নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'ওম মনিপদ্মে হুম\' পর্ব ৫ (শেষ পর্ব)

৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

'ওম মনিপদ্মে হুম' পর্ব ৫ (শেষ পর্ব)
-------------------------------- ড. রমিত আজাদ



(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)

চর্যাপদের কবি বা সিদ্ধাচার্য চর্যাপদ রচনা করেছিলেন। সাধারণত বজ্রযানী ও সহজযানী আচার্যগণই সিদ্ধাচার্য নামে অভিহিত হতেন। তিব্বতি ও ভারতীয় কিংবদন্তীতে এঁরাই 'চৌরাশি সিদ্ধা' নামে পরিচিত। তবে এই ৮৪ জন সিদ্ধাচার্য আসলে কারা ছিলেন তা সঠিক জানা যায় না।

চর্যার কবিরা ছিলেন পূর্ব ভারত ও নেপাল রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসী। কেউ পূর্ববঙ্গ, কেউ উত্তরবঙ্গ, কেউ বা রাঢ়ের অধিবাসী ছিলেন। কেউ কেউ বিহার, কেউ ওড়িশা, কেউ বা আবার অসম বা কামরূপের বাসিন্দাও ছিলেন। এঁরা ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, ক্ষত্রিয়, বণিক এমনকি অন্ত্যজ শ্রেণী থেকেও এসেছিলেন। কেউ কেউ রাজবংশজাতও ছিলেন। এঁরা পূর্বাশ্রমের পিতৃপ্রদত্ত নাম ত্যাগ করেছিলেন বলে নাম দেখে এঁদের জাতি স্থির করা যায় না। এঁরা হিন্দুধর্মের সনাতন শাস্ত্রবিধান মানতেন না বলে এঁদের বেদবিরোধী ও নাস্তিক আখ্যা দেওয়া হয়। সাধনার নামে গোপনে কেউ কেউ যৌনাচারও করতেন বলে আধুনিক গবেষকগণ মত প্রকাশ করেন।


সাধারণভাবে লুইপাদকেই আদি সিদ্ধাচার্য মনে করা হয়। তাঞ্জর বর্ণনা অনুযায়ী তিনি ছিলেন বাঙালি। তিনি মগধের বাসিন্দা ছিলেন ও রাঢ় ও ময়ূরভঞ্জে আজও তাঁর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। চর্যার টীকায় তাঁর অন্য নাম লূয়ীপাদ বা লূয়ীচরণ। ১ ও ২৯ সংখ্যক পদদুটি তাঁর রচিত।

সিদ্ধাচার্যদের মধ্যে অনেকের জন্মস্থান এই বাংলার বিভিন্ন জনপদে । চর্যাপদ বা চর্যাগীতি রচয়িতা সিদ্ধাচার্যদের মধ্যে লুইপাদ (পশ্চিমবঙ্গ), কাহ্নুপাদ (পশ্চিমবঙ্গ), জালন্ধরীপাদ (চট্টগ্রাম), ধর্মপাদ (বিক্রমপুর), বিরুপাপাদ (কুমিল্লা), ডোম্বীপাদ (কুমিল্লা), চাটিলপাদ (চট্টগ্রাম), তিলোপাদ (চট্টগ্রাম), নারোপাদ (চট্টগ্রাম), গোরক্ষপাদ (কুমিল্লা), চৌরঙ্গীপাদ (কুমিল্লা), মীননাথ (বরিশাল), সহ অনেকেই ছিলেন বাঙালি । কুমিল্লার শালবন বিহারকে আজো এখানকার স্থানীয় লোকেরা বলে হাড়িপা সিদ্ধার বাড়ি । অনেকে বলে গোরক্ষ সিদ্ধার বাড়ি, আবার কেউ বলে চৌরঙ্গী সিদ্ধার বাড়ি । এই সিদ্ধাচার্যরাই বাংলাদেশে অবস্থিত সোমপুরী, শালবন, বিক্রমপুরী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্ডিত হিসেবে জ্ঞানচর্চায় নিবেদিত ছিলেন বলে জানা যায় ।

একজন অন্যতম বজ্রযানী হলেন লুই পা (লুই পাদ)। লুই পা কে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের আদি কবি। বজ্রযানী কবিরা রাগ-রাগিণীর মাধ্যমে সুরে সুরে সাধারণ মানুষের কাছে ধর্মীয়তত্ত্ব পৌঁছে দিতেন।
বাংলায় সংগীতের মাধ্যমে দর্শন চর্চার সেই শুরু ...
যা বিভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হয়ে আজও অব্যাহত রয়েছে।
আবহমান বাংলার এই এক চিরন্তন বৈশিষ্ট্য ...
ধর্মমতের বিবর্তন অনিবার্য। বজ্রযান থেকে উদ্ভব হয়েছিল সহজযানের। বজ্রযানীরা রহস্যময় সব আচার অনুষ্ঠান ও ব্রত পালন করত। সহজযানীরা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা অস্বীকার করেছিল। সহজযান আসলে বজ্রযান এরই সূক্ষ্মতর রূপ। সহজযানে আচার অনুষ্ঠান নেই, দেবদেবী নেই। সহজযানীরা বলতেন,কাঠ- মাটি -পাথরের তৈরি দেবদেবীর কাছে মাথা নোয়ানো বৃথা। তাঁদের কাছে বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠানের একেবারেই মূল্য ছিল না। চর্যার একটি পদে এই মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে-

এস জপহোমে মন্ডল কম্মে
অনুদিন আচ্ছসি বাহিউ ধম্মে।
তো বিনু তরুণি নিরন্তর ণেহে
বোধি কি লব ভই প্রণ বি দেঁহে।


এই জপ -হোম-মন্ডল কর্ম নিয়ে সব সময় বাহ্যধর্মে লিপ্ত আছিস। তোর নিরন্তর স্নেহ বিনা, হে তরুণি, এই দেহে কি বোধি লাভ হয়?


সহজযানীরা বিশ্বাস করতেন জপ কি প্রার্থণা করে মুক্তি অর্জন সম্ভব না। পরমজ্ঞান সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা-স্বয়ং গৌতম বুদ্ধও জানতেন না। তাঁদের মতে সবার পক্ষেই বুদ্ধত্ব লাভ সম্ভব। এবং এই বুদ্ধত্বের অধিষ্ঠান দেহের মধ্যে। তাঁদের মতে দেহবাদ বা কায়সাধনই একমাত্র সত্য। সহজযানীদের মতে শূন্যতা প্রকৃতি। এবং করুণা পুরুষ। এই ধারণাও, আমার মনে হয়, কপিল প্রবর্তিত সাংখ্যদর্শনের প্রভাব। সে যাই হোক। এই শূন্যতা ও করুণার মিলনে অর্থাৎ নারী ও পুরুষের মিলনে বোধিচিত্তের যে পরমানন্দ অবস্থা হয় তাই মহাসুখ। এই মহাসুখই একমাত্র সত্য। সহজযানের লক্ষ ছিল মহাসুখ। সহজযানীরা মৃত্যুর পর মুক্তিলাভে বিশ্বাস করতেন না। শত বছরের ব্যবধানে গড়ে ওঠা সহজযান এবং বাউল দর্শনের মধ্যে পার্থক্য তো থাকবেই ...এটাই স্বাভাবিক। তবে বাউলদের মতো সহজযানীরাও ছিলেন দেহবাদী। কেননা, সহজযানীরা বিশ্বাস করতেন: রস-রসায়নের সাহায্যে কায়সিদ্ধি লাভ করে জড় দেহকেই সিদ্ধদেহ এবং সিদ্ধদেহকে দিব্যদেহে রূপান্তরিত সম্ভব। (ভাষা এখানে বদলে যাচ্ছে, কেননা বিষয়টি দর্শনের অন্তর্গত) ...সে যাই হোক। সহজযানীরা অচিন্ত্যযোগী। এর মানে -জন্ম -মরণ সংসার কীভাবে হয়, তাঁরা জানেন না। জন্ম যেমন মরণও তেমনি। জীবিত ও মৃতে বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই। সহজযানের আদর্শ হল সাম্য ভাবনা এবং আকাশের মত শূন্যচিত্ত। শরীরের মধ্যেই অশরীরীর গুপ্ত লীলা। সুতরাং বনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, ঘরে থাকারও প্রয়োজন নেই। আগম, বেদ, পুরাণ। সবই বৃথা। সহজের রূপ নিস্কলুষ এবং নিস্তরঙ্গ। তার মধ্যে পাপপুণ্যের প্রবেশ নেই। সহজে মন নিশ্চল করে, যে সাম্য ভাবনা লাভ করেছে, সেই একমাত্র সিদ্ধ। তার জরা মরণ থাকে না । শূন্য নিরঞ্জনই মহাসুখ। সেখানে পাপ নেই,পূণ্য নেই।
সহজযানে গুরুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন। গুরুকে বলা হত ‘বজ্রগুরু।’

এক কথায় সহজযানের উদ্দেশ্য হল কঠোর সাধনায় মুক্তি কামনার পরিবর্তে সদগুরুর নির্দেশ অনুযায়ী জীবন পরিচালনার মাধ্যমে পরম সুখ লাভ করা। এটি চিত্তের এমন এক অবস্থা , যেখানে সুখ ভিন্ন অন্য কোনও বিষয়ের অস্তিত্ব থাকে না।
মধ্যযগের মরমী কবি সাধক বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস থেকে আরম্ভ করে কবীর,দাদু, তুলসীদাস -এঁরা প্রত্যেকেই চিন্তার দিক থেকে বাংলার সহজযানীদের উত্তরসূরী ছিলেন। কেননা, সহজযানের মূলকথা ছিল- ‘যা মানুষের মধ্যে শাশ্বত স্বরূপের উপলব্দি আনে, যার মাধ্যমে জগতের প্রাণিকুল ও বস্তুনিচয়কে অনুভব করার দর্শনই বৌদ্ধ সহজিয়া ধর্মমতের অন্তর্নিহিত সত্য।’ (বাংলাপেডিয়া; আজহারুল ইসলাম এবং সমবারু মহন্ত )
মধ্যযুগের বাংলার লোকায়ত বৌদ্ধধর্ম সম্বন্ধে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘বাংলায় বৌদ্ধধর্ম এমন রূপ পরিগ্রহ করেছিল যে, লৌকিক হিন্দু ধর্ম থেকে তা খুব একটা ভিন্নতর ছিল না। এই পরিবর্তনকেই বৌদ্ধধর্মের বজ্রযান ও তন্ত্রযান ও সহজযান ও কালচক্রযানের রূপান্তর বলে আখ্যাত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক আবদুল মমিন চৌধুরী লিখেছেন,‘বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের এই লোকজ সংস্কৃতি হয়তো বা বাংলার আর্য-উত্তরাধিকারের কারণে ঘটেছিল বলে বলা যেতে পারে এবং এর থেকেই সৃষ্টি নিয়েছিল মানবতাবাদ, কিছুটা বিকৃত হয়তো বা।’ ( প্রাচীন বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতি;পৃষ্ঠা, ৮১) যে মানবতা বাদ কে ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায় দেখেছেন ‘মধ্যপর্বে হাতে আদিপর্বের শ্রেষ্ঠতম; মহতত্তম উত্তরাধিকার’ হিসেবে।
(ইমরান যুবায়ের-এর ব্লগ)

এবার আসি 'ওম মনিপদ্মে হুম' মহামন্ত্রটির সম্ভাব্য কিছু ব্যাখ্যায়।

পূর্বে একবার উল্লেখ করেছি যে এর অর্থ অনেকে মনে করেন যে 'আহা মনিই প্রকৃত পদ্ম'! কিন্ত এটারই বা অর্থ কি? পদ্মফুল বিশুদ্ধতার প্রতীক। সুতরাং 'প্রকৃত পদ্ম' মানে 'প্রকৃত বিশুদ্ধতা' হতে পারে। তাহলে 'মনি' শব্দটি কি অর্থে ব্যবহার করা হচ্ছে?
বলা হয় যে, এই মন্ত্রের মধ্যেই বুদ্ধের শিক্ষা রয়েছে।

বৌদ্ধ দর্শন অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের মধ্যেই বুদ্ধ প্রকৃতি আছে। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই বিশুদ্ধতার বীজ রয়েছে, এটার উন্নয়ন সাধন করে বুদ্ধত্বে রূপান্তরিত করতে হবে। আমাদের সাধারণ দেহ, বাক্য ও মন বিশুদ্ধ হয়ে রূপান্তরিত হবে বুদ্ধের পবিত্র দেহে, বাক্যে ও মনে (প্রতিকীভাবে 'আউম' দ্বারা উপস্থাপিত হয়)।

এইভাবে ছয়টি পদাংশ (syllables), 'ওম মনিপদ্মে হুম' মানে, সেই পথটির অনুশীলন করে যা কিনা পদ্ধতি (method) ও প্রজ্ঞা (wisdom)-র অবিভাজ্য সংযুক্তি, আমরা আমাদের অশুদ্ধ দেহ, বাক্য, এবং মনকে রূপান্তর করতে পারি একজন বুদ্ধের মহিমান্বিত দেহ, বাক্য, এবং মন-এ।

ওম শব্দের অর্থ - 'ওম' প্রভু (ইশ্বর)-র নাম। লেখা হয় আ-উ-ম, উপস্থাপিত হয় ব্রহ্মা (সৃষ্টি), বিষ্ণু (ধারণ) এবং শিব (ধ্বংস) তিনটি রূপে; অথবা বৌদ্ধরা তাকে একে সম্পর্কিত করে বুদ্ধের পবিত্র দেহ, পবিত্র বাক্য ও পবিত্র মন-এ।
স্বামী শীভানন্দ বলেছেন, ওম (আউম) হলো সব। 'ওম' হলো ইশ্বর ও ব্রহ্মার নাম ও প্রতীক। ওম হলো সত্যিকারের নাম। ওম মানবের ত্রিগুণিত অভিজ্ঞতাকে কভার করে। ওম হলো বাহ্যিক জগৎসমূহ। ওম থেকে জ্ঞান-মহাবিশ্ব অভিক্ষিপ্ত হয়েছে। মহাবিশ্ব টিকে আছে 'ওম'-এর উপর আবার বিলিনও হবে 'ওম'-এ।

'আ' শারীরিক সমতল প্রতিনিধিত্ব করে. 'উ' মানসিক এবং নাক্ষত্রিক (astral ) সমতল, বুদ্ধিমান আত্মার জগৎ, সকল স্বর্গ। 'এম' গভীর ঘুমের দশা-কে প্রতিনিধিত্ব করে, এমনকি সকল কিছু যা কিনা জাগ্রত অবস্থায়ও অজানা, এবং সেইসবকিছু যা কিনা আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধির নাগালেরও বাইরে। এইভাবে 'ওম'ই সব আমাদের জীবন, চিন্তন ও বুদ্ধিমত্তার ভিত্তি। সমগ্র বিশ্বজগৎ 'ওম' থেকে উদ্ভুত, 'ওম'-এ অবস্থিত এবং 'ওম'-এই বিলীন হবে।

'মনি' শব্দের অর্থ রত্ন। বিশুদ্ধ রত্ন হলো ভালোবাসা ও দয়া (compassion) এবং তা জ্ঞানদীপ্ত হওয়ার বাসনাকে প্রতীকী রূপ দান করে। 'মনি' হলো 'মায়া'। 'বাসনা', 'সংসার' ও 'নির্বান'-এর উদ্ভব।

'পদ্মে' মানে কমল যা কিনা প্রজ্ঞার প্রতীক। একটি পদ্মফুল যেমন পংক থেকে ওঠে তেমনি প্রজ্ঞাকে মানব অবস্থা থেকে স্বর্গীয় গুন অর্জন করা পর্যন্ত পৌছাতে হবে। সকল প্রজ্ঞার মূল প্রজ্ঞা হলো 'নীরবতা ও শূণ্যতার প্রজ্ঞা'। 'পদ্মে' মানে শূণ্যতা (emptiness)।

'হুম' প্রজ্ঞা ও আধ্যাত্মিক পদ্ধতির সংযুক্তি ঘটায়। এটা অবিভাজ্যতা, স্থবিরতা, যাকে আন্দোলিত (disturb) করা যায়না। এটা জ্ঞানদীপনের মনন (সপরিট)-কে উপস্থাপন করে। 'হুম' যন্ত্রণাকে ধ্বংস করে।
'মনি' মানে উদ্ভব, 'পদ্মে' মানে শূণ্যতা, 'হুম' এই দুয়ের সমন্বয় সাধন করে (বা মিলন ঘটায়)। 'মনি' হলো অজ্ঞান/বিভ্রম (illusion), 'পদ্মে' হলো আলো, 'হুম' এই দুয়ের সংযুক্তি ঘটায়।

আমার মত:
'মনি' শব্দের অর্থ যেহেতু রত্ন, এবং বিশুদ্ধ রত্ন হলো ভালোবাসা ও দয়া (compassion) এবং তা জ্ঞানদীপ্ত হওয়ার বাসনাকে প্রতীকী রূপ দান করে। আবার 'পদ্ম' বিশুদ্ধতার প্রতীক। তাই 'ওম মনিপদ্মে হুম' মহামন্ত্রটির অর্থ আমি নিম্নরূপ মনে করি

'ওম মনিপদ্মে হুম' - জ্ঞানদীপনই প্রকৃত বিশুদ্ধতা।
(আমার মতে)

তথ্যসূত্র:
১। ইমন যুবায়েরের বাংলা ব্লগ (সামু)
২। Click This Link
৩। Click This Link
৪। http://www.munshigonj.com/Famous/Atis.htm
৫। Click This Link
৬। http://thebuddhisttimes.com
৭। http://wikipedia.org

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

জুনায়েদ জুবেরী বলেছেন: দারুন ধারাবাহিক পোষ্ট।

৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আর কি বলবো নতুন কইরা। সিরিজ প্রিয়তে রাখছি।

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমার খুব কম পাঠকদের মধ্যে আপনি একজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.