নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রদর্শিত পথ ও আমরা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭



জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রদর্শিত পথ ও আমরা
----------------------- ড. রমিত আজাদ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে যে কয়টি নাম উজ্জ্বল তার মধ্যে একটি হলো জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। একটি জাতি যখন তার নবযাত্রা শুরু করে তখন একজন পথপ্রদর্শকের খুব প্রয়োজন পরে। জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন এমন একজন পথপ্রদর্শক। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কোন শোষণ-শাষণের যন্ত্র নয়। আধুনিক রাষ্ট্রের চূড়ান্ত লক্ষ্য জনকল্যাণ। সেই মহৎ উদ্দেশ্য সাধনে কোন পথে যাবে একটি দেশ ও জাতি তার পুরোটা নির্ভর করে ঐ দেশের তৎকালীন আভ্যন্তরীন অবস্থা ও দেশের বাইরের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের উপর। জিয়াউর রহমান যখন দেশের দায়িত্ব পান তখন সারা বিশ্বে চলছে ঠান্ডা লড়াই। মূলতঃ দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বিশ্ব, একদিকে রয়েছে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ আর একদিকে রয়েছে পুঁজিবাদি মতাদর্শ। একটির নেতৃত্বে রয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়ন, আরেকটির নেতৃত্বে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিটি জাতির জনগণও তখন দুইটি ভাবাদর্শে বিভক্ত। এ পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো তখন বেছে নিচ্ছে তাদের যার যার পছন্দের শিবির। বলা বাহুল্য যে এক্ষেত্রে সরকারগুলো কখনো তা করছে জনগণের মত নিয়ে কখনো জনগণের অমতে। যেসব দেশে জনগণের অমতে তা করা হয়েছিলো সেসব দেশে সরকারী বাহিনীর সাথে জনগণের সংঘাত সৃষ্টি হয়, যা কখনো কখনো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিলো। একটি জাতির জনগণের মতামত অনেকটাই নির্ভর করে সেই জাতির দর্শন ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের উপর। আমাদের দেশের দর্শন বিচার করলে আমরা জাত-পাত প্রথায় অবিশ্বাসী সামাজিক সাম্যে বিশ্বাসী একটি জাতি। যার মূল প্রোথিত রয়েছে মহাজ্ঞানী কপিল ও গৌতম বুদ্ধের দর্শনে। এ' জাতি বরাবরই ছিলো স্বাধীনচেতা, বাক স্বাধীনতা ও মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী। যে কয়বার এই জাতি স্বাধীনতা হারিয়েছে (গুপ্তযুগ, সেনযুগ, বৃটিশ প্রোটেস্টান্ট যুগ, ইত্যাদি) সে কয়বারই তা পুণঃরুদ্ধার করেছে।

দুশো বছরের বৃটিশ প্রোটেস্টান্ট শাসনের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত হয়ে আমাদের জাতি স্বপ্ন দেখেছিলো এমন একটি দেশের যে দেশে আমরাই হবো শাসক, দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাগ্য নিয়ন্ত্রক, যেখানে থাকবে বাক স্বাধীনতা ও মুক্ত চিন্তার অপার সুযোগ। কে বা কারা হবে দেশের তত্ত্বাবধায়ক তা নির্ধারন করা হবে গন-নির্বাচনের মাধ্যেমে (যার নাম এককথায় 'গণতন্ত্র' )। কিন্তু ক্ষমতাসীন পাকিস্তানী শাসকচক্র তা ধুলিস্মাৎ করে দিয়েছিলো। আবারো নতুন সংগ্রামে লিপ্ত হতে হয়েছিলো এ'দেশের মানুষকে। বাক স্বাধীনতা, মুক্ত চিন্তা ও ভোটের অধিকার আদায়ের লড়াইটি শেষ পর্যন্ত রূপ নিয়েছিলো রক্তাক্ত সসস্ত্র সংগ্রামে। অবশেষে এসেছিলো চূড়ান্ত বিজয়। এই সকল ঘটনা সুস্পষ্ট করে দেয় আমাদের জাতির আশা-আকাঙ্খা, চিন্তা-চেতনা, মনোবৃত্তি ইত্যাদিকে। সমাজতণ্ত্রে বাক-স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা, আধ্যাত্মিকতা, গণতন্ত্র, ইত্যাদি কোনটিরই অধিকার নেই। স্বভাবতই এটি আমদের দেশের জনগণের অধিকাংশের কাম্য রাজনৈতিক মতাদর্শ হতে পারেনা। তাই রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির উল্লেখযোগ্য সংস্কার করলেন। সোভিয়েত ব্লকের প্রভাব থেকে সরে এসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-এর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করলেন। সেসময় অনেকেই উনার মার্কিন নীতির সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু সময়ের বিচারে দেখা গিয়েছে যে, পরিবর্তিকালে এই সমালোচকরাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-এর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করেছিলো। তাদের অনেকের সন্তান-সন্ততিও যুক্তরাষ্ট্রে পারি জমিয়েছিলো। আরো আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যেই সোভিয়েত শিবির থেকে তিনি সরে এসেছিলেন, কালের স্রোতে মতাদর্শের লড়াইয়ে সমাজতান্ত্রীক মতাদর্শ একসময় পরাজিত হয়, সোভিয়েত ইউনিয়নও তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে, সেই সাথে বিলীন হয়ে যায় সোভিয়েত ব্লক। অর্থাৎ সথাসময়েই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে সরিয়ে এনেছিলেন সেই ব্লক থেকে এখানে উনার দূরদর্শিতারই পরিচয় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের কূটনীতির জন্য আরো একটি বড় প্রশ্ন ছিলো চীনের সাথে সম্পর্ক। চীনেও সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে বিশ্বাসী সরকার ক্ষমতায় ছিলো, কিন্তু আমাদের নিকটস্থ প্রতিবেশী এই বৃহৎ শক্তিটির সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করা আমাদের জাতীয় উন্নয়নের জন্যই প্রয়োজন ছিলো। চীনের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনে জিয়াউর রহমান সাফল্যের পরিচয় দিয়েছিলেন। এর অনেক সুফলই আমরা পরবর্তিতে পেয়েছিলাম। এবং পরবর্তিকালীন সরকারগুলোও এই সম্পর্ককে বজায় রেখেছে। ভালো করে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই যে চীন সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়েও সোভিয়েত ইউনিয়নের মত পরাজিত হয়নি, বরং যথাসময়ে সংস্কার করে নিজেদের অবস্থান আরো সুদৃঢ় করেছে। এখানেও জিয়াউর রহমানের কূটনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় পাওয়া যায়।

১৯৭৭ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর জাপানী এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাই হয়ে অবতরণ করে ঢাকা তেজগাঁ এয়ারপোর্টে। সেই ১৯৭৭ সালের বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ একটা প্রত্যন্ত রাষ্ট্র ছিলো। সংবাদ ছড়িয়ে পড়লো সমগ্র বিশ্বে। সবার দৃষ্টি তখন বাংলাদেশের দিকে। সবাই তখন এই নাটকটি দেখার জন্য অধীর আগ্রহী। কি হয়? কি হয়? নবীন অনভিজ্ঞ রাষ্ট্র বাংলাদেশ কি করে সামাল দেবে এই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস? পারবে কি বাংলাদেশ? দুর্ধর্ষ রেড আর্মীর ছিনতাইকারীদের সাথে দরকষাকষি করে অবশেষে সফল হয়েছিলো বাংলাদেশ। সেই সুযোগে অর্থনৈতিক পরাশক্তি জাপানের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন জিয়াউর রহমান, যার সুফল আজও আমরা পেয়ে আসছি। (উল্লেখ্য যে অনেকগুলো বছর আগে জাপানের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন নেতাজী সুভাষ বসু)।

সদ্য জন্ম নেয়া বাংলাদেশ মূলতঃ ছিলো একটি মুসলিম অধ্যুষিত দরিদ্র রাষ্ট্র। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে শুরু করেন। তার অংশ হিসাবে, একের পর এক আরব রাষ্ট্রগুলো সফর করতে শুরু করেন জিয়াউর রহমান। আর দ্রুত সখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ সব রাষ্ট্রগুলোর সাথে। তিনি তাদের বোঝাতে সক্ষম হন যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ নামক সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশ আছে, জনসংখ্যার বিচারে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। তাদের ঐ মুসলিম ভাইটি খুব দরিদ্র। তারা যেন ঐ দরিদ্র ভাইটির প্রতি সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দেয়। 'মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই' এই কনসেপ্ট মুসলিম জাহানে রয়েছে সেই শুরু থেকেই, এটি একটি ইসলামিক ডকট্রাইন। সেই আবেগে আরব রাষ্ট্রগুলো সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো। কোন স্বার্থ থেকে নয় কেবলমাত্র ভাই ভেবে। তারা আমাদের নানা ভাবে সাহায্য করতে শুরু করলো। তার মধ্যে সব চাইতে বড় সাহায্যটি হলো আমাদের দেশের মানুষের জন্য আরবে কর্মসংস্থান করে দেয়া। বলা বাহুল্য যে, এদের একটি বিরাট অংশ অদক্ষ শ্রমিক। এই আমাদের কপাল খুলতে শুরু করলো। ক্ষুধামুক্ত হলো দেশ, লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তি পেলো বেকারত্বের অভিশাপ থেকে। দলে দলে যেতে শুরু করলো সৌদি আরব, দুবাই, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, লিবিয়া, ইত্যাদি নানা দেশে। যে দেশের মানুষ বাড়িতে একটি টু-ইন-ওয়ান থাকলে জীবন ধন্য মনে করতো, তাদের ঘরে ঘরে শোভা পেতে শুরু করলো ফ্রীজ, টেলিভিশন থেকে শুরু করে নানা রকম বিলাস সামগ্রী। আর কিছুকাল পরে টিনের ঘরের জায়গায় উঠতে শুরু করলো সুদৃশ্য দালান।

এসবের পাশাপাশি তিনি আরো উপলদ্ধি করেছিলেন দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগীতার। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, বিশ্বের একপঞ্চমাংশ মানুষের আবাসস্থল ও একসময়ের সমৃদ্ধ অঞ্চলে আঞ্চলিক প্রতিযোগীতার বদলে সহযোগীতা-সমঝোতা স্থাপিত হলে বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে উপমাহাদেশের গুরুত্ব মূলতঃ বৃদ্ধিই পাবে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে তিনি গঠন করেছিলে দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রগুলির সহযোগীতা সংস্থা সার্ক।

এবার আসা যাক আভ্যন্তরীণ প্রসঙ্গে। পূর্বেই বলেছি যে, এদেশের মানুষ চিরকালের স্বাধীনচেতা, বাক স্বাধীনতা ও মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী, বিশ্বাসী গণতণ্ত্রে; তাই দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণের লক্ষে তিনি প্রবর্তন করেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের, নিশ্চিত করেন প্রেসের স্বাধীনতা, প্রতিষ্ঠা করেন ভোটের অধিকার।

এবার আমি উল্লেখ করছি উনার কিছু অবদানের।

শিক্ষা:
1. গণশিক্ষা কার্যক্রম ‘নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযান' প্রবর্তন করে অতি অল্প সময়ে ৪০ লক্ষ মানুষকে অক্ষরজ্ঞান দান।
2. নদী গবেষণা ইনস্টিউট প্রতিষ্ঠা করেন।
3. প্রেস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।
4. বাংলাদেশ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
5. আইসিটিভিটিআর প্রতিষ্ঠা করেন।
6. ফিল্ম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।
7. নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।

অন্ন:
1. ইরি ধানের চাষের প্রচলন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেন। তিনি বলেছিলেন, "খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুন করতে হবে, তিনগুনও করা যায়, তবে আপাততঃ দ্বিগুন করতে হবে। উনার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত।
2. কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও দেশকে খাদ্য রপ্তানীর পর্যায়ে উন্নীতকরণ তিনি করেন।
3. মিল্কভিটার দুধের উৎপাদন তিনি বাড়িয়েছিলেন। ঢাকাতে এই দুধের বিক্রি ও প্রচলন বেড়ে যায়।
4. সামুদ্রিক মাছ তখন ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি চালু হয়েছিলো।
5. সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাশ্রম ও সরকারী সহায়তার সমন্বয় ঘটিয়ে ১৪০০ খাল খনন ও পুনর্খনন। এই প্রকল্পে তিনি এক ঢিলে অনেকগুলো পাখী মেরেছিলেন। ইংরেজরা আমাদের স্বভাব-চরিত্রও পাল্টে দিয়েছিলো আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতিকে ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করেছিলো, ভিক্ষাবৃত্তিকে মানুষ গতানুগতিক মনে করতে শুরু করলো। জিয়াউর রহমান চালু করলেন কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী, ফলে মানুষকে আর ভিক্ষা করতে হলোনা, কাজ করেই খাদ্য পেলো। ঠেকিয়ে দিলেন দুর্ভিক্ষ। আবার শত শত খালও খনন হয়ে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হলো।

চিকিৎসা:
1. ২৭৫০০ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করে গ্রামীণ জনগণের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ।
2. শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
3. হৃদরোগ ইনস্টিউট ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন (৩রা এপ্রিল ১৯৮১)
4. পঙ্গু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
5. কলেরা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।


শিল্প:
1. নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপনের ভেতর দিয়ে অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ। কলকারখানায় তিন শিফট চালু করে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি।
2. গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ বিজনেস উনিই প্রতিষ্ঠা করেন।

বাসস্থান:
1. গৃহ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।
2. বহুতল ভবন কালচার চালু করেন (মতিঝিলের২৫ তলা উঁচু শিল্প ভবন দিয়ে শুরু)
3. গৃহায়ন ঋণ চালু করেন

বস্ত্র:
1. তিনি ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে বস্ত্র সাহায্যে নিয়ে এসে বাজারে নামমাত্র মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করেন। এটাকে সেকেন্ড হ্যান্ড মার্কেট, টাল মার্কেট, লান্ডি মার্কেট ইত্যাদি নানা নামে অভিহিত করা হতো।

শিশু:
1. শিশু এ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন (জুলাই, ১৯৭৭)।
2. শিশুদের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু বর্ষ ১৯৮০-৮১ ঘোষণা। এর আগে আন্তর্জাতিক শিশু বর্ষ ১৯৭৯-এর র্যা লিতে তিনি নিজে র্যা লির নেতৃত্ব দেন।
3. শিশু পার্ক ও শিশু গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন।
4. কিশোর অপরাধ সংশোধনী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
5. প্রতিভাবান শিশুদের খুঁজে বের করা ও উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যে নতুন কুঁড়ি অনুষ্ঠান চালু করেন।


বাক-স্বাধীনতা:

1. তিনি সংবাদপত্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন, সংবাদপত্রের মাধ্যমে তথ্যের অবাধ প্রবাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। উনার সময় বাক স্বাধীনতা ছিলো অবাধ। অনেকেই তখন জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অনেক কিছু লিখতেন, জিয়া নীরবে সব অবলোকন করেছেন।

গণতন্ত্র:
1. বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেন। ‘রাজনৈতিক দল বিধি ১৯৭৬’ জারি করেন। ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
2. ১৯৭৫ সালের ২৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া দ্বিতীয় ভাষণেই জেনারেল জিয়াউর রহমান অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন।
3. জাতীয় সংসদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন।
4. মুক্তাঙ্গন তৈরী করেছিলেন যেখানে মানুষ নিশ্চিন্তে মত প্রকাশ করতে পারবে।

আইন-শৃঙ্খলা:
1. আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যপক উন্নয়ন সাধন করে দেশে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। ফলে তিনি জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হন।
2. গ্রামাঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান ও গ্রামোন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) গঠন।
3. মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রতিরক্ষা:
1. শক্তিশালী ও দেশপ্রেমিক সসস্ত্রবাহিনী নির্মাণের উদ্দেশ্যে ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা চারটি থেকে আটটিতে উন্নিত করেন।
2. "বহিঃশত্রুর বিরুদ্ধে যদি যুদ্ধেই যেতে হয় তা'লে আমাদের সেনাবাহিনীর একমাত্র ঊপায়- অনিয়মিত যুদ্ধ (unconventional warfare-1980)" সেটা ছিল জিয়াউর রহমানের মস্তিষ্ক প্রসুত।
3. আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন। তাঁর জীবদ্দশায় গুলি ছুড়তে শেখে চল্লিশ হাজার নর-নারী।
5. 'দেশের জনগণ ও সসস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন।
6. মীরপুরে ডিফেন্স স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

পরিবেশ রক্ষা:
1. জিয়া নিজে ড্রাইভ করে গ্যাস চালিত গাড়ী উদ্ধোধন করেছিলেন।
2.সর্বনাশা বন্যার হাত থেকে ঢাকা শহরকে রক্ষার উদ্দেশ্যে ডিএনডি বাধ নির্মান করেন।
3. হাওড় উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

আন্তর্জাতিক সাফল্য:
1. জাপানকে হারিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সদস্যপদ লাভ। যেই দেশকে তিন বছর আগেই বাস্কেট কেস বলা হতো সেই দেশকেই জিয়াউর রহমান এনে দিলেন বিরল সম্মাননা।
2. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আসনলাভ।
3. তিন সদস্যবিশিষ্ট আল-কুদস কমিটিতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি।
4. দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে 'সার্ক' প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণ।
5. অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান-এর দেহভস্ম চীন থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান স্মৃতিসৌধ স্থাপন করেন।
6. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে ইসলামি দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে জিয়াউর রহমান সফর করেন সৌদি আরব, আরব আমিরাত, ইরান, পাকিস্তান, মালি, সেনেগাল, সিরিয়া, তুরস্ক প্রভৃতি দেশ। মুসলিম দেশগুলোর স্বার্থরক্ষায় জিয়াউর রহমান বলিষ্ঠ ও স্বাধীনচেতা ভূমিকা রাখেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কার্টার ব্যক্তিগত চাপ প্রয়োগ করেও ইরানের বিরুদ্ধে জিয়াউর রহমানের সমর্থন আদায় করতে পারেননি।
7. ইরান-ইরাকের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ বন্ধে জিয়া বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
8. ১৯৮১ সালে ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) অন্যতম সহসভাপতি পদ লাভ করে বাংলাদেশ।
9. ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ জোটনিরপেক্ষ ব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হয়।
10. বাংলাদেশের আপত্তির কারণেই ১৯৭৯ সালে জাতিসঙ্ঘ ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেনি।
11. জিয়া ১৯৭৭ সালে লন্ডনে কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে মক্কার ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
13. ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি বণ্টনের সাময়িক সমাধান করা হয়। সমাধানের ফর্মুলা এমনই সুস্পষ্টভাবে লেখা ছিল যে ভারতের পক্ষে সেখান থেকে সরে যাওয়ার পথ আদৌ ছিল না এবং এ বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকেই আর কোনো আপত্তি করা হয়নি।
14. বার্মার সঙ্গে সীমান্তরেখা নির্ধারণ করা হয় ও শরণার্থী সমস্যা আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
15. ১৯৮০ সালের ২৭শে অাগষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফররত জিয়াউর রহমানকে উদ্দেশ্য করে দেয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার বলেছিলেন:
PRESIDENT CARTER. It's a great pleasure for me this afternoon to welcome to the White House and to our Nation, President Ziaur, the very fine leader of Bangladesh. Since their war of independence in 1971, tremendous progress has been made under his leadership. And with the courage and determination of the people of his great country, with a population of about 90 million, and with tremendous opportunities for economic improvement, President Ziaur has been in the forefront of making the lives of the Bangladesh citizens better each year.

সেবাখাত:
1. বাড়ী বাড়ী গ্যাস পৌঁছে দিয়েছিলেন।
2. ১৯৭৮ সালে পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন।
3. বেসরকারিখাত ও উদ্যোগকে উৎসাহিতকরণ। শিল্পখাতে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ।
4. বাংলাদেশ টেলিভিশনের রঙিন সম্প্রচার চালু করেন। এছাড়া বিটিভি-র অনেকগুলো উপকেন্দ্র চালু করেন।
5. ফার্মগেটের ওভারব্রীজ নির্মান করে নগরে ওভারব্রীজ কালচার চালু করেন।
6. ঢাকা শহরে বিমান থেকে মশার ওষুধ ফেলে মশক নিধন করেন।
7. ঢাকা পৌরসভাকে পরিণত করেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে (১৯৭৮, ৩০শে সেপ্টেম্বর)
8. বিদেশী বিনোয়োগ উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক মানের হোটেল সোনারগাঁ প্রতিষ্ঠা করেন।

খেলাধুলা:
1. দেশে অনেক আন্তর্জাতিক খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ক্রীড়াসঙ্গীত উনার সময়েই লেখা।
2. স্টেডিয়ামে আসন সংখ্যা বাড়ান। ফ্লাড-লাইট প্রচলন করেন।
3. প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপ ফুটবল খেলা চালু করেন।
4. ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় এশীয় যুব ফুটবল।
5. টেনিস কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেন।
6. বিশ্বখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী উনার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।

যোগাযোগ ব্যবস্থা:
1. হাজার হাজার মাইল রাস্তা-ঘাট নির্মাণ।
2. বুড়িগঙ্গা সেতুর ভিত্তি-প্রস্তর উদ্ধোধন করেছিলেন।

নারীর উন্নয়ন:
1. মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারী সমাজকে সম্পৃক্তকরণ করেন।
2. নারীসমাজকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় মহিলা সংস্থা। স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান সর্বপ্রথম মহিলা রাষ্ট্রদূত ও মহিলা অডিটর জেনারেল করেছিলেন।
3. তিনি মহিলা পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি গঠন করেন।
4. কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল প্রতিষ্ঠা করেন।
5. সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ১৫ থেকে ৩০-এ উন্নীত করেন। চাকরির ক্ষেত্রে নন-গেজেটেড পদে ১৫% এবং গেজেটেড পদে ১০% কোটা নির্ধারণ করেন।
6. নারী পুনর্বাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন (১৬ই জানুয়ারী, ১৯৭৮)

মন্ত্রণালয়:
1. যুব উন্নয়ন মন্ত্রাণালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
2. মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করেন।
3. ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিষ্টা করে সকল মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেন।
4. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন।
5. সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় গঠন করেন

পল্লী উন্নয়ন:
1. তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামের জনগণকে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করণ এবং সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব সৃষ্টি করার লক্ষ্যে গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।

পারমানবিক শক্তি:
1. ফ্রান্সের সাথে পারমানবিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
2. পারমানবিক গবেষণায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন

রপ্তানী:

1. জনশক্তি রপ্তানি, তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্পসহ অনেক অপ্রচলিত পণ্যর রপ্তানীর দ্বার উন্মোচন করেন।

মুক্তিযোদ্ধা:

1. যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেন।

ন্যায়-নীতি:
1. জিয়া সরকার ১৯৮০ সালে যৌতুকবিরোধী আইন প্রণয়ন করে।
2. পাটের গুদামে আগুন দেয়ার সর্বচ্চো শাস্তি মৃত্যুদন্ড
3. চোরাচালানের সর্বচ্চো শাস্তি মৃত্যুদন্ড
4. প্রশ্নপত্র ফাঁসের সর্বচ্চো শাস্তি চার বছরের জেল।
5. ১৯৭৮ সালে দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় চারটি বিভাগীয় শহরে জিয়া সরকার ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ডকে বিভাগীয়পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারিত করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘ধর্ম বিভাগ’ নামে একটি পৃথক বিভাগ গঠন করেছিল জিয়া সরকার, যা পরে পূর্ণাঙ্গ ধর্ম মন্ত্রণালয়ে রূপান্তরিত হয়।


পুরষ্কার:

1. মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে তিনি ‘২১ পদক’ প্রদানপ্রথা প্রবর্তন করেন।
2. জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার চালু করেন।
3. জাতীয় শিশু পুরষ্কার চালু করেন (১৯৭৯)

সংস্কৃতি:

1. ১৯৮১ সালে ঢাকায় এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তিনি। ঢাকা চারুকলা ইনস্টিটিউট ছাত্রাবাস এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ শহীদ জিয়ার অবদান।
2. বাংলা এ্যাকাডেমীর উদ্যোগে বইমেলা চালু করেন।
3. সুস্থ ও মান সম্পন্ন সিনেমা তৈরীর লক্ষ্যে তিনি চলচ্চিত্র নির্মানে জাতীয় অনুদান দেয়ার রীতি চালয় করেন।
4. জাতীয় প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন।
5. ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা করেন।

শিক্ষকদের মর্যাদা প্রাদান:
1. ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমান সরকার আইন করে মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাসের বকেয়া বেতন দেন শিক্ষকদের।
2. কিভাবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা যায় সে সম্বন্ধে কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের সাথে আলোচনা করেছিলেন।

যুবসমাজ:
1. যুবসমাজকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়ার লক্ষ্যে জিয়া সরকার গঠন করে যুব কমপ্লেক্স।

রাজনীতি:

1. ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ রামপুরা টেলিভিশন ভবনে বেতার ও তথ্য বিভাগের পদস্থ অফিসারদের এক সমাবেশে জেনারেল জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘আমরা সকলে বাংলাদেশী। আমরা প্রথমে বাংলাদেশী এবং শেষেও বাংলাদেশী। এই মাটি আমাদের, এই মাটি থেকে আমাদের অনুপ্রেরণা আহরণ করতে হবে। জাতিকে শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য। ঐক্য, শৃঙ্খলা, দেশপ্রেম, নিষ্ঠা ও কঠোর মেহনতের মাধ্যমেই তা সম্ভব।’ (দৈনিক বাংলা, ১৪ মার্চ, ১৯৭৬)

2. ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালের সুজান গ্রিন ঢাকা থেকে পাঠানো এক ডেসপাচে লিখেছিলেন, ‘সাম্যের প্রতীক ও সত্ লোকরূপে ব্যাপকভাবে গণ্য জিয়াউর রহমান স্ব্বনির্ভর সংস্কার কর্মসূচি শুরু করে বাংলাদেশের ভিক্ষার ঝুড়ি ভাঙার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন।’ মালয়েশিয় দৈনিক ‘বিজনেস টাইমস’-এ প্রকাশিত ওই ডেসপাচে বলা হয়, ‘অতীতে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত করেছিল যে মহাপ্লাবী সমস্যাগুলো, প্রেসিডেন্ট জিয়া কার্যত সেগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’ (দৈনিক ইত্তেফাক, ৪ নভেম্বর ১৯৭৯)
3. রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান এসএসসি থেকে স্নাকোত্তর পর্যন্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে তিনবার ভ্রমনে গিয়েছিলেন। একবার গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম থেকে সুন্দরবন। দুইবার চট্টগ্রাম-সিংগাপুর-ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সম্পদ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন এ সমস্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। হিজবুল বাহারে যাত্রী বহন সংখ্যা ছিল দুই হাজার। এই যাত্রীদের মধ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, সাংস্কৃতিক কর্মী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদও ছিলেন।
4. খন্দকার মোশতাক যে সামরিক শাসন জারি করেছিলেন জিয়াউর রহমান তা তুলে নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
5. জিয়াউর রহমান খন্দকার মোশতাক-এর প্রচলিত সামরিক শাসনকে সামরিক শাসনকে স্প্রেড করতে চাননি। তিনি জানতেন যে, এটা ক্যন্সার ব্যধির মত একবার ছড়িয়ে পড়লে সমস্ত শরীরকে অসুস্থ করে তুলবে। সামরিক শাসন মানে সেনা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সিভিল পোস্টে কাজে লাগানো। পৃথিবীর সব দেশেই সিভিল ডিপার্টমেন্টগুলোতে দুর্নীতির মাত্রা বেশী থাকে। সেনা কর্মকর্তারা সেই দুর্নীতির স্বাদ পেলে সহজে আর সেখান থেকে বের হতে চাইবে না।এটা একটা দেশের জন্য যেকোন অর্থেই ভয়াবহ। তাই জিয়াউর রহমান সামরিক শাসনকে স্প্রেড না করে যত দ্রুত সম্ভব তা তুলে নিয়েছিলেন।
6. নিজ হাতে কোদাল ধরেছিলেন। মাইলের পর মাইল প্রান্তরের পর প্রান্তর হেটে বেড়িয়েছিলেন নিজ চোখে দেখতে চেয়েছিলেন প্রিয় বাংলাদেশের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা।

(এই প্রবন্ধে কোন তথ্যগত ভুল থাকলে তা লেখকের অনিচ্ছাকৃত। পাঠকদের প্রতি অনুরোধ রইলো তা ধরিয়ে দেয়ার)

(আজ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের জন্মবার্ষিকী, উনার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি)

তথ্যসূত্র:
১। http://www.presidency.ucsb.edu/ws/?pid=44949
২। মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহীম (বীর প্রতীক)-এর ফেইসবুক টাইমলাইন-এর স্ট্যাটাস
৩। Click This Link
৪। Click This Link
৫। Click This Link
৬। Click This Link
৭। https://www.youtube.com/watch?v=jMiyp5_IAws
৮। https://www.youtube.com/watch?v=vVQAMGN4bYc
৯। https://www.youtube.com/watch?v=jCzXswiWTS8
১০। http://www.khobor52.com/sirajur_rahaman.php










জিয়াউর রহমানের দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর কবরের সামনে দাঁড়িয়ে সশ্রদ্ধ স্যালুট দিচ্ছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক
জেনারেল আতাউল গণি ওসমাণী

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

হোসেন মালিক বলেছেন: তুমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঁঙ্গালী কি
জানিনা ,জানিনা তুমি বাঙ্গালী জাতির
অবিসংবাদিত নেতা কিনা - শুধু জানি তুমি
এসেছো ,দেখেছো এবং নিমেষেই জয় করেছো
আমাদের হৃদয় মন ।
শুভ জন্মদিন হে নেতা ,বাংলাদেশের গনমানুষের
প্রানপ্রিয় শহীদ জিয়া!
”৭১’এর মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের সূর্য্যসন্তান
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের
৮০তম শুভ জন্মবার্ষিকীতে
“শ্রদ্ধাঞ্জলী”
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটির জন্য জনাব রমিত আজাদ

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

হাম্বাখোর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

ডেড আকাশ বলেছেন: নির্বাচিত পাতায় যাওয়া উচিৎ

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

কল্লোল পথিক বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটির জন্য জনাব রমিত আজাদ ।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোষ্ট । আপনাকে ধন্যবাদ ভাই এই বিশাল প্ররিশ্রমরে মাধ্যমেএকজন হারিয়ে যাওয়া প্রতিভার গুন কৃর্তন তার আদর্শ তোলে ধরার জন্য।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

রমিত বলেছেন: পোস্টটিকে নির্বাচিত পাতায় দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ভালো লাগলো ।

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

াহো বলেছেন:

জিয়াউর রহমান ১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক



জিয়াউর রহমান ১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক

,১৯৭৫-এর ২৪শে অক্টোবরে সেনাপ্রধানকে পদচ্যুত করে উপসেনাপ্রধান থেকে সেনাপ্রধান।

বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র ৪ মাস পর ,৭২এর ঘাতক দালাল আইন বাতিল।
১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক

,১৯৭৭এর ২১ শে এপ্রিলে আবার সায়েমকে সম্পূর্ণ কিকআউট করে রাষ্ট্রপ্রধান

,৩০শে আগস্ট সকল রাজনীতি নিষিদ্ধ ,



১৯৭৭-এর ২২ এপ্রিলে ১৯৭২ এর শাসনতন্ত্রের ৩৮ অনচ্ছেদের মূল পরিবর্তন এনে সংবিধানে সন্ত্রাস ,১৯৭৭-এর ৭ই মে তে খুনিদের ক'জনকে পদোন্নতি এবং পুনর্বহাল ,
১৯৭৮-এর ৫ই এপ্রিলে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ১৯৭১-এর ঘাতক দালালদের নাগরিকত্ব দানের জন্য মন্ত্রনালয়কে আদেশ , ৭৭-এর হ্যা না ভোট ,

১৯৭৯-এর ৫ই এপ্রিল ৫ম সংশোধনীকে আইনে প্রণীত করে জেল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দ্বার রুদ্ধ করতে বিষাক্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইন এবং নতুন নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পাকিস্তানের পাসপোর্ট হাতে রাজাকার গোলাম কে দেশে ঢুকিয়ে এবং ইয়াহিয়ার মন্ত্রী গণহত্যার মাস্টার মাইন্ডার ,আব্বাসকে ৭৯তে জামাতের আমীর হতে দিয়ে ,দেশে মৌলবাদ এবং জামাতের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কার্যকলাপকে সাংবিধানীক বৈধতা ,৭৫এর ৩১শে ডিসেম্বর ঘাতক দালাল আইন বাতিল করে ১১ হাজার যুদ্ধ অপরাধীর মুক্তি ,যাদের মধ্যে ৭৫২জন দন্ডপ্রাপ্ত।জেল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার সব তদন্ত বন্ধ করে দিয়ে রাস্ট্রদ্রোহিতা মুলক কর্মকান্ড।ক্ষমতার এত জঘন্য দৃষ্টান্ত আর কার ?১৯৭২এর সংবিধানকে কেটে ছিরে নিজের ইচ্ছে মত সব
কিছুকে জায়েজ করার নগ্ন প্রচেষ্টা।

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

াহো বলেছেন:

@হোসেন মালিক মহান স্বাধীনতার ঘোষক


বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।

সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.


========================

২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971


===========================

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,


যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১




=======================



তাজউদ্দীনের ভাষণ

২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
http://www.amadershomoys.com/content/2014/04/28/middle0174.htm





=========================
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)


(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)

যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল

এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন

এবং

যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়

এবং

যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে

এবং

যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে

এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে

সেহেতু

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি

এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন

এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,

তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।

==================================


নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of
নিউ ইয়র্ক টাইমস

http://select.nytimes.com/gst/abstract.html?res=F50F10F63A55127B93C5AB1788D85F458785F9



LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 197


---------------------================================

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা আমার বইতে স্পষ্ট উল্লিখিত।

[১৪৭-১৪৮, ২৭৪-২৯১, ৩০১-৩১০ পৃষ্ঠা]
শারমিন আহমদ: শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
http://www.prothom-alo.com/opinion/article/341656/===================================================================================

1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

===================

বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ

1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973
বাংলাদেশ পরপর তিন বছর প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় ভোগ করে, এবং 1970 বিপন্ন ঘূর্ণিঝড় ,1971 স্বাধীনতা ,1972 একটি ফসল-অসমর্থকরণ খরা হয়েছে. জানুয়ারী 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973






লন্ডনের টাইমস পত্রিকায় ২৭শে মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর




নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর





-Times of India 27 March 1971
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর






এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971


এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971



একে খন্দকার স্বীকার করছেন তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।

দ্বিতীয় সংস্করণে নিজেই স্বীকার করছেন যে, প্রথম সংস্করণে তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
৩২ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম– এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। আসলে তা হবে ‘এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’।’’

যিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দেবেন তিনি ইতিহাসের ওই সময়টাতে ‘এমএলএ’ ছিল, নাকি এমপিএ ছিল সেটা জানবেন না, তা কী করে হয়? যদি না-ই জানেন, তাহলে তো স্পষ্টত বোঝা যায় তিনি রাজনীতির খবরাদি রাখতেন না, সেই সময়ের সরকারের অনুগত হিসেবে বিমানবাহিনীর চাকরিটিই ঠিকমতো করে গেছেন। তো, যিনি ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণের রাজনীতির গতিধারা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন না, তিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দিতে আসেন কীভাবে? Click This Link




আব্দুল করিম খন্দকার
২৫ মার্চ ১৯৭১, রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে তাদের ঢাকা বেইসের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।
১২ মে ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যু্দ্ধে যোগ দেন। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১।

মুজিবনগর সরকার যে সরকারের প্রধান ছিলেন শেখ মুজিব, তাদের কাছ থেকেই মাসে মাসে মাইনে নিয়েছে জনাব আব্দুল করিম খন্দকার। কেন, কী কারণে আব্দুল করিমের ৪৭ দিন সময় লেগেছিলো পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করতে সে কারণটি অজানাই রয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষে ছোট একটি পদে থেকে মার্চ-এপ্রিল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কী ঘটেছে তা অনুমান করা নিঃসন্দেহে দূরহ কাজ এবং সেখানে সেই পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করা অসম্ভব।




শেখ মুজিবের সঙ্গে জিয়ার তুলনা করতে চাইলে

পড়ে দেখতে পারেন ১৯৭১ সালের সংবাদপত্রগুলো–
কোথাও জিয়ার নাম খুঁজে পাচ্ছি না।

নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইম ম্যাগাজিন, ইউএসএ এবং টাইমস সংবাদপত্র, ইউকেএর ওই সময়কার কপি পেতে পারেন তাদের ওয়েবসাইট থেকে, মাত্র ১ ডলারের বিনিময়ে।





বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা
আমার বইতে স্পষ্ট উল্লিখিত।
[১৪৭-১৪৮, ২৭৪-২৯১, ৩০১-৩১০ পৃষ্ঠা]
শারমিন আহমদ
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা।
http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/21163





বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ে–

১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, নিউ ইয়র্ক টাইমস (২৭ মার্চ, ১৯৭১), টাইমস সংবাদপত্র, ইউকে (২৭ মার্চ, ১৯৭১), টাইম Magazine, USA (৫ এপ্রিল, ১৯৭১), আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট– history.state.gov ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩.০৩ – ৩.৩২ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’এর প্রতিনিধি মি. রিচার্ড হেলমস জানান–

“শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন।’’


১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

াহো বলেছেন:

১৯৭১ দুই অবসরপ্রাপ্ত
১৯৭১ সেনাবাহীনীর প্রধান আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি
প্রধান সেনাপতি ও আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি
আতাউল গনি ওসমানি ও মো. আব্দুর রব ছিলেন তখন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।
১৯৭১ সালে সেনাবাহীনীর প্রধান (মো: আবদুর রব ) আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ থেকে এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল এসেম্বলি বা পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সদস্য) নির্বাচিত হন। ১৯৭১ চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব নেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম এ রব এমএনএ
http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-07/news/214532
http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDNfMTlfMTRfNF80Ml8xXzExNjY2Mw==
http://www.liberationwarbangladesh.org/2015/07/blog-post_22.html



=================================================================================================================================











১৯৭৪ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায়
প্রকাশিত এক লেখায় জিয়া নিজেই লেখেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণই ছিল তার স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা।এখন বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনকের স্বীকৃতি দিতে বিএনপির আপত্তি থাকলেও ওই লেখায় জিয়া নিজেই শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক বলে উল্লেখ করেন।শুধু তাই নয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কীভাবে বিষোদগার করা হত, তাও উঠে এসেছে জিয়ার লেখনীতে।মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে লড়ার আগে থেকে ভারতীয় সৈন্যদের সম্পর্কে উচ্চ ধারণার কথাও লিখেছেন জিয়া।
http://bangla.bdnews24.com/politics/article528531.bdnews

১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে যে কয়টি নাম উজ্জ্বল তার মধ্যে একটি হলো জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। একটি জাতি যখন তার নবযাত্রা শুরু করে তখন একজন পথপ্রদর্শকের খুব প্রয়োজন পরে। জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন এমন একজন পথপ্রদর্শক।
আমরা কেবলই কায়েমী দলীয় স্বার্থে আবদ্ধ থেকে বিরোধ না করে ইতিহাসে প্রত্যোকের স্থানকে যথাযথ ভাবে দিয়ে সামনে এগিয়ে গেলেই কেবল জাতি হিসাবে মাথা উচু করে দাড়াতে পারব।

কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠি তা চাইবে না। তারা চাইবে আমরা দলীয় বৃত্তাবদ্ধ থেকে নিজেরা হানাহানি করে নি:শেষ হয়ে যাই! যাতে তাদের আখেরে লাভ হয়।
আপনার নির্মোহ নিরপেক্ষ মূর্যায়নে শ্রদ্ধা। যেমন বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার রুপকার, তেমনি জিয়াউর রহমান আমাদের পথপ্রদর্শক।

কিন্ত দু:খ খোদ বিএনপি এখন সেই পথে থেকে বুঝি বহু দূর দিয়ে চলছে!!!

++++++++++

১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

ইফতেকার অনিক বলেছেন: জিয়াউর রহমান কে হাজার সালাম ।

১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ফেইসবুক টাইমলাইন-এর স্ট্যাটাসও তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় দেখছি!! গুড। জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রদর্শিত পথ সম্পর্কে তার দল কতোটা সচেতন আছে বলে আপনার মনে হয়, রমিত ?

১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

লাবু২২ বলেছেন: পোস্টটি স্টিকি করা হোক

১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

রেজওয়ান26 বলেছেন:

কেমন ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

৩০ মে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩8 তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রতিবছর দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে।
দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। একজন ঈমানদার মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম থাকা অপরিহার্য। দেশপ্রেম ও সততা শব্দ দুটি একে অন্যের পরিপূরক। যে দেশপ্রেমিক সে অবশ্যই সত্। আবার যে ব্যক্তি সত্ তার মধ্যে অবশ্যই দেশপ্রেম আছে। একজন প্রকৃত নেতার মধ্যে অনেক গুণাবলী থাকা আবশ্যক। তার মধ্যে দেশপ্রেম ও সততা অন্যতম। সততা ও দেশপ্রেমের কারণেই শহীদ জিয়া আমাদের প্রিয় নেতা ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। আমাদের বিশ্বাস, জিয়াউর রহমানের যে কট্টর সমালোচক, সেও জিয়াউর রহমানের সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে কটূক্তি করতে পারবে না। সততা ও দেশপ্রেমের প্রশ্নে আপসহীন এই মহান নেতা দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় অবস্থান করে নিয়েছেন।

মুহাম্মদ মনসুর রহমান ও জাহানারা খাতুনের দ্বিতীয় পুত্র শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে ১৯ জানুয়ারী বগুড়া জেলার বাগাবাড়ী গ্রামে তাঁর পিতামহের বসত বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিশুকাল এবং শৈশবের প্রথম অধ্যায় কেটেছে এই বাগাবাড়ি গ্রামেই।
মানুষের জীবনের সমচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সময় হলো তার শিশুকাল বা ছেলেবেলা। কারন এই সময়টা হলো নিজেকে আবিস্কার করার এবং প্রকৃতির ভেতর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সময়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও এর ব্যতিক্রম নন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকনাম ছিল কমল। কমল অর্থ পদ্ম। পিতা মুহাম্মদ মনসুর রহমান এবং মাতা জাহানারা খাতুনের বড় আদরের সন্তান ছিলেন এই কমল। তাঁরা হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁদের এই সন্তান পদ্মের মতো বিকশিত হয়ে উঠবে আপন গুন, গরিমা ও প্রতিভায়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অসম্ভাবিতভাবে তাঁর পিতা মুহাম্মদ মনসুর রহমান এবং মাতা জাহানারা খাতুনের নিবিড় পরিচর্যায় বড় হয়ে উঠলেও তার সাথে তাঁর পিতামহ মৌলভী কামাল উদ্দিন মন্ডল এবং তাঁর মাতামহী রহিমা খাতুনের প্রত্যক্ষ প্রভাব শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উপর লক্ষ্য করা যায়। আর তাঁর মাতামহ আবুল কাশেম আহম্মেদ এবং তাঁর পিতামহী মিসির উন্নিসা বেগম এবং তাঁর চাচা ডা: মমতাজুর রহমানের পরোক্ষ প্রভাবও তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে দেখা যায়।
ধার্মিক এবং ব্যাক্তিত্ববান পিতামহ মৌলভী কামাল উদ্দিনের সাহচার্যে কাটে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মধুর শিশুকাল। দ্বিতীয়ত তাঁর মাতামহী রহিমা খাতুনের প্রভাব ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কারন তিনি বহু বিরল গুনের অধিকারিনী ছিলেন। তিনি ছিলেন তেহস্বিনী মহিলা, সংগীত চর্চা করতেন। শিক্ষা এবং সাহিত্যের প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ আগ্রহ এবং অনুরাগ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাতা জাহানারা খাতুনের সংগীত গুরু ছিলেন শহীদ জিয়ার মাতামহী।

শহীদ জিয়া গভীর আগ্রহ নিয়ে সারাদিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে বাড়ী ফিরলেও খাওয়া দাওয়ার পর বিছনায় যেয়ে এই সংগীতের প্রতি অনুরক্ত হতে ভুলতেন না। সেই ছোট বেলা থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এই অভ্যাস বিদ্যমান ছিল।
ছোটবেলায় শহীদ জিয়া খুব খেলাধুলা করতেন। ফুটবল, হকি ও ক্রিকেট ছিলো শহীদ জিয়ার প্রিয় খেলা। মাঝেমধ্যে গুলি, ডান্ডাও খেলতেন। আবার কখনো কখনো বৃষ্টিতে ভিজতেন কাঁদা মেখে আনন্দ পেতেন। কখনো কখনো আকাশে ঘুড়ি উড়াতেন। খেলাধুলায় মেতে থাকলেও সন্ধ্যায় রাস্তায় বাতি জ্বলে ওঠার সাথে সাথে বাড়ী ফিরে যেতেন শহীদ জিয়া। এরপর লেখা পড়ায় মনোনিবেশ করতেন তিনি। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে যাওয়া শহীদ জিয়ার ছোট বেলা অভ্যাস ছিল। স্বল্পভাষী হলেও ছেলেবেলায় ও শহীদ জিয়া ছিলেন প্রানবন্ত।
চকলেট তাঁর খুব প্রিয় ছিল ছোট বেলায়। পছন্দ করতেন মিষ্টি ও মুরগির গোশত। বিশেষ করে মুরগির পাখনাকে শহীদ জিয়া শিশু কালে নাম দিয়েছিলেন লাঙল। আর প্রিয় খাবার ছিল ভাজা বাসী ভাত বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় যাকে বলা হয় ‘কড়কড়া’।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বয়স যখন ৪ বৎসর তখন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলে যাতায়াত শুরু করেন। এই সালটি ছিল ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ। কারন শহীদ জিয়ার পিতামহ মৌলভী কামাল উদ্দিন মন্ডল স্কুলে অর্থাৎ যে স্কুলে শহীদ জিয়ার হাতে খঁড়ি সেই বাগাবাড়ি মাইনর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। শহীদ জিয়ার হাতে খড়ি হয় তারই পিতামহের হাতে। বাগাবাড়িতে তিনি ছিলেন ছোট কমলের প্রথম শিক্ষা গুরু।

সেই সূত্রে জিয়াউর রহমানের সৌভাগ্য যে তিনি তার পিতামহের কাছ থেকে জীবনের বিভিন্ন বিষয় ও বস্তুনিষ্ট মূল্যায়ন করতে শিখেছিলেন। এরপর ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর পিতা মুহাম্মদ মনসুর রহমান তাঁর পরিবারকে কোলকাতায় নিয়ে যান। তখন শহীদ জিয়ার বয়স ৬ বছর। তাঁকে ভর্তি করা হয় পার্ক সার্কাসের আমীন আলী এভিনিউতে অবস্থিত শিশু বিদ্যাপীঠে।

এক বছর এই স্কুলে তিনি পড়াশুনা করার পর আবার নিজ গ্রাম বগুড়ার বাগবাড়িতে ফিরে যায় তার পরিবার। বগুড়ার বাগবাড়ী গ্রামে পিতামহের বসত বাড়ীতে শহীদ জিয়ার আর একটি বছর কাটে। আবার বাগবাড়ি মাইনর স্কুলে এক বছররের জন্যে ভর্তি হন শহীদ জিয়া।
এরপর শহীদ জিয়ার পরিবার আবার কলকাতায় ফিরে আসেন। শুরু হয় নতুন উদ্দীপনায় আবার এক নতুন জীবন চলা। সালটি ছিল ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দ। শহীদ জিয়াকে তখন কলকাতায় কলেজ স্ট্রীটের হেয়ার স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করে দেওয়া হয়। সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত শহীদ জিয়া হেয়ার স্কুলেই লেখাপড়া করেন।
১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের পর শহীদ জিয়ার পিতা মো: মনসুর রহমানের সরকারী চাকরী সূত্রে পরিবার পরিজন নিয়ে পাকিস্তানের করাচীতে চলে আসেন। শহীদ জিয়াকে ১৯৪৮ এর ১ জুলাই ভর্তি করে দেয়া হয় করাচী একাডেমী স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে। বর্তমানে সেই স্কুলের নাম তাইয়ের আলী আলভী একাডেমী। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যোগদান করেন পাকিস্তান সামরিক একাডেমীতে একজন অফিসার ক্যাডেট হিসেবে। শুরু হয় তার জীবন সংগ্রামের নতুন অধ্যায়।

জীবনের শুরু থেকেই একটি নৈতিক একটি আদার্শিক কঠিন বাতাবরন চিন্তা ও দর্শনের উপর টিকে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে জীবন শুরু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত— সেই জীবন দর্শন থেকে একটি মুহূর্তের জন্যও বিচ্যুত হননি তিনি।

১৯৫২ সালে তিনি দ্বিতীয় বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন করাচিতে ‘করাচি একাডেমি স্কুল’ (বর্তমানে, তাইয়েব আলী আলভী একাডেমী) থেকে। ম্যাট্রিক পাসের পর তিনি ভর্তি হন করাচির ‘ডি জে কলেজে’। ১৯৫৩ সালে ‘পাকিস্তান সামরিক একাডেমি’তে একজন অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একজন কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে বীরত্ব দেখিয়ে জিয়াউর রহমান পাক সেনাবাহিনীতে প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। এ সময়েই জিয়াউর রহমান বাঙালি সহকর্মীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর তাকে পাকিস্তান সামরিক একাডেমীতে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেখানেও তিনি নবীন সেনা অফিসারদের সঙ্গে ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ বিষয়ে কথা বলেছেন।
এদিকে, ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পূর্ব-পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতা প্রাপ্তির সুযোগ পায় পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। জাতীয় পরিষদের ১৬২ আসনের মধ্যে ১৬০টি ও প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে।
এই বিশাল বিজয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান রাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণের অপেক্ষায় ছিলেন। অন্যদিকে, পাকিস্তান পিপলস্ পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো এ নির্বাচনে অপেক্ষাকৃত কম আসনে জয় পেয়েও ক্ষমতা ভাগাভাগির নানা কৌশল আটতে থাকেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানও এ অপকৌশলে সহায়ক ভূমিকা রাখেন। দীর্ঘ বিলম্বের পর ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। কিন্তু, কোনো কারণ ছাড়াই হঠাত্ ১ মার্চ দুপুরে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তিনি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফুঁসে ওঠে পূর্ব-পাকিস্তানের জনগণ। ১ মার্চ থেকেই রাজপথে নেমে আসেন তারা। ২ মার্চ উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা। শাসকগোষ্ঠীর কারফিউ ভেঙে দিন-রাত চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভে নির্বিচারে গুলিতে নিহত হয় অন্তত তিনজন। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান এদিন এক বিবৃতিতে ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গোটা প্রদেশে হরতালের ডাক দেন।
২ মার্চ থেকে ৫ মার্চ দেশজুড়ে সংঘর্ষ চলে। বহু মানুষ হতাহত হন। ৬ মার্চ দুপুর ১টা ৫ মিনিটে রেডিও পাকিস্তানের জাতীয় অনুষ্ঠানে ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন আহ্বান করেন।

পরের দিন ঐতিহাসিক ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমান কী ভাষণ দেবেন তা শোনার জন্য সারাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। ৭ মার্চ শেখ মুজিব বজ্রকণ্ঠে সাত দফা ঘোষণা করেন। সামরিক আইন ও সেনা বাহিনী প্রত্যাহার, গণহত্যার তদন্ত এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের প্রতিনিধিদের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করা হইলে পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের প্রশ্ন বিবেচনা করা যাইতে পারে, তাহার পূর্বে নয়।’ সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের লেখা ‘বাংলাদেশের তারিখ’ (প্রথম সংস্করণ) নামক গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে—“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘জয়-বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলে ৭ মার্চের ভাষণ শেষ করেন।”
৯ মার্চ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পল্টনের এক জনসভায় শেখ মুজিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অপেক্ষা বাংলার নায়ক হওয়া অনেক গৌরবের।’ (দৈনিক আজাদ, ১০ মার্চ ১৯৭১) ১০ মার্চ একইভাবে তিনি বলেন, ‘আলোচনায় কিছু হবে না। ওদের আসসালামু আলাইকুম জানিয়ে দাও।’

১৩ মার্চ ভৈরবে এক জনসভায় ভাসানী বলেন, ‘পূর্ববাংলা এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং আমরা এখন একটি পূর্ববাংলা সরকারের অপেক্ষায় আছি।’ ১৪ মার্চ জনতার বাঁধভাঙা আন্দোলনের একপর্যায়ে শেখ মুজিবুর রহমান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান ওয়ালী খানের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শাসনতান্ত্রিক সংকট প্রশ্নে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনার জন্য ১৫ মার্চ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবু মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসেন। ১৬ মার্চ প্রথম শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান বৈঠকে বসেন।
১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের দ্বিতীয় দফা সংলাপও সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। ১৮ মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠকের বিরতি ছিল। ১৯ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের মধ্যে তৃতীয় দফা বৈঠক হয়। বৈঠকের পর শেখ মুজিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মঙ্গলের প্রত্যাশী, আবার চরম পরিণতির জন্যও প্রস্তুত।’ ২০ মার্চ বৈঠকের পর আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
২১ মার্চ পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় আসেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পৃথকভাবে শেখ মুজিবুর রহমান ও ভুট্টোর সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে ২২ মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়া-ভুট্টো শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পূর্ব ঘোষিত ২৫ মার্চের জাতীয় পরিষদের সভা স্থগিত করা হয়।

দীর্ঘ আলোচনার পর ২৪ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সমঝোতার আভাস দেন। সংবাদ সম্মেলনে শেখ মুজিব বলেন, ‘ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আমরা মতৈক্যে পৌঁছেছি। আমি আশা করি, প্রেসিডেন্ট এখন তা ঘোষণা করবেন।’

২৫ মার্চ দিনব্যাপী ঢাকা শহরে চলে প্রতিবাদ মিছিল, রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি এবং বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ চলে সংগ্রামী মানুষের সঙ্গে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। এ দিন রাত ১১টার পর থেকে অপারেশন সার্চ লাইট শুরু করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। পাকবাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা, ইপিআর সদর দফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো ঢাকা মহানগরীতে হত্যাযজ্ঞ চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে একটি ট্যাংক, একটি সাঁজোয়া গাড়ি এবং কয়েকটি ট্রাক বোঝাই সৈন্য শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির ওপর দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে রাস্তা ধরে এগিয়ে আসে এবং তাকে সহ ৪ জন চাকর এবং একজন দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগেই শেখ মুজিবুর রহমান গণহত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে ২৭ মার্চ সারাদেশে হরতাল আহ্বান করেন। পরের দিন শেখ মুজিবের গ্রেফতার ও হরতালের খবর প্রায় সব পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

এদিকে রাত আনুমানিক ২টা ১৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম থেকে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন মেজর জিয়াউর রহমান। এর আগে দিনে চট্টগ্রাম শহরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। অস্ত্র বোঝাই জাহাজ সোয়াতের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা হয় প্রবল প্রতিরোধ। অস্ত্র খালাস করে যাতে পশ্চিমা সৈন্যদের হাতে না পৌঁছতে পারে সে জন্য রাস্তায় রাস্তায় তৈরি করা হয় ব্যারিকেড। এই ব্যারিকেড সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজে লাগানো হয় বাঙালি সৈন্যদের। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই ব্যারিকেড সরানোর কাজ। রাত ১১টায় চট্টগ্রামস্থ অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট’র কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আবদুর রশীদ জানজুয়া আকস্মিকভাবে সেকেন্ড ইন কমান্ড মেজর জিয়াউর রহমানের কাছে নির্দেশ পাঠান এক কোম্পানি সৈন্য নিয়ে বন্দরে যাওয়ার জন্য।

রাত প্রায় সাড়ে ১১টায় জানজুয়া নিজে এসে মেজর জিয়াকে নৌ-বাহিনীর একটি ট্রাকে তুলে ষোলশহর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বন্দরের দিকে রওনা করিয়ে দেন। সঙ্গে একজন নৌ বাহিনীর অফিসারকে (পশ্চিম পাকিস্তানি) গার্ড হিসেবে দেয়া হয়। রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড সরিয়ে যেতে তাঁর দেরি হয়। আগ্রাবাদে একটা বড় ব্যারিকেডের সামনে বাধা পেয়ে তাঁর ট্রাক থেমে যায়, তখনই পেছন থেকে একটি ডজ গাড়িতে ছুটে আসেন ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান। গাড়ি থেকে নেমেই তিনি দৌড়ে যান মেজর জিয়াউর রহমানের কাছে। হাত ধরে তাকে রাস্তার ধারে নিয়ে যান। জানান, ক্যাপ্টেন অলি আহমদের কাছ থেকে বার্তা নিয়ে এসেছেন। পশ্চিমারা গোলাগুলি শুরু করেছে। শহরে বহু লোক হতাহত হয়েছে। এতে চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন মেজর জিয়াউর রহমান। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দৃঢ়কণ্ঠে তিনি বলে ওঠেন— ‘উই রিভোল্ট।’ সঙ্গে সঙ্গে তিনি খালেকুজ্জামানকে ষোলশহরে ফিরে গিয়ে ব্যাটালিয়নকে তৈরি করার জন্য কর্নেল অলি আহমদকে নির্দেশ দিতে বলেন। আর সেই সঙ্গে নির্দেশ পাঠান ব্যাটেলিয়নের সমস্ত পশ্চিমা অফিসারকে গ্রেফতারের। এই রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল জানজুয়াসহ সব পশ্চিমা অফিসারকে গ্রেফতার করা হলো।

এরপর অন্যান্য ব্যাটেলিয়নের বাঙালি সেনা কর্মকর্তাদের ফোন করলেন, কিন্তু অনেককেই পেলেন না। এ পর্যায়ে তিনি বেসামরিক বিভাগে টেলিফোন অপারেটরকে ফোন করে ডিসি, এসপি, কমিশনার, ডিআইজি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের জানাতে অনুরোধ করেন যে, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অষ্টম ব্যাটালিয়ন বিদ্রোহ করেছে। টেলিফোন অপারেটর মেজর জিয়ার এ অনুরোধ সানন্দে গ্রহণ করেন।

এ পরিস্থিতিতে মেজর জিয়া অষ্টম ব্যাটেলিয়নের অফিসার, জেসিও জোয়ানদের জড়ো করলেন। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে তখন রাত আনুমানিক ২টা ১৫ মিনিট। তিনি ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। ঘোষণায় বললেন, “আমি মেজর জিয়াউর রহমান প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট ও লিবারেশন আর্মি চিফ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অবতীর্ণ হলাম। আপনারা যে যা পারেন, সামর্থ্য অনুযায়ী অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। আমাদেরকে লড়াই করতে হবে এবং পাকিস্তানি বাহিনীকে দেশ ছাড়া করতে হবে।”
মেজর জিয়া ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে যান। বেতার কর্মীরা মেজর জিয়াউর রহমানকে পেয়ে উত্ফুল্ল হয়ে ওঠেন। কিন্তু কি বলবেন তিনি? একটি করে বিবৃতি লেখেন আবার তা ছিঁড়ে ফেলেন। এদিকে বেতার কর্মীরা বারবার ঘোষণা করছিলেন যে, আর পনের মিনিটের মধ্যে মেজর জিয়াউর রহমান ভাষণ দেবেন। প্রায় দেড় ঘণ্টায় তিনি তৈরি করেন তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষণাটি। সেটা তিনি বাংলা এবং ইংরেজিতে পাঠ করেন। এই ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ দিল্লির ‘দি স্টেটস্ম্যান’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

আমাদের দেশে বহুল প্রচারিত একটি বিতর্ক আছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা কে করেছেন ? দেশে বড় দুটি দল , একটি বিএনপি অপরটি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগ । তাদের প্রত্যেকের দাবি তাদের নেতার পক্ষে । এমন একটি বিষয় যা স্বাধীনতার বিশেষ একটি মান মর্যাদার সাথে জড়িত, এমন একটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক করা কখনই উচিত নয় । কিন্তু আমাদের দেশে অনুচিত অনেক কিছু ঘটে যা বিশ্বে আর কোন দেশে ঘটে না । যেমন, স্বাধীনতার মহান নেতাকে গালি দেয়া , দেশ নিয়ে বিতর্ক করা , ইত্যাদি .।এর সাথে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে এই বিতর্ক কোন নূতন ঘটনা নয় । তবে আমাদের এই বিতর্কের ফলে জাতি দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে । এই পিছিয়ে পড়া জাতি কি করে মাথা তুলে দাঁড়াবে যদি কোন একতা না থাকে ?
জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এনিয়ে কোনো বিতর্কের কোন সুযোগ নেই।জিয়াউর রহমান সেদিন সাত কোটি বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের স্বাধীণতার ঘোষনা তৎক্ষালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দেওয়ার কথা থাকলেও তা দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন। এ জন্য ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান এই ঘোষনা দিয়ে জাতিকে মুক্তি সংগ্রামের দিকে দাবিত করেছিলেন। এই ঘোষনা কারো প্রেরিত বার্তা ছিলোনা বরং জিয়াউর রহমানের নিজের লিখা বার্তা ছিলো।

জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন এবং জেড ফোর্সের প্রধান হিসেবে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ থেকে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় মহান বিজয়। বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান ব্যারাকে ফিরে যান এবং সেনাবাহিনীর নিয়মিত চাকরিতে যোগ দেন। তাঁর ডাকে দেশের সর্বস্তরের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যদি যুদ্ধে জয়লাভ করত তাহলে জিয়াউর রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলতে হতো।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতারের পরমুহুর্তে মেজর জিয়ার দুঃসাহসিক আত্মপ্রকাশ। মেজর জিয়াই মরহুম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করে শেখ মুজিবকে ইতিহাসের মহানায়ক হওয়ার ক্ষেত্র টেকসই করে সম্প্রসারিত করেছেন। আজকাল স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক নিরর্থক এবং নিতান্তই কূট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার মাত্র। মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা আছে বিশ্বজুড়ে।

ততকালীন মেজর জিয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ ত্যাগ করে একাত্তরের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজ কানে শুনেছেন জিয়ার কন্ঠে ঘোষিত স্বাধীনতার বাণী। শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নয় বর্হিবিশ্বের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কেও জিয়াউর রহমানের দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা ধরা পড়ে। আর সেভাবেই সন্নিবেশিত হয় তাদের নথিতে। অবমুক্তকৃত সিআই এর গোপন দলিলে সেই সত্যটিই প্রকাশ পেয়েছে মাত্র। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, ভারতের প্রেসিডেন্ট মোরারজী দেশাইও জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক বলে উল্লেখ করেছেন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে এবং বিভিন্ন সময় উচ্চারিত হয়েছে এ প্রসঙ্গটি। জিয়াউর রহমান একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা লগ্নে চট্টগ্রামের কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ নিজ দায়িত্বে এবং ২৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার কথা ১৯৮২ সালে নভেম্বর মাসে প্রথম প্রকাশিত স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রের ১৫ খন্ডে উল্লেখ রয়েছে। জিয়ার কণ্ঠে স্বাধীনতার অমোঘ ঘোষণা সিআইএর মত লন্ডনের সাপ্তাহিক গার্ডিয়ান সহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও সংবাদ মাধ্যম লিপিবদ্ধ করে রেখেছে।জিয়ার তেজোদীপ্ত কন্ঠের ঘোষণা শুনেছেন এমন লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনো বাংলাদেশের মুক্ত বাতাসে নি:শ্বাস ফেলছেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেনানায়ক ও আওয়ামী লীগ নেতা জেনারেল কেএম শফিউল্লাহ, মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, সৈয়দ আলী আহসান, ব্যারিষ্টার আমিরুল ইসলাম, আনিসুজ্জামান, রাও ফরমান আলী, মেজর জেনারেল সুখবন্ত সিং, মেজর জেনারেল লছমন সিং, লে. জেনারেল মতিন, জেনারেল সুবিদ আলী ভূঁইয়াসহ অনেকেই তাদের নিজগৃহে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জিয়ার কন্ঠে স্বাধীনতা ঘোষণা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন। জিয়া একাত্তরের ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গররত অবস্থায় একটি জাপানী জাহাজ থেকে অষ্ট্রেলিয়া রেডিওতে জিয়ার ঘোষণার বার্তাটি পাঠানো হয়। অস্ট্রেলিয়া রেডিও জিয়ার ঘোষণাটি প্রথম প্রচার করে। এরপর বিবিসি’তে প্রচারিত হওয়ার পর তা পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।

জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার প্রমাণ মিলে ভারতের ততকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বক্তব্যেও। ১৯৭১ সালের ৬ নভেম্বর নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারে বক্তৃতায় এক জায়গায় ইন্দিরা গান্ধী বলেন, শেখ মুজিব এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। তিনি চাচ্ছেন সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান, যার সুযোগ এখনো আছে। ‘ইন্ডিয়া সিকস’ (ওহফরধ ঝববশং) নামক বইতে ইন্দিরা গান্ধীর এ বক্তব্যটি সংকলিত হয়েছে।১৯৭৮ সালে ভারত সফরকালে দিল্লিতে জিয়াউর রহমানের সম্মানে আয়োজিত ভোজ সভায় ভারতের ততকালীন প্রেসিডেন্ট নীলম সঞ্জীব রেড্ডি জিয়াকে বলেন, সর্বপ্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা করে আপনি বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। প্রয়াত ঔপন্যাসিক হুমায়ুন আহমেদ তার “জোসনা ও জননীর গল্প” উপন্যাসের (১৮২-১৮৩) পাতায় জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে লিখেছেন।এরকম অনেক উদাহরণ ও প্রমাণ রয়েছে দেশে বিদেশে বইপুস্তকে-দলিল দস্তাবেজে, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিদের উক্তিতে। একাত্তরে ২৬ মার্চ শেখ মুজিব গ্রেফতার হন পাকবাহিনীর হাতে। এমতাবস্থায় তার পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার মতো সুযোগ ও সময় কোনটাই ছিলো না। সেদিন শেখ মুজিবের কন্ঠের স্বাধীনতা ঘোষণার কথা কেউ শুনেননি। তাতে কিবা আসে যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তিতে শেখ মুজিবের ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়। স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে না পারার কারণে তার মর্যাদা বিন্দুমাত্র ম্লান হওয়ার কোন অবকাশ নেই।

অথচ এমন একটি স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত সত্যকে মিথ্যে প্রমাণিত করার যারপরনাই চেষ্টা চলছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে । দেশের আপামর জনসাধারণের আস্থা ও বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করে কোর্ট-কাচারী, মামলা-মোকদ্দমা এমনকি রাষ্ট্রীয় সংবিধান পাল্টিয়ে জিয়াউর রহমানকে তার প্রাপ্য মূল্যায়ন ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টায় রত বর্তমান সরকার। বিকৃত করা হচ্ছে ইতিহাস। প্রতিহিংসার করাত চালিয়ে জাতিকে চিড়ে ফেলার চেষ্টা কখনো শুভ হতে পারে না। ইতিহাসে যার যেখানে স্থান সেখানে অবশ্যই তাকে সমাসীন করতে হবে। কাউকে অবমূল্যায়ন, অবমাননা করে কিংবা একজনের জায়গায় অন্যকে প্রতিস্থাপিত করে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। অসুস্থ রাজনীতির বহমান এ ধারা দেশ ও জাতিকে কোথায় নিয়ে ঠেকাবে সে আশংকাই আজ বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এ বিভেদ বিভ্রান্তি ও প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে তাদের নিজ নিজ মর্যাদার আসনে বসাতে হবে।

জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সিপাহশালার। তিনি ছিলেন, এগার হাজার প্রতিরোধকারী সেনার কমান্ডার। সেটাই ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ জাতির উদ্দেশে একটি বক্তব্য দেন, যেটি প্রচারিত হয় ১১ এপ্রিল ১৯৭১ স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে। সেখানে তাজউদ্দীন আহমদ বলেন First announced through Major Ziaur Rahman, to set up a full Fledged operational base from which it is administering the liberated areas. (Bangladesh Documents, Vol-I, Indian Government, page 284).

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ (মরহুম) অলি আহাদ তার "জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৭-৭৫" বইয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে লেখেন, "...আমি জনাব আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সহিত নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করিতাম তাহার বাসায় রাত্রিযাপন করিতে গিয়ে তাহারই রেডিও সেটে ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র হইতে মেজর জিয়াউর রহমানের কণ্ঠস্বরে স্বাধীন বাংলার ডাক ধ্বনিত হইয়াছিল। এই ডাকের মধ্যে সেই দিশেহারা, হতভম্ব, সম্বিতহারা ও মুক্তিপ্রাণ বাঙালি জনতা শুনিতে পায় এক অভয়বাণী, আত্মমর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে ঝাঁপাইয়া পড়িবার আহ্বান, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের লড়াইয়ের সংবাদ।"
ভারতে সরকারী ওয়েব সাইটে বলা আছে “While the where abouts of Mujib remained unknown, Major Ziaur Rahman announced the formation of the provisional government of Bangladesh over radio Chittagong. আর মার্কিন ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতি On march 27 the clandestine radio announced the formation of a revolutionary army and provisional government under the leadership of Major Ziaur Rahman”.

মুক্তিযুদ্ধের ৫ নাম্বার সেক্টরের কমান্ডার মেজর মীর শওকত আলী (বীর-উত্তম) লিখেছেন, " অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডার জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ ঘোষণা করলে এবং পরে স্বাধীনতাযুদ্ধের ডাক দিলে আমি সানন্দে যুদ্ধে যোগদান করি। "

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর রফিক-উল ইসলাম (বীর-উত্তম) তার A tale of Millions বইয়ের ১০৫-১০৬ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, "২৭ মার্চের বিকেলে তিনি (মেজর জিয়া) আসেন মদনাঘাটে এবং স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।"

একজন পাকিস্তানী সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন’ বলে সম্প্রতি দালিলিক সত্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। সংস্থাটির ওয়াশিংটনস্থ সদর দফতর সম্প্রতি বাংলাদেশ বিষয়ক গোপন দলিল অবমুক্ত করলে এ বিষয়ে গত ৯ডিসেম্বর ঢাকায় প্রথম আলো পত্রিকায় সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান এর লেখা একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে গত ৮ ডিসেম্বর প্রেরিত নিবন্ধে মিজানুর রহমান খান সিআইএর গোপন দলিলের বরাত দিয়ে লিখেন- ‘সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হলেও জিয়া ছিলেন ক্যারিশমেটিক নেতা । প্রায় ছয় বছরের নেতৃত্বে এক আশাবিহীন দরিদ্র ও বিশৃংখল অবস্থা থেকে তিনি বাংলাদেশকে সমস্যা মোকাবিলা করার উপযোগী করে তুলেছিলেন।’ ১৯৮২ সালের নভেম্বরে প্রস্তুত সিআইএ’র বাংলাদেশ বিষয়ক হ্যান্ডবুকে দেশের প্রথম দশকের রাজনীতি মূল্যায়ন করে বলা হয়, জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ড বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে। পর্যাপ্ত সামরিক নেতৃত্বের ঘাটতির সুযোগে সামরিক বাহিনী একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। সিআইএর গোপন দলিলে জিয়াউর রহমানের প্রশংসার পাশাপাশি বলেছে ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাজনীতিকরণকে তিনি আরো বিস্তৃত করেছিলেন।’

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, যিনি সামরিক বাহিনীর উর্দি ছেড়ে নিজেকে বেসামরিক ব্যক্তিতে পরিণত করেছেন। এর আগেও তিনি আরেকবার উর্দি ছেড়েছিলেন, সেটা ২৬ মার্চ উই রিভোল্ট বলার মাধ্যম।

জিয়া সৈনিক ছিলেন আজীবন, যে অর্থে একজন সৈনিক সব সময় যিনি যুদ্ধে থাকেন, থাকেন যুদ্ধক্ষেত্রে। সেই যুদ্ধ পাকিস্তানের দুঃশাসন থেকে অবরুদ্ধ বাংলাদেশকে মুক্ত হাওয়ায় শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশ বুক ভরে শ্বাস নেয়, তারা জানালা খুলে দেয়। বাংলাদেশকে অস্পষ্ট মেরুদ- থেকে একটা শক্ত মেরুদন্ডের ওপর দাঁড় করান তিনি। জিয়া অস্বাভাবিক রাষ্ট্র পাকিস্তান কে যুদ্ধের ময়দানে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের সৃষ্টি করেন। আবার সেই বাংলাদেশে যখন একদলীয় বাকশাল আর রাহুর গ্রাসের মধ্যে পড়ে তখন তাকে মুক্ত করেন।

তিনি ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতীক। ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা মনসুর রহমান একজন রসায়নবিদ হিসেবে কলকাতাতে সরকারী চাকুরী করতেন। মাতা-পিতা তখন আদর করে নাম রাখেন কমল। দেশ, মাটি ও মানুষের জন্যে আমৃত্যু নিবেদিতপ্রাণ এই ব্যক্তিত্বের পরিচিতি সর্বজনবিদিত। দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, অসাধারণ দেশপ্রেমিক, অসম সাহসী ও সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের প্রতীক হিসেবে জিয়াউর রহমান ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

তার শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতাতে কেটেছে। দেশবিভাগের পর (১৯৪৭) তার বাবা করাচি চলে যান। তখন জিয়াউর রহমান কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করেন এবং করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি ঐ স্কুল থেকে তার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন এবং তারপর করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি কেকুলে পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমীতে শিক্ষানবিস অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেনেন্ট হিসেবে কমিশন প্রাপ্ত হন। তিনি সেখানে দুই বছর চাকুরি করেণ, তারপর ১৯৫৭ সালে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হয়ে আসেন।

-Link Here

১৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

জ্যামিতিক লাভ বলেছেন: তত্ব বহুল পোস্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩

তানজির খান বলেছেন: Zia is the most controversial leader in the history of Bangladesh. The father of conspiracy.

১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

বেঙ্গল রিপন বলেছেন: কাম সারছে!!! এইহানে দেহি আওয়ামিলীগ আর বিএনপির কিলাকিলি শুরু হইয়া গেছে।
ও ভাইজানেরা থামেন। এই অভাগা বাংলা আমজনতার...

২০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৯

সরলহীন বলেছেন: এমন নেতা চাই,
যে ..................এর মত কথার রাজা নয়,
জিয়ার মত কাজের রাজা হবে ।

আমরা জিয়াকে মিছ করি ..................

২১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

সায়ান তানভি বলেছেন: দারুন পোস্টের জন্য। জিয়া বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শাসক।

২২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৪

ম.র.নি বলেছেন: শহীদ জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: প্রেসিডেন্ট জিয়া একজন ক্যারিশম্যাটিক ব্যাক্তিত্তের অধিকারী ছিলেন। তাঁর সততা, দেশপ্রেম ছিল প্রশ্নাতীত। স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি দেশের মানুষের কাছে নিজের এমন এক অবস্থান তৈরি করে গিয়েছেন যে এর সুফল বিএনপি এখনও ভোগ করছে। জিয়াকে বাদ দিলে বিএনপির অস্তিত্ব শূণ্যের কোঠায়। বিপরীত দিকে আওয়ামী লীগ দলটির নামের সাথে বঙ্গবন্ধু, ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী, তাজউদ্দীন আহমদ, আতাউর রহমান খান, শওকত আলী, মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ এর মত মহান রাজনীতিবিদদের নাম জড়িত। তাঁদের সম্মিলিত প্রচেস্টার ফলে আওয়ামী লীগ জনগণের দলে পরিণত হয়েছে। আর বিএনপি তে এককভাবে জিয়াউর রহমানই এর প্রাণপুরুষ। দেশগঠনে তাঁর অসাধারণ ভূমিকা ও ক্লিন ইমেজের কারণেই মানুষ এখনও বিএনপি কে ভালবাসে।

যাইহোক, আমার মতে [হয়ত অনেকেই দ্বিমত পোষণ করবেন] জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ শাসকের মর্যাদা পাবার যোগ্যতম দাবীদার। জিয়াউর রহমান তার ব্যক্তিগত চারিত্রিক দৃঢ়তা ও দেশপ্রেমের জন্য জনগণের সমর্থন পেয়েছেন। জিয়াউর রহমান যদি আরো কিছু দিন থাকতেন, তাহলে দেশের চেহারা পরিবর্তিত হয়ে যেত, সে বিশ্বাস অনেকেই করেন।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের জন্মবার্ষিকীতে উনার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

আপনি একটা মহৎ কাজ করেছেন। এ জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২১

আমি মিন্টু বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল প্রিয় নেতার সম্পর্কে । :)

২৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বন্দুকের গুলি মিস হইতে পারে তয় দৈনিক কপি পেস্টের মন্তব্য মিছ হইবো না। শুনেছি ফেসবুকে অটো লাইক চালু করা যায়; সামু ব্লগে অটো মন্তব্য চালুর কোন অপশন আছে কি না কারো জানা থাকলে জানাইয়েন।

দেশের ব্যাংক গুলো তো শেষ; ভাবতাছি দেশের মাঠ-ঘাটে ঘাঁস সংকট না দেখা দেয় হাম্বা গুলার জন্য খাদ্যের যোগ দিতে গিয়া =p~


ছবি: ব্যাংক লুটের একাল (আজকের দৈনিক প্রথম আলোর সংবাদের স্ক্রিনশট)



ছবি: ব্যাংক লুটের সেকাল

২৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


জিয়াউর রহমান এমন পথে নিয়ে গেছে যে, রমিতেরা পিএইডি করে, ঘরে ১০ বছরের ২ জন চাকরাণী ড: রমিতের ব্উয়ের কাপড় ধোয় ও রান্না করে; আর ড: রমিত বড় বড় কথা বলে।

২৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার তথ্য বহুল পোস্ট ।
লিখককে ধন্যবাদ ।

২৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: সত্যি বলতে কি, এমন একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর একটা দেশের অর্থনীতি বলতে আর তেমন কিছুই থাকেনা সেখানে একজন রাস্ট্র প্রধান হিসেবে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নেয়া বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ। জিয়াউর রহমান সম্পর্কিত তথ্য গুলো আসলে এভেইলেবল নয়। তথ্যবহুল পোস্টের ভাললাগা জানিয়ে গেলাম রমিত ভাই।

২৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০১

বিপরীত বাক বলেছেন: বাপ তো ঠিক ই ছিল।
কিন্তুক পুতের একি দশা।
পুতের কান্ডকারখানা দেখলে তো বাপের চৌদ্দগুষ্টি র নামনিশানা মুছতে সময় লাগে না।

আমার মনে হয়, এই সময়ে আল্লাহতালা যদি জিয়া কে বলতো যে তোমাকে দুনিয়াতে আর একটা কাজ করার জন্যে যেতে দিবো। তারপর তুমি ফিরে আসবা। শুধু যে কোন একটা কাজ।

তাহলে জিয়া এসেই ওই ঘটি খালেদা আর ঘটির পুত ঘইট্যা হাওয়া বেজন্মা তারেইক্যা চুরা কে গুলি করে মেরে রেখে যেতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.