান এই দুই সম্প্রদায়ের চরম লক্ষ্যেই বিরোধ রয়েছে। হীনযানের চরম লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাণের মাধ্যমে অর্হৎপদ লাভ। অন্যদিকে মহাযানের চরম লক্ষ্য হচ্ছে বোধিসত্ত্ব প্রাপ্তি। হীনযান মতানুযায়ী অর্হন্মুনি কেবল নিজ মুক্তির জন্য যত্নশীল হন, আর মহাযান সম্প্রদায় সকল জীবের মুক্তির জন্য যত্নশীল হওয়াকে জীবনের লক্ষ্য মনে করেন। অর্থাৎ সংসারের সকল দুঃখভারাক্রান্ত প্রাণীর মুক্তি না হওয়াতক মহাযানীরা সচেষ্ট হন। সুতরাং বলা যায়, হীনযানীরা অন্তর্মূখী অর্থাৎ তাদের চরম লক্ষ্য হলো ব্যক্তিক বা বৈয়ক্তিক মুক্তি (individual liberation), আর মহাযানীরা বহির্মুখী অর্থাৎ সার্বভৌম মুক্তিকে (universal liberation) স্বীকার করেন।
.
০২. হীনযানে নিরীশ্বরবাদ স্বীকৃত। বুদ্ধের ‘আত্মদীপো ভব’ এই বচনে গুরুত্ব দিয়ে মুক্তির জন্য জীবকেই স্বয়ং যত্নশীল হতে হয়। কিন্তু মহাযানে ঈশ্বর স্বীকৃত এবং বুদ্ধকে ঈশ্বর মনে করে ‘দশভূমি’র উপর বুদ্ধের মূর্তি স্থাপন করে তাঁর পূজার্চনা করা হয়। তাঁদের মতে বুদ্ধ হচ্ছেন স্বয়ং কল্যাণময়, সমস্ত সংসার তাঁর কল্যাণপাত্র। অর্থাৎ হীনযানে বুদ্ধকে মানুষ হিসেবে ভাবা হয়েছে, আর মহাযানে তাঁকে ঈশ্বররূপে প্রতিষ্ঠিত করে তাঁর উপাসনা স্বীকৃত হয়েছে।
.
০৩. হীনযানে ভিক্ষুজীবন ও সন্ন্যাসের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, এবং এই মতানুযায়ী মানুষ সংসার পরিত্যাগ করে নির্বাণের জন্য যত্নশীল হবে। কিন্তু মহাযানমতে নির্বাণলাভের জন্য সংসার ত্যাগের আবশ্যকতা নেই, সংসারে থেকেই মানুষ নির্বাণ লাভে সমর্থ হতে পারে।
.
০৪. হীনযানে নির্বাণ হচ্ছে অভাবাত্মক, অর্থাৎ নির্বাণের মাধ্যমে ভবতৃষ্ণা লুপ্ত হয় বলে দুঃখেরও নিবৃত্তি ঘটে। কিন্তু মহাযানে নির্বাণ হচ্ছে ভাবাত্মক। তাঁদের মতে নির্বাণপ্রাপ্ত ব্যক্তির দুঃখ নাশ হয় না, কিন্তু আনন্দ লাভ হয়।
.
০৫. হীনযানে ‘তন্হা’ বা তৃষ্ণা নিবারণকে নির্বাণের সেতু বলা হয়েছে। এই তৃষ্ণানিবারণের দ্বারা যে ভাব লাভ করা যায় তা হলো তৃষ্ণাশূন্যভাব বা শূন্যতা। কিন্তু মহাযানে এই নিবৃত্তি মার্গ অপেক্ষা কার্য মার্গকে প্রবল মনে করা হয়। এই মতে জ্ঞানই মূলশক্তি এবং তা অর্জনের উপায়স্বরূপ ‘প্রজ্ঞাপারমিতা’ উন্নতির চরম সীমায় পৌঁছালে বোধিলাভ ঘটে।
.
০৬. হীনযানমতে অর্হৎপদ প্রাপ্তির লক্ষ্যে বুদ্ধ, ধর্ম ও সঙ্ঘ এই ত্রিরত্ন বা ত্রিশরণ এবং শীলতাকে মূল অবলম্বন হিসেবে স্বীকার করা হয়। বোধিসত্ত্বোৎপাদ, পাপদেশন, পুণ্যানুমোদনা, ষট্পারমিতা (বিশুদ্ধতা) এগুলি অবলম্বনের মাধ্যমে নির্বাণ লাভ করা যায়। অন্যদিকে মহাযানমতে সার্বভৌম মুক্তির লক্ষ্যে বোধিসত্ত্বকেই মুখ্য উপায় বলে সমাদর করা হয়। আর এই বোধিসত্ত্বের প্রধান গুণ বা ধর্ম হচ্ছে করুণা যাকে প্রজ্ঞার মতো স্বীকার করা হয়েছে।
.
০৭. হীনযানে আত্মা স্বীকৃত নয়। কিন্তু মহাযানে ভিন্নভাবে আত্মার সত্তা স্বীকার করা হয়। মহাযান মতে ব্যক্তিক বা বৈয়ক্তিক আত্মা মিথ্যা হলেও পারমার্থিক আত্মা (মহাত্মা) মিথ্যা নয় এবং মহাত্মা মানুষের মধ্যে বিদ্যমান থাকে।
.
০৮. হীনযানে স্বাবলম্বন সন্ন্যাসের আদর্শ অত্যন্ত কঠিন পথ। অন্যদিকে মহাযানে ঈশ্বরাত্মা বোধিসত্ত্বকে আদর্শরূপে স্বীকার করে নির্বাণলাভের পথ সুগম করা হয়েছে। এজন্যেই হীনযানকে সঙ্কীর্ণপথ এবং মহাযানকে প্রশস্ত পথ বলা হয়েছে।
.
০৯. হীনযানে বিশ্বতত্ত্বের কোন দার্শনিক বিচার করা হয় নি, যা মহাযানে বহুল পরিমাণে রয়েছে। হীনযানে ভূমিচতুষ্টয়, কিন্তু মহাযানে দশভূমি আলোচিত হয়েছে।
.
১০. সর্বোপরি সম্প্রদায় হিসেবে পরিবর্তনের ঘোর বিরোধী হীনযানীরা প্রকৃতপক্ষে গোড়া বৌদ্ধ। অন্যদিকে মহাযানীরা উদার ও প্রগতিশীল বলে অশ্বঘোষ, নাগার্জুন, অসঙ্গ প্রমুখ মহাযানী পণ্ডিতগণ নানান দার্শনিকতাপ্রসূত গভীর প্রশ্নের সমাধান করেছেন।

(Click This Link)

(তথ্যসূত্র: রণদীপম বসু)

(চলবে)



তথ্যসূত্র:
১। ইমন যুবায়েরের বাংলা ব্লগ (সামু)
২। ইন্টারনেটে প্রাপ্ড় বিভিন্ন আর্টিকেল
৩। Click This Link
৪। ( Click This Link )
৫। Wikipedia.org


‘OM MANIPADME HUM’
---------------- Dr. Ramit Azad

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। চলুক। সাথে আছি ভাই। :)

২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পরবর্তি ও শেষ পর্ব আজ-কাল দিয়ে দেব।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অনবদ্য লেখা হইছে। শেষ না হইলেও খারাপ হইতোনা। ব্লগে এ নিয়া এমন সিরিজ পোস্ট আর লিখছে নাকি জানা নাই। আপনি ইতিহাসখাদক বোঝা যায়। আমিও অল্প পড়ি, কিন্তু আপনার লেভেলে যাইতে সাধনা দরকার।

২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০০

রমিত বলেছেন: পরবর্তি পর্বটি দিয়ে দিয়েছি। তবে এটি শেষ পর্ব নয়। শেষ পর্বটি আগামীকাল দেয়ার চেষ্টা করবো। আমি পদার্থবিজ্ঞানের মানুষ হলেও দর্শন ও ইতিহাসে আমার ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। আসলে ঐ দুটি সাবজেক্ট ছাড়া, কোন সাবজেক্টই সম্পুর্ণ হয়না।
যেকোন একটি বিষয়কে ভালোভাবে বুঝতে গেলে ইতিহাসটি জানতে হবে, কেবলমাত্র তখনই পুরোটা ক্লিয়ার হবে।
আপনার আগ্রহ আমি বুঝতে পারি। যেখানে আর্টিকেলের পাঠক সংখ্যা টেনেটুনে ৩৪ জন, সেখানে আপনি আগ্রহ নিয়ে পড়েছেন ও মন্তব্যও করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.