নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
পলিম্যাথ টলেমী, রোমান কবি ভির্জিল ও প্রাচীন বাংলা 'গঙ্গাঋদ্ধি':
------------------------------ ড. রমিত আজাদ
বাংলার প্রাচীন নাম 'গঙ্গাঋদ্ধি' এখন হারিয়েই যাচ্ছে। আমি ছোটবেলায় স্কুলের ইতিহাস বইয়ে এই গঙ্গাঋদ্ধি সম্পর্কে পড়েছিলাম। বাংলা এ্যাকাডেমী থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ের নাম আছে 'গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ' লেখক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। দুশো বছরের বৃটিশ শাসনের আগুনে আমাদের ইতিহাস সহ অন্যান্য অনেক গ্রন্থই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মহাজ্ঞানী অতীশ দীপংকরের বইগুলোও এখন পড়তে হচ্ছে তিব্বতী ভাষায়। স্বাধীনতার পরেও ঐসব গ্রন্থ পুনরুদ্ধারের খুব একটা চেষ্টা হয়েছে বলেছে মনে হয়না। আবার স্কুলের কারিকুলাম থেকেও আমাদের পূর্বপুরুষদের গৌরবগাঁথা ধীরে ধীরে তুলে দেয়া হচ্ছে। জাতিকে ডিমোরালাইজ করার এক অদ্ভুত চাল।
যাহোক, বহুবিদ্যাজ্ঞ টলেমী সেই ৯০ সালে গঙ্গাঋদ্ধি নামটি উল্লেখ করেছেন। ইউরোপীয় ভাষায় এর উচ্চারণ Gangaridai।
টলেমি গঙ্গারিডাই-এর অবস্থান সম্পর্কে মোটামুটি বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, গঙ্গার পাঁচটি মুখ সংলগ্ন (নদীগুলো হলো মেঘনা, পদ্মা, যমুনা, কর্ণফুলী এবং রূপসা) প্রায় সমূদয় এলাকা গঙ্গারিডাইগণ দখল করে রেখেছিল, ‘গাঙ্গে’ নগর ছিল এর রাজধানী। তার বর্নণাকৃত চারটি দ্রাঘিমা ডিগ্রি সমূদ্র উপকূলের সর্ব পশ্চিম থেকে সর্ব পূর্ব নদীমুখ পর্যন্ত অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করছে। কার্যতঃ এর অর্থ হলো ‘গঙ্গারিডাই’ বঙ্গপোসাগরের উপকৃলবর্তী গঙ্গার সর্বপশ্চিম এবং সর্বপূর্ব নদীমুখ পযর্ন্ত বিস্তৃত ছিল। ভাগীরথির (তমলুক এর নিকটে) এবং পদ্মার (চট্টগ্রামের নিকটে) নদীমুখের দ্রাঘিমা রৈখার পার্থক্য ৩৫ ডিগ্রির সামান্য কিছু বেশি। তাই টলেমির তথ্যানুযায়ী গব্দারিডাই-কে শনাক্ত করা যায় বর্তমান পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশে গঙ্গার প্রধান দুটি শাখার মধ্যবর্তী অঞ্চলটিতে।
‘গঙ্গারিডাই রাজ্য ৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে অর্থাৎ জ্ঞানী এরিস্টটল ও লুটেরা আলেকজান্ডার-এর সময়কালে ভারতীয় উপমহাদেশের বাঙলা অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। গ্রিক পর্যটক মেগাস্থিনিস তার ইন্ডিকা গ্রন্থে এটা বর্ণনা করেছেন। ধ্রুপদী গ্রিক এবং ল্যাটিন ঐতিহাসিকদের বর্ণনানুযায়ী আলেকজান্ডার দি গ্রেট বাংলায় অবস্থিত এই গঙ্গারিডির লোকেদের পরাক্রমের কাহীনী শুনে শংকিত হয়ে যমুনার পশ্চিম পাড় থেকেই ফেরৎ চলে যান। তবে ইদানিংকার গবেষণায় উঠে আসছে যে, এটি মূলতঃ গ্রীসের দরবারী ইতিহাস। তাদের বর্ণনার ফাঁক-ফোকর থেকে বেরিয়ে আসে যে, যুদ্ধটি হয়েছিলো এবং লুটেরা আলেকজান্ডার সেই যুদ্ধে পরাজিত হয়ে কোমর ভেঙে পালিয়েছিলো।
Ptolemy (c. 90 – c. 168), wrote that the Gangaridai occupied the entire region about the five mouths of the Ganges and that the royal residence was in the city of "Ganges". The five mouths were the Kambyson, the Mega, the Kamberikhon, the Pseudostomon and the Antibole. These rivers may refer to the Meghna, Padma, Jamuna, Karnaphuli and Rupsa. Ptolemy also noted a large natural harbour in the Chittagong coastline.
গঙ্গাঋদ্ধি-র সুনাম এত দীর্ঘকাল বিস্তৃত ছিলো যে, পাশ্চাত্যের দূরবর্তী দেশগুলি পরবর্তী ৫০০ বছর তাদের নাম ও যশ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল ছিল। রোমান কবি ভির্জিল খ্রীষ্টপূর্ব ২৯ সালে গঙ্গাঋদ্ধি নামটি তাঁর কবিতায় উল্লেখ করেছেন।
In foribus pugnam ex auro solidoque elephanto Gangaridum faciam victorisque arma quirini
On the doors will I represent in gold and ivory the battle of the Gangaridae and the arms of our victorious Quirinius. –Virgil, "Georgics" (III, 27)
নীচে কয়েকটিতে ছবিতে এভিডেন্স উল্লেখ করলাম।
(তারিখ: ২৮শে মার্চ, ২০১৭। সময়: ১৪০০ ঘটিকা)
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১
রমিত বলেছেন: জ্বী, ভাই টলেমির তথ্যানুযায়ী ওরকমই আসে। তবে ভাষাগত বিচারে আমরা তো বুঝতেই পারি যে পুরো বঙ্গ জনপদটাই ছিল মূলত গঙ্গারিডাই Wealth of Ganges ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সারথী ভাই। ভালো থাকবেন।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটা বইয়ের সন্ধান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১
রমিত বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজীব ভাই। ভালো থাকবেন।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
রমিত বলেছেন: লেখাটিকে নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৪
বার্ণিক বলেছেন: বইটা সংগ্রহ করে পড়তে হবে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
রমিত বলেছেন: জ্বী, গুরুত্বপূর্ণ বই।
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৩৬
বর্ষন হোমস বলেছেন: নির্বাচিত হওয়ার মত একটি পোষ্ট।
শুভকামনা রইল।
২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বইটি পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হলো।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
রমিত বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট রমিত ভাই ।
দশকথার এক কথা জাতিকে ডিমোরালাইজ করার এক অদ্ভুত চাল।সত্য কথাই বলছেন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
রমিত বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১২
কামালপা বলেছেন: আলেকজান্ডারের আমলে বাংলার লোকেরা আর্য ছিল না অনার্য ছিল? মহেনজোদারো হরপ্পার কি অবস্থা ছিল?
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
রমিত বলেছেন: আমরা বাংলার লোকেরা মূলত: দ্রাবিড়। সম্রাটের অশোকের সময় থেকে আমাদের মধ্যে আর্য রক্তের সংমিশ্রণ ঘটতে থাকে। আলেকজান্ডারের আগমণ অশোকের আগে, সেই হিসাবে তখনকার বাঙালীরা দ্রাবিড়-ই ছিলো।
মহেনজোদারো হরপ্পা আরো আগের কাহিনী। এই বিশাল সভ্যতা-টা আর্যরা ধ্বংস করেছিলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৮
সায়ান তানভি বলেছেন: চমৎকার এবং গুরুত্ববহ।
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮
রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৫
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: দারুন, এই পোস্টটি আরো বিস্তারিত হলেও ভালই লাগতো.........
১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হে প্রিয় ব্লগার,
আপনি কোথায় আছেন? কেমন আছেন?
বৎসরাধীক কাল আপনার সমৃদ্ধ লেখা হইতে বঞ্চিত হইতেছি।
নিত্যই মনে হয়- কিন্তু দেখা পাইনা।
সুস্থ আছেন তো? শারিরীক, মানসিক সার্বিক?
অন্তত এটুকু জানিয়ে গেলে কৃতার্থ হবো, যে আপনি ভাল আছেন।
ব্লগে আসা না আসার হয়তো অনেক কারণ থাকতে পারে। ব্যক্তিগত
পারিবারিক, সামাজিক, রাস্ট্রীয় নানা মূখি।
বিশেষ করে গত সপ্তাহে পরপর দুজন ব্লগার হারানোর পর মনে নানা শংকা ভাসে!
আমাদের শংকা মুক্ত করবেন আশা করি।
ইতি
আপনারই গুনমুগ্ধ
বিদ্রোহী ভৃগু
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫
রমিত বলেছেন: আমি ভালো আছি।
অনেকদিন ব্লগটির বাইরে ছিলাম।
ব্যস্ততা ছিলো তাই।
খোঁজখবর নেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
অগ্নি সারথি বলেছেন: যখন গঙ্গাঋদ্ধি বলেছেন তখন ধরতে পারি না কিন্তু গঙ্গারিডাই দেখামাত্র বুঝতে পেরেছি।
টলেমির তথ্যানুযায়ী গব্দারিডাই-কে শনাক্ত করা যায় বর্তমান পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশে গঙ্গার প্রধান দুটি শাখার মধ্যবর্তী অঞ্চলটিতে। - আমার যদ্দুর জানাজানি পুরো বঙ্গ জনপদটাই ছিল মূলত গঙ্গারিডাই। আমার জানাজানিতে ভূলও হতে পারে রমিত ভাই। সম্ভব হলে বিস্তারিত লিখবেন।