নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞানীর লেখা কবিতা – ৩: শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপংকর-এর কবিতা

১৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩



বিজ্ঞানীর লেখা কবিতা – ৩: শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপংকর-এর কবিতা

'বিজ্ঞানী' শব্দটি উচ্চারণ করলেই সবার চোখে ভেসে ওঠে গবেষণাগারে দাঁড়ানো সাদা এ্যাপ্রোন পড়া এক নিরাবেগ মানুষ। যার মাথায় গণিত আর অবোধ্য-জটিল কিছু ফর্মুলা ছাড়া আর কিছুই ঘোরাঘুরি না। কিন্তু এই পৃথিবীতে অনেক বিজ্ঞানীই ছিলেন অত্যন্ত আবেগময় মানুষ; যেমন ওমার খৈয়াম ছিলেন একাধারে কবি ও বিজ্ঞানী, উনার রচিত রুবাইয়াৎ আজ কয়েক শতাব্দী পরেও কাব্যপ্রেমীদের উদ্বেলিত করে। আলবার্ট আইনস্টাইন চমৎকার বেহালা বাজাতেন। রিচার্ড ফেইনমান বাজাতেন ড্রাম। মিখাইল লোমোনোসোভ ও এরভিন শ্রোডিঙ্গের (Erwin Schrödinger) দুজনই চমৎকার কবিতা লিখতেন। গত পর্বে এমন একজন আবেগপূর্ণ কবিমনা বিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল-এর লেখা Wiill You Come Along With Me?. কবিতাটির অনুবাদ প্রকাশ করেছিলাম। দ্বিতীয় পর্বে প্রকাশ করেছিলাম খ্যাতিমান চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইবনে সিনা-র লেখা কয়েকটি কবিতার অনুবাদ। এই পর্বে উপস্থাপন করবো বাংলাদেশের কৃতি সন্তান স্বনামধন্য শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপংকর রচিত কবিতা।

স্বভাবতঃই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপংকর তো একজন দার্শনিক ও ধর্মীয় গুরু হিসাবেই বেশী পরিচিত, তিনি কি একজন বিজ্ঞানী ছিলেন? উত্তরে বলবো হ্যাঁ ছিলেন। তিব্বতের থোল নামক একটি জায়গায় প্রবল বন্যায় স্থানীয় জনগণ খুব কষ্ট করতো। নানা জ্ঞানে পন্ডিত অতীশ দীপংকর তাঁর প্রকৌশল (Engineering) জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সেখানে একটি বাঁধ নির্মান করে বন্যা প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা করেন। খাল খনন করে কৃষিতে সেচের ব্যবস্থা করেন, এবং এর ফলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। তিনি জনস্বার্থে চিকিৎসা শাস্ত্রের উপরও কিছু গ্রন্থ (treatises) রচনা করেন। এভাবে তিব্বতের সমাজে এক নবযুগের সূচনা হয়। অর্থাৎ এই বাঙালী পলিম্যাথ অনেক কিছুর মধ্যে প্রকৌশলী ও চিকিৎসাবিজ্ঞানীও ছিলেন।

দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান দুই শতাধিক গ্রন্থ রচনা, অনুবাদ ও সম্পাদনা করেন। তিব্বতের ধর্ম, রাজনীতি, জীবনী, স্তোত্রনামাসহ তাঞ্জুর নামে বিশাল এক শাস্ত্রগ্রন্থ সংকলন করেন। বৌদ্ধ শাস্ত্র, চিকিৎসা বিদ্যা এবং কারিগরি বিদ্যা বিষয়ে তিব্বতী ভাষায় অনেক গ্রন্থ রচনা করেন বলে তিব্বতীরা তাকে অতীশ অর্থাৎ মহাপন্ডিত (great scholar) উপাধীতে ভূষিত করে।

শ্রীজ্ঞান অতীশ গীত ও পদের মাধ্যমে ধর্ম প্রচার করে তিব্বতের মানুষদের হৃদয় জয় করে নেন। অতীশ রচিত পদাবলী 'বজ্রাসনা বজ্রগীতি ( 'Vajrasana Vajragiti' ), 'চর্যাগীতি ( 'Charyagiti' ) ' এবং বজ্রযোগিনী স্তোত্র ( 'Vajrayogini Stotra' ) তিনি উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর প্রিয় জন্মভূমি বাংলার স্মৃতির প্রতি। আধ্যাত্মিক এই গীতিগুলি ছিলো নির্মল বাংলা ভাষায় রচিত। তবে বাংলা রূপগুলো হারিয়ে গিয়েছে শুধু এগুলির তিব্বতী অনুবাদগুলো টিকে আছে তানজুর ( Tanjur ) নামক গ্রন্থে।

রত্নের জয়মাল্য বোধিসত্ত্ব
মূল: অতীশ দিপংকর
ইংরেজী থেকে অনুবাদ: রমিত আজাদ

বাংলা ভাষায় বলি: বোধিসত্ত্বমান্যবলী
তিব্বতী ভাষায় বলি: চাংচুব সেমপে নরবু ত্রেংওয়া
ইংরেজী ভাষায় বলি: দ্যা বোধিসত্ত্ব'স গারল্যান্ড অব জুয়েলস

মহান পরদুঃখকাতরতার প্রতি শ্রদ্ধা!
যা অনুপ্রাণিত করে ভক্তি এবং বিশ্বাস-এ সেই দেবত্বের প্রতি শ্রদ্ধা!
গুরুদের প্রতি শ্রদ্ধা!

সন্দেহ ও সংশয়-এর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করুন,
এবং হৃদয় দিয়ে সর্বান্ত:করণে অনুশীলনকে গ্রহন করুন,
ঝেড়ে ফেলুন সকল আলস্য, নিশ্চেষ্টতা ও নিষ্প্রভতা-কে,
এবং উদ্যম ও আনন্দের সাথে সংগ্রাম করুন।

মনোযোগী, সজাগ ও সতর্ক থাকুন,
প্রতি মুহূর্তে আপনার ইন্দ্রিয়ের প্রবেশপথ পাহারা দিন।
দিনে তিনবার, রাতে তিনবার,
বারবার, আপনার চিন্তাধারা পরীক্ষা করুন।

আপনার নিজের দোষত্রুটি সংশোধন করুন,
অন্যদের দোষত্রুটি খোঁজার প্রয়োজন না করুন।
অন্যদের ভালো দিকগুলোকে জানুন,
কিন্তু নিজের গুণাবলী নিয়ে বড়াই না করুন।

লাভ ও সম্মানের ক্ষুধা পরিত্যাগ করুন,
মুনাফা ও খ্যাতির ক্ষুধা পরিত্যাগ করুন।

প্রেম ও পরদুঃখকাতরতার চর্চা করুন।
এবং আপনার বোধিসত্ত্ব স্থিতিশীল করুন।
দশ ক্ষতিকর ক্রিয়া এড়িয়ে চলুন,
এবং আপনার বিশ্বাস ও আস্থায় দৃঢ়তা আনুন।

অল্প চাওয়া ও স্বল্প পাওয়ায় সন্তুষ্ট থাকুন,
আর কৃতজ্ঞতার সাথে যে কোনো প্রাপ্ত উদারতার প্রতিদান দিন।

এই মতো অনুশীলনে, আপনি
মেধা ও প্রজ্ঞার সঞ্চয়নে পূর্ণতা পাবেন,
আর তমসাচ্ছন্নতার দুই রূপকে আলোকিত করবেন।
এই মানব জীবনকে অর্থবহ করতে পারবেন,
এবং এক সময়ে বিশুদ্ধ জাগরণ লাভ করবেন।


The Bodhisattva’s Garland of Jewels
by Atiśa Dīpaṃkara

In the language of India: Bodhisattvamaṇyāvalī
In the language of Tibet: changchub sempé norbü trengwa
In the English language: The Bodhisattva’s Garland of Jewels
Homage to great compassion!
Homage to the deities who inspire faith and devotion!
Homage to the masters!
Be done with doubt and indecision,
And embrace your practice with all your heart.
Shake off lethargy, dullness and laziness,
And strive always with enthusiasm and joy.
Mindful, vigilant and careful,
Guard the doorways of your senses at every moment.
Three times each day, three times at night,
Again and again, examine your thoughts.
Make plain your own failings,
But don’t look for faults in others.
Make known the good points of others,
But keep quiet about your own best qualities.
Let go of craving for gain and honour,
And give up the urge for profit or fame.
Cultivate love and compassion,
And make your bodhicitta stable.
Avoid the ten unwholesome actions,
And make your faith and confidence be strong.
With few wants, be content with what you have,
And with gratitude repay any kindness you receive.
Overcome anger and arrogance,
And let humility rule your mind.
Give up any unwholesome kind of living,
And pursue a livelihood in keeping with the Dharma.
Do away with your addiction to material things,
And adorn yourself with the riches of the Āryas.
The wealth of faith, of discipline,
Generosity and learning,
Decency, self-control,
And wisdom—such are the seven riches.
These most sacred forms of wealth
Are seven treasures that never run out.
Do not speak of this to those who are not human.
Leave all busyness and distraction behind,
And dwell instead in seclusion and solitude.
Refrain from meaningless chatter,
And always keep a check on what you say.
Whenever you see your master or preceptor,
Offer to serve them with devotion and respect.
Those who possess enlightened vision
And those first setting out upon the path—
Regard them both as your spiritual teachers.
Whenever you see any sentient beings,
Regard them as your parents or your children.
Don’t befriend those who act in harmful ways;
Instead rely on true spiritual friends.
Drop any feelings of hostility or ill will,
And be happy, wherever you choose to go.
Avoid getting attached to anything at all,
And stay free from craving and desire.
Attachment not only keeps you from happy births,
It kills the very life of liberation.
Should you find a way to peace and happiness,
Strive constantly to put it into practice.
Whatever task you set out to do,
Accomplish that very thing first.
This way, everything will turn out well;
If not, nothing will succeed.
Never take pleasure in acts that harm.
And when thoughts of superiority creep in,
There and then, deflate your self-importance,
And recall your master’s personal advice.
Or whenever you feel discouraged or inadequate,
Raise your spirits and encourage yourself.
And always meditate on emptiness.
Should the objects of attachment or aversion appear,
View them as no more than illusions or projections.
Should you hear unpleasant words,
Consider them nothing more than echoes.
Should you suffer physical harm,
See it as the result of your past actions.
Keep entirely to solitude, far away from town,
And, like the carcass of some wild animal,
Stay hidden in nature by yourself,
Free of all entanglement and attachment.
Always keep up your pledges and commitments,
And should laziness or procrastination strike,
Immediately take note of your errors, one by one,
And remind yourself of the heart of your discipline.
Whenever you meet another person,
Speak calmly, sincerely and truthfully.
Take care not to frown or glare,
And always wear a cheerful smile.
And when you’re with those you see every day,
Don’t be stingy, but be happy to give,
And banish all feelings of envy.
So as to protect others’ peace of mind,
Stay clear of quarrels of any kind,
And be patient and always forbearing.
Don’t flatter, or be a fickle friend,
But be steadfast and reliable all the time.
Never disparage or belittle other people,
But treat everyone with respect.
When giving advice or instructions,
Do so with compassion and a genuine wish to help.
Be sure never to criticize the teachings.
Set your sights on what inspires you most,
And, through the ten forms of Dharma practice,[1]
Exert yourself in sessions, day and night.
Among others, keep a check on your speech;
When alone, keep a check on your mind.
Whatever virtues you amass in the past, present and future,
Dedicate them all towards great, unsurpassable awakening,
Share your merit among all sentient beings,
And with the seven branch practice,
Continually make great prayers of aspiration.
Practising like this, you will complete
Accumulations of both merit and wisdom,
And eliminate the two forms of obscuration.
You will make this human life meaningful,
And, in time, gain unsurpassable awakening.

This concludes the Bodhisattva’s Garland of Jewels, composed by the great Indian paṇḍita Dīpaṃkara Śrījñāna.
------------------------------------------

Light Offering Prayer
by Atiśa Dīpaṃkara

མར་མེའི་སྣོད་ནི་སྟོང་གསུམ་གྱི་སྟོང་ཆེན་པོ་འཇིག་རྟེན་ཁམས་ཀྱི་ཁོར་ཡུག་དང་མཉམ་པར་གྱུར་ཅིག །
marmé nö ni tongsum gyi tongchenpo jikten kham kyi khoryuk dang nyampar gyur chik
May this vessel become as vast as the entire billionfold universe!
སྡོང་བུ་ནི་རིའི་རྒྱལ་པོ་རི་རབ་ཙམ་དུ་གྱུར་ཅིག །
dongbu ni ri gyalpo rirab tsam du gyur chik
May its wick grow as large as Sumeru, the king of mountains!
མར་ཁུ་ནི་མཐའི་རྒྱ་མཚོ་ཙམ་དུ་གྱུར་ཅིག །
markhu ni té gyatso tsam du gyur chik
May the oil within become as vast as the great ocean at the edge of the world!
གྲངས་ནི་སངས་རྒྱས་རེ་རེའི་མདུན་དུ་དུང་ཕྱུར་རེ་རེ་འབྱུང་བར་གྱུར་ཅིག །
drang ni sangye reré dündu dungchur reré jungwar gyur chik
And may a billion such lamps appear before each and every buddha!
འོད་ཀྱིས་སྲིད་པའི་རྩེ་མོ་མན་ཆད་ནས།
ö kyi sipé tsemo menché né
Their light banishing the darkness of ignorance everywhere,
མནར་མེད་པའི་དམྱལ་བ་ཡན་ཆད་ཀྱི་མ་རིག་པའི་མུན་པ་ཐམས་ཅད་བསལ་ནས་ཕྱོགས་བཅུའི་སངས་རྒྱས་དང་བྱང་ཆུབ་སེམས་དཔའི་ཞིང་ཁམས་ཐམས་ཅད་མངོན་སུམ་དུ་མཐོང་ཞིང་གསལ་བར་གྱུར་ཅིག །
narmé pé nyalwa yenché kyi marikpé münpa tamché sal né chok chü sangye dang changchub sempé shyingkham tamché ngönsum du tong shying salwar gyur chik
From the very peak of existence down to the lowest hell, may they reveal all the realms of buddhas and bodhisattvas throughout the ten directions!
ཨོཾ་བཛྲ་ཨ་ལོ་ཀེ་ཨཱཿཧཱུྃ།
om vajra aloké ah hung
ཨེ་མ་ཧོ། ངོ་མཚར་རྨད་བྱུང་སྣང་གསལ་སྒྲོན་མེ་འདི། །
emaho ngotsar mejung nangsal drönmé di
Emaho! This wondrous and amazing light, burning brightly,
བསྐལ་བཟང་སངས་རྒྱས་སྟོང་རྩ་ལ་སོགས་པའི། །
kalzang sangye tong tsa lasokpé
I offer to the thousand buddhas of this fortunate age,
རབ་འབྱམས་ཕྱོགས་བཅུའི་ཞིང་ཁམས་མ་ལུས་པའི། །
rabjam chok chü shyingkham malüpé
Gurus, yidam deities, ḍākinīs and dharmapālas,
བླ་མ་ཡི་དམ་མཁའ་འགྲོ་ཆོས་སྐྱོང་དང་། །
lama yidam khandro chökyong dang
And the deities of all the mandalas,
དཀྱིལ་འཁོར་ལྷ་ཚོགས་རྣམས་ལ་འབུལ་བར་བགྱི། །
kyilkhor lhatsok nam la bulwar gyi
In all the infinite realms of the ten directions.
ཕ་མས་གཙོ་བྱས་སེམས་ཅན་ཐམས་ཅད་ཀྱི། །
pamé tso jé semchen tamché kyi
May all beings, with my own parents foremost among them,
ཚེ་རབས་འདི་དང་སྐྱེ་གནས་ཐམས་ཅད་དུ། །
tserab di dang kyené tamché du
In this and in all lives to come, whatever our place of birth,
རྫོགས་སངས་རྒྱས་པའི་ཞིང་ཁམས་མངོན་མཐོངས་ནས། །
dzoksang gyepé shyingkham ngön tong né
Always see directly the perfect buddhas’ realms,
འོད་དཔག་མེད་མགོན་ཉིད་དང་དབྱེར་མེད་ཤོག །
öpakmé gön nyi dang yermé shok
And remain forever inseparable from Amitābha, ‘Lord of Boundless Light’—
དཀོན་མཆོག་གསུམ་དང་རྩ་གསུམ་ལྷ་ཚོགས་ཀྱི། །
könchok sum dang tsa sum lhatsok kyi
Grant your blessings so that, through the power of the truth
བདེན་པའི་མཐུ་ཡིས་སྨོན་ལམ་འདི་བཏབ་སྟེ། །
denpé tu yi mönlam di tab té
Of the Buddha, Dharma and Sangha, and the deities of the Three Roots,
མྱུར་དུ་འགྲུབ་པར་བྱིན་གྱིས་བརླབ་ཏུ་གསོལ། །
nyurdu drubpar jingyi lab tu sol
This prayer of aspiration may swiftly be fulfilled!
ཏདྱ་ཐཱ། པཉྩནྡྲི་ཡ་ཨཱ་བ་བོ་དྷཱ་ན་ཡེ་སྭཱ་ཏཱ།
tadyatha pancandriya avabodhanaye svaha
ཞེས་ཇོ་བོ་རྗེ་དཔལ་ལྡན་ཨ་ཏི་ཤས་དབུས་གཙང་གི་མཆོད་ཁང་རྣམས་ལ་དཔོན་སློབ་བཅོ་བརྒྱད་ཙམ་གྱིས་འུར་འདོན་མཛད་ཅེས་གྲགས་སོ།། །།
It is said that the precious Lord, glorious Atiśa, and seventeen of his disciples would chant this in unison as they made offerings in the shrines of Ü and Tsang.
| Translated by Adam Pearcey, Rigpa Translations, 2010.

A Bodhisattva’s Garland of Gems
Atisha

I make prostration to great compassion. I make prostration to the sublime teachers. I make prostration to the Buddha-figures, those in whom to have belief.
(1) Let me rid myself of all indecisive wavering and cherish being wholeheartedly earnest in my practice. So, let me rid myself fully of being sleepy, foggy-minded, and lazy, and always make effort with perseverance.
(2) Let me always safeguard the gateway of my senses with mindfulness, alertness, and care. So, let me check repeatedly the flow of my mind, three times each day and each night.
(3) Let me make my own failings be known and seek not mistakes in others. So, let me keep my own good qualities hidden and make the good qualities of others be known.
(4) Let me rid myself of (desire for) material gain and honor and always rid myself of (desire for) profit and fame. So, let me have few desires, be content, and show appreciation for the kind acts that've been done.
(5) Let me meditate on love and compassion and stabilize my bodhichitta aim. So, let me rid myself of the ten destructive actions and make myself stable, always, with belief in fact.
(6) Let me overcome rage and pride and come to have an attitude of humility. So, let me rid myself of dishonest ways of living and make my living with a livelihood that accords with the Dharma.
(7) Let me rid myself of all material burdens and adorn myself with an aryas' gems. So, let me rid myself of all bustling activities and live in seclusion.
(8) Let me rid myself of idle words and always restrain my speech. So, when I see a sublime teacher or learned master, let me extend my service with respect.
(9) As for persons with the eye of the Dharma and limited beings who are beginners, let me expand my discernment of them as my teachers.
(10) Whenever I see any limited beings, let me expand my discernment of them as my father, my mother, my child or grandchild. So, let me rid myself of misleading friends and entrust myself to spiritual friends.
(11) Let me rid myself of hostility and uneasy mental states, and go happily everywhere. So, let me rid myself of whatever I'm attached to and live without attachments.
(12) With attachment, I won't attain even a happy rebirth and I'll cut off the life of my liberation, in fact. So, wherever I see a Dharma measure (for bringing) happiness, let me exert effort always in that.
(13) Whatever I've undertaken to start with, let me accomplish that very thing first. Everything, this way, will get accomplished well; otherwise, neither will come about.
(14) While still acting always negatively and parted from joy, when a feeling of superiority arises about anything, let me cut off my pride and remember my sublime teacher's guideline instructions.
(15) And when a feeling of discouragement arises, let me praise the glories of the mind and meditate on the voidness of both (states).
(16) Whenever an object of attachment or hostility arises in any situation, let me regard it like an illusion or a projection; whenever I hear unpleasant words, let me regard them like an echo; and whenever harm happens to my body, let me regard it as (coming from) my previous karma.
(17) Let me step up to living in a sequestered place, outside the limits (of any town), and, like a corpse of a dead game animal, hide myself in solitude, and live without attachments.
(18) (There,) let me always be stable with my Buddha-figure and whenever a feeling of laziness or the draw of entertainment arises, let me enumerate my own shortcomings and remind myself of the essential points of taming behavior.
(19) But if I happen to see others, let me speak calmly, gently, and sincerely, rid myself of any frowns or closed-off expressions, and always keep a smile.
(20) And when I'm continually seeing others, let me not be miserly, but take joy in giving, and rid myself of all envy.
(21) In order to safeguard the minds of others, let me rid myself of all contention and always have patient tolerance.
(22) Let me not be fawning, nor fickle in friendship, but rather always stay faithful. Let me rid myself of insulting others, and keep a respectful manner. Then, when imparting guideline instructions to others, let me have compassion and a mind to help.
(23) Let me never deny the Dharma and, setting my intention on whichever ones I fervently admire, let me make effort to split my days and nights (passing) through the gateways of the ten Dharma acts.
(24) Let me dedicate to great peerless enlightenment as many constructive acts as I've amassed throughout the three times, and extend out to limited beings my positive force. So, let me always offer the great prayer of the seven-limb practice.
(25) Doing like that, let me complete my two networks of positive force and deep awareness, and deplete my two obscurations as well. Thus, making my attainment of a human body meaningful, let me attain a peerless enlightenment.
(26) The gem of belief in fact, the gem of ethical self-discipline, the gem of generosity, the gem of listening, the gems of care for how my actions reflect on others and of moral self-dignity, and the gem of discriminating awareness make seven.
(27) These sacred gems are the seven gems that will never deplete. They must not be mentioned to quasi-humans.
(28) When in the midst of many, let me keep a check on my speech; when remaining alone, let me keep a check on my mind.

(অনুবাদের দুর্বলতার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। পাঠকদের গঠনমূলক সমালোচনা কামনা করছি)

কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
1. Click This Link
2. Click This Link
3. Click This Link
4. http://www.munshigonj.com/Famous/Atis.htm
5. Click This Link
6. http://thebuddhisttimes.com
7. http://wikipedia.org

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
রতনে রতন চিনে। অতি মূল্যবান একটি গীতের খুবই চমৎকার অনুবাদ জনাব। বাংলা রূপগুলো হারিয়ে যায় অথবা আমরা বাঙালীরা ধরতেই শিখেনি। অনতিক্রমণীয় শব্দখানার পরিবর্তে “বিশুদ্ধ” বিশেষণটি আমি পছন্দ করছি। তাতে গীতের আবহ আরও চমৎকৃত হয় হয়তো।

ধন্যবাদ।

১৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

রমিত বলেছেন: আসলে পাল আমলের পর এসেছিলো সেন আমল। সেন আমলে তো আমাদের পূর্বপুরুষদের বৌদ্ধ কীর্তি কেবল ধ্বংসই করা হয়েছে। তাই অনেক কিছুই আর টিকে থাকেনি। খোদ চর্যাপদই তো পাওয়া গিয়েছিলো নেপাল রাজার লাইব্রেরীতে। আমাদের অনেক গ্রন্থ এখনও তিব্বতে আছে বা তিব্বতী ভাষায় টিকে আছে। উদ্যোগ নিলে ওগুলো আবার ফিরে আসতে পারে।

এডিট করে 'বিশুদ্ধ' শব্দটি দিয়ে দিচ্ছি।

আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
১৯ বার পঠিত ... :(
The highest form of ignorance is when you reject something you don't know anything about(Wayne Dyer)

১৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

রমিত বলেছেন: আসলে হালকা লেখার পাঠক বেশী। ভারীলেখা পড়ায় মানুষের আগ্রহ কম।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু ভাই।

৩| ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অল্প চাওয়া ও স্বল্প পাওয়ায় সন্তুষ্ট থাকুন,
আর কৃতজ্ঞতার সাথে যে কোনো প্রাপ্ত উদারতার প্রতিদান দিন।

চিন্তার খোঁড়াক রয়েছে সবগুলো লাইনে ।

ধন্যবাদ ।

১৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

রমিত বলেছেন: সুন্দর বলেছেন মনিরা আপা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অল্প চাওয়া ও স্বল্প পাওয়ায় সন্তুষ্ট থাকুন,
আর কৃতজ্ঞতার সাথে যে কোনো প্রাপ্ত উদারতার প্রতিদান দিন।

চিন্তার খোঁড়াক রয়েছে সবগুলো লাইনে ।

ধন্যবাদ ।

৫| ১৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!

অনন্য!

জীবন বোধের মুক্তো মানিক ভরা ডালী উপহার দেয়ায় কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।:)

অনেক অনেক ভাল লাগা।

১৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

রমিত বলেছেন: বরাবরের মতই সুন্দর ও কাব্যিক মন্তব্য।
ধন্যবাদ ভৃগু ভাই।

৬| ১৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭

তানভীর আহমেদ সম্রাট বলেছেন: আমি গত দুই বছর ধরে "অতিশ দীপঙ্করের পাণ্ডুলিপি" নামের একটি গোয়েন্দা উপন্যাস লিখে সাম্প্রতি শেষ করেছি। আপনার এই অনুবাদ কাব্য টি কি আমি আমার লেখায় ব্যাবহার করতে পারি ? অনুমুতি দিলে আন্তরিক কৃতজ্ঞ থাকবো...

১৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

রমিত বলেছেন: ব্যবহার করতে পারেন, অনুমতি দিলাম। অনুবাদক হিসাবে আমার নামটি উল্লেখ করবেন কাইন্ডলি।
ব্যাতিক্রমী বিষয় নিয়ে উপন্যাসটি লিখছেন, ইন্টারেস্টিং হবে নিশ্চয়ই। আপনার গোয়েন্দা উপন্যাসটি পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
ভালো থাকবেন।

৭| ১৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

রমিত বলেছেন: লেখাটিকে নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: রতনে রতন চিনে। B-) :> :-B

১৮ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

রমিত বলেছেন: কেমন আছেন লিলিয়ান আপা?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.