নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমাকে আজ এক ঝলক দেখেছিলাম

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৮



তোমাকে আজ এক ঝলক দেখেছিলাম
---------------- ড. রমিত আজাদ

তোমাকে আজ এক ঝলক দেখেছিলাম!
সময় নামক শত্রুটির সাথে সংগ্রাম করতে করতে
তড়িঘড়ি ছুটে যাচ্ছিলাম লিফটের দিকে,
হঠাৎ তোমাকে দেখলাম,
লিফটের অনতিদূরে দাঁড়িয়ে আছো,
নয়নে কেমন ব্যকুলতা যেন!
অভিমান এই বুকে বেধেছিলো বাসা,
তোমাকে দেখেও না দেখার ভান করলাম,
চট করে উঠে গেলাম লিফটে,
আলীবাবার রূপকথার সেই সিংহদ্বারের মতো,
স্বয়ংক্রিয় গতিতে বন্ধ হতে হতে লিফটের দরজা
আড়াল করে দিলো তোমায়, অথবা আমায়।

এরপর মনটা আনচান করে উঠলো!
ও কি আমায় দেখতে পেয়েছে?
আবার অভিমান জেগে উঠলো,
দেখতে পেলেই খুশী হবো,
ছোট করে ওর মনে ব্যাথা দিতে চাই।

আবার কিছুক্ষণ আমার মন আচ্ছন্ন হলো,
ঐ তো সেই,
মায়াভরা নয়ন, কপোলে রাঙা রেণু।
ওকে আজ একটু ভিন্নধর্মী পোশাকে দেখেছি,
কেমন যেন অবাঙালী সাজ!
চন্দ্রবৎ অপরূপ, আর ভীষণ স্মার্ট লাগছিলো ওকে!

এরপর এলোমেলো ভাবনা!
আমি কি ওর সাথে কথা না বলে ভুল করেছি?
আমার কি উচিৎ ছিলো,
ওর সাথে ক্ষণিকের দৃষ্টি বিনিময় করা?
নাহ! ভালোই করেছি, ওর মনে কষ্ট দিতে চাই!
কে পেলো কষ্ট? ও, না আমি?
যা হয়েছে হোক, ওর সাথে আর কথা নাই!
অভিমান এই বুকে বেধেছে বাসা!

তারপর আজ রাতে,
ফেইসবুকে খুলে ধরি বইয়ের পাতার মতন,
ফ্রেন্ডলিস্টে তোমার ছবিটির দিকে চলে যায় চোখ,
অভিমান এই বুকে বেধেছিলো বাসা,
তাই তোমাকে দেখেও না দেখার ভান করেছিলাম,
কিন্তু ছবির দিকে না তাকাই কি করে বলো?
ঐ হাসিটুকুর জন্যে আমি দুঃসাহসে বুক বেঁধে
বিষাক্ত উরঙ্গের উদ্ধত মস্তক থেকে
ছিনিয়ে আনতে পারি অক্রেয় রত্ন,
ঐ হাসিটুকুর জন্যে,
তছনছ করে দিতে পারি ভয়াল দৈত্যের সাজানো উদ্যান।
অবশেষে সন্তপর্নে ঢুকে পড়লাম তোমার টাইমলাইনে,
যেমন করে সীমান্ত লংঘন করে সন্ধানী।

সেখানে তোমার লেখা একটি স্ট্যাটাস,
"আজ আমি, অনেকদিন পর
আমার প্রিয় মানুষটিকে দেখলাম,
কতটুকু সময়ের জন্য সেই দেখা, সেটা জরুরী নয়,
হোক সে মাত্র এক ঝলক,
দেখা হয়েছে সেটাই বড় কথা।"






মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২২

মো: আশিকুজ্জামান বলেছেন: অনেক দীর্ঘ কবিতা। তবে ভাললাগল। মন ছঁয়ে গেল।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

জুন বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর কবিতা ড : রমিত ।
প্রিয়তে নিলাম ।
+

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.