নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহরটা কি এতোই বড়?

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

শহরটা কি এতোই বড়?
--- ড. রমিত আজাদ



কতটা চিনতে পেরেছিলাম আমরা পরস্পরকে,
সেটা আজ আর কোন প্রশ্ন নয়,
শুক্লা তিথির উদাস অভিসারে
চৈতালী চাঁদের মাধবী নিশিতে
এসেছিলাম খুব কাছাকাছি, এটাই বড় কথা।

সেদিন তুমি নিখাদ ভালোবাসতে,
অনেক আশা নিয়ে কাছে আসতে,
উদগ্র কামনায় উদ্বেলিত যৌবন ক্ষুধা
বক্ষের সতেজ দ্রাক্ষার জমীনে,
তোমার দেহের নীড়ে,
সোনার পেয়ালায় রাখা অমৃত সুধা

কপালে পড়ে থাকা অবিন্যস্ত এলো চুল,
বাঘিনীর মত সরু কোমর,
গোলাপের পাঁপড়ির মত ঠোটে প্রশ্রয়ের হাসি!
মুহূর্তে পুরুষ হয়ে উঠেছিলাম।
এতো অস্থির কেন প্রিয়?
তুমি না কবি?
কবি তো এমন করেনা!
জানিনা, সেদিন কাকে চেয়েছিলে তুমি,
কবি না পুরুষ?

আমি ঠেলে দিলাম প্রেমের পুষ্প যারে,
আজ তাকেই মনে পড়ছে বারে বারে।
হয়তো তুমি কেঁদেছ একাকিনী,
আমার নির্বিকার মনের পাষান মৃত্তিকায়
আবেগের রাখি নাই স্থান,
তবুও আজ কেঁদে ওঠে মন।

বিচ্ছেদের পাঁচটি বছর আজ সম্পন্ন হলো,
জানিনা তুমি তার হিসেব রেখেছ কিনা।
যদি আজ তোমাকে কোথাও দেখতে পেতাম সজল চোখে,
আমি পরম সোহাগে মুছে দিতাম লোনা জলে ভেজা কাজল।

জীবন না সহজ, না জটিল,
আমরাই একে সহজ করি, জটিল করি,
একইভাবে জীবনকে কবিতা করেও তোলা যায়,
ফুলের মত শোভাময় কবিতা ।
আমি তাকে কবিতা হতে দেইনি।
সহসা থামিয়ে দিয়েছি ছন্দ,
তারপর একে একে চলে গেলো পাঁচটি শ্রাবণ।

আমি হাটি এই শহরের পথে পথে,
কখনো জীবিকার তাগিদে,
কখনো মনের আঁশে,
এখানে
নীল তৃষিত আকাশ উপুর হয়ে নুয়ে পড়ে
কদমবুচি করে যান্ত্রিক নগরীর ধুসর জমিনের পা,
তুমিও এই শহরের বাসিন্দা,
তুমিও পথ চলো প্রয়োজনে,
যেখানে
দানবের মত যন্ত্রগুলো পুরো শহরটিকে গিলে খাচ্ছে যেন,
এলিভেটরগুলোর দরজা খোলে আর বন্ধ হয়,
আর প্রতিদিন হারিয়ে যায় অসংখ্য মানুষ!

এখানে বিজলীর আলোর ঝলকানিতে
ম্লান হয়ে আসা জোছনার আলোয়
আমি এক নির্বাসিত আত্মা।
আমার হৃদয়ে আজ গভীর অসুখ!
একদিন তোমার মনের চাপা দুঃখগুলোর কথা
তুমি আমাকে বলতে,
আজ আমার খুব ইচ্ছে করছে
আমার ব্যাথাগুলোর কথা তোমাকে বলতে।

সেদিন দ্বিধান্বিত আমাকে তুমি ঝড়ের মতো ডাক দিতে,
আর আমি এক নির্বিকার বিটপী
দাঁড়িয়ে থাকতাম নিশ্চল-নিস্পন্দ।
আজ আবার হাতছানি দেয় স্বপ্ন-সঙ্গিনীর
সেই ফিকে নীল শাড়ি।

একে একে চলে গেলো পাঁচটি শ্রাবণ,
পার হয়ে গেলো পাঁচটি বসন্ত,
ফুরিয়ে গেলো পাঁচটি বৈশাখী মেলা,
পাঁচ পাঁচবার তুমি পড়েছ বাসন্তি রঙ শাড়ি,
পাঁচ পাঁচবার আমি দেখেছি ভ্যালেন্টাইনস ডে,
একই শহরে থাকি আমরা দুজন,
এতোগুলো বছরেও হলোনা দেখা!
শহরটা কি এতোই বড়?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মাঝে মাঝে তো একটা ঘড় ই অনেক বড় হয়ে যায়
সেখানে আস্ত একটা শহর ।
কবিতা খুব ভালো লেগেছে :)

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:১৬

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

জুন বলেছেন: শহর যত বড়ই হোক একমাত্র সিনেমাতেই বোধহয় দেখা হয়, বাস্তবে নয়।
মন ছুয়ে গেল কবিতার লাইনগুলো ।
+

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.