নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের স্বর্ণযুগ - পর্ব ২

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭



ইসলামের স্বর্ণযুগ - পর্ব ২
---------- ড. রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম, ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের আগে ও পরের কিছু ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। এর মধ্যে ছিলো পলিথেইস্ট গ্রীক ও রোমানদের যুগ, রোম সম্রাজ্যের উত্থান-পতন, ইউরোপে একেশ্বরবাদী খ্রীষ্টধর্মের উদ্ভব ও প্রসার, রোম সাম্রাজ্যের দ্বিভাগ, প্রথম জাস্টিনিয়ানের সংস্কার ও জাস্টিনিয়ান কোড, পোপ গ্রেগরীর সংস্কার, ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে যে সকল পরিবর্তন ঘটেছিলো, এবং পরিশেষে আরবের ধুসর মরুভূমিতে মহামানব হযরত মুহম্মদ (সঃ)-এর জন্ম।

এই পর্বে ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের আরো কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও তার পর থেকে কিছু অংশ আলোচনা করবো

প্লেটনিক এ্যাকাডেমি বন্ধ ঘোষণা:
তবে ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের সামান্য কিছু পূর্বের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়। তা হলো, সম্রাট জাস্টিনিয়ান ৫২৯ খ্রীষ্টাব্দে গ্রীক দর্শন চর্চার কেন্দ্র প্লেটনিক এ্যাকাডেমি বন্ধ ঘোষণা করেন। উনার যুক্তি ছিলো যে, এইগুলো প্যাগান দর্শন চর্চার কেন্দ্র, সুতরাং একেশ্বরবাদী খ্রীষ্টানদের এগুলো মেনে নেয়া উচিৎ না। এই ঘটনার সাথে সাথে ইউরোপে জ্ঞান-বিজ্ঞান আর দর্শন চর্চা চিরতরে বন্ধ হয়ে যায় । ফলে হোমার, থেলিস-পিথাগোরাস-ইউক্লিড থেকে শুরু করে সক্রেটিস-প্লেটো-এরিস্টটলের দর্শন-জ্ঞান ইত্যাদি বিলুপ্ত হওয়ার হুমকীর মুখে পড়ে। এ্যাকাডেমীর সর্বশেষ অধ্যাক্ষ ছিলেন দামাসসিয়াস (Damascius)। তবে এ্যাকাডেমীর সদস্যরা পারশীয়ান রাজা খস্রু-র কাছে আশ্রয় নেন। তারা সাথে করে বিপুল সংখ্যক অমূল্য বইপত্র বনিয়ে যান।

At a date often cited as the end of Antiquity, the emperor Justinian closed the school in 529. The last Scholarch of the Academy was Damascius (d. 540). According to Agathias, its remaining members looked for protection under the rule of Sassanid king Khosrau I in his capital at Ctesiphon, carrying with them precious scrolls of literature and philosophy, and to a lesser degree of science. After a peace treaty between the Persian and the Byzantine empire in 532, their personal security (an early document in the history of freedom of religion) was guaranteed.

It has been speculated that the Academy did not altogether disappear. After his exile, Simplicius (and perhaps some others), may have travelled to Harran, near Edessa. From there, the students of an Academy-in-exile could have survived into the 9th century, long enough to facilitate an Arabic revival of the Neoplatonist commentary tradition in Baghdad, beginning with the foundation of the House of Wisdom in 832; one of the major centers of learning in the intervening period (6th to 8th centuries) was the Academy of Gundishapur in Sassanid Persia.

পবিত্র নগরী জেরুজালেম-এর নিয়ন্ত্রন প্রসঙ্গঃ
৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের আগে রোম সাম্রাজ্য পবিত্র নগরী জেরুজালেম-কে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিলো। তারপর কিছু সময় বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রনে থাকে জেরুজালেম। সম্রাট জাস্টিনিয়ান পারশীয়ানদের (Persians) পবিত্র নগরী ও তার আশপাশ থেকে দূরে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের পর পারশীয়ানরা অগ্রসর হতে থাকে, এবং আরব উপদ্বীপের ইয়েমেন তারা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়। ৫৭২ খ্রীষ্টাব্দে পারশীয়ানরা (the Sassanians) বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় মধ্যপ্রাচ্যের দখল নিয়ে। পরিশেষে ৬১৪ খ্রীষ্টাব্দে পারশীয়ানরা চূড়ান্তভাবে জেরুজালেম দখল করে। বলা হয় যে, এ সময় পারশীয়ান ও ইহুদীরা মিলে প্রচুর গীর্জা ধ্বংস করে, অগনিত খ্রীষ্টানকে হত্যা করে ("The Jews in the Roman World" by Michael Grant (London: Phoenix, 1999) p. 288)। পরবর্তি ১৫ বছর জেরুজালেম Sassanian-দের হাতেই ছিলো, তবে তারপর ৬২৯ খ্রীষ্টাব্দে তা আবার বাইজেন্টাইনরা পূনঃদখল করে নেয়। অবশ্য সেও স্বল্প সময়ের জন্য পরিশেষে ৬৩৮ খ্রীষ্টাব্দে নতুন শক্তি মুসলিমরা জেরুজালেমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন নিয়ে কয়েক শতাব্দীর জন্য।

হলি গ্রেইল ও তার হারিয়ে যাওয়াঃ
ড্যান ব্রাউনের ‘দি ভিঞ্চি কোড’ বইটি যারা পড়েছেন তাদেরকে নিশ্চই বলতে হবে না ” হলি গ্রেইল ” কি জিনিষ – এটা যিশু খ্রিষ্টের ব্যবহৃত পেয়ালা (উল্লেখ্য যে, এর বাইরেও হলি গ্রেইল ও তার সুদূর অতীতকে নিয়ে অনেক কিংবদন্তীই প্রচলিত আছে)। ‘লাস্ট সাপার’ – অর্থাৎ সবচেয়ে কাছের বারোজন শিষ্যকে নিয়ে শেষবারের মতো যে আহার করেছিলেন, তাতে এই পেয়ালাতেই চুমুক দিয়েছিলেন এই ধর্মপ্রচারক। এরপর এক শিষ্যের বিশ্বাসঘাতকতায় তিনি ধরা পড়ে যান রোমানদের হাতে। পরবর্তীতে তাকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। বিভিন্ন সূত্রাদি ও কিংবদন্তী অনুযায়ী ধর্মগুরুর শেষ চুমুক দেয়া পেয়ালা 'হলি গ্রেইল'-টি এক সময় হারিয়ে গিয়েছে এবং হারানোর বছর হিসাবে মোটামুটিভাবে ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দকেই উল্লেখ করা হয়।

ম্যানোরিয়ালিজম (Manorialism)-এর উদ্ভবঃ
৫৭০ খ্রীষ্টাব্দেই উদ্ভব হয়েছিলো ইউরোপীয় সামন্ততন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ম্যানোরিয়ালিজম (Manorialism)-এর উদ্ভব হয়। এখানে গ্রামীন অর্থনীতির ভিত তৈরী হয় যা কয়েক শতাব্দী পরে (মোটামুটিভাবে ১৮৩০ সালে) মুদ্রা নির্ভর বাজার-অর্থনীতির উদ্ভবের পর ধীরে ধীরে তিরোহিত হয়।

অর্থের বিনিময়ে পাপ মোচনঃ
মধ্যযূগীয় গীর্জার নেতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো "sale of indulgences", অর্থাৎ কেউ কোন অপরাধ করে থাকলে চার্চকে টাকা দিয়ে সেই পাপটি ক্ষমা করিয়ে নিতে পারে। চার্চ অর্থের বিনিময়ে পাপের মার্জনাপত্র বিক্রি করতে শুরু করে। অনেকে মনে করেন যে, এটা জার্মান ট্রাইবাল প্র্যাকটিস থেকে উদ্ভুত। যাহোক এই indulgences-এর সূত্রপাতের মূল সাল (key date) হিসাবে ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দকেই ধরা হয়। (To quote "Sketches of Church History" by J. C Robertson (London, Society for Promoting Christian Knowledge, 1904) p.153, in the chapter entitled "End of the Sixth Century")

ফ্রান্সে ইহুদীদেরকে জোরপূর্বক খ্রীষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করাঃ
এই ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দেই একটি নির্যাতনমূলক ঘটনা ঘটে, তা হলো ফ্রান্সের Clermont-Ferrand নামক শহর ও কমিউনে বিপুল সংখ্যক ইহুদীদেরকে নির্যাতনের মুখে খ্রীষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়।

প্রাচীন রোম সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত পতনঃ
প্রাচীন রোম সাম্রাজ্যে (যার রাজধজানী ছিলো সাত পাহাড়ের নগরী রোম, বর্তমান ইতালীর রাজধানী) যখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন এই দুর্বলতার সুযোগ নেয় জার্মান বারবার-রা (বা ভান্ডাল-রা)। ইতালীর সর্বশেষ barbarian invasion ছিলো Lombards-দের দ্বারা। ইতালী ইতিমধ্যেই হাটু গেড়ে পড়েছে, আর লোম্বার্ড-দের এই আক্রমণে তার চূড়ান্ত পরাজয়-পতন ঘটে। লোম্বার্ড শাসক ফারোআল্ড (Faroald)-এর নেতৃত্বে মধ্য ইতালীতে একটি লোম্বার্ড রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় যার রাজধানী ছিলো Duchy of Spoleto (Italian: Ducato di Spoleto, Latin: Ducatus Spolitanorum। এটাকেই প্রাচীন রোম সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত পতন ধরা হয়, এবং এটা ঘটেছিলো ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে।

আর এই ঘটনা ছিলো ইউরোপের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট। প্রশ্ন কারা হয় Lombard invasion of 570 was the turning point. It took the place of the emperor as head of the church? আসুন বিশ্লেষণ করি - "The Lombard Invasions ended Roman imperial domination of Italy and gave the pope a new independence, ... Fortunately for Rome, and the Roman church, Gregory, pope during the critical last decade of the sixth century was equal to the challenge. .. Gregory's period as pope, by its extension of the pope's authority, marks the transition from the ancient world of imperial Rome to medieval Christendom"
- "The History of Christianity" published by Lion Publishing, Herts, England, 1977. Page 195।

এই সালেই প্রাক চার্চ পরিনত হয় মধ্যচূগীয় চার্চে। সেকুলার রোমান কালচারের সমাপ্তি ঘটে শুরু হয় বিশপদের সংকীর্ণ অনুশাসনের সংস্কৃতি।

In "The End Of Ancient Christianity," the respected scholar Robert Markus traces how the early church gradually became the medieval church. It was a long process of decline, and Markus is naturally reluctant to put a single date to all these processes. But he identifies the key issues:

The end of the secular life provided by Roman culture. "Secular high culture survived till the end of the sixth century"
The dominance of "a narrowly scriptural culture by ascetic bishops by the end of the sixth century."
The inclusion of northern peoples who knew nothing of the Roman civic and cultural institutions. The life of Cassiodorus illustrates this change. "In his last work, written when he was ninety years old, he was not concerned, as earlier Christian thinkers had been, about the influence of pagan ideas on Christians through the reading of classical literature; he wanted to make sure his monks could read at all." (He died circa AD 570)
The last pieces of classical Roman culture in Italy ended with the Lombard invasions of 570.

সব মিলিয়ে এই ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দ ছিলো ঘটনাবহুল এবং পৃথিবীর ইতিহাসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। তাছাড়া পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে আর এই ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দেই ঘটে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচাইতে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আরবের ধুসর মরুভূমিতে জন্ম নেন এক মহামানব যিনি পুরো পৃথিবীটাকেই পাল্টে দিলেন। তাঁর নাম হযরত মুহম্মদ (সঃ)।

যাবতীয় ঘটনাবলী বিশ্লেষণে এই বোঝা যায় পৃথিবী তখন একটি বৃহৎ পরিবর্তনের অপেক্ষা করছিলো।

এবার আসা যাক ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের পরবর্তি কিছু বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনায়।

পোপ গ্রেগরীর কোড ও তাঁর মৃত্যুঃ
এ সম্পর্কে পূর্বেই উল্লেখ করেছি। পোপ গ্রেগরী কোড চালু করেছিলেন ৬০০ খ্রীষ্টাব্দে। ৬০৪ খ্রীষ্টাব্দে পোপ গ্রেগরীর মৃত্যু হয়।
March 12, 604 AD – Pope Gregory I (the Great) dies at Rome, age 64 (approximate), after a 14-year reign that has laid the foundations for claims to papal absolutism, pioneered the conversion of Britain to Roman Catholicism and enunciated what will come to be known as the "seven deadly sins". Gregory is succeeded by Sabinian as the 65th pope.

বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ও পারস্য সাম্রাজ্যের মধ্যে অব্যাহত যুদ্ধ:
৫৭০ থেকে ৫৯১ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত বাইজেনন্টাইন ও পারশীয়ানরা ভুখন্ডের আধিপত্য নিয়ে নিজেদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
The Byzantine–Sasanian War of 572–591 was a war fought between the Sasanian Empire of Persia and the Eastern Roman Empire, termed by modern historians as the Byzantine Empire. It was triggered by pro-Byzantine revolts in areas of theCaucasus under Persian hegemony, although other events contributed to its outbreak. The fighting was largely confined to the southern Caucasus and Mesopotamia, although it also extended into eastern Anatolia, Syria, and northern Iran. It was part of an intense sequence of wars between these two empires which occupied the majority of the 6th and early 7th centuries. It was also the last of the many wars between them to follow a pattern in which fighting was largely confined to frontier provinces and neither side achieved any lasting occupation of enemy territory beyond this border zone. It preceded a much more wide-ranging and dramatic final conflict in the early 7th century.

আরব মহিলা কবি আল-খানসা (Al-Khansa):
আরব মহিলা কবি আল-খানসা (Al-Khansa)-র জন্ম হয় ৫৭৫ খ্রীষ্টাব্দে, তিনি নবীজী (সঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন ৬২৯ খ্রীষ্টাব্দে এবং পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। তাঁর চার পুত্র ছিলো তাঁরা সকলেই ৬৩৬/৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দে মুসলিম বাহিনীর সাথে পারসীদের সংঘটিত কাদিসিয়ার (Battle of Qadisiyah) যুদ্ধে শহীদ হন। এই ঘটনায় কবি শোক প্রকাশ না করে বলেছিলেন, "Praise be to Allah who honored me with their martyrdom. And I have hope from my Lord that he will reunite me with them in the abode of his mercy." । তিনি ৬৪৬ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।


ইহুদীবিদ্বেষ:
৫৮১ খ্রীষ্টাব্দে খ্রীষ্টান বিশপদের একটি কাউন্সিল কতৃক ইহুদীদের শুল্ক কর্মকর্তাদের বিচারক হিসাবে দায়িত্ব দেয়া নিষিদ্ধ হয়। (in a council of Christian bishops in Mâcon (Burgundy) Jews are prohibited from serving as judges of customs officers)

প্রথম পারস্য-তুর্ক যুদ্ধ:
এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয় ৫৮৮ খ্রীষ্টাব্দে। ১২০০০ সৈন্যের পারস্য বাহিনী তুর্কীদের আক্রমণ করে এবং জয়লাভ করে। এই যুদ্ধে পার্শীরা আফগানিস্তানের বল্খ (Balkh) ও হেরাত জয় করে। উল্লেখ্য যে সেই সময় Balkh একটি বৌদ্ধ নগরী ছিলো এবং তা অন্যতম বৌদ্ধ দর্শনের কেন্দ্র ছিলো। বলা হয় যে মহামতি বুদ্ধের সরাসরি দুই অনুসারী Trapusa and Bahalika আফগানিস্তানে বৌদ্ধ দর্শন প্রচার করেছিলেন। Balkh শহরে বৌদ্ধ দর্শন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন Bahalika, উনার নামানুসারেই শহরের নাম হয় বল্খ।
The First Perso-Turkic War was fought during 588-589 between the Sassanid Persians and Hephthalite principalities and its lord the Göktürks. The conflict started with the invasion of the Persian Empire by the Turks and ended with a decisive Sassanid victory and the conquest of the Eastern Turks.

জাপানে বৌদ্ধ ধর্ম-এর প্রবেশ, আক্রান্ত হওয়া ও প্রতিষ্ঠা প্রাপ্তি:
বাংলা থেকে চীন হয়ে উত্তাল সাগর পেরিয়ে বৌদ্ধ দর্শন সুদুর জাপানে পৌছে ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে। ৫৮৬ খ্রীষ্টাব্দে জাপানে বৌদ্ধ ধর্ম আক্রান্ত হয়। আক্রমণকারীদের যুক্তি ছিলো যে, এটা বিদেশী ধর্ম। (AD 586: Japanese Buddhism comes under attack as a "foreign" religion)। ৫৯৩ খ্রীষ্টাব্দে জাপানের প্রথম বৌদ্ধ মন্দির শিতেন্নো-জি নির্মিত হয়। এর সাথে সাথে জাপানে বৌদ্ধ ধর্ম রাজানুকুল্য পাওয়া শুরু করে।

বাংলায় সম্রাট শশাঙ্কের রাজত্বকাল শুরু (৫৯০ খ্রীঃ) :
বৌদ্ধ জনগণ অধ্যুষিত বাংলায় ব্রহ্মণ্যবাদি গুপ্ত যুগের পতনের পর পুণরায় বৌদ্ধ শাসনামল (পাল ডাইনাস্টি) শুরু হওয়ার আগে একটি অন্তবর্তিকালীন সময় চলে। এইটি প্রথমে ছিলো সম্রাট শশাঙ্কের শাসনামল। শশাঙ্ক বাংলার জনপদগুলিকে একত্রিত করে একটি সমন্বিত বাংলা গঠন করে ৫৯০ খ্রীষ্টাব্দে। তার রাজধানীর নাম ছিলো কর্ণসুবর্ণ যা বর্তমানে মুর্শিদাবাদ নামে পরিচিত। কর্ণসুবর্ণ-এ তিনি রাজধানী স্থাপন করেন আনুমানিক ৬০৬ খ্রীষ্টাব্দে। শশাঙ্ক বৌদ্ধ দর্শন বিরোধী ছিলো এবং বাংলায় বৌদ্ধ দর্শনের অনেক স্কুল ধ্বংস করে ও অনেক বৌদ্ধ সন্যাসীকে হত্যা করে। তবে গুপ্তদের মত তিনি ব্রহ্মণ্যবাদীও ছিলেন না তিনি ছিলেন দেবতা 'শিব'-এর পূজারী। তিনি ৬২৫ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন।

ইংল্যান্ডের প্রথম লিখিত আইন:
রাজা Æthelbert যিনি ৫৯৫ খ্রীষ্টাব্দে প্যাগানিজম ত্যাগ করে একেশ্বরবাদী খ্রীষ্টধর্ম গ্রহন করেছিলেন, তিনি ইংল্যান্ডের প্রথম লিখিত আইন-ব্যবস্থা জারী করেন ৫৯৭ খ্রীষ্টাব্দে। (England gets her first written code of laws from Æthelbert. The code is concerned with preserving social order, through compensation and punishment for personal injury (approximate date)

৫৭০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ৬১০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত কিছু জন্ম:
৫৭৩ খ্রীষ্টাব্দে নবীজী (সঃ)-এর ঘনিষ্ট সহচর হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)-এর জন্ম হয়।
৫৭৬ খ্রীষ্টাব্দে নবীজী (সঃ)-এর ঘনিষ্ট বন্ধু আবু আয়ুব আল-আনসারী (রাঃ) জন্মগ্রহন করেন।
৫৭৯ খ্রীষ্টাব্দে নবীজী (সঃ)-এর ঘনিষ্ট ব্যাক্তি হযরত উমর (রাঃ) জন্মগ্রহন করেন।
৫৮০ খ্রীষ্টাব্দে সাহাবা হযরত আবদেল রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) জন্মগ্রহন করেন।
৫৮০ খ্রীষ্টাব্দে সাহাবা হযরত বিলাল ইবনে রাবাহ্ আল-হাবাশী (রাঃ) জন্মগ্রহন করেন।
৫৮৩ খ্রীষ্টাব্দে সাহাবা হযরত আবু উবাইদাহ্ (রাঃ)-এর জন্ম হয়।
৫৯০ খ্রীষ্টাব্দে সম্রাট হর্ষবর্ধনের জন্ম হয়। ভারতবর্ষে ব্রহ্মণ্যবাদী গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর এই বৌদ্ধ সম্রাট বৌদ্ধ দর্শনভিত্তিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন।
৫৯২ সালে সাহাবা ও সাহসী সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) জন্মগ্রহন করেন।
৫৯৭ খ্রীষ্টাব্দে বিখ্যাত ভারতীয় গণিতবিদ ব্রহ্মগুপ্তের জন্ম হয় । তিনি ৬৬৮ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। এই ব্রহ্মগুপ্তের গণিতই পরবর্তিতে মুসলিম গণিতবিদ আল-খোয়ারিজমী বিকশিত করেন।
৫৯৯ খ্রীষ্টাব্দে সাহাবা হযরত আলী (রাঃ)-এর জন্ম। (October 9 Ali, the Fourth Caliph of early Muslim dynasty. He was born on Friday, 13th Rajab, 23 years before Hijra / October 9, 599 AD in Kaa'ba, Mecca)
৬০৩ খ্রীষ্টাব্দে মুসলিম মণিষী আবু-আল-আসওয়াদ আল-দুয়ালি (রাঃ) (Abu al-Aswad al-Du'ali)-এর জন্ম হয়।

৫৭০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ৬১০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত কিছু মৃত্যু:
৫৭৭ খ্রীষ্টাব্দে নবীজী (সঃ)-এর মাতা আমিনা বিনতে ওয়াহাব (রাঃ) ইন্তেকাল করেন।
৫৭৮ খ্রীষ্টাব্দে নবীজী (সঃ)-এর দাদা আবদুল মোতালিব ইন্তেকাল করেন।

৫৭০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ৬১০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় ঘটনাবলীঃ
গ্রেগরী কোডের কথা পূর্বেই উল্লেখ করেছি।
জাপানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবেশের কথাও পূর্বে উল্লেখ করেছি।
ভারতবর্ষে ব্রহ্মণ্যবাদী গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর বৌদ্ধ দর্শনভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ধীরে ধীরে উত্থিত হতে থাকে।
আফগান বৌদ্ধ সন্যাসী জ্ঞানাগুপ্তা (Jnanagupta) বিমলকীর্তি সূত্র (Vimalakirti Sutra) গ্রন্থটি চীনা ভাষায় অনুবাদ করেন।
৫৯৩ খ্রীষ্টাব্দে জাপানের প্রথম বৌদ্ধ মন্দির শিতেন্নো-জি নির্মিত হয়। এর সাথে সাথে জাপানে বৌদ্ধ ধর্ম রাজানুকুল্য পাওয়া শুরু করে। (Shitennō-ji (Japanese: 四天王寺; also Arahaka-ji, Nanba-ji, or Mitsu-ji) is a Buddhist temple in Ōsaka, Japan. It is the first Buddhist and oldest officially administered temple in Japan, although the temple buildings have been rebuilt over the centuries)
৫৯৫ খ্রীষ্টাব্দে পোপ গ্রেগরী একদল খ্রীষ্টান যাজককে বৃটেনে পাঠান রাজা Æthelberht-কে এ্যাংলো-স্যাক্সন প্যাগানিজম থেকে একেশ্বরবাদী খ্রীষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্য। কেন্ট-এর রাজা ধর্মান্তরিত হন। (Pope Gregory I the Great sends a group of Benedictine monks under Augustine of Canterbury on a mission to Britain, to Christianize king Æthelberht and the Kingdom of Kent from native Anglo-Saxon paganism.)
৫৯৮ খ্রীষ্টাব্দে চীনে গুয়োজিং মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় যা পরবর্তিতে চীনের একটি বড় বৌদ্ধ কেন্দ্রে পরিনত হয়। (The Guoqing Temple is build on Mount Tiantai (Zhejiang) and becomes the site for teachings of Chinese Buddhism)
৬০০ খ্রীষ্টাব্দে মেক্সিকোতে মায়া সভ্যতায় পিরামিড সদৃশ্য মন্দির নির্মান শুরু হয়। (600-900 - Palace and Temple of the Inscriptions (tomb-pyramid of K'inich Janaab' Pakal), Palenque, Mexico, are built. Maya culture)
৬০০ খ্রীষ্টাব্দে জাপানে চীনা সংস্কৃতির প্রভাবে মহামতি বুদ্ধের ভাষ্কর্য্য নির্মিত হতে শুরু করে।
৬০০ খ্রীষ্টাব্দে সূমাত্রা, জাভা ও প্রতিবেশী দ্বীপগুলোতে জনগণ বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করতে শুরু করে।
৬০০ খ্রীষ্টাব্দে Nubian (মিশরের দক্ষিণ ও সুদানের উত্তর) পৌত্তলিক শাসকরা খ্রীষ্টধর্ম গ্রহন করতে শুরু করে।
৬০৭ খ্রীষ্টাব্দে জাপানের ইকারুগা (Ikaruga)-য় Hōryū-ji বৌদ্ধ মন্দির নির্মিত হয়েছে।
৬০৮ খ্রীষ্টাব্দে রোমান ক্যাথলিক চার্চ প্রথমবারের মত Halloween পালন করে।


৫৭০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ৬১০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার-উদ্ভাবন:
৫৭৭ খ্রীষ্টাব্দে চীনে সহজে আগুন জ্বালানোর উপায় হিসাবে আধুনিক দিয়াশলাই-এর উদ্ভাবন হয় চীনে এবং রন্ধন-কার্যে তা ব্যবহৃত হতে থাকে।
৬০০ খ্রীষ্টাব্দে পারশীয়ানরা সেচকার্যে উইন্ডমিল ব্যবহার করতে শুরু করে।
৬০১ খ্রীষ্টাব্দে উত্তর ও পশ্চিম ইউরোপে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে থাকে, কারণ স্লাভরা এক ধরনের হালকা লাঙ্গল উদ্ভাবন করে। (Food production increases in northern and Western Europe as a result of agricultural technology introduced by the Slavs, who have employ a lightweight plow with a knife blade (coulter), that cuts deep into the soil at grassroots level, together with a shaped board, or "moldboard", that moves the cut soil to one side)
৬১০ খ্রীষ্টাব্দে চীন থেকে জাপানে কাগজ তৈরীর প্রযুক্তি রফতানী হয়, কাজটি করেন কোরিয়ান বৌদ্ধ সন্যাসী Dam Jing।

মোটামুটি বিশ্লেষণে যা পাওয়া যায় তার উপসংহার হলো এই যে, ৫৭০ থেকে ৬১০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত ঘটনাবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এই পিরিওডটিতে সমগ্র পৃথিবীতে পৌত্তলিকতা (paganism)-এর উৎখাত হচ্ছে, প্রসার লাভ করছে কোথাও একেশ্বরবাদ এবং কোথাও বৌদ্ধ দর্শন, আবার এদিকে আদি খ্রীষ্টধর্মও দুর্বল হয়ে পড়ছে, উপরন্তু সম্রাটের ও পোপদের অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্তের কারণে গ্রীক ও রোমান দর্শন-জ্ঞানের চর্চাকেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়ার ফলে সেই দর্শন-জ্ঞানের যে সকল ইতিবাচক দিকগুলো ছিলো তা বিলুপ্ত হওয়ার হুমকী দেখা দেয়। এইভাবে এই সময়ে নতুন ও যুগোপযোগী একটি দর্শনের ক্ষেত্র সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়েছে।

অবশেষে এই ৬১০ খ্রীষ্টাব্দেই ঘটলো মানব ইতিহাসের অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা - হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানরত চল্লিশ বৎসর বয়স্ক নবীজী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর নিকট বিশ্বজগতের প্রতিপালক ও স্রষ্টা-এর উপহার নিয়ে হাজির হলেন ফেরেশতা হযরত জিবরাইল (আঃ), নাজিল হলো পবিত্র ধর্মগ্রন্থ 'কুরআন'। যেই জীবনাদর্শ সমগ্র পৃথিবীটাকেই পাল্টে দিলো।
(চলবে)

(প্রবন্ধটিতে কোন তথ্যবিভ্রাট বা ত্রুটি থাকলে তা অনিচ্ছাকৃত। পাঠকদের প্রতি অনুরোধ রইলো সেই ত্রুটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য, সংশোধন করে দেব।)

তথ্যসূত্র: এই প্রবন্ধটি লিখতে আমি একাধিক লেখকের প্রবন্ধ ও বই ব্যবহার করেছি। তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

১। https://en.wikipedia.org
২। Click This Link

The Islamic Golden Age – Part 2
----------------------- Dr. Ramit Azad

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!

আপনার জন্য অন্তরিক শুভ কামনা। মুগ্ধ করে রাখছেন সিরিজটিতে প্রতিটি বর্ণে বর্ণে!!!!

++++++++++++++++++++++++++++++++++

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৭

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
এখনও নির্বাচিত পাতায় আসেনি। আসলে আরো বেশী পাঠক পড়তে পারতো।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অনবদ্য পোস্ট রমিত ভাই। সিরিজ চলুক। :)

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২৭

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এখনও নির্বাচিত পাতায় আসেনি লেখাটি। আসলে আরো বেশী পাঠক খোঁজ পেত, পড়তে পারতো।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

রমিত বলেছেন: লেখাটিকে নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪৯

এস কাজী বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর এবং শিক্ষণীয় পোস্ট। অনেক অজানা কিছু জানলাম। রমিত স্যার চলতে থাকুক এই সিরিজ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৪

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আজকেও অনেক কিছু জানলাম। কিছু মতামত আছে এ ব্যাপারে।
আরব মহিলা কবি আল-খানসা (Al-Khansa) অংশে আপনি বলেছেন ক্বোয়াদিসিয়াহ্ যুদ্ধ ৬৩৬ খ্রীষ্টাব্দে সংঘটিত হয়। এটা আসলে ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দ হবে। আর ক্বোয়াদিসিয়াহ্ এই বানানটা আমি আমার দেখা সকল জায়গায় 'কাদিসিয়া' দেখেছি।

তথ্য সুত্রঃ History of Arabs by Philip Khuri Hitti
আরব জাতির ইতিহাস-লেখক মুহাম্মদ রেজা-ই-করীম।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এটাই আমি চাচ্ছিলাম। আমার জ্ঞান সীমিত, পাঠকদের অনেকেই ইসলামী ইতিহাসে ভালো জ্ঞান রাখেন, তারা আমার ভুল ধরিয়ে দিলে লেখাটি শুদ্ধ হবে।

Battle of al-Qādisiyyah (Arabic: معركة القادسيّة‎; transliteration, Ma'rakatu al-Qādisiyyah; Persian: نبرد قادسيه‎; alternative spellings: Qadisiyya, Qadisiyyah, Kadisiya),

আরবী বা ফারসী উচ্চারণটি ঠিক কি হবে আমি সঠিকভাবে জানিনা। আমি কিছু বিদেশী ভাষা জানি কিন্তু আরবী বা ফারসী ভাষায় আমার দখল নেই, এটা আমার জন্য একটা ডিসএ্যাডভান্টেজ। যাহোক, উপরে কয়েক রকমের বানান দেখলাম। বাংলা অনুবাদে 'কাদিসিয়া'-ই লেখা আছে।

যুদ্ধটি ঠিক কত সালে সংঘটিত হয়েছিলো এই বিষয়ে কোন কোন সূত্রে ৬৩৬ আর কোন কোন সূত্রে ৬৩৭ আছে, এক জায়গায় দেখলাম ৬৩৬/৬৩৭ লেখা আছে।

Battle of al-Qādisiyyah, (636/637), battle fought near Al-Ḥīrah (in present-day Iraq) between forces of the Sāsānian dynasty and an invading Arab army. The Arab victory over the army of Yazdegerd III (reigned 632–651) marked the end of his dynasty and the beginning of Arab and Islamic rule in Persia.

আপনার প্রতি অনুরোধ রইলো, আমার লেখায় কোন ভুল-ত্রুটি পেলে অনুগ্রহপূর্বক জানাবে।
ভালো থাকবেন।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনবদ্য একটি সিরিজ, বিনি সুতার মালায় ইতিহাস গাঁথা। পরবর্তি চ্যাপ্টারের এর জন্য অপেক্ষায় রইলাম!

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

রমিত বলেছেন: 'বিনি সুতার মালায় ইতিহাস গাঁথা।' - সঠিক ধরেছেন।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

জিয়া শামস সাকিব বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার ৷ পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় ৷৷ আশআ করছি শীঘ্রই পাব ৷৷

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পরবর্তি পর্ব নিয়ে কাজ করছি।

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

সক্রিয় বলেছেন: ফাটাফাটি লিখছেন,
এ+

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২

রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: একজন মুসলিম হিসাবে আমাদের সবারই উচিত ইসলাম সম্পর্কে জানা এবং বোঝা। সুন্দর তথ্য সংশ্লিষ্ট এই পোস্টের জন্য আপনাকে অশংখ্য ধন্যবাদ!!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২

রমিত বলেছেন: জ্বী যথাযথ বলেছেন।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.