নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমার বিয়ের ছবি দেখলাম

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২



তোমার বিয়ের ছবি দেখলাম
--------- ড. রমিত আজাদ

মাঝে মাঝে তোমাকে দেখতাম,
কখনো চলার পথে, কখনো দালানের সিঁড়িতে,
কখনো বা জারুল গাছের নীচে।
চঞ্চলা তবু নিশ্চলা এক পারসিক প্রসূন।

তবে ঐ নিয়ে ভাবিনি কখনো,
মাথাতেই আসেনি,
ভাববার অবকাশই বা ছিলো কোথায়?
সব কিছুই হাওয়ায় মিলিয়ে যেত,
যদি তুমি সেদিন না আসতে।

জানিনা কোন প্রহর ছিলো ঐটি,
ক্লান্ত দুপুর, নাকি পড়ন্ত বিকেলে?
আধুনিক দালানে লগ্ন বোঝা যায়না।

তোমার বান্ধবী ছিলো সাথে,
একা আসতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলে হয়তো।
আমি সেদিন বুঝতে পারিনি তোমার নয়নের ভাষা।
শুধু দেখেছিলাম, তুমি পিঙ্গলনয়না।

তারপর থেমে থেমে মাঝে মাঝে আসতে,
মুখে থাকতো কিছু মামুলি কথা,
অলংকারহীন কান, গলা, হাত
আটপৌরে তোমার মতো,
তোমার প্রসঙ্গ গুলোও ছিলো ভানশূণ্য নিরলঙ্কার।

মাঝে মাঝে স্পন্দিত তোমার পিঙ্গলনয়ন দুটো
কিছু হয়তো বলতে চাইতো,
হয়তো বলতে চাইতো,
"তুমি কি কিছুই বোঝনা? সব কথা মুখে বলা যায়?"
এতো কিছুর পরেও বুঝতে পারিনি তোমার মন,
পুরুষের অন্তর, সে হয়তো কমই বোঝে।

তোমার পিঙ্গল নয়ন তুলে, হয়তো তুমি বলতে চেয়েছিলে,
চলো আজ আমরা কল্পনাপ্রি হয়ে যাই,
চলো আজ আমরা দুটি চঞ্চল প্রজাপতি হয়ে যাই,
চলো আজ আমরা পৃথিবীটাকে নতুন করে দেখি,
চলো আজ আমরা তারার ভূবনে ছুটি,
দুটি আলোর কণিকা হয়ে।

একদিন তোমার বান্ধবী আমাকে বলেছিলো,
"আপনি কি কাজ আর কবিতা ছাড়া কিছুই বোঝেন না?
কেমন কবি আপনি?"
কি দুরন্ত অভিযোগ!
কি বুঝতে হবে সেটাই তো বুঝিনি!
অতঃপর কবিমন আলোড়িত হয়েছিলো, যখন জেনেছিলাম
তুমি আমার মনের দাবীদার।

তবে সেই আলোড়ন ছিলো মৃদু,
যা কোনদিনই ঝঁন্ঝা হয়ে ওঠেনি।

যামিনীর পর যামিনী তোমাকে নিয়ে ভাবিনি,
বুকে ব্যাথা হয়েও কখনো তীক্ষ্ণ বাজোনি,
শুধু মাঝে মাঝে ভেসে উঠতে মনে,
হাতির ঝিলের জলে ওঠা, অনুগ্র বুদবুদের মতো।
তোমাকে হারানোর কিছু ছিলোনা,
পাওয়ার বাসনাই যেখানে হয়নি!

আমি তোমার নাম আকাশেও লিখিনি,
বাতাসেও লিখিনি,
হৃদয়ে তো লিখিইনি।
অথচ সেই তুমিই আজ আমাকে কবিতা লেখালে!

সস্মিত অভিব্যক্তি প্রেমের সূচনা করে,
যার শেষ হয় অশ্রুপাতে,
সে অশ্রুপাত মিলন সুখেই হোক,
আর বিরহ দুখেই হোক।
আমি তোমার সস্মিত অভিব্যক্তিই বুঝতে পারিনি,
অশ্রুপাতের লব্ধি হবে কোথায়?

ছেলেবেলার রূপকথার গল্পে শোনা
সেই রাজকুমারীটির সাথে তোমার মিল ছিলো হয়তো,
কিন্তু আমি তাকে উদ্ধার করা সেই রাজকুমারটি হতে চাইনি।

ধীরে ধীরে সরে যেতে যেতে
একসময় কনীনিকার আড়ালে হারালে,
হয়তো নীরব অভিমান নিয়ে।
যার খোঁজও আমি রাখিনি।
আজ আকাশজালে আচমকা দেখলাম,
তোমার বিয়ের ছবি।
একদম অচেনা এক পরী, মধুর বিয়ের সাঁজে।

হঠাৎ বুকের মাঝে এমন হলো কেন?
কি যেন ছলকে উঠলো অকস্মাৎ!
এ কি ভয়ানক ক্ষোভ, নাকি তীব্র যন্ত্রণা?
নিদারূণভাবে ভাবতে চাইলাম,
ঐ লোকটির হাতে হাতে রাখা, এ তুমি নও,
অন্য, অন্য কোন নারী।
অলঙ্কারের ভারে নুয়ে পড়া,
রাঙা শাড়ীর সাঁজে, এ তুমি নও,
অন্য, অন্য কোন পরী।

আমাকে কেউ বুঝিয়ে বলতে পারবেন,
যাকে উপেক্ষা করেছি নিরন্তর,
আজ তার বিয়ের ছবি দেখে,
মন এমন চাইলো কেন?

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অসাধারন একটা কবিতা। দৃশ্যপট আর শেষের অনুভুতিটা কল্পনা করতে চাইলাম। হাহাকার কার নেই বলেন?

শুভকামনা রইলো। :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার অপেক্ষা করছিলাম। ভালো আছেন?

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: আঁধার রাতে একলা পাগল যায় কেঁদে । বলে শুধু, বুঝিয়ে দে, বুঝিয়ে দে । অন্ধকারে অস্তরবির লিপি লেখা, আমারে তার অর্থ শেখা ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

রমিত বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

হাসান রাজু বলেছেন: সানাইয়ের সুর নিয়ে যাবে দূর,
একটু একটু করে তোমায়
আজকে রাতে তুমি অন্যের হবে,
ভাবতেই চোখ জলে ভিজে যায়
এতো কষ্ট কেন ভালবাসায়

মানুষ এত সিরিয়াস প্রেমে পড়ে ক্যামনে?

ছবি ক্যান দেখতে গেলেন? তা ও বিয়ের !

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

রমিত বলেছেন: জ্বী ভাই, ঠিক বলেছেন। এই কারণে বোধহয় অনেকে বিয়ের ছবি আপলোড করে না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এই খেলা শেষ হবার নয় কবি। আরো কিছুদিন পুড়তে হবে। সুন্দর কবিতা।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

রমিত বলেছেন: জ্বী, স্মৃতি ম্লান না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত, আরো কিছুদিন পুড়তে হবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: দারুণ একটা কবিতা পড়লাম। ৪০টা প্লাস

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: কট!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

রমিত বলেছেন: জ্বী, ওরকমই অনেকটা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: পাওয়া না পাওয়ার আশা নিয়ে ভালবাসা করা যায় না! ভালবাসায় দুঃখ ছাড়া সুখের মাত্রা অনেক কম, তারপরেও মানুষ বোকার মত ভালবাসে!

আমাকে কেউ বুঝিয়ে বলতে পারবেন,
যাকে উপেক্ষা করেছি নিরন্তর,
আজ তার বিয়ের ছবি দেখে,
মন এমন চাইলো কেন?


আপনার কবিতার এই চারটা লাইন মন ছুয়ে যাওয়ার মত!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

রমিত বলেছেন: জ্বী, "ভালবাসায় দুঃখ ছাড়া সুখের মাত্রা অনেক কম"।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

জেন রসি বলেছেন: কবিতায় দৃশ্যপটগুলো এবং মান অভিমান আর পাল্টা আক্ষেপ খুব স্পষ্ট ভাবেই ফুটে উঠেছে। চমৎকার কবিতা।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

রমিত বলেছেন: জ্বী, দৃশ্যপটগুলো ন্যাচারাল রাখার চেষ্টা করেছি।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

হাসান রাজু বলেছেন: কট খাইছেন ? খুব ভাল হইছে !
যারা কট খাইছে সবাই সাক্ষী, এই যে চিন চিনে ব্যাথা এর একটা সুখের অনুভূতি আছে । যেটা একটা সময় পরে - মনে হলে ভাল লাগবে । অসাধারণ সে অনুভূতি । যে জীবনে প্রেম করে নাই সে এর কিছুই পায় নাই । আর যে প্রেমে পড়ছে কিন্তু কট খায় নাই , সে পাইতে পাইতে ও পায় নাই ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

রমিত বলেছেন: দীর্ঘ সুন্দর মন্তব্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
যা হবার তা হবেই। তবে কবিতায় তীব্র শোক আছে অনুগ্র বুদবুদের মতো।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:০২

রমিত বলেছেন: জ্বী, যা হবার তাই হবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: কবিতা বেশ লেগেছে ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:০২

রমিত বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

সুমন কর বলেছেন: পুরো একটি গল্পই পেলাম--আপনার কবিতায়।

চমৎকার হয়েছে এবং ভালো লাগা রইলো।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:০৩

রমিত বলেছেন: জ্বী, ছোটখাট একটা গল্পই হয়ে গিয়েছে।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: জ্বী ভাইয়া, ভালো আছি। একটা লেখা শেষ করে ফেলছি প্রায়। শেষ হইলে আপনাকে পড়তে দিব। বেশ বড়, ২০০ পৃষ্ঠার মত হবে। আজ কালের মধ্যে ফাইনাল ড্রাফট শেষ করবো। আপনার পড়াশুনা বেশ ভালো। নিরপেক্ষ মতামত দরকার। যদিও আপনি জাতীয়তাবাদী ধারায় চলে যাওয়ার চান্স বেশি। তারপরেও কোন অসঙ্গতি ধরা পড়লে জানাইলে ভাল্লাগবে।

শুভকামনা রইলো। :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

রমিত বলেছেন: আমার প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ। আমাকে ঘনিষ্ট মনে করার জন্য আরো বেশী ধন্যবাদ। নিরপেক্ষতা বিষয়টি আসলে আপেক্ষিক। আমার মনে হয় এই নিরপেক্ষতার গুন অর্জন করার জন্য অনেক অনেক জ্ঞান দরকার। খুব কম মানুষেরই সেটা থাকে। আমার তো তা নেই-ই। আর জাতীয়তাবাদ বিষয়টাও প্রশ্নের অবকাশ রাখে। আমাদের দেশে প্রায় বেশীরভাগ রাজনৈতিক দলই নিজেদেরকে জাতীয়তাবাদী বলে দাবী করে। ইদানিং আমি কম্যুনিস্টদেরকেও জাতীয়তাবাদী কথা বলতে শুনি। আমি নিজে জাতীয়তাবাদী কিনা সে প্রশ্নের উত্তরও এক কথায় দিতে পারবো না। তবে দেশপ্রমিক থাকার চেষ্টা করি। খুব ছোটবেলা থেকেই মনে হয়েছে আমাদের দেশটা খুব দুখী। তাই স্বপ্ন দেখতাম সেই দুঃখ দূর করার। ফেসবুকে মেসেজ পাঠালে আলোচনা করতে সুবিধা হবে।
শুভ কামনা রইলো।

১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: Ok, wil b sending u the draft as pdf. just made some outline, needs to be polished further, thats why asking u to read as u have better knowledge

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রমিত বলেছেন: ওকে পাঠান। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করবো। ফিলিং অনারড।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.