নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহু বর্ণের নারীদের ভিতরে খুঁজেছি তোমাকে

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯



বহু বর্ণের নারীদের ভিতরে খুঁজেছি তোমাকে
---------------------------- ড. রমিত আজাদ

তারপর আরো অনেক নারীকে নিয়েই কবিতা লিখেছি,
গতরাতে হিসেব করে দেখেছি,
আমার শেষ কবিতার বইটিতে, আটটি মেয়েকে নিয়ে লেখা
বিয়াল্লিশটি কবিতা আছে।
এই আট সংখ্যাটি শুনে কেউ আঁৎকে উঠলেও উঠতে পারে,
কিন্তু বোঝার চেষ্টা করুক, কবি মন প্রেমিক তো হবেই।
সেই প্রেম একতরফা হোক, আর দুইতরফাই হোক!

আজ আমি উচ্চারণ করবো একটি দুরন্ত-দুঃসাহসী সত্য,
প্রাচীন প্রহরে নিস্প্রান কফিনে পেরেক ঠুকে, সবকিছু শেষ হয়নি আদৌ,
এখনো বিচলিত ভালোবাসা, বিপর্যস্ত হৃদয়ের জমীন,
তুমি কোনদিন দেখবে না এই দুঃখ, এই অগ্নিসম অনুতাপ,
তোমার নতুন মানুষ, সে কি জানে,
কোন স্রোতে কেন ভেসে যাও তুমি?
কৃষ্ণপক্ষ থমথমে রাতে, হঠাৎ পালঙ্ক থেকে
তোমাকে তুলে দেয় কোন দহনের স্মৃতি?

সেই স্বপ্নময় দিনগুলোই ছিলো,
আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়
স্বপ্নের মত সুন্দর ছিলো সব, অথচ স্বপ্ন নয়।
তারুণ্যের নৃত্যছন্দে বিভোর,
অজস্র বহুতল ভবন শোভিত ঐ আন্তর্জাতিক নগরীতে,
সাদা, কালো, লাল, নীল, বাদামী,
এত রঙের লোকেদের ভীড়ে,
তোমাকে দেখলেই আমার মন ভালো হয়ে যেত।
শুক্লপক্ষ রাত্রীতে রজনীগন্ধার বৃন্তখানী যেন,
প্রস্ফুটিত মালতীলতার মাধুরী স্বপ্ন আঁকা,
তোমার চোখ, মুখ, ঠোট অথবা গ্রীবায়,
তোমার ভালোলাগাগুলো দেখতে,
আমি বারবার জন্মাতে চেয়েছিলাম।

আমার কাঁধে আলতো করে এলিয়ে দেয়া তোমার মাথাটি,
ক্রিসেনথিমামের পাঁপড়ির উপর বসে থাকা রঙিন প্রজাপতি যেন,
ফোটা ফোটা জলকণা তোমার স্নিগ্ধ কায়ায়,
প্রাংশুবৃন্ত বৃষ্টিস্নাত রক্তিম কার্নেশন সম।
সেই আদিম আকর্ষণীয় উচ্ছল তটিনীর টানে,
শ্বেতাঙ্গ দীর্ঘাঙ্গী নারী, তুমি ডুবে যেতে,
আমার খর্বকায় দেহের পলিমাটির সৌরভে।

সালভাদর ডালির আঁকা একঝাঁক ছবি দেখিয়েছিলে তুমি,
ঐ যে সিলিং-এ উল্টে থাকা আসবাব পত্র,
ভল্টেয়ারের আবক্ষ মুর্তি,
যার আড়ালে লুকিয়ে ছিলো মানুষ বেঁচার হাট!
কি দুরন্ত শিল্প!
তাই দেখে তোমার আবক্ষ মূর্তি গড়তে চেয়েছিলাম আমি,
আপন কল্লনার মাধুর্য্যে।

সেই মূর্তি আজও গড়ি আমি,
তবে সহস্র যোজন দূরত্বে থেকে!
কোন তাড়া নেই যে আর,
এখন সময় আমার অনেক,
অর্থ, কীর্তি, স্বচ্ছলতা, বাগান ঘেরা গৃহ,
এ সবের প্রয়োজন তো ফুরিয়ে গেছে সেদিনই।

আপনের প্রেমের অধিকার থেকে বঞ্চিত হলাম।
তুমি তো আমায় নির্বাসন-ই দিলে!
আজ তুমি গমের উর্বীরূহের কাছে,
আর আমি ধানের ছড়ার পাশে,
তুমি পাইন বৃক্ষের তলে,
আর আমি কৃষ্ণচূড়ার ছাঁয়ে,
তুমি ডেনডেলিয়নের মাঠে,
আর আমি নাগকেশরের সাথে।
দূরত্ব, কি বাড়ায়? ভালোবাসা না যন্ত্রণা?
পরাজয়ের গ্লানি রেখে পিছে, আঁকড়ে ধরেছি কবিতা,

তখন আমি কবিতা লিখতাম কম,
তুমি একেবারেই লিখতে না, শুধুই পড়তে,
আজ আমরা দুজনেই কবিতা লিখি,
আমাকে নিয়ে কোন কবিতাগুলো তুমি লিখেছ,
সেগুলো আমি ধরতে পেরেছি কিন্তু,
তোমাকে নিয়ে আমি কোন কবিতাগুলো লিখি,
সেগুলো কি তুমি বুঝতে পারো?
কোন আশ্বাস নেই, মিথ্যে প্রতিশ্রুতিও চলবে না,
আমাদের ধর্মে পরজন্ম বলে তো কিছু নেই,
তাই পরজন্মে তোমাকে পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই আমার।

এখন আমি তোমাকে খুঁজে ফিরি হাজার নারীর ভীড়ে,
কাউকে ডাকি ঝলমলে রেস্তোরায়, কাউকে নিরংশু কফিশপে।
ধূমায়িত কফির পেয়েলায় চুমুক দিয়ে গভীর দৃষ্টি নিয়ে,
ওদের চোখের ভিতরে ঢুকে প্রেমের অভিনয় করি,
কৌশলে বোঝার চেষ্টা করি,
ওরা আমার অভিনয় ধরতে পারে কিনা।
হ্যাঁ এরপর থেকে কেবল অভিনয়ই করেছি আমি,
একটি অভিসারও ভালোবাসার ছিলোনা।

এখন শুনি ঝড়ের আর্তনাদ, কর্ষিত জমির ক্রন্দন,
মজে যাওয়া পতিত দীঘির দীর্ঘশ্বাস, নিঃসঙ্গ নির্ঘুম রাত্রির বিলাপ,
এখনো বিমর্ষ হই,
এখনো সন্ধ্যা নামে বুকে,
বিশ বিশটি বছরের ব্যবধান,
তারপরেও বিকেলগুলো বড় বিষন্ন মনে হয়!

ওখানে দেখেছি অগ্নিবৃষ্টি, নৈরাজ্যের পথে পথে,
এখানেও কাপুরুষের দল
নিরস্ত্র মানুষের বুক বিদির্ন করে ধাতব বুলেটের ঘাতে
কালের যাত্রার ধ্বনি, স্পন্দন-ক্রন্দন হয়,
বাউফল থেকে মস্কো, খারকোভ্ থেকে ঢাকা,
বিচ্ছেদের বিশটি বছর পরেও কত নিবিড় হয়ে রয়ে গেছো বুকে,
ব-দ্বীপি সেতারের তারে বাজে, চাইকোভস্কির গভীর করুণ সুর!

উত্তাপহীন অভিসারে, কপট অভিনয়ে,
স্বদেশে, পরদেশে,
বহু বর্ণের নারীদের ভিতরে খুঁজেছি তোমাকে,
ভগ্ন হৃদয়ের আকুল আবেদনে,
কিন্তু পাইনি,
অমন কাউকে কোনদিনও খুঁজে পাবোনা জানি।

I Have Searched You in Many Women
----------------------------- Dr. Ramit Azad

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

শায়মা বলেছেন: রবিঠাকুরের সেই গনের মত

তোমায় দেখেছি শারদ প্রাতে তোমায় দেখেছি মাধবীরাতে
তোমায় দেখেছি হৃদিমাঝারে!!!!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

রমিত বলেছেন: জ্বী, চমৎকার বলেছেন।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৫৮

রমিত বলেছেন: কবিতাটিকে নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্যে সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫১

রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.