নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
গ্রামটির নাম ঢাকুয়া
------------------- রমিত আজাদ
ঢাকা থেকে অনেক দূরে, গ্রামটির নাম ঢাকুয়া।
সবুজ ছায়ার মায়ার দেশে প্রাণ ভরেছে আকুয়া।
মশগুল তায় টিয়া পাখী, রঙ ছড়াতে আশমানে,
তেপান্তরের মাঠ ছাপিয়ে ফিঙে নাচে গুলশানে!
ফুলবনে তায় প্রজাপতি পাখনা মেলে নিরুদ্দেশ!
ধলাই নামের ছোট্ট নদী গাঁয়ের বুকে চলছে বেশ!
কালবোশেখী রুদ্র ঝড়ে গাঁয়ের বনে আন্দোলন,
ক্ষেত-খামারে পবন দোলায় তরঙ্গ সুখ শিহরণ!
বর্ষা এলে টাপুর-টুপুর বাদলা মুখর নও ঢঙে!
বৃষ্টিশেষে রঙধনু তায় আকাশ মাতায় সাত রঙে!
শরৎ সেথা শুভ্র তনু কাশফুল মন প্রস্ফুরণ,
ধানের শিষে বহ্নিশিখা অভ্র রাশে আকম্পন!
শীতের কালে হিমের তালে গাঁয়ের মাটি হিমানী,
শরষে ফুলের চাদর গায়ে গ্রাম সেজেছে কুঞ্জনী।
ফাগুন সেথা আগুন রঙে ফোটায় পলাশ ফুলপরী,
দিনের শেষে নামছে নিশি, তারায় তারায় শর্বরী!
সোনার কাঠি, রুপার কাঠির যাদুর ছোঁয়ায় বন্দনায়,
গান শোনাবে চৈতী রাগে বুলবুলি আর চন্দনায়।
বিজলী তারের খুটির চূড়ায় বাজপাখি তাজ ঝলমলায়,
শাপলা-শালুক গাঙ সাজিয়ে বিলের জলে ছলছলায়!
রাখাল-বালক বংশীবাদক সুর ছিটিয়ে কলকলায়,
মেঠো পথে গাঁয়ের বধূ কলসী কাঁখে টলমলায়!
চৌরাস্তার বাজার-হাটে বিকিকিনির জীবন-ঢল,
ঘাটপারেতেও বাজার আছে, সেতুর নীচেই কলকল।
পল্লী থেকেই গারো পাহাড় রূপসুধাতে দৃশ্যমান!
মেঘালয়ের মেঘপূরীতে পাহাড় রাণীর সিংহাসন।
উচ্চতা তার ঢের উপরে, গ্রাম ভাসে না বন্যায়,
গ্রামবাসীদের নাই খেদ তাই, বানভাসানো কান্নায়।
উষায় রাঙে ক্ষেতের পানি, গোধূলিতেও লাল রবি,
মখমলী ঘাস কদম দলে পদধূলি তায় দেয় কবি।
ঘাসফুল তায় খায় চুমু খায়, পথিক প্রবর চরণে,
প্রেম জমেছে মাটির সাথে, নীলমনি রুপ গড়নে।
ঈদের দিনে খুশির মনে গ্রামবাসি সব শাহেনশাহ্!
বটের তলায় মাঠের ঘাসে হয় আয়োজন ঈদের গাহ্।
নামাজ শেষে মুসুল্লীগণ বুক মিলিয়ে শান্তি পান,
ছেলেপুলে সন্তানেরা খেলনা কিনে গাইছে গান।
মসজিদেরই মিনার থেকে আযান ভাসে পাঁচবেলা,
সন্ধ্যা-সকাল নামাজীদের আনাগোনায় পথচলা!
সময় হলে এসো পথিক দেখে যেও সপ্ত সুর,
ঢাকুয়া নাম গ্রামটি মোদের স্বর্গসুখের শান্তিপুর।
(আমার ছোট ছেলেটি আবদার করলো, "আমাদের গ্রামটি নিয়ে একটা কবিতা লিখবে না, বাবা?")
---------------------------------------------
রচনাতারিখ: ২০শে অক্টোবর, ২০১৯ সাল
সময়: দুপুর ০৩টা ০৭ মিনিট
(ইতিপূর্বে প্রকাশিত)
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩
রমিত বলেছেন: আপনার শ্বশুর বাড়ী!
আমার তো নিজের বাড়ী।
ঢাকুয়ার রাস্তাঘাট এখন তো ভালো। মোড় পর্যন্ত পাকা হয়ে গিয়েছে। ময়মনসিংহ থেকে যেতে এখন তো আর তেমন কোন কষ্ট হয় না।
আমরা বাড়ী করলাম, রাস্তা পাকা হলো, কালভার্ট হলো। আমরা বাড়ী করলাম, কারেন্ট-এরও ব্যবস্থা হচ্ছে। ইদানিং শুনছি, একটি কলেজও ওখানে হবে! আমি গ্রামের লোকদের মজা করে বলি, "দেখেন তো, কি সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছি আমরা!"
আপাতত: খাম্বা ও তার বসেছে, আশা করি, কারেন্ট-এর সংযোগ হয়ে যাবে শীঘ্রই। আমাদের বাড়ীতে আপাতত: সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে চালাই।
এই ব্লগে আপনার সাথে পরিচয় হয়ে খুশী হলাম।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইলো।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি ফিদা, কবিতায় আর ছবিতায় মুগ্ধ...........ভালোলাগা
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪
রমিত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ফিদা।
শুভ কামনা রইলো!
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমরাও সৌর বিদ্যুতে আছি এখন আপাতত। আগামী ডিসেম্বরে যাবো ইনশাআল্লাহ
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৩
রমিত বলেছেন: ঐ সময়ে ছুটি থাকবে। আমিও যাবো হয়তো।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫
নগরসাধু বলেছেন: আমিতো ভেবেছিলাম ঢাকার খুব কাছে পিঠে বুঝি!
কাজী ফাতেমা ছবির কমেন্টে জানলাম ময়মনসিংহ ইতিবৃত্ত
ছড়ি আর ছবি দুটোতেই ভাল লাগা রইল
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৪
রমিত বলেছেন:
জ্বী, ময়মনসিংহ। ঐ গ্রাম থেকে গারো পাহাড় দেখা যায়!
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪
মা.হাসান বলেছেন: রমিত সার, বহু দিন পরে ব্লগে আসলেন।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫
রমিত বলেছেন:
জ্বী বহুদিন পরে আসলাম। ব্যস্ততা ছিলো।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩০
রমিত বলেছেন: পোস্ট-টিকে 'নির্বাচিত পোস্ট' করায় সামু ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর কবিতা। ছবিগুলো অনেক অপূর্ব।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫০
রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ছেলের নাম কি? বয়স কত? কোন স্কুলে পড়ে?
কবিতা চমৎকার হয়েছে।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫১
রমিত বলেছেন: আমার ছেলের বয়স আট বৎসর। পড়ে ঢাকার স্কুলে। মাঝে মাঝে গ্রামে যায়।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্বর্গসুখের শান্তিপুর ঢাকুয়া ভাল লাগলো ।+
ছবিগুলোও চমৎকার ।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫২
রমিত বলেছেন:
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০
শের শায়রী বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার কবিতা পড়লাম রমিত ভাই। ভালো লাগা রইল।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২১
রমিত বলেছেন: আপনার মতই আমিও অনেকগুলো বছর পর আবার সামুতে এলাম।
কারণ-টা অনেকটা আপনার মতই।
ব্লগার জীবন শুরু করেছিলাম, সামুতেই।
ব্লগার হিসাবে পরিচিতিও পেয়েছিলাম সামু-র মাধ্যমেই।
সেই সামু হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ হয়েছিলো।
আজ সামু মুক্ত,
সামু পরিবারে শামিল হওয়া আমার দায়িত্ব!
আপনাকে ধন্যবাদ।
১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গায়
যেথায় কোকিল ডাকে কুহু, দোয়েল ডাকে মুহুমুহু
বড় সুন্দর আপনাদের গ্রামটা।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২১
রমিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
১২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৭
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: যেমন ছবিগুলো,তেমনি আপনার কবিতাখানা।
দারুণ,মনোমুগ্ধকর। ++
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইলো।
১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
নার্গিস জামান বলেছেন: সুন্দর
২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০
রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইলো।
১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
হাবিব বলেছেন: অনবদ্য
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৫
রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আরে আপনি দেখি শ্বশুর বাড়ী নিয়ে লিখেছেন আহা। আমিও গতকাল ঢাকুয়া গ্রামের ছবি দিয়েছি। দেখেছেন তো। ঢাকুয়া গ্রামের সবচেয়ে খারাপ লাগে রাস্তাঘাট যদিও ধীরে ধীরে ঠিক হচ্ছে। উফ কী পরিমাণ কষ্ট সেখানে যেতে । ময়ময়সিংহ হতে কত্ত দূরে বাপরে বসতে বসতে মাজা ব্যথা হয়ে যায়। আরও খারাপ লাগে বিদ্যুত নাই। এবার গরমে গিয়ে কী যে কষ্ট পেয়েছি। সারারাত বসে কাটিয়েছি। কারেন্টের খাম্বা তার সব ঠিকঠাক কিন্তু কারেন্ট চালু হচ্ছে না। এ দিকে কারো নজর নেই কিন্তু কেনো। এমন স্বার্থপর চেয়ারম্যানকে ভোট দেন কেনো আপনারা। যে শুধু নিজের স্বার্থ দেখে। সে কি সুন্দর কারেন্ট নিয়ে আসছে অন্য গ্রাম থেকে হুহ।
ভালো লাগলো শ্বশুর বাড়ী নিয়ে লিখেছেন এজন্য।