নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
আজ কি দিবস? (পলাশী থেকে বাংলাদেশ)
---------------------- ড. রমিত আজাদ
আজ সকালে ক্লাসরুমে এসে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্ন করলাম, "আজ কি দিবস?" সবাই মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলো। কেউ কিছু বলতে পারলো না। উল্টো প্রশ্ন করলো, "আজ কি দিবস স্যার?" আমি বললাম আজ ২৩শে জুন। আরেক দফা মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলো সবাই। "২৩শে জুনে কি হয়েছে স্যার?" বিরক্ত হয়ে বললাম, "আজ পলাশী দিবস। জানা নেই?" আবার কয়েকজনের মুখে বিস্ময়। আমি বললাম, "পলাশী সম্পর্কেও কি ধারনা নেই?" এবার দুয়েকজন বললো, "জ্বী, পলাশীর যুদ্ধ।" আমি বললাম, "কি হয়েছিলো এই দিনে?" চুপ করে আছে সবাই। আমি বিস্মিত না হয়ে পারলাম না। কোন পথে যাচ্ছে দেশ? আমাদের ইতিহাসের এতো গুরুত্বপূর্ণ এই দিবসটি সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের ধারনা এত ক্ষীণ! এর আগেও একবার একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্ন করে জেনেছিলাম যে দখলদার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী সৃষ্ট ১৭৭০ (বাংলা ১১৭৬) সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে, এমনকি উইনস্টন চার্চিলের সৃস্ট ১৯৪৫-৪৬ সালের দুর্ভিক্ষ সম্পর্কেও কোন ধারনা নেই তাদের।
এর সম্ভাব্য কারন কি হতে পারে? - দেশের স্কুল-কলেজে ইতিহাস ঠিকভাবে পড়ানো হয়না? স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তক গুলোতে ঐসব আর উল্লেখ করা নেই? বর্তমান জমানার ছাত্র-ছাত্রীদের এইসব নিয়ে কোন আগ্রহ নেই? সরকারী উদ্যোগের অভাবে দিনটি ভুলতে বসেছে সবাই? আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নানা রূপে জাতীয়তাবাদের কথা বলে, আজকাল আন্তর্জাতিকতাবাদী কম্যুনিস্টরাও রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে জাতীয়তাবাদী বক্তৃতা দেয়, অথচ এত গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস নিয়ে তাদের মধ্যে কোন চেতনাই কাজ করেনা? না কি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের জাতির স্মৃতি থেকে মুছে দেয়া হচ্ছে ইতিহাসের ঐসব রক্তাক্ত অধ্যায়? সেই সাথে কি মুছে দেয়া হচ্ছে আমাদের পূর্বপুরুষদের দুঃখ-বেদনা ও সংগ্রামী জীবনের সাফল্যগাঁথা?
পলাশী সম্পর্কে এই ব্লগে আমি ইতিপূর্বে কয়েকবার লিখেছি, তাই আজ আর নতুন করে লিখতে চাইনা। শুধু তাদের লিংক নীচে দিয়ে দিলাম
আজ ঐতিহাসিক পলাশী দিবস
http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/30048918
পলাশীর শিক্ষা
http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/29960035
যে জাতি তার অতীত জানেনা, ভবিষ্যতে পথ চলা তার জন্য কঠিন। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে হয়। পলাশীর শিক্ষা আমাদের জাতির জন্যে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজ জাতি আমাদেরই দেশে বসে আমাদেরই সম্পদ ভোগ করেছিলো, আর আমাদেরই দেশে বসে আমাদেরকে চাকর খাটিয়েছিলো। তাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছিলো এদেশীয় মীরজাফরেরা। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে পলাশীর ভুলের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এই পবিত্রভূমি যেন আর কোনদিনও বিদেশী সৈন্যদের পদভারে প্রকম্পিত না হয়।
নেটিভদের পরিচর্যায় আয়েশ করছে বৃটিশ অফিসার
স্বাধীনতা চাওয়ার অপরাধে ফাঁসী হচ্ছে দেশপ্রেমিকদের
বোঝা কাঁধে, এই বোঝা আমরা বয়েছিলাম দুইশত বছর
খাদ্যশস্যের ভান্ডারভূমি বাংলায় দুর্ভিক্ষের করুণ চিত্র
২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
রমিত বলেছেন: এত চমৎকার ও সচেতনতামূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২০
রমিত বলেছেন: লেখাটিকে নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আমরা আস্তে আস্তে ইতিহাস থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তাই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারছি না।
২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
রমিত বলেছেন: জ্বী, সঠিক বলেছেন। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮
আহলান বলেছেন: আমি ভাবতাম আমার মতো হগা ছাত্র বোধ হয় আমার যুগে আর ছিলো না, তাও তো আমি এসব জানতাম ...এখন কি তাহলে আমার চেয়েও হগা ছাত্র উৎপন্ন হচ্ছে?
২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
রমিত বলেছেন: জ্বী ভাই পরিস্থিতি ওরকমই দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯
সাজ্জাদ সংগ্রহ বলেছেন: ঘটা করে বেশকিছু স্বল্পপ্রয়োজনীয় দিবস উদযাপন করে থাকি আমরা। কিন্তু এ জাতির ইতিহাসচর্চার প্রতি অনীহা দিনদিন বেড়েই চলেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
রমিত বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
পলাশীতে রাজতন্ত্রের পতন হয়ে কলোনিয়ালিজমের সুত্রপাত হয়েছিল; ঐতিহাসিক দিক থেকে এটা ভালোর দিকে গিয়েছে
৭| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা চমৎকার । মানুষ আজ প্রকৃত ইতিহাস ভুলতে বসেছে ।
২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮
রমিত বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:১৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কোথায় মুছে দেয়া হচ্ছে/হলো। এইতো আপনার পোস্ট দুটো স্ব-অবস্থানেই আছে! হাহ হাহ।
কথা হচ্ছে ঐ পুরনো, শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক দূর্বলতা ও অভিভাবকদের উদাসীনতা...
লিখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, জনাব।
২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০
রমিত বলেছেন: আমার পোস্ট দুটিকে যথাস্থানে টিকিয়ে রাখার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য সুন্দর হয়েছে।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৯| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:২৮
কালনী নদী বলেছেন: অসাধারণ ঝকঝকে লেখা।
২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১
রমিত বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১০| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: বাঙালি অল্প খুশিতে বেশি তৃপ্ত হয়ে উঠে। তাই দুঃখ-কষ্ট মনে রাখতে পারে না। বাঙালিদের সংগ্রামের ইতিহাস, সাফল্যের ইতিহাস কে মনে করিয়ে দিবে? এত বড় একটা ব্লগে মাত্র অাপনার একটা পোষ্ট তাও আবার সবিস্তার নয়। কে শিখাবে আমাদের?
ভাগ্যআমার আপনি ছিলেন ব্লগে, তাই কিছু ধারণা তবুও পেলাম। শুভ কামনা রইল। অল্প হলেও, সারাংশ বুঝতে পারলাম। বাঙালিদের সংগ্রাম সাফল্যের সকল ইতিহাস পাঠ্যাবস্থায় স্কুল কলেজে রাখা উচিৎ।
২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪
রমিত বলেছেন: আমার পূর্বের লেখা দুইটিতে সবিস্তারে লিখেছি।
আজ ঐতিহাসিক পলাশী দিবস
http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/30048918
পলাশীর শিক্ষা
http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/29960035
বাঙালিদের সংগ্রাম সাফল্যের সকল ইতিহাস স্কুল কলেজে-এর পাঠ্যপুস্তকে অবশ্যই রাখা উচিৎ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১১| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অদ্ভুত রকম আত্ম-বিস্মৃত এই জাতি।
নেতৃত্বর দায় সবচে বেশি। তাদের উড়নচন্ডী রাজনীতি তাদের ইতিহাস বিমূখ করে রাখে। যে বুদ্ধিজীবিদের দায় সবচে বেশী তারাও বিবেকের কাছে দায়হীন রুটিরুজিতে ব্যস্ত বলেই আজ জাতি দিশাহীন- স্রোতের তালে ভেসে চলছে।
জাতীং সাংস্কৃতিক নীতিমালায় ইতিহাসের ধারাক্রম উপেক্ষিত সব সময়! কেবলই বানের জলে ভাসা ভোগের সংস্কৃতিকে প্রমোট করা হচ্ছে! ডিজুস জেনারেশন করতে যে ভ্যায় হচ্ছে তার সিকিভাগও নেই জাতীয় ইতিহাস ঐতিহ্য চর্চায়। নেই েকান মেগা সিরিয়াল, নেই েকান মুভি, নেই ফেসবুক ইভেন্ট! নেই আকর্ষনীয় লোভনীয় সম্মানের ইতিহাস চর্চার আয়োজন।
পোষ্ট প্রিয়েত রাখলাম নিজে গর্বিত হতেই।
২৬ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬
রমিত বলেছেন: একেবারে যথাযথ বলেছেন। আপনার উল্লেখিত প্রতিটি পয়েন্টই মূল্যবান। এই নিয়ে একটি পৃথক পোস্ট দিতে পারেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ভৃগু ভাই।
১২| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬
শামস মুহাম্মাদ জান বলেছেন: সত্য কথাটিই বলেছেন
২৬ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭
রমিত বলেছেন: জ্বী ভাই। মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হয়ে যায়।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
দরবেশমুসাফির বলেছেন: আপনি খুব গুরুত্তপূর্ন একটা বিষয় সামনে এনেছেন। দয়া করে দুঃখ করবেন না। স্রোতের বিপরীতে যে চেস্টা আপনি করে যাচ্ছেন সবসময় তাতে কিছু লোককে অবশ্যই পাশে পাবেন।
ব্রিটিশরা আমাদেরকে আমাদের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্নিক যে চেতনা ভুলিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল তা আবার একটু একটু করে ফিরে আসছে।আপনার এই লেখা তার একটি প্রমান। নিকষ কালো রাতের পর পরই সকাল আসে।আমাদের সোনালী যুগ আবার ফিরে আসবে ইনশাল্লাহ।